হয়তো_ভালোবাসি
Part_17
#Writer_Eshetaq_Nora
নীড়ঃ নেশা এইসব কি বলছো।। কিছু কি হয়েছে।।আমায় বলো।।আমার থেকে কিছু লুকিও নাহ।।
নেশাঃ কি হবে আজব তো।।আমি আপনাকে বিয়ে করতে পারবো নাহ।।।এইটাই ফাইনাল।
বলেই হনহন করে ছাদ থেকে নেমে রুমে চলে এলো।
নীড় এখনো ছাদেই বসে আছে।।
নীড়ঃ কি বলে গেল এগুলো নেশা। আমি জানি তুমি কোন প্রবলেম এ আছো। কিন্তু আমায় বলছো নাহ।।আমি জেনেই ছাড়বো কি হয়েছে তোমার।।এতো বছর পর তোমায় পেয়েছি নিজের কাছে আর হারাতে দিবো নাহ
।
।
সকালে
সবাই ড্রয়িংরুমে বসে চা খাচ্ছে।।এইসময়ই নেশা আসে হাতে লাগেজ নিয়ে।
নেশাঃ আন্টি আঙ্কেল আমি চলে যাচ্ছি।
কথাঃ কি বলছো এইসব নেশা।হঠাৎ কেন??
নেশাঃ আন্টি আমি এখানে থাকতে পারবো নাহ।।প্লিজ আমায় যেতে দিন।
কবিরঃ তোমাকে কি কেউ কিছু বলেছে নেশা?
নেশাঃ নাহ আঙ্কেল কেউ কিছু বলেনি।কিন্তু আমি এখানে এতোদিন থাকতে পারবো নাহ।।
কথাঃ কিন্তু নেশা..
নেশাঃ প্লিজ আন্টি আপনি বোঝার চেষ্টা করুন।।আমি এই বাড়ির কেউ নই।।তো শুধু শুধু আমার এই বাড়িতে থাকা মানায় নাহ।।
নীড়ঃ তুমি এই বাড়ির হবু বউ তা তুমি কি ভুলে গেছো
( সিড়ি দিয়ে নামতে নামতে)
নেশাঃ কিসের হবু বউ। আমি কারো হবু বউ নাহ।আমি এই বিয়ে করবো নাহ( দাতে দাত চেপে)
নীড়ঃ তোমাকে তো এই বিয়ে করতেই হবে জান।যদি তোমার মত থাকে তাহলে ভালো।আর যদি মত না ও থাকে আমার কিছু করার নেই?
নেশাঃ ??
নীড়ঃ এখন লক্ষী মেয়ের মতো রুমে যাও।
নেশাঃ আমি এই বাড়িতে থাকবো নাহ।
নীড়ঃ তোমাকে এই বাড়িতেই থাকতে হবে জান।
নেশাঃ এটা কি মামার বাড়ির আবদার পেয়েছেন
নীড়ঃ ওমা মামার বাড়ির আবদার হবে কেন।এটা জামাই বাড়ির আবদার ?
নেশা কিছু নাহ বলে বেড়িয়ে যেতে নিলো।নীড় এসে নেশা কে কোলে তুলে নেশার রুমে নিয়ে গেল।।নেশা নামার জন্য নড়াচড়া করছে।
নীড়ঃ এই মেয়ে একদম সাপের মতো মোচড়ামুচড়ি করবা নাহ।আছাড় মেরে ফেলে দিবো বলে দিলাম।
নেশাঃ ফেলে দিতেই তো বলছি।।
নীড়ঃ ইসস সখ কতো।। আমার ১০ টা নাহ২০ টা নাহ একটা মাত্র বউ তাকে নাকি আমি কোল থেকে ফেলে দিবো।
নীড় গিয়ে নেশাকে রুমে ঢুকিয়ে দরজা লাগিয়ে চলে গেল।
নেশাঃ নীড় আপনি এমনটা করতে পারেন নাহ।।আমি এখানে থাকবো নাহ।নীড় দরজা খুলুন।নীড়( দরজা তে ধাক্কা দিতে দিতে কথা গুলো বললো।কিন্তু নীড় তো চলে গেছে)
।
।
বিকালে
নেশা পুলিশকে ফোন দিয়ে জানালো।তারা নীড়দের বাড়ি আসলো।
কবিরঃ পুলিশ অফিসার আপনি এখানে!
