হয়তো_ভালোবাসি Part_19

0
1712

হয়তো_ভালোবাসি
Part_19
#Writer_Eshetaq_Nora

নীড় গিয়ে ডাক্তার নিয়ে আসলো।

ডাক্তার চেপ আপ করে বললো-

ডাক্তারঃ উনি প্রচন্ড পরিমানে মেন্টাল ট্রেস এ আছে।।ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করেনি অনেক দিন যাবত হয়তো।।বিপি অনেক লো।পরের বার থেকে খেয়াল রাখবেন।

নীড়ঃ ওকে ডাক্তার।

ডাক্তারঃ টেনশনের কোন ব্যাপার নেই।।একটু পরেই জ্ঞান ফিরে আসবে।।বাট একটা কথা।

নীড়ঃ জি বলুন।

ডাক্তারঃ আসলে ওনার শরীরে অনেক দাগ দেখলাম।।উনাকে কি ফিজিক্যালি টর্চার করা হয়?

নীড়ঃ নাহ ওইরকম কিছু নাহ।।আসলে কাল রাগে ওইরকম হয়ে গেছে??

ডাক্তারঃ আপনার এইসব ব্যাপারে খেয়াল রাখা উচিত ছিল।উনি মেন্টেলি অনেক দুর্বল। তারউপর এই ঘটনার কারনে আরো অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।।পরেরবার থেকে রাগটা কন্ট্রোল করার চেষ্টা করবেন।

নীড়ঃ জি ডাক্তার

ডাক্তারঃ ওকে এখন আমি আসি।

নীড়ঃ চলুন আপনাকে এগিয়ে দিয়ে আসি।

নীড় ডাক্তারের সাথে চলে গেল।

এইদিকে নেশার জ্ঞান ফিরে গেল।জ্ঞান ফিরতেই গলায় খুব ব্যাথা অনুভব করলো।ভালো করে তাকিয়েই খেয়াল করলো সেই লোকটি তার সামনে।

নেশার গলায় শক্ত করে খামচি দিয়ে মাথাটা বালিশ থেকে উঠিয়ে নিজের মুখের সামনে আনলো।

লোকটিঃ বলেছিলাম নাহ নীড়ের থেকে দুরে থাকতে।

নেশাঃ আআমি ইইচ্ছা ককরে ওওর ককাছে যাইনি।।( কাপা গলায়)

লোকটি কিছু নাহ বলে নেশার গলায় কামড়াতে লাগলো।ঠিক যেখানে যেখানে নীড় কামড় দিয়েছিলো সেখানে।।লোকটি যেন চাইছে নীড়ের ছোয়া গুলো মুছে ফেলতে।।পারলে হয়তো নেশার চামড়াটাই তুলে ফেলে।।

এইদিকে নেশার অবস্থা এমনিই খারাপ ছিলো।।শরীরটাও দুর্বল। তারপর এই লোকও আবার একই কাজ করছে।।নেশার ব্যাথায় কুকড়ে উঠছে।।কিন্তু লোকটি কে সরিয়ে দেয়ার মতো শক্তি সে পাচ্ছে নাহ।।

লোকটিঃ তোর শরীরে অন্য কারো গন্ধ কেন থাকবে।।আজ আমি তোর শরীরে অন্য কারো গন্ধ কেন পাচ্ছি বল।বল কেন পাচ্ছি।।কেন ও তোর এতো কাছে আসবে।।কেন তুই ওকে মেরে ফেললি নাহ বল।।তুই শুধু আমার। তোর প্রতিটা লোমকুপও আমার।তোর মাঝে শুধু আমার বিচরণ হবে। অন্য কেউ সেখানে বিচরণ করলে তাকে আমি মেরে ফেলবো।।নীড় ও মরবে।।তোর কাছে আসার শাস্তি ওকে পেতে হবে।।

( নেশাকে কথাগুলো ঝাকাতে ঝাকাতে বললো।নেশার প্রচন্ড খারাপ লাগছে।ব্যাথায় মরে যাচ্ছে ও।।তবুও অনেক কষ্ট কথা বললো)

নেশাঃ পপ্লিজ। আমায় কিছু দিন টাইম দিন।।আমি আপনার কাছে চলে যাবো।।নীড়ের কিছু করবেন নাহ দয়া করে।।

লোকটিঃ এতো ভালোবাসা।।এতো ভালোবাসা আসে কোথা থেকে।।তো…….

