Monday, October 6, 2025







বাড়ি"ধারাবাহিক গল্প"শূণ্যতায় পূর্ণতাশূণ্যতায় পূর্ণতা পর্ব -১০ (শেষ পর্ব)

শূণ্যতায় পূর্ণতা পর্ব -১০ (শেষ পর্ব)

#শূণ্যতায় পূর্ণতা
#নুরুন্নাহার তিথি
#পর্ব-১০(পূর্ণতা)

শিমু নিষ্পলক ভাবে চেয়ে আছে রিমুর দিকে আর রিমু করুন চোখে। শিমু কিয়ৎক্ষণ চুপ থাকে। রুহুল আমিন জানে শিমুকে আরেকটু ভয় দেখালে সে সব উগলে দিবে। রুহুল আমিন বলে,

–আমার সিফিলিস রোগ আছে। এখন যদি..

শিমু আৎকে উঠে। লোকটা তাকে যেভাবে গা’ন পয়েন্টে বিয়ে করেছে সেভাবে যদি অন্যকিছু করে? তাহলে তো তার জীবনটা মৃত্যুর মুখে চলে যাবে। রিমু তাকে বারবার মানা করছে তাও সে নিজের জীবন নষ্ট করতে পারবে না। রিমুর স্বামী তো রিমুকে খুব ভালোবাসে আর ওদের সন্তানের জন্য হলেও মাফ করবে। এসব ভেবে ভেবে শিমু পাগলপ্রায়। শিমু চুপ দেখে অদ্রি এবার ডেকোরেশনের লোককে বলে,

–বাসরঘরটা সুন্দর করে গোলাপ দিয়ে সাঁজাবেন। এক সুন্দরী রমণীর ফুলসজ্জা বলে কথা! বিভান তো জার্মান চলে গেছে তাই আজকে শিমু ও রুহুল আমিনের ফুলসজ্জা হবে।

শিমু এবার প্রচন্ড ভয় পেয়ে হড়বড়িয়ে বলে,
–না না। আমি কিছু করিনি। সব আপুর বুদ্ধি ছিল। আমি শুধু সাথে ছিলাম। বিভানকে আমার ভালোলাগে তাই আপুর কথায় আপুর সাথে ছিলাম। আমি নিজ হাতে কিচ্ছু করিনি বিশ্বাস করেন।

ইভান সাথে সাথে রিমুর দিকে চোখ বড় বড় তাকায়। সবাই রিমুর দিকে হতবাক হয়ে চেয়ে আছে। রিমুও নিজের বোনের দিকে নিষ্পলক দৃষ্টিতে অবাক হয়ে চেয়ে আছে। রিমু এসব কার জন্য করলো? সেই আজ এসব বলতে পারলো? শিমু সবটা স্বীকার করে মুখে হাত দিয়ে ফ্লোরে বসে পরে। আজ সবটা প্রকাশ পেয়েই গেলো। ওদের ঘৃণিত কর্মকাণ্ড আজ জনসমক্ষে প্রকাশিত ও চরম ভাবে ঘৃণিত। রীতিমত সবাই ছি ছি শুরু করেছে। ইভান নিজের হতবাকতার রেশ কাটিয়ে সবার সামনে রিমুকে সজোরে দুই গালে দুইটা চ’ড় বসিয়ে দেয়। রিমুর দুই গালে পাঁচ আঙুলের দাগ স্পষ্টতর। ইভানের মায়ের প্রেশার বেড়ে যাচ্ছে। সে রীতিমত ঘামছে। ইভানের বোন মাকে হাওয়া করছে আর ইভানের বোনজামাই মায়ের জন্য প্রেশারের ওষুধ এনে খাইয়ে দিয়েছে। অদ্রি একদম নিশ্চল ভঙিমায় বসে আছে। তার কোনো হেলদোল নেই। ইভান এবার রিমুর দুই গাল এক হাত দিয়ে রূঢ় ভাবে চেপে ধরে বলে,

–তোকে এতো মাথায় তো আমিই তুলেছি। আমি ভাবতেই পারিনি তুই এতো ঘৃণ্যতর কাজ করতে পারিস। তোর শত ভুলগুলোকে শোধরাতে তোকে বুঝিয়েছি। তোর পাশে ছিলাম। তুই আমার পরিবারের এতো বড় ক্ষতি করলি? কি দোষ করেছিল ওই সামনে বসা (অদ্রি) মেয়েটা? তোকে তো বড় বোনের মতোই দেখেছিল। তোর ছেলের জন্য তোর রাতে ঘুম হতোনা বলে দিনে মেয়েটা তোর ছেলেকে ও ঘর সামলে নিজের পড়াও পড়েছে। এতোকিছুর প্রতিদান এইভাবে দিলি? আজ থেকে তুই আমার ত্রিসীমানাতে আসবি না। আমার সাথে তোর সম্পর্ক শেষ চিরতরে। তোকে আমি এই মূহুর্তে তা..

