হয়তো_ভালোবাসি Part_15

0
1926

হয়তো_ভালোবাসি
Part_15
#Writer_Eshetaq_Nora

সকাল ৮ টায়
সবাই ডাইনিং টেবিলে বসে আছে।মুলত নেশার জন্য অপেক্ষা করছে।

রিয়াঃ ওইতো নেশা এসেছে।

নেশাঃ সরি একটু লেট হয়ে গেল।[চেয়ারে বসতে বসতে]

কথাঃ ইটস ওকে ওতো লেট হয়নি।

সবাই খাচ্ছে নীড়ের হাত যেহেতু কেটে গেছে কথা তাকে খাইয়ে দিচ্ছে।।হঠাৎ নেশার চোখ গেল সেদিকে।।দেখেই নেশার মনটা খারাপ হয়ে গেল।তার মামনিও তো তাকে এইভাবে খাইয়ে দিতো।ভাবতেই চোখের পানি টলমল করছে।।আরেকটু হলেই পরে যাবে।

নীড় খেয়াল করলো নেশা খাচ্ছে নাহ।।কিছু বলতে যাবে খেয়াল করলো নেশার মুড অফ।।ব্যাপারটা বুঝার চেষ্টা করলো।বুঝতে পেরে কথাকে ইশারা করলো।কথা বুঝতে পেরে নেশার পাশে গিয়ে দাড়ালো।

কথাঃ দেখি হা করতো?

নেশাঃ চমকে উঠে – হ্যাঁ!!!

কথাঃ বলেছি হা কর।আমি খাইয়ে দিচ্ছি।

নেশাঃ নাহ আমি খাচ্ছি তো।

কথাঃ হা করতে বললাম তো।। রাগি চোখে

নেশা হা করলো।।কথা খাইয়ে দিলো।।নেশা আর নিজেকে কনট্রোল করতে পারলো নাহ।।কথাকে জড়িয়ে কেদে দিলো।

কথাঃ আরে পাগলি মেয়ে কাদছিস কেন।

নেশাঃ মামনির কথা খুব মনে পড়ছে আন্টি।।মামনিও আমাকে নিজের হাতে খাইয়ে দিতো??

কথাঃ ওহহ আচ্ছা তো আমি বুঝি মামনি নাহ।

নেশা অবাক হয়ে কথার দিকে তাকালো।

কথাঃ কি হলো কি দেখছিস এইভাবে?

নেশাঃ কিছু নাহ।

কথাঃ দেখ নেশা।কয়দিন পর নীড়ের সাথে তোর বিয়ে হবে।।তখন তো পার্মানেন্টলি তুই এই বাড়ির মেয়ে হয়ে যাবি।।আর আমি কিন্তু টিপিকাল শ্বাশুড়িদের মতো হতে পারবো নাহ।। ভুল করলে নীড়ের মতো তোকে ও মারবো বলে দিলাম।তখন আবার নিজের বরের কাছে গিয়ে ভে ভে করে কাদিস নাহ কিন্তু।

নেশা হেসে দিলো

রিয়াঃ হিয়া ভাবি তোমাকে আর আমাকে তো ভুলেই গেল। চলো আমরা বরং বাড়িতেই চলে যাই।এখানে কেউ কি আর আমাদের খাইয়ে দেবে??

কথাঃ মাইর খাবি পাজি।

কথা ৩ জনকেই খাইয়ে দিলো।

আয়ানঃ রায়হান দেখছিস।।বউ এনে এখন আমাদেরই কোন কদর নেই।।এতো কষ্ট করে বিয়ে করে নিয়ে আসলাম কই আমাদের একটু যত্ন করবে তা নাহ।।লাস্ট কবে খাইয়ে দিয়েছিলো ভুলেই গেছি।

রায়হানঃ ঠিক বলেছিস ভাইয়া।

কথাঃ তোরা ও শুরু করলি?।সব গুলারে মাইর লাগাবো কিন্তু এখন।

নীড়ঃ আয়ান ভাই আমরা বরং চল ওই বাড়িতে চলে যাই।।এউ বাড়িতে আর কে আমাদের আদর করবে।।সব তো ওই ৩ জনই দখল করে নিলো।।সেই কখন থেকে হা করে বসে আছি।।খাবার দেয়ার নামই নেই??