আর কিছু বলতে যাবে কারো আসার পায়ের শব্দ শুনতে পায়।।তাই নেশাকে ছেড়ে জানলা দিয়ে পালিয়ে যায়।।

নীড় ঘরে ঢুকেই দেখে নেশার জ্ঞান ফিরেছে।।নেশার কাছে ছুটে যায়।।নেশার পাশে বসেই একটা অন্যরকম ঘ্রাণ পায় নীড়।।গন্ধটা ওর অচেনা।

নীড়ঃ কেউ কি এসেছিলো এখানে?

বলতে বলতে নেশার দিকে চোখ যায়।।নেশা চোখ বন্ধ করে আছে।।কিন্তু চোখ দিয়ে পানি ঠিকই পড়ছে।।

কিছু বলতে যাবে তার আগেই নীড়ের নজর যায় নেশার গলার দিকে।। সকালে তো এতটা ক্ষত ছিলো নাহ।।এখন আরো বেশি মনে হচ্ছে রক্ত বের হয়ে পুরো গলা লাল হয়ে গেছে।নীড়ের বুকটা কেপে উঠলো।।

তারাতারি ড্রেসিং করে দিলো।।কিন্তু এখন এমনটা কেন হলো নীড় কিছুই বুঝতে পারলো নাহ।কারন লোকটা কামড় গুলো নীড়ের কামড়ের উপরেই দিয়েছে।।যার কারনে বুঝারও উপায় নেই।।নীড় ভাবলো তার কামড়েই হয়তো এমন হয়েছে।

নীড়ঃ নেশা খুব জ্বালা করছে তাই নাহ??

নেশা কিছুই বলছে নাহ।।একমুহূর্তে কথা বলার অবস্থায় নেই সে।।মাথায় অসহ্য ব্যথা করছে।।সব অন্ধকার লাগছে তার।
লোকটা যখন বলেছে নীড়ের ক্ষতি করবে তখন নীড়ের কোন ক্ষতি অবশ্যই করবে।।কি করবে এখন নেশা।নীড়ও তাকে ছাড়বে নাহ। যদি নীড়কে সব খুলে বলে তাহলে আরো আগে যেতে দিবে নাহ।।নেশা কথাগুলো ভেবেই পাগল হয়ে যাচ্ছে।নীড়ের যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে তার কি হবে।।নীড়ের পরিবারকেই বা কি জবাব দেবে সে।ওর মাথায় কিছুই আসছে নাহ।।

নীড়ঃ নেশা প্লিজ কথা বলো জান।।।তোমার এখন কেমন লাগছে।। কিছু তো বলো [ নেশার মাথায় হাত বুলিয়ে ]

নেশাঃ আয়ামমার ভভালো ললাগগছে বনাহ নননীড়[ অসুস্থ গলায়]

নীড়ের বুকটা কেপে উঠলো।। নেশার এই ফেস নীড়ের সহ্য হচ্ছে নাহ।

নীড়ঃ ডাক্তার ওষুধ দিয়ে গেছে নাস্তা করে খেয়ে নাও।।আমি খাবার নিয়ে আসছি।তারপর ওষুধ খেয়ে নিও।।

নীড় খাবার নিতে চলে গেল।।।এইদিকে নেশা কোন রকমে ধীর পায়ে ওয়াশরুমের দিকে পা বাড়ালো।।বেসিনে মাথা দিয়ে কতোক্ষন মাথায় পানি ঢাললো।।মাথাটা এখন একটু কম ব্যাথা করছে।।হঠাৎ নেশার চোখ গেল ওয়াশরুমে রাখা ফিনাইল এর দিকে।

নীড় একটুপর খাবার নিয়ে এলো।একটু লেট হয়ে গেছে।।নিচে রহিম চাচার সাথে একটু কথা বলছিলো।। রহিম চাচার মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে।।অনেকদিন ধরেই বিয়ের জন্য পাত্র খুজছিলো। রহিম চাচা অনেক খুশি। নীড়ের মনটা ও ভালো হয়ে গেল।

