?ভোর? পর্বঃ ০৬।
লেখিকাঃ আয়sHa?
|
|
পার্টি প্রায় শেষের দিকে মেহমানরা সবাই চলে যাচ্ছে। ভোর সবাই বিদায় জানাচ্ছে। আলো খেয়াল করলো ভোর এখন ব্যস্ত তাই আলো মেহমানদের এগিয়ে দেবার ভান করে মেইন গেট থেকে বেড়িয়ে গেলো ভোরের চোখে আড়ালে। আলো মেইন গেট থেকে বেড়িয়ে ডানপাশের রাস্তার দিকে দৌড় দিবে ঠিক তখনই কেউ আলোকে ধরে ফেলে। আলো পিছনে তাঁকিয়ে দেখে ভোর। আর ভোর লাল দুটো চোখ নিয়ে আলোর দিকে তাঁকিয়ে আছে। আলো ওসবের তোয়াক্কা না করে ভোরের থেকে নিজের হাত ছাড়ানোর বৃথা চেষ্টা করলো। ভোর আলোকে টানতে টানতে নিয়ে গেলো। একদম নিয়ে বেডরুমে ফেলে দিয়ে ভোরের কোমড়ের বেল্ট খুলে ভোর চাবুকের মতো করে হাতে পেঁচাতে পেঁচাতে আলোর সামনে যায় রক্তবর্ণ চোখ নিয়ে। আলো তা দেখে ভয় পেয়ে যায়। তবুও আলো বুকে সাহস নিয়ে বললো…..
|
আলোঃঃ আমাকে মারবেন??
|
ভোর আলোর কথা শুনে হাতে থাকা বেল্ট দিয়ে নিজের শরীর আঘাত করতে শুরু করলো নিজের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে। আলো ভোরের এমন বিহেভ দেখে চমকে যায়। তাড়াতাড়ি করে আলো উঠে ভোরের হাত ধরে উচ্চস্বরে বললো….
|
আলোঃঃ কি হচ্ছে টা কি এসব? আপনি পাগল হইছেন??
|
ভোরঃঃ ছাড়ো আমার হাত। তোমাকে তো আঘাত করতে পারবো না তাই নিজেকে আঘাত করছি। সরে যাও এখান থেকে…
|
আলোকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো ভোর। আলো আবার সাথে সাথে উঠে ভোরের হাত ধরে…
|
আলোঃঃ নিজেকে আঘাত করতে হলে অন্য কোথাও গিয়ে করুন। আমার সামনে করবেন না এসব। ((কড়া কন্ঠে))
|
ভোরঃঃ হুমমম…
|
ভোর রুম থেকে বের হবে তখন ড্রেসিংটেবিলের উপর কাঁচের ফুলদানী চোখে পড়তেই ফুলদানীটা নিয়ে বের হলো। আলোর চোখ এড়ালো না ব্যাপারটা। সাথে সাথে আলোও ভোরের পিছনে দৌড়ে গিয়ে ফুলদানীটা কেড়ে নিয়ে…
|
আলোঃঃ কিকিকিকি করবেন এটা দিয়ে…??
|
ভোরঃঃ ওটা দাও। তুমি রুমে যাও।
|
আলোঃঃ কি করবেন সেটা বলুন আগে?
|
ভোরঃঃ নিজেকে শেষ করে দিবো। তুমি মুক্ত হয়ে যাবে। দাও ওটা।
|
আলো সাথে সাথে ফুলদানীটা দেয়ালে এক বারি দিয়ে ভেঙ্গে হাতে থাকা ফুলদানীর ভাঙ্গা অংশ নিয়ে…
|
আলোঃঃ নিন ভেঙ্গে দিলাম। নিজেকে শেষ করে দিন।
|
ভোরের হাতে ফুলদানীর ভাঙ্গা অংশ দিয়ে আলো ভোরকে ক্রস করে রুমে ঢুকতে যাচ্ছিলো ঠিক তখনি আলো *আহ* বলে একটা শব্দ করলো। ভোর সাথে সাথ পিছনে ঘুরে দেখে আলো পা জাগিয়ে দেখার চেষ্টা করছে। আলোর পায়ে কাঁচের টুকরো বিধেঁ গেছে। ভোর তাড়াতাড়ি হাতের ভাঙ্গা ফুলদানীর অংশ ফেলে আলোকে কোলে তুলে রুমে নিয়ে গিয়ে বসালো। রক্ত দেখে কান্না পেলো আলোর কিন্তু চোখ-মুখ গুঁচে হাত দিয়ে সোফা শক্ত করে আঁকড়ে ধরলো। ভোর দৌড়ে বাহিরে গিয়ে উচ্চস্বরে বললো…
|
ভোরঃঃ সার্ভেন্ট ফাস্টএইড বক্স দিয়ে যাও আর এই জায়গাটা পরিষ্কার করো।
|
বলে আবার দৌড়ে আলোর কাছে এলো। ভোর আলোর পা ধরে কাঁচের টুকরাটা বের করার চেষ্টা করছিলো তখন সার্ভেন্ট এসে ফাস্টএইড বক্সটা দিয়ে গেলো। ভোর কাঁপা কাঁপা হাতে আলোর পায়ের কাঁচের টুকরোটা যখন তুলে ফেললো আলোর চোখ দিয়ে তখন পানি বের হয়েই গেলো ব্যথায়। ভোর তাড়াতাড়ি পা পরিষ্কার করে আলোর পা ব্যান্ডেজ করে দিলো। আলো অবাক হয়ে সবটা তাঁকিয়ে দেখছিলো। তারপর ভোর উঠে যাচ্ছিলো তখন আলো ভোরের ঘাড়ে হাত দিতে ভোরকে বসিয়ে দিয়ে…
|
আলোঃঃ বেলেঞ্জার টা খুলুন তো…
|
ভোরঃঃ কেন???
|
আলোঃঃ খুলতে বলেছি খুলুন..
|
ভোরঃঃ হুমমম…
|
ভোর বেলেঞ্জারটা খুললো…
|
আলোঃঃ ঘুরে বসুন। আপনার পিঠ দেখবো।
|
ভোর ঘুরে বসলো। আলো ভোরের পিঠ দেখে সাথে সাথে বললো…
|
আলোঃঃ ইশশশশশ((চোখ বন্ধ করে))
|
ভোরঃঃ কি হয়েছে??
|
আলোঃঃ শাশাশার্টটা খুলুন।
|
ভোর শার্টটা খুলে সামনে নিয়ে দেখে শার্টে রক্ত।
|
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা
◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।
আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share
আলোঃঃ আপনি মানুষ? নিজের শরীরে এতটাই জোরে আঘাত করেছেন যে বেলেঞ্জারের উপর থেকে আপনার পিঠে রক্তাক্ত হয়েছে।
|
ভোরঃঃ তুমি খুশি তো?? ((মুচকি হেসে))
|
আলোঃঃ ফাস্টএইড বক্সটা দিন।((করুন কন্ঠে))
|
ভোরঃঃ কেন???
|
আলোঃঃ আমি চেয়েছি তাই..
|
ভোর বক্সটা দিলো। আলো তুলাতে সেভলন নিয়ে ভোরের পিঠের কাটা জায়গায় ছোঁয়াতেই…
|
ভোরঃঃ আহহহ… জ্বলছে..
|
আলোঃঃ জ্বলুক… চুপ একদম।
|
ভোরঃঃ তোমাকে বৌ বৌ লাগছে…
|
আলো আর কোনো কথা না বলে সেভেলন দিচ্ছে আর ভোর আহ উহ বলে ব্যথায় কাতরাচ্ছে।
|
আলোঃঃ ইশশশশ সাদা ধবধবে পিঠ কি হয়ে গেলো আমার জন্য। আমি তো চাইনি উনি এমন কিছু করুক? নিজেকে বড্ড অপরাধী লাগছে। ((মনে মনে))
|
আলো ফাস্টএইড বক্সটা ভোরের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে…
|
আলোঃঃ যান ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পড়ুন।
|
ভোরঃঃ হুম। তুমিও চলো…
|
আলোঃঃ কোথায়???
|
ভোরঃঃ ফ্রেশ হতে.. তুমি আগে ফ্রেশ হও তারপর আমি।
|
ভোর আলোকে কোলে নিয়ে ওয়াশরুমে নামিয়ে দিলো। আলো ফ্রেশ হয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হলো ভোর আবার কোলে নিয়ে বেড বসিয়ে দিলো। তারপর ভোর ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ এলো।
এসে অন্যপাশে বসলো।
|
আলোঃঃ I’m sorry…
|
ভোরঃঃ কেন??
