Monday, October 6, 2025







হঠাৎ হাওয়া (৪)

হঠাৎ_হাওয়া (৪)

দিহান একটু হেসে বলল
—তুমিই তো আমাকে কল করেছিলে
মায়া একটু লজ্জিত ভঙ্গিতে বলল,
—আসলে আমি খুবই দুঃখিত, বাট সিচুয়েশানটাই এমন ছিল যে আমার তখন এটাই ভালো মনে হচ্ছিল,
দিহান পশ্রয়ের হাসি হেসে বলল,
—শুনলাম মিষ্টিকেও নাকি বাবা অসুস্থ বলে দরজা খুলিয়েছো
মায়া মাথা নিচু করে চোখ বন্ধ করে ফেললো।
হিমালয় বাইরে বের হয়ে ওদের কথা কিছু বুঝতে পারলো না মায়ার দিকে তাকিয়ে বলল,
—কি হয়েছে, কোনো সমস্যা?
দিহান হ্যান্ডশেকের উদ্দেশ্যে হাত এগিয়ে বলল,
—আমি সৈয়দ দিহান।
হিমালয় হ্যান্ডশেক করতে করতে বলল,
—হিমালয় আহমেদ।
—আসলে আজ আমার বোনের গায়ে হলুদ, কাল বিয়ে, একটু ফ্যামিলি প্রবলেম ছিল এই ম্যাডাম সলভ করে দিয়েছে,
হিমালয় হেসে বলল,

—ও আচ্ছা!
—তো আমার বোন চাইছে যাতে মায়া ওর বিয়েতে এটেন্ড করে,
মিষ্টি মায়ার হাত ধরে বলল,
—তুমি এলে আমি খুবই খুশি হবো, তোমার জন্যেই ভাইয়া এলো না হলে ওর যে জেদ কেউ ওকে বোঝাতে পারে না
মায়া হেসে বলল,
—তোমার ভাইয়া তোমার জন্য এসেছে মিষ্টি তার জেদের থেকেও তুমি তার কাছে ইম্পর্টেন্ট।
—তুমি আসবে তো?
—আমি তো একা নই মিষ্টি আমার সাথে আরো অনেকে আছে
দিহান বলল,
—আর কে?হিমালয় তো? তুমি অবশ্যই ওকে নিয়ে এসো
মায়া হাত নেড়ে বলল
—না না শুধু মহারাজ নয়,কথা আপু,পুষ্প আপু,নিরব ভাইয়া, আবির ভাই, ধ্রুব
মায়া বড় একটা দম ফেললো হাপিয়ে গেছে এমন ভাব,হিমালয় ওকে থামিয়ে বলল,
—আহা মায়া তুমি ওনাদের বিরক্ত করছ কেন! এতগুলো মানুষ হুট করে বললেই হয়? তুমি বরং এটেন্ড করো
দিহান হেসে বলল,
—না না মায়া বলছে যখন তখন তোমরা সবাই ইনভাইটেড, ডু সামথিং কল দেম আমি নিজে ওদের সবাইকে বলতে চাই।
হিমালয় আমতা আমতা করে বলল,
—ওকে লেট মি কল।

হিমালয়ের কল পেয়ে সবাই বাইরে বের হয়ে এলো দিহান ওদের বলল আপনারা সবাই আসুন এখনই হলুদের প্রোগ্রাম শুরু হবে মায়া অবাক হয়ে বললো
—রেডি হবো না!
দিহান হেসে বলল,
—আচ্ছা আচ্ছা রেডি হয়েই এসো।

দিহান চলে যেতেই সবাই মায়াকে ঘিরে ধরলো ঘটনা শোনার জন্য মায়া বলল,
—সব পরে হবে এখন একটা কম্পিটিশন করে দেখি কে আগে রেডি হয় চলো।
বলেই মায়া দৌড় লাগালো কাউকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে সবাই মেয়েটার কান্ড দেখে চেয়ে রইলো হঠাৎ ধ্রুব দৌড় লাগিয়ে বলল,
—আমি হারতে রাজি নই তোরা থাক।