ভাবলো নেশাকে গিয়ে খবরটা দিলে হয়তো তার ও একটু ভালো লাগবে।।

কিন্তু নীড় যখন রুমের দিকে পা বাড়ালো খাটের দিকে তাকালো।আর যা দেখলো তা দেখে নীড় কি রিয়েকশন দিবে তা সে ভুলে গেছে।।মনে হচ্ছে স্বপ্ন দেখছে।। কিন্তু এইরকম ভয়ংকর স্বপ্নও যে নীড় দেখতে পাবে নীড় হয়তো ভাবে ও নি।

নীড় বাস্তবে ফিরে আসলো নেশার নিশ্বাসের আওয়াজে। নীড় দৌড়ে নেশাকে গিয়ে ধরলো।।নেশার নাক মুখ দিয়ে অনর্গল রক্ত পড়ছে।।নীড়ের শার্ট খামছে ধরে জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে।। যেন প্রাণভোমরা টা উড়ে যাবে এখনই।

নীড়ঃ নেশা ততোমার ককিছু হহবে নাহহহ।।ননেশা এই নেশা।

নেশাঃ বভাললোববাসি ননীড়।।খুবব ভভাললোবাসসি।

বলেই নেশা জোরে জোরে শ্বাস নিতে শুরু করলো।

নীড়ঃ আমি ও ভালোবাসি নেশা।।তুমি একদম চিন্তা করো নাহ।। সব ঠিক হয়ে যাবে।

বলেই নীড় নেশাকে কোলে তুলে নিলো। দ্রুত ড্রাইভ করে হসপিটালে নিয়ে গেল।।

নেশাকে ওটিতে ঢুকানো হলো।।নীড়ের পুরো পরিবার এসেছে হসপিটালে।।নীড় পাগলের মতো করছে।।

নীড়ঃ মামনি প্লিজ নেশাকে এনে দাও।।ও কেন এমন করলো মামনি।। ও আমাকে ছেড়ে চলে যাবে নাহ তো

কথাঃ কিছু হবে নাহ নীড়। ডাক্তাররা আছে নাহ।।

নীড়ঃ নাহ মামনি ডাক্তাররা যদি ওর কিছু করে দেয়।।আচ্ছা কেন আমায় ছেড়ে চলে গেল নাহ।।আমি কি খুব পচা।। আমাকে কি একটুও ভালোবাসা যায় নাহ।আমি কি এতোই খারাপ।।না হয় একটু ভুল করে ফেলেছি।।কিন্তু তাই বলে আমায় এতো বড় শাস্তি কেন দিলো মামনি।।

নীড় কাদছে আর কথা গুলো বলছে।।সবাই নীড়ের কান্না দেখে আরো খারাপ লাগছে।

নীড়ের বাবা এসে নীড়ের কাধে হাত রাখলো।

কবিরঃ বাবা কুলডাউন।।নেশা ঠিক হয়ে যাবে।।আর তুমি তো আমার স্ট্রং বয় তাই নাহ।

নীড়ঃ বাবা আমি পারছি নাহ।।।বাবা প্লিজ ওকে আমার কাছে এনে দাও।। আমি যে মরে যাবো বাবা।।প্লিজ ওকে এনে দাও।। আমি আর কিছু চাই নাহ।।।বাবা দাও নাহ আমায় এনে।।।আমি সত্যি আর কিছু চাইবো নাহ কোন দিন।।শুধু নেশাকে আমার কাছে এনে দাও..বাবা আমি যে বাচবো না ওকে ছাড়া ওকে আমার কাছে এনে দাও নাহ।। ও বাবা।।তোমার ছেলেরই এই কথাটা রাখো নাহ।।অনেক কষ্টে আমি তাকে খুজে পেয়েছি।।এইবার ও আমায় রেখে গেলে আমি যে আর সহ্য করতে পারবো নাহ।।ওর সাথে যে আমিও শেষ হয়ে যাবো।।

কবির আর সহ্য করতে পারলো নাহ।।ঠাস করে নীড়ের গালে চড় বসিয়ে দিলো।।কিন্তু নীড় উল্টো কবিরকে জড়িয়ে ধরেই হাউমাউ করে কেদে দিলো।

নীড়ঃ বাবা এনে দাও নাহ নেশাকে।।আমি আর ওকে কষ্ট দিবো নাহ কথা দিচ্ছি।

নীড় বরাবরই খুব হাসিখুশি।। কিন্তু আজ যে সে বাচ্চাদের মতো কাদঁছে তা দেখে সবারই কান্না পাচ্ছে।।নেশা যখন প্রথম তাকে ছেড়েছিলো তখন নীড় নিজেকে শান্ত রাখতে পেরেছিলো।।কিন্তু আজ পারছে নাহ।।ভালোবাসাটা যে আগের থেকে অনেক বেড়ে গেছে নেশার প্রতি তার।।

হঠাৎ ওটি থেকে একজন নার্স বের হলো। সবাই ওর সাথে কথা বলতে চাইলো।।নার্স কথা না বলে চলে গেল।।

একটুপর ফিরে এলো হাতে একটা পেপার নিয়ে।

নার্সঃ এখানে উনার পরিবারের লোক কি আপনারা?

কবিরঃ হ্যা আমরাই।

নার্সঃ এই পেপার টাতে সাইন করে দিন

কবিরঃ কিসের পেপার এইটা?

নার্সঃ এইটা তে লিখা আছে যে পেশেন্টের যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে আমরা কোন ভাবেই দায়ী থাকবো নাহ।

কবিরঃ কিসব বলছেন।।কিছু হবে মানে ডাক্তার কোথায় উনাকে ডাকুন।

ডাক্তারঃ আসলে নেশা শুধু বিষ খায় নি।।পাশাপাশি ব্রেন স্ট্রোক ও হয়েছে।।আর ওর পালস রেট খুব কম।ব্রেনে রক্ত জমে গেছে।।অনেক দিন ধরে উনি কোন মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন হয়তো।।তাই আমাদের অপারেশন করে সেই রক্ত গুলো সরাতে হবে।

কবিরঃ তো এর জন্য সাইনের কি দরকার?

ডাক্তারঃ আসলে এইটা খুব বড় একটা অপারেশন। এখানে রোগী কোমায় চলে যেতে পারে আবার সৃতিশক্তি ও হারিয়ে ফেলতে পারে। এমনকি মারাও যেতে পারে।

নীড় রেগে গিয়ে ডাক্তার এর কলার চেপে ধরলো।

নীড়ঃ আমার নেশার কিছু হবে নাহ।।তুই মিথ্যা বলছিস।।নেশার এমন কিছুই হয়নি।।আমার থেকে আলাদা করার জন্য মিথ্যা বলছিস তাই নাহ।

কবিরঃ নীড় বাবা তুই শান্ত হো।।ডাক্তার ভালোর জন্যই বলছে।।ডাক্তার আপনি অপারেশন শুরু করুন আমি সাইন করে দিচ্ছি।

নীড়ঃ নাহ।। আমি নেশাকে একা ছাড়বো নাহ।এরা নেশাকে একা পেলে মেরে ফেলবে।। আমার থেকে নিয়ে যাবে।।আমি ও যাবো ভিতরে।।

বলেই নীড় ওটি তে ডুকে গেল।

ডাক্তারঃ আরে আপনি কি করছেন।।রোগীর সাথে থাকলে রোগীর আরো ক্ষতি হতে পারে।

কবিরঃ প্লিজ নীড় কে ভিতরে থাকতে দিন।।ওর মাথা টা এখন ঠিক নেই।।।ও শুধু দাড়িয়ে থাকবে।।

ডাক্তারঃ আচ্ছা আমরা দেখছি।।

এইদিকে

নীড় রুমে ঢুকেই দেখলো নেশা খাটে শুয়ে আছে।।মুখে অক্সিজেন মাস্ক।। নীড় গিয়ে নেশাকে জড়িয়ে কেদে দিলো।।