পুলিশঃ মি. কবির আহমেদ। এইবাড়ি থেকে নেশা নামের একটা মেয়ে বলেছে যে তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে এই বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছে।আমরা সেই জন্য তাকে বাঁচাতে এসেছি।
নীড়ঃ নেশা এই কাজ করেছে!!
পুলিশঃ জি উনি কোথায়।উনাকে নিয়ে আসুন।উনার মুখ থেকেই সব শুনে নিবেন।
নীড় গিয়ে নেশাকে নিয়ে আসলো।
নীড়ঃ তুমি উনাদের বলেছো যে আমরা তোমায় আটকে রেখেছি?
নেশাঃ হ্যাঁ বলেছি।।আটকেই তো রেখেছেন।একজন অপরিচিত মেয়েকে নিজেদের বাড়িতে আটকে রেখেছেন।
নীড়ঃ নেশা আমি যা করতে চাই নাহ তা আমাকে করতে বাধ্য করো নাহ।?
নেশাঃ দেখলেন অফিসার। উনি কিভাবে কথা বলছে।
পুলিশঃ আপনি আমাদের সামনে উনার সাথে এভাবে কথা বলতে পারেন নাহ।
নীড়ঃ যাস্ট শাট আপ। ও আমার হবু ওয়াইফ। ওর সাথে আমি কিভাবে কথা বলবো তা কি আপনি বলবেন??
নেশাঃ কিসের হবু ওয়াইফ। আমি এই বিয়ে করবো নাহ।
পুলিশঃ এইভাবে আপনারা একজন অপরিচিত মেয়েকে আটকে রাখতে পারেন নাহ।।এটা অন্যায়।
উনাকে উনার বাড়ি যেতে দিন।
নীড়ের মাথায় এবার রক্ত উঠে গেল। গিয়ে নেশার হাত চেপে ধরলো।
নীড়ঃ চলো আমার সাথে?বাবা হ্যান্ডেল দেম।আমি নেশাকে নিয়ে যাচ্ছি।
নেশাঃ আরে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন।আমি যাবো নাহ কোথায়।অফিসার হেল্প মি।
পুলিশঃ আরে উনাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন।
কবিরঃ আপনি বসুন অফিসার আমি আপনায় সব বুঝিয়ে বলছি।
এইদিকে নীড় নেশাকে টেনে হিচড়ে নিয়ে গাড়িতে বসালো।
নেশা বের হওয়ার জন্য চেষ্টা করছে।কিন্তু গাড়ি লক করা।
নেশাঃ কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন আমায়।আমি আপনার সাথে কোথাও যাবো নাহ।
নীড় কিছুই বললো নাহ সোজা ড্রাইভ করছে।।গাড়ি একদম নিয়ে কাজি অফিসের সামনে থামালো।নেশা জানলা দিয়ে দেখেই বুঝে গেল এখন কি হতে চলেছে।
নেশাঃ নীড় প্লিজ দেখুন এইসব ঠিক হচ্ছে নাহ।।আপনি আমার সাথে এমন করতে পারেন নাহ।
নীড় কোন কথাই না শুনে নেশাকে টানতে টানতে কাজি অফিসের ভিতরে নিয়ে গেল।
নীড়ঃ স্যার। বিয়ের কাগজ পত্র রেডি?
কাজিঃ আপনি?
নীড়ঃ আমি নীড় আহমেদ। রাতে যে ফোন করেছিলাম।
কাজিঃ ওহহ হ্যাঁ। এই নিন পেপার। সাইন করে দিন।
নীড় ফটফট করে সাইন করে নেশার দিকে পেপার টা ধরলো।
নীড়ঃ আমি জানতাম তুমি এমন একটা কিছু করবে।তাই আগে থেকেই সব প্লেন করে নিয়েছে।।এখন সাইন করো।
নেশাঃ আমি কিছুতেই সাইন করবো নাহ।।মরে গেলেও নাহ।
নীড়ঃ আমি বলছি নেশা সাইন করো।। প্লিজ জেদ করো নাহ।
নেশাঃ আমি করবো নাহ।
নীড়ঃ জানতাম তুমি ভালো কথা শুনার মানুষ নাহ।
নীড় পিছন থেকে একটা গান বের করলো।
নেশাঃ এইসব কি।।আপনি আমায় মেরে ফেললেও সাইন করবো নাহ।
নীড়ঃ তোমায় কে মারবে বললো।তুমি সাইন না করলে আমি নিজেকে শেষ করে দিবো।
বলেই নীড় নিজের মাথায় গান ঠেকালো।
নেশাঃ ককি পপাগলামো ককরছেনন নীড়ড়।।গগানন নামমানন।
নীড় একটা ফাঁকা গুলি করলো।
নেশা ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেললো।তারপর আবার চোখ পিটপিট করে তাকালো।দেখলো নীড় হাসি দিয়ে তাকিয়ে আছে।
নীড়ঃ পরেরবার আর মিস হবে নাহ।।তুমি কি সাইন করবে নাকি আমি..
নেশাঃ ননাহহহহ।। আমমি সসাইনন করে দদিছি।
নেশা কাপা কাপা হাতে সাইন করে দিলো।
নীড় মুচকি হেসে কাজির সাথে হাত মিলিয়ে নেশার হাত ধরে গাড়িতে উঠলো।। তারপর ড্রাইভিং করতে লাগলো।
নীড় তো সেই খুশি।।নেশা এখন পার্মানেন্টলি তার বউ।।কিন্তু নেশা সেই কখন থেকে কেদেই যাচ্ছে।
।
নীড়ঃ আহ নেশা এতো কাদছো কেন।।মনে হচ্ছে জামাই মরে গেছে।
নেশা নীড়ের দিকে অবাক হয়ে তাকালো।
নীড়ঃ আরে এইভাবে তাকাছো কেন। আমাকে কি খুব সুন্দর লাগছে নাকি।।
নেশাঃ ?????
নীড়ঃ উফফ আবার কাদে।।আরে কাদার কি আছে এইভাবে বিয়ে হয়েছে তো ভালোই হয়েছে।।যদি বড় অনুষ্ঠান করে বিয়ে হতো তাহলে কতোদিন অপেক্ষা করতে হতো।। এখন আর অপেক্ষা করতে হবে নাহ।।যখন ইচ্ছা আদর করতে পারবো?
নেশাঃ ???
নীড় বকবক করতে করতে গাড়ি নিয়ে বাড়িতে ঢুকলো।
নেশাঃ এইটা কোথায়। এইটা তো আপনার বাড়ি নাহ।
নীড়ঃ এইটা আমাদেরই বাড়ি।।কিন্তু আরেকটা। এখানে মাঝে মাঝে সবাই আসি।
নেশাঃ ওহহ।তো এখানে কেন আনলেন
নীড়ঃ হানিমুন করতে?
নেশাঃ কিহহহ?????
নীড়ঃ ওমা বিয়ে করেছি তো হানিমুন করবো নাহ??
নেশাঃ আমি বাড়ি যাবো।
নীড়ঃ যাবো তো।।এখন এই বাড়িতে।
নীড় নেশাকে কোলে নিয়ে বাড়িতে ঢুকে গেল।নেশা নামার জন্য ছুটাছুটি করেও কোন লাভ হলো নাহ।
নীড় নেশাকে নিয়ে সোজা রুমে চলে গেল।
নেশা খেয়াল করলো রুমটা নীড়ের রুমের মতোই। কিন্তু এখানে ফার্নিচার অনেক কম।
নীড়ঃ আচ্ছা তোমার তো কোন জামা কাপড় আনা হলো নাহ।আমি গিয়ে নিয়ে আসি।।বেশিখন সময় লাগবে নাহ।।আর যদি কিছুর দরকার হয় তাহলে রহিম চাচাকে বলো।উনি নিচে আছে।।এই বাড়ির কেয়ারটেকার
নীড় চলে যেতে নিলে আবার কিছু একটা ভেবে ফিরে আসে।
নীড়ঃ ভুলেও পালানোর কথা ভেব নাহ।আমি সব লক করে যাচ্ছি।।পাসওয়ার্ড ছাড়া খুলবে নাহ।।সো চেষ্টা করে লাভ হবে নাহ।
নেশাঃ এইজন্যই আপনি আমাকে এখানে নিয়ে এসেছেন তাই নাহ।।যাতে পালাতে নাহ পারি।
নীড় উত্তরে শুধু একটা হাসি দিয়ে চলে গেল।।
নেশা ধপ করে খাটে বসে পড়লো।সে কি ভেবেছিলো।আর কি হয়ে গেল।
নেশাঃ কি করবো এখন আমি।।নাহ মাথা কাজ করছে নাহ।।আগে একটু ফ্রেশ হয়ে নেই।
নেশা ফ্রেশ হতে চলে গেল।।তারপর রুমে এসে টাওয়াল খুজতে লাগলো।নীড়ের কাবার্ড খুলে পেয়ে গেল।হাতে নিয়ে যেই নাহ মুখ মুছতে গেল পিছন থেকে কেউ একজন নেশার কোমড় চেপে নিজের সাথে মিলিয়ে নিলো।। নেশার পিঠ লোকটা তার বুকের সাথে লাগিয়ে নিলো।
লোকটিঃ কেমন আছো নেশা।
কানের কাছে খুব স্লো ভয়েসে বললো কথাটা।।নেশার হাত থেকে টাওয়াল টা পরে গেল। সারা মুখে ভয়ের ছাপ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
সেই কন্ঠ যা নেশা ১ বছর আগে এতো কাছ থেকে শুনেছিলো।কি করে ভুলবে এই কন্ঠটা।।তারপর উপর লোকটার শরীরে সেই চিরোচেনা গন্ধ।নেশার চোখ মুখ ভয়ে লাল হয়ে গেছে।সারা শরীর অবশ হয়ে গেছে।
নেশার কোন উত্তর নাহ পেয়ে লোকটি নেশার কাধের চুল গুলোতে নিজের মুখ ডুবালো। ঘ্রাণ নিতে থাকলো নেশার চুলের।
লোকটিঃ আজ ১ বছর পর তোমার এই ঘ্রাণ পেলাম।।কি আছে তোমার মাঝে বলো নাহ।।কোথায় কারো কাছে এই সুবাস আমি পাইনি।।শুধু তোমার কাছে পেয়েছি।
নেশার কাধের চুল সরিয়ে নেশার কাধে নাক ডুবালো।
নেশার কাধে নাক ঘষলো।
লোকটিঃ পাগল করে দেবে তোমার এই ঘ্রাণ। কতো চেষ্টা করলাম তোমার এই ঘ্রাণ কে ভুলার।ভুলতেই পারলাম নাহ। যার কাছেই যাই নাহ কেন শুধু তোমার কথা মনে হয়েছে।তোমায় যে আবার ফিরে পাবো তা ভাবতে ও পারিনি।
বলেই নেশার কাধের কালো জিনিসটায় কিস করলো.
নেশা চোখমুখ খিচে রাখলো।লোকটাকে পারছে নাহ সরিয়ে দিতে।।হাত পা যেন ঠান্ডা হয়ে জমে গেছে ভয়ে।
লোকটি এবার নেশাকে নিজের দিকে ঘুরালো।নেশা ভয়ে চোখ বন্ধ করে রেখেছে।।আর যাই হোক এই লোকের চোখের দিকে তাকানো তার পক্ষে সম্ভব নাহ।
লোকটি নেশার গলায় লেপ্টে থাকা চুলগুলোকে হাত দিতে সরিয়ে গলায় নিজের নাক ঠেকালো।কিছুক্ষণ জোরে জোরে নিশ্বাস নিলো।নাহ সে নেশার গলায় কিস করছে নাহ।শুধু ঘ্রাণ নিচ্ছে।।নেশার ঘ্রাণ যে তার কাছে যে কোন কিছুর থেকে অনেক বেশি দামী।
লোকটিঃ উফফ নেশা।।তোমার এই পাগল করা ঘ্রাণ আমায় ঠিক থাকতে দিচ্ছে নাহ।।কি করি বলতো।ইচ্ছে করছে তোমার এই ঘ্রাণে নিজেকে শেষ করে দিতে।। তোমার এই রুপের মাঝে হারিয়ে যেতে।তবে আর বেশি দিন নাহ।।এইবার আর আমাদের মাঝে কোন বাধা নেই।।তোমাকে এইবার আমি নিজের করে নিবো।।আমার রাজ্যের রানী করে।
কথাগুলো নেশার কোমড় হাত রেখেই বলছে লোকটা।।তার উপর নাক আর ঠোঁট গুলো নেশার গলায় লেগে আছে।কথা বলার সময় লোকটার কাপা ঠোটের পরশ গুলো নেশার গলায় লাগছে।।যা নেশার মাঝে অস্থীরতা বাড়িয়ে দিচ্ছে।।লোকটার গরম নিশ্বাস নেশার শরীরে কাপুনি জাগাচ্ছে।।ও যে আর পারছে নাহ।।আরেকটু হলেই হয়তো জ্ঞান হারাবে।
লোকটিঃ কি হলো চুপ করে আছো কেন।নিরবতা সম্মতির লক্ষন।তা কি তুমি জানো।
এখনো লোকটা নেশার গলায় মুখ দিয়ে রেখেছে।
লোকটিঃ মাই কুইন। মাই এডিকশন।নেশা নামটা তোমার জন্য পার্ফেক্ট। তুমি সত্যিই একটা ভয়ংকর নেশা।যা থেকে বের হওয়া অসম্ভব।
লোকটা কথাগুলো খুব ধীরে ধীরে আর ঠান্ডা ভাবে বলছিল।।যার ফলে নেশার ভয়টা ক্রমশ বেড়ে যেতে থাকে।তবুও সাহস জুগিয়ে বলার চেষ্টা করে।
নেশাঃ দদেকখুন যযা হয়েছছে তা হয়ে গগেছে।।আয়ামি এখনন নীড়ড়ের ওওয়াইইফফ।আপননিও ককাউকে ববিয়ে ককরে নিনন
কথাটা বলতে নাহ বলতে লোকটা নিজের কোমড় থেকে ছুড়ি টা বের করে নেশাকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে তার চোখ বরাবরা ছুড়ি টা রাখলো।
নেশা ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেললো।ছুড়িটা তার চোখের এতোটাই কাছে যে চোখ বন্ধ করার সময় চোখের পাপড়ির সাথে ছুড়ির আগাটা লেগে যায়।
লোকটিঃ তুমি কিভাবে এগুলা বললে জান।।আমি তোমায় ভালোবাসি নাহ যে তোমায় অন্যকারো সাথে সুখে থাকতে দিয়ে দিবো।।তুমি আমার নেশা।।আমার আসক্তি।। তোমাকে আমার চাই।অন্যকাউকে তার ভাগ কিভাবে দিবো বলো।আর যে ভাগ নিতে আসবে তাকে আমি….
নেশাঃ প্লিজ ননীড়েরর ককিছু করবেনন ননাহ।।আমাকে ককিছুদিন সময় দিনন আমি সসব ঠিক ককরে দিবো??
লোকটিঃ এইতো আমার রানীর মতো কথা।।দিলাম তোমায় সময়।যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব আমার কাছে চলে আসো।
বলেই লোকটা চলে গেল।।নেশা চোখ খুলে লোকটাকে পেল নাহ।।দেয়াল ঘেষে নিচে বসে পড়লো।।
চলবে?
( ধাক্কাধাক্কি করবেন নাহ।দেশের অবস্থা বেশি ভালো নাহ।।আর মাস্ক ছাড়া একদম আমার গল্প পড়া যাবে নাহ???।করোনার কারনে নীড় আর নেশার বিয়েতে কাউকে দাওয়াত দিতে পারলাম নাহ।।?কেউ রাগ করবেন নাহ কিন্তু?)