হয়তো_ভালোবাসি
Part_13
#Writer_Eshetaq_Nora
( আজকের পার্ট ছোট হওয়ার কারনে মাফ চাইছি।দেওয়ার ইচ্ছা ছিলো নাহ আজ)
কথাটা শুনে নেশা জ্ঞান হারালো।
নীড় গিয়ে ডাক্তার ডেকে আনলো।।
ডাক্তারঃ তোমাকে বলেছি তো ওকে উত্তেজিত নাহ করতে।।এতে ওর ক্ষতি হবে।। কেন বুঝচ্ছো নাহ।
নীড়ঃ আই এম সরি ডাক্তার আঙ্কেল ।। আর এমন হবে নাহ
ডাক্তারঃ ওকে পরের বার থেকে খেয়াল রাখবে।।আর একটু পরই ওর জ্ঞান ফিরে যাবে।।।ডোন্ট ওয়ারি।
এইভাবে ৭ দিন হসপিটালে কেটে গেল।নীড় নেশার সাথেই হসপিটালে থেকেছে।।কিন্তু নেশা নীড়ের সাথে কোন কথা বলেনি।।।নীড় ও জোর করেনি।।ভেবেছে সুস্থ হয়ে নেক।।তারপর না হয় কথা বলা যাবে.।
৭ দিন পর নেশাকে রিলিজ দেয়া হলো।।নীড় ভেবেছে নেশাকে তার বাড়িতে নিয়ে যাবে।।।কিন্তু নেশা কিছুতেই রাজি হচ্ছে নাহ।
নেশাঃ আমি আপনার বাড়িতে যেতে পারবো নাহ নীড়।।প্লিজ জোর করবেন নাহ।
নীড়ঃ তোমাকে আমি এই অবস্থায় কিভাবে ছাড়বো নেশা।।।আগে তুমি পুরোপুরি সুস্থ হও তারপর না হয় দেখা যাবে।।
নেশাঃ ২ বছর আমি একাই ছিলাম নীড়।।আর এখন আমি পুরোপুরি সুস্থ।। আমার খেয়াল আমি রাখতে পারবো।।
নীড়ঃ তারমানে তুমি আমার সাথে যাবে নাহ?
নেশাঃ নাহ
নীড়ঃ উফফ।তুমি সত্যিই খুব ড্রামা ভালোবাসো।
বলেই নেশাকে কোলে তুলে নিলো।
নেশাঃ আরে কি করছেন এইসব সবার সামনে।।নামান বলছি।
নীড়ঃ আরেকটা কথা বলবে তাহলে মুখ অন্য ভাবে বন্ধ করার জন্য বাধ্য হবো
নেশা বুঝতে পারলো নীড় কিসের কথা বলছে।।।তাই চুপ হয়ে গেল।।কারন নীড়ের কোন বিশ্বাস নেই।
নীড় নেশাকে সোজা তাদের বাড়িতে নিয়ে গেল।।তারপর কোলে করে নিজের রুমে নিয়ে গেল।।বাড়ির সবাই হা করে দেখছে।।কিন্তু কিছু বলছে নাহ।। কারন নীড় সবাইকে বলে রেখেছে যে সে নেশাকে এই বাড়িতে নিয়ে আসবে।।
রুমে —
নীড় গিয়ে নেশার জন্য খাবার নিয়ে এলো।
নেশাঃ আমি এখন খাবো নাহ।।
নীড়ঃ চুপচাপ হা করো।
নেশাঃ খাবো নাহ বল্লাম তো।
নীড় মুখ টিপে খাইয়ে দিলো।
নীড়ঃ এতো ঘাড় ত্যাড়া কেন তুমি।।ভালো করে কথা বললে শুনতে পাও নাহ
নেশাঃ ?
নীড় নেশাকে খাইয়ে ওষুধ খাইয়ে দিলো।।
নীড়ঃ এখন চুপটি করে ভালো মেয়ের মতো ঘুমিয়ে পড়বে
নীড় নেশার মাথায় হাত ভুলিয়ে দিলো।।ঘুমের ওষুধ থাকায় নেশা তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লো
নেশার ঘুমানোর পর নীড় রুম থেকে বের হয়ে নিচে গেল।।
দেখলো সবাই তার দিকে তাকিয়ে আছে।
নীড়ঃ হোয়াট এইভাবে তাকিয়ে আছো কেন।।আমি কি এলিয়েন।
আয়ানঃ ওই মেয়েটা কে??ও এখানে কি করছে?