নীড়ঃ কোন আমায় এতো বড় শাস্তি দিলে নেশা।।এর থেকে তুমি নিজের হাতে আমায় মেরে ফেলতে।। কিন্তু এইভাবে আমায় ছেড়ে চলে গেলে আমি বাচবো কিভাবে।

ডাক্তার রুমে ঢুকে দেখলো নীড় নেশাকে জড়িয়ে ধরে কি যেন বলছে।।ডাক্তার আর নার্সরা মিলে নীড়কে সরালো।

অপারেশন শুরু হলো।কিন্তু নীড় সবাইকে জালিয়ে খাচ্ছে।।প্রশ্ন করে করে সবার মাথা খারাপ করে দিচ্ছে।।বাধ্য হয়ে নীড়কে ঘুমের ওষুধ দিয়ে একটা কেবিনে রাখা হলো।

১ ঘন্টা পরই নীড়ের ঘুম ভেঙে গেলো। চেয়ে দেখলো এইটা ওটিতে নাহ।।নীড় দৌড়ে ওটির সামনে গেল।।

নীড়ঃ মামনি আমার নেশা কোথায়???

কথাঃ ওর অপারেশন চলছে নীড়।। ও সুস্থ হয়ে যাবে।।।তুমি শান্ত হও।

নীড়ঃ এইটা কি করলে তোমরা মামনি।।আমায় রেখেই নেশার অপারেশন শুরু করে দিলে।।ও হয়তো আমায় ছাড়া ভয় পাচ্ছে।।।আমি ভিতরে যাবো

বলেই নীড় দরজায় ধাক্কা দিতে নিবে ডাক্তার বেরিয়ে এলো রুম থেকে।।

নীড়ঃ ডাক্তার আমার নেশা???

ডাক্তারঃ we are sorry Mr. Nir। উনি মারা গেছে।।।আমাদের অপারেশ সাকসেসফুলি হয়নি।

নীড়ঃ পপাগল ননাকি আপনি।।।আমমায় রেখে আমার ননেশা ককোথাও যযযেততেই পাররে ননাহ। সরুন আপনি।

ডাক্তারকে সরিয়ে রুমের ভিতর ঢুকে পড়লো নীড়।

নেশার মুখে ব্যান্ডেজ করা।।নীড় চুপ করে তাকিয়ে আছে।।এই সময় কি করা উচিত সে তা জানে নাহ।।শুধু নেশার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে।।কথা রুমে ঢুকে নীড়কে জড়িয়ে ধরলো।।

নীড় এখন আর কান্না করছে নাহ।।শুধু নেশার দিকে তাকিয়ে আছে।।

নীড়ঃ মামনি ও মামনি নেশা আমায় ছেড়ে চলে গেল।।কেন চলে গেল।।আমি এতোই খারাপ।।ও মামনি আমার নেশাকে এনে দাও নাহ।।দেখ কেমন চুপ করে আছে।।আমার সাথে কথা বলতে বলো নাহ ওকে।।আমার কলিজাটা যে ছিড়ে যাচ্ছে।।ও মামনি কিছু তো বলো।[ খুব আস্তে আস্তে কথা গুলো বললো নীড়।সে এখন আর শক্তি পাচ্ছে নাহ।।সারা শরীর অবশ হয়ে গেছে মনে হচ্ছে।।ঘুমের ওষুধের রিয়েকশনটাও ভালো করে কাটেনি এখনো।]

কথাঃ বাবাই তুমি শক্ত হও। কিছু হবে নাহ।। সব ঠিক হয়ে যাবে।

নীড়ঃ কিভাবে ঠিক হবে মামনি নেশা যে চলে গেল
।আমায় রেখে।।আম…..

নীড় আর কিছু বলতে পারলো নাহ অজ্ঞান হয়ে কথার উপর ঢলে পড়লো।

চলবে

( এতোদিন ধরে গল্প পড়ছেন তো আশা করি এখনো পাশে থাকবেন।।।মৃত্যুই সব সময় শেষ হতে পারে নাহ।।কোন নতুন কিছুর সুচনাও হতে পারে।।নেশা মরে গেছে হয়তক নতুন কিছুর সুচনা হবে তাই মারা গেছে।সো আমাকে বকাঝকা কইরেন নাহ?।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে