?ভোর? পর্বঃ ১১।
লেখিকাঃ আয়sHa?
|
|
ভোর গাড়ি হন্য হয়ে খুঁজলো কিন্তু পেলো না। অবশেষে গাড়ি থামিয়ে চিৎকার করে আলো বলে কাঁদতে লাগলো আা বলতে লাগলো….
|
ভোরঃঃ আলো তুমি আমাকে বুঝলে না। তুমি কত বড় ভুল মানুষের কাছে গেলে তাও তুমি জানলে না। আলো তোমার কিছু হলে আমি কি নিয়ে থাকবো? আমার ভালোবাসা এভাবো পায়ে ঠেলে দিলে? আলো তুমি কোথায়? তোমাকে কোথায় খুঁজবো আমি এখন? আমার তো নিঃশ্বাস আটকে আসছে আলো।
না ভোর তোকে ভেঙ্গে পড়লে চলবে না। যেভাবেই হোক রিহাম আলোর ক্ষতি করার আগে তোকে আলোকে খুঁজে বের করতে হবে। ভোর চৌধুরী ভাঙলে চলবে না। কখনোই না। রিহাম যদি তুই আলোর গায়ে টোকা দিয়েছিস তো তোকে আমি জানে শেষ করে দিবো। প্রমিস আলো.. ভোর তোমাকে সকাল হবার আগেই খুঁজে বের করবে। এটা তোমার স্বামীর ওয়াদা।
|
ভোর চোখ মুছে গাড়ী স্টার্ট দিলো।
|
এদিকে আলো কান্না করতে করতে ভোরের নাম নিচ্ছে শুধু..
|
আলোঃঃ আমি কি করলাম এটা.. যে মানুষটা আমাকে নিঃস্বার্থ ভাবে ভালোবাসলো আর তাকেই ভুল বুঝলাম। কিন্তু উনি কেন আমাকে এসব বলেনি? তাহলে তো আমি কোনদিন রিহামের কাছে আাসার জন্য এত কিছু করতাম না। ভোর আপনি কোথায়? আমাকে নিয়ে যান এই নরক থেকে। আমি আপনার কাছে যেতে চাই। আপনার সন্তান আমার গর্ভে তবুও আমি এসেছি। ভেবেছিলাম রিহাম তো আমাকে ভালোবাসে ও এই সন্তানও মেনে নিবে। কিন্তু না ও তো শুধু আমাকে ভোগ করতে চেয়েছিলো শুরু থেকে। ভোর আপনাকে ঘৃণা করলেও আপনার দেয়া সন্তানকে আমি ঘৃণা করিনি। কি করে করব? আমি তো ওরই ?মা?। আমার যে মা ডাক শোনার খুব ইচ্ছে। ফোনে তো বলতেন আপনারও বাবা ডাক শোনার খুব ইচ্ছে। আপনার সন্তানের জন্য হলেও আপনি এখান থেকে আমাকে নিয়ে যান প্লিজ। আপনি কোথায়? আমি এখানে থাকতে পারছি না। ঐ নরপশু যদি আবার আমার উপর হামলা করতে আসে? আর তখন যদি বারন না শোনে? তবে? তবে তো আমার মৃত্যু ছাড়া উপায় থাকবে না। আপনাকে আমি কোনদিন মুখ দেখাতে পারব না। আমাকে কেউ যেতে দাওওও ভোরের কাছে। প্লিজ কেউ যেতে দাও। ওনাকে আমার অনেক কিছু বলার আছে। ওনার কাছে ক্ষমা চাবো আমি। ওনার পা ধরে ক্ষনা চাইলে উনি ক্ষমা করবেন না? হ্যাঁ করবেন করবেন। উনি তো আআমাকে ভালোবাসেন। উনি অবশ্যই ক্ষমা করবেন। শুনছো তোমরা কেউ আমাকে যেতে দাওওও… আমি ভোরের কাছে যাবো… আমাকে যেতে দাও…
|
আলো কাঁদছে আর বলছে কিন্তু ওর কথায় কেউ এসে দরজা খুলছে না। আলো মাথা উঁচু করে সামনের দিকে তাঁকিয়ে দেখে একটা টেলিফোন। আলো দৌড়ে টেলিফোনটা উঠালো কিন্তু টেলিফোনটা নষ্ট। সেটায় কল যাবে না। আলো টেলিফোনটা ধরে এক আছাড় দিলো মেঝেতে। তারপর কাঁদতে কাঁদতে ওখানেই শুয়ে পড়লো।
|
ফজরের আজান হাল্কা ভেসে এলো আলোর কানে। মৃদু আলো ফুটেছে বাহিরে। হাল্কা আলো দেখা যাচ্ছে এই কাঠের জানালার ফাঁক-ফোকড় দিয়ে।রাতে এই ঘরে একটা ডিম লাইট জ্বালানো ছিলো কিন্তু তাও প্রায় ঘন্টাখানেক আগে নিভে গিয়েছে। আলো ঐ মৃদু আলোতে ওয়াশরুমটা খুঁজে বের করলো রুমের ভিতরের। আলো দৌড়ে অজু করে নামাজ পড়ে মোনাজাতে আল্লাহর দরবারে ভোরের কথা বললো। নামাজ শেষে আলো খুটিশুটি মেরে বসে রইল মাথা নিচু করে হাটুর উপর দিয়ে।
|
হঠাৎ একটা গাড়ী এসে থামার শব্দ পেলো কিন্তু দেখার কোনো উপায়ন্তর নাই এই ঘর থেকে কে এলো?। কিন্তু আলো এবার কেঁদে যাচ্ছে ভয়ে। রিহাম ছাড়া আর কেউ আসেনি তাই আলো কান্না করছে। যদি আলোর কোনো ক্ষতি করে রিহাম এইভেবে। রাতে চলে গিয়েছে তো কি হয়েছে? এখন তো ওকে নাও ছাড়তে পারে। আলো আর ভাবতে পারছে না। খুব অসহায় আলো এখন। ওর এখন কান্না করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। তাই মাথা নিচু করে কাঁদতে লাগলো।
|
হঠাৎ দরজা খুলে গেলো। আলো মাথা উঁচু করে তাঁকিয়ে হাত জোর করে কাঁদতে কাঁদতে বলতে লাগলো….
|
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা
◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।
আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share
আলোঃঃ আআমার কোন ক্ষতি করবেন না.. প্লিজ.. আমাকে ভোরের কাছে যেতে দিন প্লিজ। আআআমার কোকোকোনো ক্ষতি করবেন না। আআমাকে মুমুক্তি দিন দয়া ককরে..।
|
সামনের দাড়ানো পা’দুটো আর একটু এগিয়ে এলো। আলো এগিয়ে আসাটা বুঝতে পেরে একটা চিৎকার দিয়ে বললো…
|
আলোঃঃ ওওখানেই দাড়ান। আর এক আসবেন না। আর পা সামনে বাড়ালে আমি নিজেকে শেষ করে দিবো আপনি বুঝতে পেরেএএএএএএএ….
|
আলো উপরে চোখ দিয়ে তাঁকিয়ে পুরো না বলে থেমে গেলো। ফাঁক-ফোকড়ের মৃদু আলো একজোড়া চোখ দেখাচ্ছে সামনের মানুষটার। আলো সেই চোখজোড়া দেখছে। প্রায় ৫মিনিট ধরে চোখ জোড়া আলোর দিকে তাঁকিয়ে আছে আর আলোও তাঁকিয়ে আছে চোখজোড়ার দিকে।
দেখতে দেখতে আলো উঠে দৌড়ে চোখজোড়ার মালিককে জড়িয়ে ধরলো। ধরে হাউমাউ করে কেঁদে উঠলো।
|
আলোঃঃ আআআপনি আসতে এতো দেড়ি কককরলেন কেন? আমি সারা-রারারাত ধরে আপনার পথ চেয়ে ববববসে ছিলাম। আপনি আমাকে এএএখান থেকে নিয়ে চচচলুন।
|
আলো আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরলো ভোরকে। হুম এটা ভোরই ছিলো। আলো শুধুমাত্র ভোরের চোখ দেখেই ভোরকে চিনতে পেরেছে। ভোরকে পেয়ে আলো আরও কাঁপছে। আলো কম্পন দেখে ভোর আলোকে জড়িয় ধরলো শক্ত করে।
|
ভোরঃঃ আমি এসে গেছি তোমার আর কোনো ভয় নেই চলো। তোমার কিছু হতে দিবে না ভোর। চলো….
|
বলেই আলোকে ভোর কোলে তুলে নিলো। আলোও ভোরের গলা শক্ত করে ধরে ভোরের ঘাড়ে মুখ গুঁজলো।
|
সিঁড়ি থেকে নেমে যখন যায় আলোকে কোলে নিয়ে আলো তাঁকিয়ে দেখে গতকাল রাতের সেই লোকদুটো রক্তাক্তভাবে পড়ে আছে নিচে আর সোফাতে পড়ে আছে রিহাম। বুকে ছুড়ি গাঁথা। আলো রিহামের এ অবস্থা দেখে ভোরের গলা আরও শক্ত করে চেপে ধরে….
|
আলোঃঃ রিরিরিহামে এ অবস্থা কেন?
|
ভোরঃঃ আমার প্রানে হাত দিয়েছি তাই ওর প্রান নিয়ে নিলাম।
|
আলো ভোরের কথা শুনে ভোরের অবাক দৃষ্টিতে তাঁকালো।
ভোর আলোকে গাড়িতে বসিয়ে দিয়ে গাড়ী স্টার্ট করলো। জঙ্গলের মাঝামাঝি আসাতেই সামনে একটা গাড়ী এলো। ভোর গাড়ীটা থামালো। সামনের গাড়ী থেকে একজন বের হয়ে এসে ভোরকে বললো…. *** স্যার এখানে কি অপারেশন??**
|
ভোরঃঃ আরও সামনে গিয়ে একটা বাংলো পাবে কাঠের দোতলা। সেখানে তিনটা লাশ আছে। লাশ তিনটার কোন চিহ্ন যেন এই পৃথিবীতে না থাকে। Got it?
|
ঃঃ Yes sir…
|
ভোরঃঃ হুম.. ওকে।
|
বলে ভোর আবার গাড়ী স্টার্ট দিলো আর আলো ভোরের দিকে শুধু অবাক দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে রইল।
|
|
|
চলবে……
((ভুল-ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন। ধন্যবাদ?))