|
আলোঃঃ আমার জন্যই আজ এমনটা হলো।
|
ভোরঃঃ তাহলে একটু ভাবো তুমি চলে গেলে আমি নিজেকে শেষ করেই ফেলবো।
|
আলোঃঃ ঘুমাবো…
|
ভোরঃঃ এড়িয়ে গেলে? ওকে..
|
আলো শুয়ে পড়লো। ভোর আলোর ব্যান্ডেজ করা পায়ের নিচে একটা বালিশ দিয়ে দিলো। তারপর ভোর শুয়ে পড়লো কিন্তু সাথে সাথে *আহ* করে উঠে বসলো। ভোরের মনে ছিলো না ওর পিঠ যে ক্ষতবিক্ষত। আলো ভোরের *আহ* শুনে উঠে বসলো…
|
আলোঃঃ উহহহ ব্যথা করছে?? ((করুন কন্ঠে))
|
ভোরঃঃ না। এখানে যে ব্যথা আছে সে ব্যথা এ ব্যথার কাছে কিছুই না। ((বুকে হাত দিয়ে)) ঘুমাও..
|
আলো শুয়ে পড়লো। ভোর ভুট হয়ে শুয়ে পড়লো কিন্তু শুয়ে আরাম পাচ্ছে না। নড়াচড়া করেই যাচ্ছে। আলো চোখ মেলে তাঁকিয়ে টেবিল লাইটের আলোতে দেখছে ভোরের শুতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।
|
আলোঃঃ ইশশশশশ লোকটার কত কষ্ট হচ্ছে ঘুমাতে। আমার জন্যই তো হয়েছে এসব। ((মনে মনে))
|
আলো এসব ভেবে ভোরের প্রতি একটু নরম অনুভূতি ফিল করলো। তাই…..
|
আলোঃঃ এমন নড়াচড়া না করে এদিকে আসুন।
|
ভোরঃঃ একি তুমি ঘুমাওনি??
|
আলোঃঃ না। আপনার নড়াচড়াতে ঘুমাতে পারছি না।
|
ভোরঃঃ ওকে আর করব না ঘুমাও।
|
আলোঃঃ এদিকে আমার কাছে আসুন…
|
ভোরঃঃ কেন??
|
আলোঃঃ আসুন তো…
|
ভোর আলোর কাছে গেলো..
|
আলোঃঃ আমার বুকে মাথা দিয়ে ঘুমান। ((অনিচ্ছা সত্ত্বেও বললো))
|
ভোরঃঃ তুমি কি বলছ? তোমার মাথা ঠিক আছে??
|
আলোঃঃ আমাকে আপনি অলরেডি ধর্ষক করছেন শারীরিক ভাবেও আর আজ চোখ দিয়ে আমাকে শাড়ী পড়ানোর সময়। আর এসব তো আমার জন্যই হয়েছে।আসুন…
|
ভোর কিছু না বলে আলোর বুকের উপর মাথা দিয়ে আলোকে হাল্কাভাবে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়লো। আলোও একরাশ দীর্ঘশ্বাস নিয়ে চোখ বন্ধ করলো। আলো চোখ বন্ধ করে এক মিনিটও থাকেনি তার আগেই ফিল করলো আলোর ঠোঁট কেউ দখল করেছে। চোখ খুলে দেখে ভোর। আলো ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো।
|
আলোঃঃ এই জন্যই আপনাকে আমি ঘৃণা করি।
|
ভোরঃঃ তোমার শরীরে স্মেল মাতাল করে দিলো তাই ঠোঁঠটা একটু ছুঁয়ে দিলাম। গুড নাইট।
|
বলেই আলোর বুকে মাথা দিয়ে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়লো। আলো অনেক কিছু চিন্তা করে নিজের চোখের পানির বিসর্জন দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লো।
|
|
|
চলবে…………
|
((আমি অসুস্থ আপনারা জানেন। এখন মোটামুটি সুস্থ। পুরোপুরিভাবে না। তাই গল্প ছোট/দেড়ি হচ্ছে এরজন্য ক্ষমা করবেন সবাই। আস্তে আস্তে বড় করে দিবো সুস্থ হয়ে ইনশাআল্লাহ। ☺))
|
((ভুল-ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন।ধন্যবাদ ?))