Sunday, October 5, 2025







সে প্রেমিক নয় পর্ব-০৬

#সে_প্রেমিক_নয়
#Mehek_Enayya(লেখিকা)

#পর্ব ০৬

সন্ধ্যা ছয়টা বাজে। নিজ রুমে হাত মুঠি করে বসে আছে আনাবিয়া। হালকা সোনালী রঙের কাঁধ সমান কেশ গুলো অগোছালো হয়ে আছে। পাশেই জয়তি শক্ত মুখে বসে আছে। আনাবিয়ার মাথায় হাত দিয়ে বলে,

-আরেকবার ভেবে নে মা?

-আমার ভাবাভাবির পর্ব অনেক আগেই শেষ হয়েছে খালামুনি। এখন শুধু এতো বছরের সাধনার পূর্ণতা দেওয়ার পালা।

-এটাই তোর ফাইনাল ডিসিশন?

-জি। আর দুই ঘন্টা পরই আমি একজন লেমপোস্টের ওয়াইফ হয়ে যাবো। সব কিছু খুব জলদি হচ্ছে না খালামুনি?

-হ্যাঁ খুব জলদি!

জয়তি বসা থেকে উঠে দাঁড়ায়। শান্ত কণ্ঠে আনাবিয়াকে বলে,

-তৈরি হয়ে নে।

-হুম।

অন্যদিকে যেখানে বিকেলেও শেখ বাড়িতে খুশির ছায়া ছিল এখন শোকের ছায়া ভর করেছে। ঢাকার সবচেয়ে বড় হসপিটালের কডিটরে দাঁড়িয়ে আছে তনুসফা শেখ ও ইরান। সকালে ইসরাফ ফামহাউস থেকে বাড়িতে আসে। কিছু জরুরি কাজের কথা বলে দুপুরে বের হয়। সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে গেলেও ফিরে আসে আধমরা হয়ে। চারটা বাজে ইরান তখন নিজ অফিসে। ইসরাফের নাম্বার থেকে তার ফোনে কল আসে। ইরান অবাক হয়ে কল রিসিভ করে। হ্যালো বলবে তার আগেই ঐপাশ থেকে একজন বলে,

-আপনি কী এই ফোনের মালিকের কিছু হন?

ইরান ভ্রু কুঁচকায়। ইসরাফের ফোন তাও অচেনা কারো কাছে কেনো! স্বাভাবিক ভাবে বলে,

-জি আমি এই ফোনের মালিকের বড় ভাই। কেনো?

-যার ফোন সে গুরুতর ভাবে এক্সিডেন্ট করেছে। অবস্থা অনেক খারাপ। আপনি দ্রুত করে সাভারে এসে পরেন।

-সাভারের কোথায়?

-স্মৃতিশোধের একটু সামনে।

ইরান কিছু সময়ের মধ্যেই পৌঁছে যায় সেখানে। ইসরাফের তাঁজা র*ক্ত দিয়ে রাস্তা ভরে গিয়েছে। এতক্ষনের মধ্যে রক্ত শুকিয়েও গিয়েছে। অতিদ্রুতের সাথে ইরান ইসরাফকে হসপিটালে ভর্তি করে। বাসায় ফোন করে জানিয়ে দেয়। বর্তমান ইসরাফের অবস্থা ভালো নয়। অত্যান্ত শোচনীয়। পর পর কয়েক ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়ে গিয়েছে। ডাক্তারা বলছে রুগী বাঁচলেও হয়তো স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবে না। পায়ের ওপর দিয়ে ট্র্যাক গিয়েছে। সারাজীবনের জন্য পায়ে ইনজুরি হতে পারে! ইরান কপালে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তনুসফা কাঁদো কাঁদো মুখ করে সিটে বসে পরে। আজ ছেলেটার বিয়ে। কত খুশি ছিল সারাদিন! এখন বিয়ের কী হবে?

-এখন বিয়ের কী হবে? আমার তো তাঁদের না বলতে ভয় করছে। বেচারি মেয়েটার চরিত্রে কলঙ্ক লেগে যাবে।

ইরান কিছু বললো না। সে বলার মতো ভাষা খুঁজে পাচ্ছে না। জেসিকা আর রাকিয়া বড় বড় পা ফেলে এগিয়ে আসছে। ইরান রাকিয়াকে দেখে চিন্তিত হয়ে বলে,

“আম্মা তুমি কেনো এসেছো? আমি কল করে তোমাকে আসতে নিষেধ করেছি না?

রাকিয়ার চোখ দিয়ে অশ্রু পরছে। ইসরাফ তার নিজের সন্তান না হলেও সে সর্বদা ইসরাফকে নিজেরই মনে করেছে। কখন সৎ বলে ইরান আর ইসরাফের মধ্যে পার্থক্য করেনি। কান্না করতে করতে ইরানের বুকে ঢলে পরে। ইরান মায়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে,

-কিছু হবে না আম্মা। তুমি চিন্তা করো না তোমার নালায়েক সুস্থ হয়ে আবার তোমার কাছে ফিরে যাবে।

-আমি ইসরাফকে দেখতে চাই।

-আম্মা এখন তো ওর অপারেশন চলছে। পায়ের অনেকখানিক মাংস উঠে গিয়েছে।

-ঠিক হবে তো?

-হ্যাঁ ঠিক হয়ে যাবে।

মা ছেলের কথার মাঝে ফোড়ন কাটে ডাক্তার। অপারেশন রুম থেকে বেরিয়ে এসে মুখ থেকে মাক্স খুলে। আপসোস স্বরে বলে,

-ইরান শেখ আপনার ভাইয়ের অবস্থা খুবই খারাপ। এতো রক্ত দেওয়ার পর আরো রক্ত লাগছে। সে সম্পূর্ণ সুস্থ হতে পারবে না। হয়তো কোমায় যাবে নয়তো তার ডানপাশের পা ড্যামেজ হয়ে যাবে।

-আপনারা একটু ভালোভাবে চিকিৎসা করুণ। আমি আমার ভাইকে যেভাবেই হোক সুস্থ চাই।

-আমরা আমাদের সবটা দিয়ে চেষ্টা করছি। বাকিটা আল্লাহ ভরসা।

ডাক্তার চলে যায়। অশান্ত মনে বসা থেকে উঠে দাঁড়ায় তনুসফা। ইরানের পানে চোখ স্থির করে বলে,

-তুই একটু তাঁদের না করে দে। (তনুসফা)

-ইসরাফ যে অসুস্থ এটা তো সমাজ দেখবে না সবাই মেয়েটাকেই খারাপ ভাববে!(রাকিয়া)

-তাছাড়া এখন আর কী করার? (তনুসফা)

রাকিয়া ইরানের দিকে তাকায়। অসহায় কণ্ঠে বলে,

-ইরান বিয়ে করবে। ঐ মেয়েকে জিজ্ঞেস করবি সে ইরানকে বিয়ে করবে নাকি।(রাকিয়া)

-আম্মা তুমি ভেবে চিন্তে কথা বলছো তো? (ইরান)

-আসলেই আম্মা তুমি ছেলের শোকে পাগল হয়ে গিয়েছো! যেইসেই মেয়ে ইরানের বউ হতে পারে না। ইসরাফ নিজ পছন্দ করেছিল তাই আমি বাধা দেয়নি। কিন্তু ঐ মেয়ে ইরানের আঙুলের যোগ্যও না!(তনুসফা)

-এটা আবার তুই বেশি বলছিস তনুসফা। ঐ মেয়ের সাথেই যদি ইরানের জরি থাকে তাহলে আমরা বাধা দেওয়ার কে!(রাকিয়া)

-কিন্তু আম্মা আমি বিয়ে করতে চাই না। বুঝার চেষ্টা করো ইসরাফ যখন সুস্থ হবে তখন আমার সাথে ওর প্রিয় মানুষকে দেখে রেগে যাবে। আমাকে আরো খারাপ ভাববে। (ইরান)

-পরেরটা পরে দেখা যাবে ইরান। এখন তুই বিয়েটা করে নে। (রাকিয়া)

-কিন্তু আম্মা,,(তনুসফা)

-তনুসফা তুই মেয়েদের বাড়ি যাওয়ার প্রস্তুতি নে। (রাকিয়া)

_________________🌸

রাত আটটা ত্রিশ বাজে। আনাবিয়া কখন থেকে বোরখা পরে তৈরি হয়ে বসে আছে কিন্তু ছেলেদের ফ্যামিলির খবর নেই। কিছুক্ষন আগেই ফোন করে বলেছে তারা আসছে। জয়তি টুকটাক কাজ করছে। নাস্তাপানির ব্যবস্থা করছে। আতিয়া সোফায় বসে মার কাজ দেখছে আর ফোন টিপছে। আনাবিয়ার আঙ্কেল (রহমান) সেও আজ জলদি করে কাজ থেকে এসে পরেছে। আনাবিয়াকে সে নিজ মেয়ের মতোই দেখে। এই এতিম মেয়ের প্রতি এক আকাশ সমান ভালোবাসা তার! দরজার কলিংবেল বাজতেই জয়তি তাড়াহুড়ো করে দরজা খুলে দেয়। শেখ বাড়ির সকলে দাঁড়িয়ে আছে। জয়তি হাসি মুখে সবাইকে ড্রইংরুমে বসায়। এমপি ইরান শেখ তার বাড়িতে এসেছে এটা অবশ্য অনেক বড় একটি বিষয়। সকালে পাড়া প্রতিবেশী সবাই হয়তো এই বিষয় জিজ্ঞেস করবে। সবাই আছে শুধু ইসরাফ নেই। কপালে ভাঁজ পরে তার। কুশলবিনিময় করে মৃদু কণ্ঠে জিজ্ঞেস করে,

-ইসরাফ বাবা কী একটু দেরিতে আসবে?

জয়তির প্রশ্ন শুনে তনুসফা মায়ের দিকে তাকায়। পাশেই শান্ত ভঙ্গিতে বসে ফোন টিপছে ইরান। তনুসফা বড় একটি নিঃশাস নিয়ে বলে,

-আপনাদের সাথে কিছু কথা আছে আমার। (তনুসফা)

-হ্যাঁ আপা বলুন?

তনুসফা ইসরাফের এক্সিডেন্টের সবটা খুলে বলে। ইসরাফ হয়তো আর চলাফেরা করতে পারবে না এটাও বলে। জয়তি স্তব্ধ হয়ে যায়। সব কিছুই জানো তার মাথার ওপর দিয়ে গেলো। দুঃখিত কণ্ঠস্বরে বলে,

-এখন তাহলে ইসরাফ হসপিটালে? (জয়তি)

-জি। (তনুসফা)

-এখন আমার আনাবিয়ার কী হবে? ওর চরিত্রে কলঙ্ক লেগে যাবে! (জয়তি)

-আমি একটা প্রস্তাব নিয়ে এসেছি। যদি আপনারা রাজি থাকেন তাহলে কথা আগে বাড়ানো হবে। (তনুসফা)

-বলুন আপা। (জয়তি)

-আপনাদের মেয়ে আনাবিয়ার জন্য ইরান কেমন হবে? আমার ভাই ইরানকে অবশ্যই চেনেন? (তনুসফা)

-ইরান বাবাকে কে না চেনে! কিন্তু আমার মেয়ে হয়তো রাজি হবে না। (জয়তি)

তনুসফা বিরক্তিতে ভ্রু কুঁচকায়। রাকিয়া শেখ হালকা কেশে বলে,

-আপনি তাহলে একবার আনাবিয়াকে জিজ্ঞেস করে আসুন।

-জি।

থমথমে মুখে আনাবিয়ার রুমে প্রবেশ করে জয়তি। আনাবিয়া বলে,

-এখন বিয়ে পড়ানো হবে?

-না।

-মানে?