মায়া হলুদরঙা গোল জামা পড়ে চুল পোনিটেইল করে গায়ে একটা সাদার উপরেই সাদা সুতোর কাজ করা চাদর জড়িয়ে বাইরে এসে দাড়িয়েছে ও এসে দেখলো সাদা প্যান্ট আর শার্টের সাথে হলুদরঙা একটা ব্লেজার পড়ে হিমালয় আগে থেকেই বাইরে দাঁড়িয়ে হিমালয় আড় চোখে তাকিয়ে ঠোট বাকিয়ে হেসে বলল,
—আমি জিতে গেছি
মায়া একরাশ বিরক্তি নিয়ে হিমালয়ের দিকে তাকিয়ে বলল,
—কোনো প্রুভ আছে?
হিমালয় অবাক হয়ে বলল,
—মানে!
—মানে এখনো কেউ আসে নি, আপনি আর আমি ছাড়া কেউ জানে না আমাদের মধ্যে কে আগে এসেছে
হিমালয় খুবই আহত হয়ে বলল,
—তার মানে?
—এত মানে মানে করছেন কেন আমি কি বলছি তা আপনিও বুঝতে পারছেন আমিও পারছি
হিমালয় হাল ছেড়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,
—হাউ মিন!
মায়া মুখ যথাসম্ভব কঠিন করে বলল,
—দীর্ঘশ্বাস ফেলবেন না দীর্ঘশ্বাস ফেলার মত কিছুই হয় নি।
পরে দুজনেই একসাথে হেসে ফেললো তখন একে একে সবাই বের হতে লাগলো,ধ্রুব বিরক্ত মুখে বলল,
—হেরে গেলাম নাকি! জিতলো কে?মায়া নিশ্চয়ই?
মায়া হিমালয়ের দিকে তাকিয়ে বলল,
—না মহারাজ।
হিমালয় মায়ার দিকে তাকিয়ে মুখ টিপে হাসতে লাগলো।

হলুদের প্রোগ্রাম বেশ বড়সড় ই মনে হচ্ছে একটা বড় গাছের নিচে মিষ্টির গায়ে হলুদের স্টেজ করা হয়েছে সামনে কাঠ দিয়ে আগুন জ্বেলে তার চারপাশে সম্ভবত এখানকার আদিবাসী নাচ করছে, মিষ্টির বাবা এসে মায়ার সামনে দাঁড়িয়ে বলল,
—মায়া
—হ্যা আঙ্কেল বলুন
মিষ্টির বাবা বেশ কিছুক্ষণ চুপ করে রইলেন কি বলবেন হয়তো গুছিয়ে নিতে পারছে না মায়া একগাল হেসে বললো
—ইউ আর ওয়েলকাম আঙ্কেল এন্ড ইটসওকে
মিষ্টির বাবা একটু বিব্রত ভঙ্গিতে হাসলেন।তারপর সস্নেহে বললেন
—আমাদের খুব বেশি আত্মীয় আসতে পারে নি তোমরা নিজের মনে করেই আমাদের পাশে থেকো।
সবাই মিষ্টির কাছে গিয়ে একে একে হলুদ মাখালো শুধু আবির গেলো না ও একটু দূরে দাঁড়িয়ে রইলো, মায়া খেয়াল করে আবিরের কাছে গিয়ে বললো
—আবির ভাই
আবির কিছু না বলেই এক মনে সামনে জ্বলন্ত আগুনের দিকে তাকিয়ে রইলো,মায়া আবিরের সামনে দাঁড়িয়ে বলল,
—যখন আমার মাম্মাম মারা যায় আমার বাবা একদম একা হয়ে যায় আমি ছাড়া আমার বাবার দুনিয়াতে কিন্তু সত্যি বলতে আপন কেউ নেই তার নিজের বোনও আছে তার সম্পত্তির লোভে।আমি যে কি না বাবার একমাত্র আপন মানুষ সেও বাবাকে একা ফেলে চলে এসেছি তাও অসম্মানজনক পরিস্থিতিতে, সেক্ষেত্রে আমি বিশ্বাসঘাতক তাইনা?
আবির এবার সরাসরি মায়ার দিকে চাইলো কন্ঠ নিচু করে বলল,
—তোমার উচিত তোমার বাবাকে একটা ফোন করা করেছিলে?
—এমন অনেক কিছুই আমাদের উচিত আমরা কি তা করি? আবির ভাই আমি এখানে আসার পর আপনার অন্য সব বন্ধুরাই কিন্তু একবার না একবার তার বাসায় কথা বলেছে এমনকি অল্পভাষী নিরব ভাইয়াও তার মাকে আমার সামনেই ২/৩ বার কল করেছে আপনি কি একবারো আপনার বাসায় কল করেছেন?
—এ ব্যাপারে আমি কিছুই বলতে চাই না।
—আচ্ছা ঠিকাছে বলবেন না। আমিই বলছি কিছু কিছু ভালোবাসা থেকে দায়িত্ববোধ জন্মায় আর কিছু কিছু দায়বদ্ধতা মায়া তৈরি করে যার শক্তি ভালোবাসার অনেক উপরে। কেউ আপনার সাথে বেইমানী করেছে বলে, আপনাকে ভেতর থেকে দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছে বলে আপনি সবার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন এটা সমাধান নয়।বরং আপনি সুযোগ খুজুন অসহায় কারো অবলম্বন হওয়ার।হয়তো আপনি কল করবেন না জেনেও আপনার বাসায় আপনার আম্মু ফোনের দিকে তাকিয়ে অপেক্ষা করছে। এটুকুই বলার ছিল।আমি বরং মিষ্টির কাছে যাই।
মায়া দৌড়ে আবিরের সামনে থেকে চলে গেলো আবির মায়ার যাওয়ার দিকে চেয়ে রইলো।হিমালয় এতক্ষণ একটু দূরে দাড়িয়ে ওদের কথা গুলো শুনছলো ও এসেছিলো আবির কে ডাকতে আবির একমাত্র হিমালয়েরই যা একটু কথা শোনে, হিমালয় এগিয়ে আবিরের কাধে হাত রেখে বলল,
—কি ভাবছিস?
—অনেক কিছুই যা আরো আগে ভাবা উচিত ছিল,তোরা যা আমি আম্মুকে একটা কল করে আসি।

