হয়তো_ভালোবাসি
Part_24
#Writer_Eshetaq_Nora
নীড়ঃ আরে এরজন্য রাগ করে থাকতে হবে নাকি আজব।
নেশাঃ ??
নীড়ঃ আচ্ছা নেশা তোমার মনে হচ্ছে নাহ আমরা ক্রিমিনাল কাপল হয়ে যাচ্ছি??
নেশাঃ হুহ?
নীড়ঃ সব তোমার জন্য।।এমন একটা মেয়েকে বিয়ে করেছি যার দুইজন প্রেমিকা আছে।।এখন আবার প্রেমিকার বোন এসেছে খুন করতে??
নেশাঃ তো এমন মেয়েকে বিয়ে করতে বলেছিলো কে।।আমার দুইজন প্রেমিক আছে তাই নাহ।।আমি ওদের সাথে কি নিজে গিয়ে প্রেম করেছি।।ওরা আমার পিছনে লাগলে আমার কি দোষ।।আর আমাকে নিয়ে যখন আপনার এতোই সমস্যা তো আমায় বিয়ে করলেন কেন।।আমি তো বিয়ে করতে চাইনি।
নীড়ঃ আরে নেশা আমি ওইভাবে বলিনি।।আমি তো যাস্ট মজা করছিলাম।
নেশাঃ ???
নীড়ঃ আরে পাগলি কান্না করছো কেন।আমি সত্যিই মজা করছিলাম।।
নেশাঃ আমারই সব দোষ তাই নাহ নীড়।।আমার জন্যই আজ আপনাকে একজন খুনি হতে হলো।
নীড়ঃ আরে নাহ।।ভিলেনরা মারলে খুনি হয়।।হিরো রা কখনো খুনি হয় নাহ।।তারা যতোই মারুক নাহ কেন।।এইটাই আমাদের সমাজ??
নেশাঃ, তা সত্যি।। কিন্তু নিহা আপুর খুনটা বাড়িতে কিভাবে বলবেন।
নীড়ঃ যা সত্যি তাই বলবো।আচ্ছা তুমি ওইদিন বুঝলে কিভাবে যে নিহা আকাশের বোন
নেশাঃ আসলে ওইদিন আমি কথা মামনির সাথে মিলে নিহা আপুর ঘরে গিয়েছিলাম।আপুর হাতে আকাশের ছবি ছিলো।।আমাদের দেখে ভয়ে লুকাতে গিয়েছিলো।।বাট আমি ঠিকই খেয়াল করে ফেলেছিলাম।
নীড়ঃ আরে বাহ।।আমার গোয়েন্দা গিন্নী ??তাই তুমি ওইদিন বাইরে গিয়েছিলে তাই নাহ।
নেশাঃ হুম।।আমার ডাউট হয়েছিলো।।তাই খবর নিতে গিয়ে জানতে পারি।।আকাশ আর নিহা ভাইবোন।।আর আমার চাচাতো ভাইবোন
নীড়ঃ হোয়াট আ কোয়ানসিডেন্ট তাই নাহ।।নিজের চাচাতো বোন কে কিনা পছন্দ করেছিলো আকাশ।
নেশাঃ হুম
নীড়ঃ আচ্ছা ওইসব বাদ দাও।।রেডি হয়ে নাও।।পার্টি শুরু হয়ে যাবে।।
নেশাঃ হ্যা।
( আসলে নীড় আর নেশার আবার বিয়ে দেয়া হবে।।পারিবারিক ভাবে)
।
।
।
।
( এখন সবার কনফিউশান দুর করে দেই।।আকাশ আর নিহা ভাইবোন এইটা তো সবাই বুঝলে।কিন্তু আকাশের সাথে নেশার আরো একটা সম্পর্ক ছিলো।।তা হলো তারা চাচাতো ভাইবোন।।
নেশার জন্মের আগেই আকাশের বাবাকে তেজ্যপুত্র করে।।কারন সে ড্রাগসের ব্যবসা করতো।।তাই নেশা তাদের চিনতো নাহ।। কিন্তু আকাশ প্রথম থেকেই জানতো।কিন্তু নেশাকে জানায়নি।।কিন্তু আবিরকে জানাতে গিয়ে নেশা আড়াল থেকে শুনে নিয়েছিলো।।তাই আকাশের মরার জন্য নেশা বকে যতোই হোক রক্তের টান বলে কথা।
আর নিহা ফিরে এসেছিলো আকাশের খুনের প্রতিশোধ নিতে।।সে ভেবেছিলো নীড়কে বিয়ে করে তারপর প্রতিশোধ নিবে।।কিন্তু তার আগেই নেশা এসে সব প্লেন নষ্ট করে দেয়।।তাই নেশাকে মারার প্লেন করে।।নেশা নীড়কে সব জানায়।।আর তারপর কি হয়েছে সব তো জানেনই।)
ভালোভাবেই বিয়েটা সম্পুর্ন হলো।
রাতে-
নেশা সেই কখন থেকে বাসর ঘরে বসে আছে।।বাট নীড়ের আসার খবরই নেই।।ঘরের চারদিকে সুন্দর করে সাজানো হয়েছে।
হঠাৎ দরজা খুলার আওয়াজ হলো।
নেশা ঘোমটাটা আরো টেনে মুখ ঢেকে রাখলো।।
নীড়ের কোন আওয়াজ নাহ পেয়ে উকি মেরে তাকালো।।নীড় চুপচাপ দাড়িয়ে আছে তার দিকে তাকিয়ে।।
নেশাঃ কি হলো ঘোমটা খুলবেন নাহ?
নীড়ঃ দুর রাখো তোমার ঘোমটা।।আগে বলো বিড়ালটা কোথায়।।আজ তো বিড়াল মারবো??
নেশাঃ মানে?
নীড়ঃ ওমা তুমি জানো নাহ।।আমি তো ওইসময় শুনলাম।হিয়া ভাবি তোমায় বলছিলো বিড়াল মারার কথা?
নেশাঃ আরে ভাবি তো……( নেশা বলতে গিয়েও থেমে গেল)
নীড়ঃ কি ভাবি?
নেশা বুঝতে পারলো নীড় মজা করছে।
নেশাঃ বলেছে যে আপনাকে বাইরে গিয়ে একটা বিড়াল নিয়ে আসতে আজ রাতে?
নীড়ঃ ইসস বললেই হলো।।আজ আমি বাইরে কেন যাবো।।আর ভাবি এই কথা বলেছে বুঝি ভাবি তো বলেছে তোমায় আদর করে বিড়াল মারতে
নেশাঃ নীড় প্লিজ।।বাজে কথা বলবেন নাহ।
নীড়ঃ এগুলো বুঝি বাজে কথা হয়ে গেল।আজ তো প্রেকটিকেলি বাজে কাজ গুলো করবো?
নেশাঃ ??
নীড়ঃ যাও ফ্রেশ হয়ে আসো।।নামাজ পরবো একসাথে।
নেশা গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসলো।।তারপর দুইজন মিলে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করলো।
নেশা গিয়ে গয়না গুলো খুলতে লাগলো।।নীড় গিয়ে হেল্প করলো।।গহনা খুলার ছলে বার বার নেশার ঘাড়ে গলায় হাত বুলাতে লাগলো।।প্রতিবারই নেশা কেপে উঠলো।।
নীড় নেশার হাতে একটা আংটি পড়িয়ে দিলো
নীড়ঃ সব সময় নিজের হাতে যাতে এইটা দেখতে পাই ওকে।
নেশাঃ হুম।
নীড়ঃ নেশা
নেশাঃ জি!
নীড়ঃ মে আই
নেশা কিছু বললো নাহ।।নীড়ের বুকে মুখ লুকালো।।নীড় তার জবাব পেয়ে গেছে।।নেশাকে কোলে তুলে খাটের দিকে এগিয়ে গেল।।নেশাকে খাটে শুইয়ে তার উপর নিজের ভর ছেড়ে দিলো।।
নেশার গলায় নিজের মুখ ডুবালো।নীড় এক হাত দিয়ে রুমের লাইট টা নিভিয়ে দিলো।।
।
তারপর আর আপনাদের জিলাপি আপু কিছু দেখতে পায়নি।।আসলে খুব অন্ধকার ছিলো তো?।।থাক আর দেখা লাগবো নাহ।।ওদেরকে ওদের মতো রোমান্স করতে দিন।।আমরা বরং যাই।।
।
।
।
সমাপ্ত ?