কথাঃ উফফ নীড়??।আচ্ছা সবাইকেই খাইয়ে দিচ্ছি ওকে।

কবিরঃ এহেম এহেম?

কথাঃ তোমার আবার আবার কি হলো?

কবিরঃ বলছিলাম যে তুমি আমার একমাত্র বউ।।তুমি আমায় নাহ খাইয়ে দিলে কে খাইয়ে দিবে?

কথাঃ?বাচ্চা দের সাথে কি তুমিও বাচ্চা হয়ে গেছো।

নীড়ঃ বাবা দেখেছো মামনি আর তোমায় ভালোবাসে নাহ।।তোমার আরেকটা বিয়ে করা দরকার।??

কবিরঃ গুড আইডিয়া নীড়।তোরা তোদের নতুন মামনি দেখা শুরু করে দে।আমি আজই বিয়ে করবো??

নেশা তো হা হয়ে গেছে।

নেশাঃ আঙ্কেল সত্যিই আপনি নতুন করে বিয়ে করবেন??

সবাইঃ ?????

কথাঃনারে মা।।ওরা সবাই দুষ্টুমি করছে।তুই এইসব বাদ দে।

নেশাঃ ওহহ???

নীড়ঃ কিন্তু যাই বলো তুমি আমায় ঠিক মতো ভালো না বাসলে আমি কিন্তু নতুন করে বিয়ে করবো বলে দিলাম??

নীড় যে কথাটা দুষ্টুমি করে করেছে তা নেশা বুঝতে পারলো নাহ।।সে ভাবলো সত্যি সত্যিই করবে।।কারন সবার সামনে নীড় এমন ফাজলামো করবে তা নেশা জানতো নাহ।
নেশা কিছুক্ষণ নীড়ের দিকে তাকিয়ে থেকে চুপচাপ ডাইনিং থেকে উঠে চলে গেল।

কথাঃ দিলি তো মেয়েটাকে রাগিয়ে।।কিছুই তো খেল নাহ।

নীড়ঃ আমি কি জানতাম নাকি ও রাগ করবে ?

কথাঃ তোদের নিয়ে আর পারি নাহ।

কথা নেশার রুমে চলে গেল।

কথাঃ আসবো?

নেশাঃ হ্যা আন্টি আসো।পারমিশন নেয়ার কি আছে।

কথাঃ নীড়ের কথায় রাগ করিস নাহ।।ও এমনই।।সব সময় দুষ্টুমি করে।

নেশাঃ আমি রাগ করিনি আন্টি ?

কথা কিছু বলতে যাবে নীড় রুমে ঢুকে।

নীড়ঃ মামনি তোমায় বাবা ডাকছে।

কথাঃ বল পরে আসবো।

নীড়ঃ আরে ইমার্জেন্সি। তাড়াতাড়ি যাও।

কথাঃ উফফ তুই নাহ।।নেশা তুমি বসো আমি আসছি।

কথা যাওয়ার পর নীড় দরজা লাগিয়ে নেশার পাশে বসলো।

নেশার হাত ধরে,

নীড়ঃ রাগ করেছো?

নেশাঃ নাহ

নীড়ঃ তাহলে আমার দিকে তাকাচ্ছো নাহ কেন

নেশাঃ এমনি ভালো লাগছে নাহ

নীড় নেশার গালে দুই হাত দিয়ে নিজের দিকে ঘুরালো।

নীড়ঃ হেই কাদছো কেন।।আমি তো যাস্ট মজা করছিলাম

নেশাঃ আপনি সত্যিই আমাকে বিয়ে করার পর আবার বিয়ে করবেন??

নীড়ঃ আরে ধুর পাগলি আমি তো মজা করে বলেছি। আমি আর কাউকে বিয়ে করবো নাহ।

নেশাঃ সত্যি তো

নীড়ঃ হ্যা রে বোকা মেয়ে।কিন্তু যদি ঠিক মতো আদর নাহ করো তাহলে কিন্তু বিয়ে করলেও করতে পারি???

নেশা নীড়ের দিকে তাকালো।।ছেলেটার মুখে দুষ্টু হাসি।।নেশা বুঝতে পারলো নীড় নেশাকে রাগানোর জন্য বলছে।

নেশাঃ শয়তান, কুত্তা বান্দর।। আমার সাথে খালি ফাজলামো তাই নাহ।।[ নীড়ের বুকে থাপ্পড় মারতে মারতে]

নীড়ঃ উফফ নেশা খুব লাগছে।।মরে যাবো তো।

নেশা থেকে গেল।সত্যি ও এতো জোরে মারেনি।। কিন্তু নীড় বলছে অনেক ব্যাথা লাগছে।।বোকার মতো তাকিয়ে আছে নীড়ের দিকে।নীড়ের বুকে হাত বুলিয়ে দিয়ে

নেশাঃ সরি আমি এতো জোরে মারতে চাইনি

নীড়ঃ আহহ।।এখন ভালো লাগছে।।এই দিকটাই আরেকটু বুলিয়ে দাওনাহ?

নেশা বুঝতে পারলো নীড় আবার মজা করছে।।নেশা আবার মারতে যাবে নীড় নেশার দুইহাত চেপে ধরলো।।তারপর হাতের মধ্যে কিস করে

নীড়ঃ এই হাত দিয়ে শুধু আদর করবে। ওকে?

নেশা চুপ হয়ে গেল।নীড় উঠে দাড়ালো।

নীড়ঃ শুনো কাল সায়ান আর ইমার আংটি বদল হবে।।রেডি থেকো।

নেশাঃ আমি যাবো??!!

নীড়ঃ তুমি যাবে নাহ কেন।।তোমাকেও ইনভাইট করেছে।

নেশাঃ ওহহ আচ্ছা ঠিকাছে।

নীড় নেশাকে একটা প্যাকেট দিলো।

নীড়ঃ এইটার ভিতরে যা আছে তা পড়ে যাবে ওকে।

নেশাঃ মুচকি হেসে- ওকে।

পরেরদিন –

নীড় রেডি হয়ে নেশাকে ডাকতে এলো।আর রুমে ঢুকেই নেশাকে দেখে হা হয়ে গেল।নীড় নেশাকে একটা কালো সিল্কের শাড়ি দিয়েছিলো।নেশা ওইটাই পড়েছে।।সাথে কানে বড় বড় সিলবার কালারের ঝুমকা।হাতে সিলভার কালারের চুরি।চোখে মোটা করে কাজল আর ঠোটে হালকা লিপস্টিক। একদম সিম্পল সাজ।।কিন্তু তাতেও নেশাকে মায়াবতীই লাগছে।।নীড়ের নবীন বরণের দিনের কথা মনে পড়ে গেল।ওইদিন ও নেশা কালো শাড়িই পড়েছিলো।

নীড় ধীর পায়ে নেশার সামনে এসে দাড়ালো।

নেশাঃ আমায় কেমন লাগছে নীড়?

নীড়ঃ ভয়ংকর ?।একদম ড্রাক চকলেট ইচ্ছে করছে খেয়ে ফেলি?

বলেই নেশার চুলের ভিতর হাত দিয়ে নেশাকে কাছে টেনে নিলো

( এখন আবার কেউ বলবেন নাহ নীড়ের হাতে তো ব্যান্ডেজ। নীড় একটুই কেটে গিয়েছিলো।)

নেশাঃ নাহহহহহহহহ[ চিৎকার দিয়ে উঠলো নেশা]

নীড়ঃ ভ্রু কুচকে নেশার দিকে তাকিয়ে – কি হলো চিল্লাও কেন?

নেশাঃ প্লিজ কিস করবেন নাহ।আমার সাজ নষ্ট হয়ে যাবে।??

নীড়ঃ কিন্তু আমার যে তোমার ছোয়া যাই।।এখনই ?

নেশাঃ নীড় প্লিজ নাহ।।?।।দরকার হলে এই দেয়ালে কয়েকটা কিস করুন আমি ভেবে।।।আমায় ছেড়ে দিন।

নীড় কিছু একটা ভাবলো।।তারপর বাঁকা হাসি দিয়ে নেশার দিকে তাকালো।

নেশাঃ কি হলো হাসছেন কেন।

নীড়ঃ তুমি নিজেকে খুব চালাক ভাবো তাই নাহ।।কিস তো আমি করবোই।।কিন্তু তাতে সাজ ও নষ্ট হবে নাহ ওইভাবেই করবো?

নেশাঃ মানে?

নীড় হাটু গেড়ে নেশার সামনে বসে পড়লো।

নেশাঃ আরে কি করচ….

আর কিছু বলতে পারলো নাহ।কারন নীড় তার পেটের থেকে আচল সরিয়ে সেখানে মুখ ডুবিয়ে দিয়েছে।নেশা যাস্ট শক।।নীড় যে এমন একটা কাজ করবে নেশা ভাবেনি।।নীড় নেশার পেটে লিক করছে।। যার ফলে নেশার প্রচন্ড সুরসুরি লাগছে।।হঠাৎ নীড় নেশার পেটে কামড় দিয়ে দিলো।আর নেশা কেপে উঠে নীড়ের চুলে হাত দিয়ে চেপে ধরলো।।নীড় এখনো থামছে নাহ।।এইদিকে নেশার দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে মনে হচ্ছে।।অনেক কষ্টে কাপাকাপা গলায় বললো-

নেশাঃ ননীড়ড় পপ্লিজজ ছাছাড়ুনন??

নীড়ের হুস আসলো।তাড়াহুড়ো করে দাড়িয়ে গেলো।অন্যদিকে ঘুরে জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে নিজেকে কনট্রোল করার চেষ্টা করলো।নেশার এইরুপ নীড়কে পাগল করে দিচ্ছে।

নীড় কিছুক্ষন ওইভাবেই ছিলো।তারপর নেশার দিকে ঘুরলো। নেশা এখনো নিচের দিকে তাকিয়ে আছে।।তার সারা শরীর কাপছে। ঘটনা গুলো ভেবেই আরো কাপাকাপি বেরে যাচ্ছে।

নীড় নেশার হাত ধরলো।নেশা অবাক হিয়ে নীড়ের দিকে তাকালো।

নীড়ঃ চলো যাওয়া যাক।।দেরি হয়ে যাচ্ছে।

নেশা আরো অবাক হলো।নীড়ের হাত গুলোও প্রচন্ড পরিমানে কাপছে।আর নীড় নেশার দিকে তাকাচ্ছেও নাহ।।নেশা কিছুই বুঝতে পারলো নাহ।।

যেমন তেমন করে নীড় নেশাকে নিয়ে এনগেজমেন্টের ওইখানে পৌছালো। সারা রাস্তা নীড় নেশার সাথে একটুও কথা বলেনি।

ওখানে পৌছানোর পর নীড় সায়ান আর রাফিকে দেখতে পেল।।সেখানে চলে গেল।।নেশা ও নিসুর কাছে চলে গেল।

হঠাৎ নেশাকে কেউ পিছন থেকে ডাক দিলো।।সে আর কেউ নাহ ইমান?

ইমামঃ হাই নেশা কেমন আছো।কতোদিন পর দেখা।এতোদিন কোথায় ছিলে তুমি।দেখতেই পেলাম নাহ কলেজে আর। কোথায় চলে গেছিলে?????

নেশাঃ আরে আস্তে আস্তে।।এতো প্রশ্ন করলে উত্তর কিভাবে দিবো।

ইমান হেসে দিলো

ইমানঃ সরি আসলে অনেকদিন পর দেখা তো তাই বেশি এক্সাইটেড হয়ে গেছি।।কেমন আছো

নেশাঃ ভালো।। আপনি?

ইমানঃ আমিও ভালো।

কথা বলতে বলতে নেশার চোখ গেল নীড়ের দিকে।।।নীড় বাঘের মতো চেয়ে আছে নেশার দিকে।।যেন চোখ দিয়েই গিলে খাবে।। নেশা একটা ঢুক গিললো।

নেশা নীড়কে কিছু বলতে যাবে তখনই মাইকে সবাইকে স্টেজের সামনে আসতে বললো।।

সবাই স্টেজের সামনে দাড়ালো।স্টেজে উঠে সায়ান আর ইমা একে অন্যকে আংটি পড়িয়ে দিলো।সবাই হাত তালি দিলো।

খাওয়া দাওয়ার পর…

একটু পর কাপল ডান্স হবে।।নীড় নেশার কাছে যেতে নিবে তার আগেই ইমান এসে নেশার সামনে হাত ধরলো।

ইমানঃ মে আই??