আবির ফোন করে ফিরে আসতেই দেখলো ভেতরে একটা জটলা মতো হয়েছে বেশ কিছু কান্নাকাটির শব্দও শোনা যাচ্ছে ও এগিয়ে হিমালয়ের কাছে দাড়িয়ে কারণ জিজ্ঞেস করে জানতে পারলো মিষ্টির যার সাথে বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো সে নাকি বাড়িতে নেই, বিয়ে হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। মায়া ভাবলেশহীন ভাব্র দাড়িয়ে আছে , মিষ্টির মা কান্নাকাটি করছেন দিহান রাগে কাপছে হাতের কাছে যা পাচ্ছে ছুড়ে মারছে হিমালয় ধ্রুব এগিয়ে গিয়ে ওকে শান্ত করার চেষ্টা করছে, মিষ্টি এতক্ষণ চুপচাপ দাড়িয়ে ছিলো পাথরের মতো হঠাৎ ও এক ছুট লাগালো, দিহান দৌড়ে ওর পিছু নিলো বেশিদূর মিষ্টি যেতে পারলো না তার আগেই আবির বা হাত দিয়ে শক্ত করে মিষ্টির ডান হাতের কব্জিটা ধরে ফেললো, মিষ্টি হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেললো।পড়ে যাওয়ার আগেই আবির ওকে ধরে ফেললো। আবির বুঝলো মেয়েটার সারা শরীর খুব ঠান্ডা হয়ে গেছে। দিহান দৌড়ে এসে মিষ্টিকে কোলের মধ্যে নিলো পানির ছিটা দিয়ে ওর জ্ঞান ফেরানো হলো, দিহানের বুকের মধ্যে মুখ নিয়েই মিষ্টি কেদে ফেললো।হুট করে আবির একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললো, ও দিহানের দিকে তাকিয়ে বললো
—আমি মিষ্টি কে বিয়ে করতে চাই।
ওর বন্ধুরা সবাই আবিরের দিকে হা হয়ে তাকিয়ে রইলো, মিষ্টির বাবা মাও বেশ অবাক হলো দিহান কিছু বলার আগেই মিষ্টি কঠিন করে বললো,
—আমি কারো দয়া চাই না।
আবির মিষ্টির দিকে না তাকিয়ে দিহানের চোখে চোখ রেখে বলল,
—আপনারা এটা কে দয়া বা করুণা মনে করবেন না, অনেক কিছুই আমরা ভেবে চিনতে সিদ্ধান্ত নিয়ে সময় নিয়ে শুরু করি আবার কিছু জিনিস হুট করেই হয়। আমি নিজেও জানিনা আমার এরকম সিদ্ধান্তের কারণ কি,একটু আগেই মায়া আমাকে বলছিলো অনেক ভালোবাসা থেকে দায়িত্ববোধ জন্মায় আর কিছু কিছু দায়িত্ববোধ এমন মায়া তৈরি করে যা ভালোবাসার অনেক উর্ধ্বে। ছেলে হিসেবে বা পরিবার হিসেবে কোনো দিক দিয়েই মনে হয় না আমি মিষ্টির অযোগ্য হবো। বাকিটা আপনারা বিবেচনা করে দেখতে পারেন।
মিষ্টির বাবা আবিরের দিকে তাকিয়ে বলল,
—তোমার পরিবার?
—আমার সিদ্ধান্তই আমার পরিবারের সিদ্ধান্ত। মিষ্টির বাবা একটু থেমে বলল,
—আমি আর কিছু ভাবতে পারছি না যা দিহান ভালো বোঝে।
দিহান আবিরের চোখে তাকিয়ে বলল,
—তুমি কি আজ রাতে বিয়ে টা করতে পারবে আবির?
—হ্যা পারবো,আপনি আজ রাতের মধ্যে চাইলে আমার সম্পর্কে খোজ নিয়ে জেনে নিতে পারেন আমার ব্যাকগ্রাউন্ড।
—আমার কিছু জানবার নেই জেনে বুঝে তো অনেকে অনেক কিছু করলো। তোমার মধ্যে লয়ালিটি আছে এন্ড দ্যাটস এনাফ,
মিষ্টি দিহানের দিকে তাকিয়ে বলল,
—ভাইয়া!
দিহান মিষ্টির মাথায় হাত রেখে বলল,
—ভাইয়ার ওপর বিশ্বাস আছে না?
মিষ্টি আর কিছু বলল না সেদিন রাতে গায়ে হলুদের কাপড়েই মিষ্টির বিয়ে আবিরের সাথে হয়ে গেলো।

চলবে….
সামিয়া খান মায়া

পূর্ববর্তী নিবন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধ
গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