নীড়ঃ মামনি কিছু বলেনি তোমায়।
আয়ানঃ বলেছে কিন্তু সবটা নাহ।।আমি সবটা শুনতে চাই।।
নীড়ঃ আমি আগে খেয়ে নেই আমার খুদা লেগেছে।
বলেই খাবার টেবিলে বসে পরলো।
নীড় বরং খাবার খাক।।আমরা ওর পরিবার সম্পর্কে জেনে নেই।।নীড়রা ৪ ভাই।।বড় ভাই আয়ান,মেজো ভাই রায়হান, তারপর নীড় আর নীড়ের ছোট ভাই শিশির।আয়ান আর রায়হান বিবাহিত। আয়ানের বউ হিয়া।রায়হানের বউ রিয়া।
খাওয়া দাওয়ার পর।
আয়ানঃ এখন বলো কি হয়েছে আর ও কে।
নীড় ওদের একে একে সব খুলে বললো।।কলেজ থেকে শুরু করে সব।।সবাই কথাগুলো শুনে খুব অবাক।।নীড়ের জীবনে এতো কিছু হয়ে গেছে অথছ সে কাউকে বুঝতে দেয়নি।
হিয়াঃ মেয়েটার প্রতি তুমি খুব অন্যায় করেছো নীড়।।ওর এই সকল ঘটনার পিছনে কোন না কোন ভাবে তুমি জড়িত।যদি তুমি কলেজে ওর সাথে এইরকম নাহ করতে তাহলে ও নাহ রাগ করে সিডনিতে যেতো আর না এতো কিছু হতো
নীড়ঃ আমি জানি ভাবি।।কিন্তু না চাইতেও সব কিভাবে হয়ে গেল।কিন্তু এখন যখন ও আবার আমার জীবনে ফিরে এসেছে ওকে আর আমি যেতে দিবো নাহ।
রায়হানঃ কি করতে চাইছিস তুই?
নীড়ঃ আমি ওকে বিয়ে করবো ভাইয়া।
হিয়াঃ ও কি রাজি হবে।।এতো কিছুর পর
নীড়ঃ না হলে রাজি করাবো।।সেই জন্যই ওকে এখানে আনা।।আর আমার জানা মতে ও আমায় এখনো ভালোবাসে।।তাই কাজটা আমার জন্য সহজই হবে।
আয়ানঃ কাজটা এতোটাও সহজ হবে নাহ নীড়।।২ বছর ধরে ও এই কষ্টে রয়েছে।।তা ভুলা কি এতোই সহজ।যতোই হোক ও তার পরিবারকে হারিয়েছে
নীড়ঃ এই জন্যই তো তাকে বাড়িতে নিয়ে এলাম।তোমরা সবাই মিলে আমাকে সাহায্য করবে।।ওকে মানাতে৷ তাহলেই হবে।
হিয়াঃ আমরা সবাই তোমার সাথে আছি নীড়।।নিহা তোমার সাথে যা করেছে তারপর তুমি নিজের জীবনে নতুন করে শুরু করবে বলে ভেবেছো এটাই অনেক।
রিয়াঃ আমি তো ভেবেছিলাম আমার আমার দেবরটা বুঝি নিহার জন্য এমন চুপচাপ হয়ে গেছে এখন দেখি ঘটনা অন্য।তলে তলে এতো কিছু। এতো গুলা পাও কই।।একটার পর একটা রেডি থাকে তোমার?
নীড়ঃ ভাবি তুমিও নাহ?
কথাঃ আমি ভাবছি ইশা মেয়েটার কথা।।ওইদিন যে এসেছিলো কি ভালো ব্যবহার দেখালো।।সে কিনা মনে মনে এতো কিছু করেছে
নীড়ঃ বাদ দাও মামনি।।আমি অতীতের সব ভুলে যেতে চাই।।নতুন করে নেশাকে নিয়ে বাচতে চাই।।
রাতে নেশার ঘুম ভেঙে গেল।।নীড় তার পাশেই ছিলো।।নেশা জোরে আকাশ বলে চিৎকার দিয়ে উঠলো। আওয়াজ শুনে নীড় নেশার পাশে বসলো।
নীড়ঃ কি হয়েছে নেশা।।খারাপ স্বপ্ন দেখেছো?? কি হলো নেশা কিছু তো বলো।
নেশাঃ আকাশ কোথায় নীড়।। আমি আকাশের কাছে যাবো। আমায় আকাশের কাছে নিয়ে চলুন
।
।
চলবে
নতুন করে চাইলেই কি আর নতুন করে বাচা যায়।।অতীতকে কি কখনো পিছনে রাখা যায়?