?ভোর? পর্বঃ ০৪।
লেখিকাঃ আয়sHa?
|
|
খাওয়া শেষে করে আলোকে নিয়ে রুমে গেলো ভোর। আলো রুমে গিয়ে শুয়ে পড়লো। ভোরও আলোকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়লো। আলো ভোরের হাত বার বার সরিয়ে দিচ্ছিলো কিন্তু ভোরও জোর করে জড়িয়ে ধরছিলো। একটা সময় আলো আর হাত সরায় না। যদিও বিরক্ত লাগছিলো আলোর। আলো চোখ বন্ধ করে আছে। কিছুক্ষণ পর আলো ফিল করলো আলোর কামিজের ভিতর থেকে ভোর হাত দিয়ে আলোর পেটে স্লাইড করছে হাল্কা ভাবে। আলো এক ঝটকায় উঠে বসলো তারপর ভোরের দিকে তাঁকিয়ে…..
|
আলোঃঃ সমস্যা কি? আপনার চরিত্র খারাপ সেটা বার বার বুঝানোর কি আছে? আমি জানি তো আপনার চরিত্র খারাপ। ((রাগী কন্ঠে))
|
ভোরঃঃ নিজের বৌকে ছুঁলে কি চরিত্র খারাপ হয়?
|
আলোঃঃ কিসের বৌ? কার বৌ? আমি আপনাকে স্বামী হিসেবে মানি না।
|
ভোরঃঃ আমি মানি তো। তাতেই হবে।
|
আলো কিছু না বলে উঠে বেলকনিতে চলে গেলো। ভোরও পিছন পিছন গিয়ে পিছন দিক দিয়ে আলোকে জড়িয়ে ধরে আলোর ঘাড়ে মুখ গুঁছে….
|
ভোরঃঃ চলো… শুবে…
|
আলোঃঃ আমাকে একটু শান্তিতে থাকতে দিন প্লীজ।
|
ভোরঃঃ আজ যদি আমি রিহাম সেঁজে তোমার কাছে থাকতাম তখন??
|
আলোঃঃ তখন আমিই আপনাকে বিরক্ত করতাম। কিন্তু তখনকার আর এখনকার ব্যাপারটা আলাদা। আমি রিহামকেই ভালোবাসি।
|
ভোরঃঃ আর আমি তোমাকে চলো…
|
বলেই আলোকে টানতে টানতে ভোর নিয়ে বেডে শুয়ে দিলো। আর আলো মনে মনে বলছে…. ভোর চৌধুরী একদিন তো ঠিকিই আমি সুযোগ পাবো আপনার এই নজরধারীর হাত থেকে তখন আমাকে খুঁজে আর পাবেন না। আমি রিহামের কাছে চলে যাবো।
|
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা
◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।
আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share
ভোরঃঃ কি ব্যাপার কি ভাবছ? পালানোর চেষ্টা করছ?
|
আলোঃঃ করছি তো?
|
ভোরঃঃ এসব চিন্তা বাদ দাও মিসেস চৌধুরী।
|
আর কিছু বললো না ভোর। দুজনেই ঘুমিয়ে পড়ল।
|
রাত ৮টা। আলো এখনো ঘুমাচ্ছে। ভোর নিচে ড্রইং রুমে বসে টিভি দেখছে। আলো ঘুম ভেঙ্গে দেখে ভোর নাই। তাই উঠে নিচে গেলো। গিয়ে দেখে ভোর বসা। আলো আস্তে ভোরের থেকে কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে বসলো।
|
ভোরঃঃ কখন ঘুম ভাঙল??
|
আলোঃঃ এইতো। একটা কথা ছিলো।
|
ভোরঃঃ কি বলো?
|
আলোঃঃ বাবা-মাকে খুব দেখতে ইচ্ছা করছে। ((মন খারাপ করে))
|
ভোরঃঃ যাও রেডি হও..
|
আলোঃঃ সত্যি?? ((অবাক হয়ে))
|
ভোরঃঃ হুম সত্যি… যাও।
|
আলো এক লাফ দিয়ে খুশিতে এক দৌড় দিয়ে সিঁড়িতে উঠে আবার নেমে বললো….
|
আলোঃঃ আপনি যাবেন না?
|
ভোরঃঃ মুহাহাহা তোমাকে একা ছাড়ব তাই ভাবছ? কখনোই না। যাও রেডি হও।
|
আলো একটা মুখ ভেংচি দিয়ে উপরে চলে গেলো রেডি হতে। আলো রেডি নিচে নেমে সোফাতে বসে বসে ভাবছে… লোকটা আমার একবার বলাতেই রাজি হয়ে গেলো? লোকটা খারাপ না ততটাও।
|
এরমধ্যে ভোর এসে বললো… ভোরঃঃ চলো।
|
আলো ভোরের দিকে তাঁকিয়ে বললো…
|
আলোঃঃ আপনি এভাবে ট্রাউজার পড়ে যাবেন আর টি-শার্ট পড়ে যাবেন?
|
ভোরঃঃ কেন খারাপ লাগছে? আমি কিন্তু অনেক হ্যান্ডসাম ওকে।
|
আলোঃঃ এভাবে কেউ শ্বশুর বাড়ী যায়? ((রাগী কন্ঠে))
|
ভোরঃঃ বাহ স্বামী হিসেবে মানলে? আমি এভাবেই যাবো চলো।
|
আলোঃঃ আমি যাবো না আপনার সাথে।
|
বলেই আলো ধুম করে সোফাতে বসে পড়ল। ভোর উপায় না পেয়ে উপরে গিয়ো ৫মিনিটের ভিতর রেডি হয়ে নিচে এলো…
|
ভোরঃঃ এবার ঠিক আছে??
|
আলোঃঃ হুম। মোটামুটি চলে।
|
ভোরঃঃ এবার তাহলে চলো।
|
আলো আর ভোর বেড়িয়ে গেলো। প্রায় ১ ঘন্টা পর ওরা পৌঁছালো। আলো দৌড়ে বাড়ির ভিতর ঢুকে জোরে জোরে চিৎকার দিয়ে ওর বাবা-মা কে ডাকলো। আলোর বাবা-মা বের হয়ে দেখে আলো। তারা তো খুশিতে আত্মহারা মেয়েকে এভাবে দেখে। জড়িয়ে ধরে সে কি খুশির কান্না। ভোর বাহিরে দাঁড়িয়ে সবটা দেখছে। আলোর মা ভোরকে দেখে…
|
আলোর মাঃঃ আরে ভোর বাবা ওখানে দাড়িয়ে আছো কেন? ভিতরে এসো।
|
ভোর ভিতরে ঢুকে সোফায় বসে…
|
ভোরঃঃ আসলে মা আলো আপনাদের খুব মিস করছিলো তাই বললাম চলো বাবা-মাকে দেখে আসি আর আগামীকাল যে পার্টির আয়োজন করব সেটাও বলে আসি। কিন্তু ও এই রাতে আসতে চায়নি। আমি জোর করে নিয়ে এসেছি শত হলেও বাবা-মাকে মিস করছে। আমার তো বাবা-মা নাই তাই কষ্টটা বুঝি।
|
আলো ভোরের কথা শুনে হা করে তাকিয়ে থেকে…
|
আলোঃঃ পার্টি????
|
ভোরঃঃ ঐ যে তুমি বললা না আমাদের বিয়ে উপলক্ষে একটা পার্টি দিতে সেটাই। আরও কি বলছে জানেন বাবা?
|
আলোর বাবাঃঃ কি বলছে???
|
ভোরঃঃ বলছে আমরা বাবা-মাকে দেখে চলে আসবো। কালকের পার্টির আয়োজন করতে হবে না? আমিও সাফ সাফ বলে দিয়েছি.. কাল সকালে আমরা ব্যাক করবো।
আমি কি ভুল বলেছি মা?
|
আলোর মাঃঃ না। আলো তুই এমন হয়েছিস।
|
আলোঃঃ আমিও মাত্র জানলাম আমি এমন হয়েছি। মা খুদা লাগছে চলো খাইয়ে দিবে আমাকে।
|
ভোরঃঃ বাবা আমি কি ভেসে এসেছি? আপনি আমাকে খাইয়ে দিবেন। হুহ
|
আলোর বাবাঃঃ আচ্ছা বাবা চলো।
|
তারপর আলোকে আলোর মা আর ভোরকে আলোর বাবা খাইয়ে দিলো। খাওয়া শেষে ওরা অনেকক্ষণ গল্প করে উঠে ঘুমানোর জন্য রুমে গেলো। আলোর পিছন পিছন ভোর গেলো।
|
ভোরঃঃ তোমার রুমটা তো খুব সুন্দর। এটা এখানে কি ঢেকে রাখছ?
|
বলেই ভোর ঢাকা দেয়া কাপড়টা তুলে….
|
ভোরঃঃ আমার ছবি? ((অবাক হয়ে))
|
আলোঃঃ রিহাম ভেবে রেখেছিলাম। কালই ফেলে দিবো।
|
ভোরঃঃ বাবার বাসায় এসে সাহস বেড়ে গেছে?
|
আলোঃঃ তা তো বাড়বেই। যান ফ্রেশ হয়ে আসুন। ওয়াশরুম ঐদিকে।
|
ভোর ফ্রেশ হয়ে এসে দেখে আলো ঘুমিয়ে পড়ছে। ভোর হাল্কা ভাবে আলোর কপালে ভালোবাসার পরশ একেঁ দিয়ে আলোকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়লো।
|
রাত ৩টা প্রায়। আলো উঠে ভোরের ফোনটা নিয়ে বেলকনিতে চলে গেলো। নিয়ে ফোনটা অন করলো কিন্তু লক করা ফোনটা। কিছুতেই খুলতে পারছে না। কত যে নাম দিলো কিন্তু পারছে না হঠাৎ….
|
ভোরঃঃ মায়াপরী পাসওয়ার্ড।
|
আলো আচমকা এভাবে ভোরের কন্ঠ শুনে ভয়ে হাত থেকে মোবাইলটা পড়ে গেলো।
ভোর মোবািলটা উঠিয়ে আলোর সামনে ধরলো। আলো ফোনটা না ধরে বেডে গিয়ে শুয়ে পড়লো। ভোরও পাশে এসে শুয়ে….
|
ভোরঃঃ এই ফোনে তুমি যেসব খুজতে চাচ্ছো তা নেই। সব আমার সিক্রেট রুমে। অযথা এসবে টাইম ওয়েস্ট না করে আমাকে ভালোবাসো। দেখবে তাতে অনেক সুখ। তোমার মাঝে একটা জিনিস দেখলাম যা আমাকে সত্যি অবাক করে…
|
আলোঃঃ কি???
|
ভোরঃঃ তোমাকে এতকিছু বলার পরও তোমার অনেক সাহস।
|
আলোঃঃ হুম..
|
ভোরঃঃ এত সাহস দেখাতে যেও না তাতে তোমারই ভালো হবে। তা না হলে…
|
আলোঃঃ তা না হলে কি?
|
ভোরঃঃ আমি কি করবো আমি নিজেও জানি না। ঘুমাও।
|
আলোও আর কিছু না বলে ঘুমিয়ে পড়লো আর ভোরও।
|
সকালে ঘুম থেকে আলো আগে আগে উঠে ফ্রেশ হয়ে ভোরের কাছে গিয়ে…
|
আলোঃঃ হ্যালো মিস্টার ভোর উঠুন। সকাল হয়ে গেছে।
|
ভোর আলোর এক ডাকেই চোখ খুলে তাঁকিয়ে দেখে আলো ওর সামনে দাঁড়িয়ে আছে…
|
ভোরঃঃ কি হয়েছে?
|
আলোঃঃ সকাল হয়ে গেছে উঠুন…
|
ভোর এবার ভালোভাবে আলোর দিকে তাকালো। আলোর চুল বেয়ে ফোঁটা ফোঁটা পানি পড়ছে। ভোর সাথে সাথে এক হ্যাচকা টান দিয়ে আলোকে নিজের উপর ফেললো আর আলোর ভিজে চুলগুলো ভোরের মুখের উপর পড়তেই ভোর চোখ বন্ধ করে ফেললো।
|
আলোঃঃ এটা কি ধরনের অসভ্যতা? আপনার এসব আমার একদম সহ্য হয় না। ছাড়ুন বলছি।
|
ভোর চোখ খুলে…
|
ভোরঃঃ একটা লিপকিস দাও ছেড়ে দিবো….
|
আলোঃঃ আপনি ভালো করে জানেন এসব আমার দ্বারা হবে না। তবুও ফাও এসব বলে লাভ আছে? ছাড়ুন..
|
ভোরঃঃ মিসেস চৌধুরী আপনি যদি আমাকে কিস না করে আমার চোখের দিকে একদৃষ্টিতে পলকহীনভাবে ৫মিনিট তাঁকিয়ে থাকতে পারেন তবে আপনাকে ছেড়ে দিবো আর কোনদিন আপনাকে ধরবো না। আর যদি কিস করেন তাহলে আপনি প্রতিদিন আমাকে সকালে মর্নিং কিস দিবেন। রাজি?
|
আলোঃঃ ওকে রাজি।
|
ভোরঃঃ ওকে…
|
আলো আর কিছু না বলে ভোরের চোখের দিকে তাকালো। ভোরও আলোর চোখের দিকে তাঁকিয়ে রইল।
|
৩মিনিট অতিক্রম না হতেই আলো আস্তে আস্তে ভোরের ঠোঁটের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে। কি করছে আলো তা ও জানে না। আলোর হুশজ্ঞান যেন লোপ পেয়েছে। আলো একটা সময় ভোরের ঠোঁটজোড়া দখল করেই ফেলে। ভোরও আলোর ঠোঁটজোড়ার নেশায় পড়ে যায়।
|
৫মিনিট পর আলোর হুশ ফিরে আর আলো সাথে সাথে ভোরের ঠোঁট ছেড়ে হাঁপাতে হাঁপাতে বেলকনিতে চলে যায়।
ভোরও *ইয়াহু* বলে ওয়াশরুমে চলে যায়।
|
|
|
চলবে…………
((ভুল-ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন। ধন্যবাদ ☺))
Nice next part pls