নেশা নীড়ের দিকে তাকালো।

নীড় আর রাগ টা কন্ট্রোল করতে পারলো নাহ।

নীড়ঃ হ্যাঁ হ্যাঁ নাচো নেশা।।ইমান এতো আশা করে তোমার সাথে নাচতে চাইছে।।

বলেই নীড় হন হন করে রুমে চলে গেল।।গিয়েই বাথরুমে ঢুকে ঝরনা ছেড়ে তা নিচে বসে পড়লো।নীড়ের প্রচন্ড পরিমানে রাগ হচ্ছে।।নেশা কেন ওর দিকে তাকালো।।ডিরেক্টলি নাহ করলো নাহ কেন।।

একটু পর নেশা রুমের ভিতর ঢুকলো।। দেখলো নীড় ঝরনার নিচে বসে আছে।

নেশাঃ আরে কি করছেন আপনি ভিজে যাচ্ছেন তো ( নীড়কে উঠাতে যেয়ে)

নীড়ঃ তোমার তাতে কি।।তুমি ইমান এর সাথে গিয়ে নাচ করো।

নেশা টেনে নীড়কে দাড় করালো।

নেশাঃ বাইরে চলুন।।পুরো ভিজে গেছেন

নীড়ঃ তোমায় তা ভাবতে হবে নাহ।।তুমি এখান থেকে যাও।।

নেশাঃ ওকে যা ইচ্ছা করুন। (বলেই নেশা ও ঝরনার নিচে দাড়িয়ে রইলো।)

নীড় কিছু বললো নাহ

একটুপর

নীড়ঃ ভিজে যাচ্ছো তো।দাড়িয়ে আছো কেন শুধু শুধু

নেশাঃ তাতে আপনার কি?।আপনার টা আপনি দেখুন।

নীড় বুঝতে পারলো নেশা রাগ করেছে। নেশাকে টেনে নিজের দিকে ঘুরালো।

নীড়ঃ আমার টাই তো দেখছি।

নেশাঃ ?

নীড়ঃ তুমি নাহ ইমানের সাথে নাচ করবে তা এখানে কেন?

নেশাঃ আমি কি একবার ও বলেছি যে আমি ওর সাথে নাচ করবো।।আপনিই তো ওভার রিয়েক্ট করে নাচতে বলে এলেন।

নীড়ঃ তো নাচবে নাহ যখন তা বলতে পারলে নাহ।চুপ করে আমার দিকে তাকিয়ে ছিলে কেন

নেশাঃ আমি তো ভেবেছি আপনি নাহ করবেন।
উল্টো আপনিই রাগ করে চলে এলেন।

নীড়ঃ রাগ করে কই এলাম।আমি তো ভাবলাম তোমাদের একটু প্রাইভেসি দেই??

নেশাঃ আপনি ??

নীড় হেসে দিলো।নেশা বুঝলো নীড় ওর সাথে দুষ্টমি করছে।।রাগ করে বেরিয়ে যেতে নিলো নীড় হাত ধরে টেনে নিজের সাথে চেপে ধরলো।নেশা নীড়ের দিকে তাকালো।।এতোক্ষণ ভিজার ফলে নেশার সব মেকআপ উঠে গেছে।

নীড়ঃ আমার বউটা রাগ করল্ল বুঝি??

নেশাঃ হুহ

নীড় আলতো করে নেশার কপালে কিস করলো।নেশা লজ্জা পেয়ে নিচের
দিকে তাকালো।নীড় নিচু হয়ে নেশার গলায় ঠোঁট ডুবালো।নেশা তো সেই লেভেলের কেপে উঠলো। একে তো এতোক্ষণ ধরে ভিজছে তারপর উপর নীড়ের এই ভালোবাসার টর্চার।
নীড় নেশার গলায় লিক করছে।।মাঝে মাঝে কামড়ও দিচ্ছে।আর প্রতিবারই নেশা কেপে উঠছে।।নেশার এই কেপে উঠা নীড়কে আরো পাগল করে দিচ্ছে।নেশার পা যেন অবশ হয়ে যাচ্ছে।চোখ বুজে আসতে চাইছে।ওভ্যে পাগল হয়ে যাবে নীড়ের এই ভালোবাসায়।নীড় নেশার কাধের আচলে হাত দিলো।নেশা লজ্জায় উল্টো দিকে ঘুরে গেল।

নীড় মুচকি হেসে নেশার কাধের চুল গুলো সরিয়ে কিস করতে যাবে তখনই খেয়াল করলো নেশার কাধ থেকে একটু নিচে কিছু একটা আছে টেটুর মতো
কিন্তু পুরোটা দেখা যাচ্ছে নাহ কাপড়ের কারনে।নীড় নেশার কাপড়টা সরিয়ে দেখতে যাবে নেশা নীড়ের দিকে ঘুরে তার ঠোঁটে নিজের ঠোঁট চেপে ধরলো।নীড় কিছুটা অবাক হলেও নেশার সাথে তাল মেলাতে শুরু করলো।নেশার ঠোটের নিচের পার্টটা কিছুক্ষন চুষে আবার নেশার ঠোঁটের মধ্যে নিজের ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো।নেশা নীড়ের ভিজা চুল গুলোকে দুই হাত দিয়ে চেপে ধরে নিজের আরো কাছে টেনে নিলো নীড়কে।।নেশার ঠোঁটের মাঝে নীড়ের ঠোঁট গুলো নিজের হারিয়ে যাওয়ার গন্তব্য খুজছে।নেশার কোমড় ধরে তাকে আরো কাছে টেনে নিলো। কিছুক্ষণ পর নেশার ঠোঁট ছেড়ে নেশাকে কোলে তুলে খাটে নিয়ে শুইয়ে দিলো।তারপর নিজের ভর নেশার উপর ছেড়ে দিলো।

নীড়ঃ বেশি ভারী??সয্য করতে পারবে তো

নেশা লজ্জা পেয়ে মুচকি হেসে অন্যদিকে ঘুরলো।

নীড় নেশার গলায় নিজের নাক ঘষলো।যার ফলে নেশা শিউরে উঠলো।নীড়ের হাত খামচে ধরলো।নীড় নেশার হাত দুটো খাটের সাথে চেপে ধরে গলায় মুখ ডুবালো।।পুরো গলায় ঠোঁট বুলিয়ে দিলো। প্রতিবারই নেশা কেপে উঠছিলো।

নীড় নেশার মাথার পিছনে হাত দিয়ে তার মাথাটা একটু উচু করলো তারপর নেশার দুই চোখে চুমু খেল। তারপর ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো।নেশার হাত নীড়ের শার্টের বোতামের কাছে চলে গেল।

নীড় লাফ দিয়ে উঠে বসলো।নেশার দিকে তাকালো।নেশা এখনো নীড়ের এক হাত ধরে আছে।নীড় নেশার কপালে সাউন্ড করে চুমু খেল।নেশা একপলক নীড়ের দিকে তাকিয়ে আবার নীড়ের কলার ধরে নিজের কাছে টেনে আনলো। নীড় নেশার কানে চুমু খেল।

নীড়ঃ জামা পাল্টে নাও ঠান্ডা লেগে যাবে[ নেশার কানের কাছে ফিসফিসিয়ে বললো]

নেশা পিটপিট করে নীড়ের দিকে তাকালো।নীড় এই মুহুর্তে এই কথা বলবে তা নেশা ভাবেনি।নীড়কে ছেড়ে দিলো।নীড় ও উঠে রুম থেকে বেরিয়ে গেল।।

নেশাকে ব্যাগ থেকে কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেল।।সায়ান বলেছিল কাল সবাই ঘুরতে যাবে।।তাই সবাই এক্সট্রা কাপড় নিয়ে এসেছে।

নেশা জামা পাল্টে খাটে বসে আছে।।চুল গুলো এখন ভালো করে মুছেনি।তারমাথায় অন্য কিছু ঘুরছে।।নীড় কি কিছু বুঝে গেল।।নাকি পিঠের ওইটা দেখে ফেললো।

চলবে?

( আপনাদের লেখিকা আজ গাজা পাতা খেয়ে গল্প লিখেছে।।তাই এতো রোমান্স???।
আর আমার গল্পে প্রতিদিনই রহস্য থাকবে।।কারন আপনাদের লেখিকা প্যাচ লাগাতে এক্সপার্ট ?)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে