?ভোর? পর্বঃ ০৩।
লেখিকাঃ আয়sHa?
|
|
ভোর বেলকনি থেকে এসে..
|
ভোরঃঃ কি হলো এখনো শাওয়ার নিলে না যে?
|
আলোঃঃ হুম যাচ্ছি…
|
বলে আলো শাওয়ার নিতে চলে গেলো।
|
আলো বের হয়ে মাথার চুল ঝাড়ছে আর ভোর একদৃষ্টিতে তাঁকিয়ে আছে। আলো পিছনে ঘুরে তাঁকিয়ে দেখে ভোর ওর দিকে একদৃষ্টিতে তাঁকিয়ে আছে।
|
আলোঃঃ এভাবে তাঁকিয়ে আছেন কেন?আপনার এই আমার সহ্য হচ্ছে না। একদম অসহ্য লাগছে।
|
ভোরঃঃ দেখছি আর ভাবছি..
|
আলোঃঃ কি ভাবছেন?
|
ভোরঃঃ হুমমম… ভাবছি…
|
বলে ভোর উঠে আস্তে আস্তে আলোর এদিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আর আলো পিছনের দিকে সরে যাচ্ছে….
|
আলোঃঃ আআআআআপনি এএদিকে আসছেন কেএএকেন?
|
ভোরঃঃ ভালোবাসতে ইচ্ছা করছে…
|
আলোঃঃ একদম আমার কাছে আসবেন না বলছি। আসলে আমি কিন্তু চিৎকার দিবো।
|
ভোরঃঃ আমার বাড়ি এটা। চিৎকার দিলে কেউ আসবে না।
|
আলোঃঃ আর এক পাও আগাবেন না বলছি…
|
ভোরঃঃ ওকে…
|
বলে ওখানে দাঁড়িয়েই আলোর হাত টান দিয়ে নিজের সাথে চেপে ধরে….
|
আলোঃঃ ছাড় বলছি.. মিথ্যাবাদী… অমানুষ.. অত্যাচারী… ধর্ষক.. ছাড় বলছি। তোকে বলছি না আমাকে স্পর্শ করবি না। তোকে আমি ঘৃণা করি। I hate you…
|
ভোর নিজের কানে আঙুল দিয়ে ঝেড়ে…
|
ভোরঃঃ তখন বেলকনিতে বসে ভাবলাম তোমার এসব কথা মাথায় নিয়ে নিজেকে প্যারা দেবার মানেই হয় না। তার থেকে আমি আমার মতো তোমাকে ভালোবাসবো। তাতে তুমি যতই ঘৃণা করো। আমি আমার কাজ করবো। আর তোমাকে যা বলবো তুমিও তাই করবে। তবে তোমাকে একটা ওয়ারিং দিতে চাই??
|
আলোঃঃ কি??
|
ভোরঃঃ তুমি নেক্সট টািম আমাকে তুই করে বললে… এই ঠোঁটটা ছিঁড়ে নিবো। ((মুচকি হেসে))। আর আমার কথার এদিক ওদিক হলে রিহামকে দুনিয়া থেকে উঠিয়ে দিবো। আর একদম পালানোর চেষ্টা করবে না। কারন এই বাড়ীর সব জায়গায় CC ক্যামেরা আছে আর তা আমিই নিয়ন্ত্রণ করি। আর আমার গার্ডরা আমার পারমিশন ছাড়া তোমাকে একা বের হতে দিবেও না। আমি কখনোই চাইনি তুমি ভোর চৌধুরীর কঠিন রূপ দেখো? আমি তোমাকে প্রজাপতির মতো ভালোবেসে আগলে রাখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তুমি উড়ে যেতে যাচ্ছো। তাই আমাকেও তোমার পায়ে সুতো বাঁধতে হলো। তোমাকে আমি সব সত্যি বলেছিলাম যেন আমাদের জীবনটা মিথ্যাতে শুরু না হয় কিন্তু তুমি আমাকে ভুল বুঝলে? একদিন ভুল তোমার ভাঙবে। উহহহ নড়াচড়া করো না আমার কথা শেষ হয়নি। আমি কখনোই তোমাকে ছাড়বো না। বাই দা ওয়ে দাও তো…
|
আলোঃঃ কি?
|
ভোরঃঃ গালে একটা চুমু দাও।
|
আলোঃঃ আমি? হাহাহা… শুনুন রিহামকে আমি খু্ঁজে ঠিক বের করবো।((ভোরের কলার ধরে রাগী কন্ঠে))
আর আমার দেহটাই হয়তো পাবেন জোর করে কিন্তু মন কোনদিন পাবেন না।
|
ভোরঃঃ সময় বলে দিবে। তুমি চুমু দিবা না? খুব তাড়াতাড়ি রিহামের মৃত মুখটা তোমাকে গিফ্ট করব এটা চাও তুমি? আমি ভোর। ভোর চৌধুরী। তোমার কোনো আইডিয়াই নাই ভোর চৌধুরীর সম্পর্কে।
|
আলোঃঃ আপনি কি আমার মৃত মুখ দেখতে চান?
|
ভোর ঠাস করে আলোর গালে এক চড় দিয়ে আলোকে বুকে টেনে নিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে…..
|
ভোরঃঃ তুমি সুইসাইড করলে আমি তোমার বাবা-মা’কে নিজের হাতে মেরে ফেলবো।
|
আলোঃঃ আপনি কি বলেন এগুলা?
|
ভোরঃঃ এখন ভেবে দেখে তুমি সুইসাইড করবে কি না?
|
আলোঃঃ আমার সাথে কেন করছেন এসব? ((কান্না করতে করতে))
|
ভোরঃঃ Don’t carry… চলো তোমার কষ্ট ভুলিয়ে দেই।
|
বলেই আলোকে কোলে তুলে নিলো তারপর বেলকনির ইজি চেয়ারটাতে বসে আলোকে কোলে নিয়ে আলোর ঠোঁট জোড়া দখল করে পাগলের মতো কিস করে যাচ্ছে। আলো নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না এই সুঠাম দেহের অধিকারীর সাথে।
|
তাই নিজের চোখের জলে পরাজয় বহন করল।
|
ভোর আলোকে ছেড়ে….
|
ভোরঃঃ চলো লাঞ্চ করবে…
|
আলোঃঃ না। আমাকে ছাড়ুন প্লীজ।
|
ভোরঃঃ কিস খেয়ে পেট ভরে গেছে?
|
আলোঃঃ আপনি এসব করে আমার মনে আরও ঘৃণিত ব্যক্তি হয়ে উঠছেন।
|
ভোরঃঃ আমার জোর পূর্বক ভালোবাসায় এই ঘৃণিতকে আগের ভালোবাসায় ফিরিয়ে আনবো। প্রমিস।
|
আলোঃঃ কখনোই তা হবে না।
|
ভোরঃঃ হবে। কারন আল্লাহর পবিত্র কালামে তুমি আবদ্ধ হয়েছো তাই হবে। চলো খেতে।
|
আলোকে কোলে নিয়েই আবার ডাইনিং এ নিয়ে এলো ভোর।
এবার চেয়ারেই বসালো। আলোর প্লেটে খাবার তুলে দিলো ভোর…
|
ভোরঃঃ নাও মেখে তুমিও খাও আর আমাকেও খাইয়ে দাও।
|
আলোঃঃ কেন? আপনার হাত নেই?
|
ভোরঃঃ উফফ বলেছি না আমার কথার এদিক ওদিক করবে না। so quick…
|
আলো একরাশ অসহ্যতা নিয়ে ভোরকে খাওয়াতে লাগলো।
|
|
|
চলবে…….