জয়তি আনাবিয়ার পাশে বসে পরে। আমতা আমতা করে বলে,

-ইসরাফের এক্সিডেন্ট হয়েছে। অবস্থা বেশি একটা ভালো নয়।

আনাবিয়া বসা থেকে দাঁড়িয়ে যায়। চমকিত কণ্ঠস্বরে বলে,

-এটা ঠিক হলো! ওর মরণ তো আমার হাতে হওয়ার কথা ছিল!

-মরে নাই বেঁচে আছে।

-তার মানে সৃষ্টিকর্তা চায় ও আমার হাতেই মরুক। এখনও একটা সুযোগ আছে।

আনাবিয়ার বেহুঁদা কথা শুনে বিরক্ত হয় জয়তি। নিচু কণ্ঠস্বরে বলে,

-তনুসফা শেখ তার ভাই ইরানের সাথে তোর বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছে। কী বলবো তাঁদের?

আনাবিয়া কিছুক্ষন সময় কিছু একটা ভাবলো। তারপর স্বাভাবিক ভাবেই বলে,

-আমি রাজি। ইরান শেখকে বিয়ে করে আমি শেখ বাড়িতে যাবো। তারপর কিছুদিন আদর্শ গৃহিনী সাজার নাটক করে পুরো শেখ বংশকে ধ্বংস করে দেবো।

-বুঝে শুনে বলছিস তো আনা? বিয়েকে তুই যেমন ছেলেখেলা মনে করছিস এটা কিন্তু তেমন নয়!

-আমি সব ভেবে চিন্তে বলছি। তারা কাজী সাথে করে নিয়ে এসেছে?

-হ্যাঁ।

জয়তি আনাবিয়ার রুম থেকে বেরিয়ে আসে। ড্রইংরুমে এসে বলে,

-আনাবিয়া বিয়ে করতে রাজি।

ইরান অবাক হয়। এতক্ষন পর সে মাথা তুলে তাকায়। কঠিন চাহনি নিক্ষেপ করে মায়ের দিকে। তনুসফা রাকিয়ার কানের সামনে মুখ নিয়ে ধীর কণ্ঠে বলে,

-মেয়ে যে ভালো নয় এটা আমি আগেই বলছিলাম।

অতঃপর সকল নিয়ম-কানুন মেনে হয়ে যায় ইরান ও আনাবিয়ার বিয়ে। পুরোটা সময় ইরান একদম গম্ভীর মুখ নীরব ছিল। আনাবিয়ার অবস্থাও তেমন একটা ভালো ছিল না। বিয়ে তো করছে এখন সামনে কী হবে সৃষ্টিকর্তাই জানে!

ইরান সবার থেকে বিদায় নিয়ে আগে আগেই চলে যায়। হসপিটালে শুধু তার পিএ আর জেসিকা আছে। তাই তাড়া দেখিয়ে ইরান চলে যায়। তনুসফা আর রাকিয়া আনাবিয়াকে শেখ বাড়িতে নিয়ে আসে। শেখ বাড়ির মুখ্য দরজার স্মুখীন এসে দাঁড়ায় আনাবিয়া। নেকাবের আড়ালে মুখে তার পৌঁশাচিক হাসি। বাড়ির ভিতরে ঢুকে তনুসফা তাড়া দেখিয়ে চলে যায়। মেয়ের আচরণে মন ক্ষুন্ন হয় রাকিয়া শেখের। দুইজন ভৃত্যকে বলে আনাবিয়াকে ইরানের কক্ষে দিয়ে আসতে। রাকিয়া শাশুড়ি হিসেবে নিজ দায়িত্বে আনাবিয়াকে বলে কোনো প্রয়োজন হলে তাকে বলতে।
আনাবিয়া সবাইকে পরোক্ষ করছে। এই বৃদ্ধ নারীকে তার একটু ভালো লেগেছে। ভৃত্যদের সাথে ইরানের রুমে আসে। অন্ধকারে আচ্ছন্ন রুমে কৃত্রিম বাতি জ্বালিয়ে আলোকিত করে দেয়। ভৃত্যরা যেতে নিলেই আনাবিয়া তাঁদের বলে,

-এই দাঁড়াও, ইরান শেখ কখন আসবে?

-মালিক আজ আসবে না। হসপিটালে ছোট মালিকের সাথে থাকবে।

-ওকে।

ভৃত্যরা যেতেই দরজা লাগিয়ে দেয় আনাবিয়া। বোরখা খুলে শান্ত ভঙ্গিতে নরম বিছানায় বসে। ওপর দিয়ে শান্ত থাকলেও তার ভিতরে এখন ঝড় চলছে। পুরো পরিকল্পনা এখন পরিবর্তন করতে হবে। সে ভেবেছিল সব কিছু জলদি জলদি করে রাশিয়া চলে যাবে কিন্তু এখন জলদি কিভাবে হবে! নিজেকে যথাসম্ভব স্বাভাবিক রেখে উঠে দাঁড়ায়। ঘুরে ঘুরে পুরো রুম দেখতে থাকে। বাংলাদেশ হলেও রুমের ফার্নিচার থেকে শুরু করে সব কিছুতেই বিদেশী বিদেশী ভাব আছে। আনাবিয়া প্রথমে আলমিরা খুলে। ছেলেদের পোশাক দিয়ে আলমিরা একদম ভর্তি। মুখ বেঁকিয়ে কাবাড খুলে। এটাও ছেলেদেরই পোশাক। অনেক খুঁজে আনাবিয়া একটি টাউজার আর টি-শার্ট নিয়ে। লম্বা একটা হ*ট শাওয়ার নিয়ে বের হয়। তৌয়ালে দিয়ে চুল মুছতে মুছতে ডিভাইনের ওপর আয়েস করে বসে পরে। একজন ভৃত্য এসে আনাবিয়ার জন্য রাতে খাবার দিয়ে যায়।

আনাবিয়া রুমে চোখ বুলিয়ে কিছু একটা খুঁজছে। এই চকচকে আলোতে তার চোখ জ্বালাতন করছে। অবশেষে সুইচবক্স পেয়ে যায়। সাদা আলোর বাতি নিভিয়ে হালকা বেগুনি রঙের ড্রিমলাইট জ্বালিয়ে দেয়।
এখন রাত ১২ টা। বাড়ির কেউ আর একবারও আসেনি তার খোঁজ নিতে। না এসে ভালোই করেছে আনাবিয়ার মতে! অন্ধকারে আয়নার সামনে বসে নিজেকে দেখছে আনাবিয়া। দরজা লাগানোর শব্দ পেতেই আয়নার দিকে তাকিয়ে দেখতে পায় একজন পুরুষ অবয়ন দরজা লাগাচ্ছে। আনাবিয়া ভড়কে যায়। দরজা তো ভিতর দিয়ে লাগানো তাহলে খুললো কিভাবে! হতে পারে তার কাছে খোলার চাবি আছে।

আনাবিয়া আগের ভঙ্গিতেই বসে রইলো। ইরান দরজা লাগিয়ে পিছনে ফিরে। সধ্য বিয়ে করা স্ত্রীকে দেখে বাঁকা হাসে সে। বুকে দুইহাত গুঁজে চেয়ালের সাথে লেগে দাঁড়ায়।

-ডক্টর আনাবিয়া সাবরিন শর্ট ফ্রম “আনা”। সুদূর রাশিয়ার অধিবাসী। নিজ স্বপ্ন মাঝ পথে ছেড়ে এই বাংলাদেশে কোন উদ্দেশ্যে এসেছে জানতে পারি?

আনাবিয়া চমকালো। ভীষণ ভাবে চমকালো। কিছু মুহূর্তেই ইরান শেখ কিভাবে তার সমন্ধে এতো কিছু জেনে গেলো! আনাবিয়া সহজে ভেঙে যাওয়ার পাত্রী নয়। গম্ভীর কণ্ঠস্বরে বলে,

-বাহ্! এমপি ইরান শেখ আগের থেকেই আনাবিয়া নামক বইয়ের অর্ধেক পৃষ্ঠার পড়ে ফেলেছে! উম আই এম ইমপ্রেস।

>>>>চলবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধ
গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