অদ্রি এবার গম্ভীর ভাবে ইভানকে থামায়।
–থামেন ভাইয়া। এটা করবেন না। ভুলে যাবেন না আপনার এক ছেলেও আছে। তাকে একটা ভাঙা সম্পর্কের স্বীকার করবেন না। আপনি আজ রাগ ও ঘৃণার বসে রিমু ভাবীকে তালাক দিলে আর কিন্তু তাকে বিয়ে করতে পারবেন না। যতক্ষন না আপনি ও রিমু ভাবী অন্যকাউকে বিয়ে করবেন ও রিমু ভাবী তার থেকেও তালাক প্রাপ্ত হবে। রিহাবের দিকটা ভাববেন।

অদ্রি সেখান থেকে উঠে চলে যায়। কাল ফ্লাইটে সেও দেশত্যা’গ করে জার্মানিতে যাবে। সে যাবে এটা কেও জানবে না। অদ্রি সেখান থেকে চলে যাবার পর ইভান তার শ্বশুর-শাশুড়ির উদ্দেশ্যে বলে,

–দয়া করে যাবার সময় আপনাদের দুই মেয়েকে নিয়ে যাবেন। আপনার মেয়েকে ডিভোর্স দিলাম না ছেলের কথা চিন্তা করে। তবে তার সাথে সংসার করার রুচি আমার নেই। আমার ৬ বছরের ছেলের চোখেও আপনি তার মায়ের প্রতি ঘৃণা দেখতে পাচ্ছেন নিশ্চয়? রিহাব তার চাচাতো ভাই-বোনের জন্য কতোটা কেঁদেছে তা আমি দেখেছি। ৬ বছর হলেও আমার ছেলে তার চাচার মতো মেধা পেয়েছে বিধায় সো পরিস্থিতি বুঝতে পারে। নিয়ে যাবেন দয়া করে এদের। যদি আপনার মেয়ের ইচ্ছে হয় তবে সে এই বিবাহবন্ধন ছিন্ন করতে পারে। তখন আমি বাঁধা দিবো না।

রিমু হুইল চেয়ার থেকে বহু কষ্টে উঠে ফ্লোরে ছেঁচড়ে ছেঁচড়ে ইভানের পা ধরে। তার কাকুতিমিনতি করে বলে,

–এমনটা করো না আমার সাথে। আমার অন্যায় হয়ে গেছে। আমি বিবেকহীন হয়ে গেছিলাম। মাফ করে দেও দয়া করে।

ইভান দূরে সরে গিয়ে রূঢ় ভাবে বলে,
–না। যে পাপ তুমি করেছো সেই পাপের শাস্তি তোমাকে পেতেই হবে। পুলিশে দিলাম না কিন্তু আজীবন তুমি বিচ্ছেদ যন্ত্রনায় ভুগবে। আমাকে তুমি নিজের মতো অনেক চালিয়েছো। তোমার এই কর্মের জন্য আজ আমিও খানিকটা অপরাধী। তোমাকে সহ্য হচ্ছে না আমার। ঘৃণা হচ্ছে তোমাকে ও তোমার বোনকে।

এই বলে ইভান ফ্লোরে থুথু ফেলে। রিমু স্তব্ধ হয়ে যায়। পাথরের মতো হয়ে বসে রয় সেখানে। ইভান রিহাবের দিকে তাকায়। রিহাব চোখ-মুখ শক্ত করে তার মায়ের দিকে তাকিয়ে আছে। রিহাব দৌড়ে সেখান থেকে চলে যায়। ইভান বুঝে গেছে তার ছেলে কতোটা কস্ট পেয়েছে তার মায়ের কাজে। ইভান যায় না আর ছেলের কাছে। রিহাব যেদিন ইচ্ছে, যখন ইচ্ছে তার মায়ের কাছে যাবে।

রিমুর বাবাও দুই মেয়েকে কতোগুলা চ’ড় মেরে চোখ মুছতে থাকে। রিমুর মা তার স্বামীকে ধরে টেনে এনেছে। সবাইকে ইরার স্বামী বুঝিয়ে সুজিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে।

অদ্রি সন্ধ্যার আগেই সবার অগোচরে বেরিয়ে পরে। রুহুল আমিন শিমুর মুখের উপর নকল রেজেস্ট্রি পেপার ছিঁড়ে চলে যায়। শিমু সবটাতে একদম বাকশূন্য ছিলো।

ইভান তার মা, ছেলে, নিহা, বোন ও বোনজামাইকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যায়। রাস্তায় ইভানের মা কান্না ও আফসোস করতে করতে সকালে বিভানের বলা কথা গুলো বলে। বাড়ি ফিরে যখন দেখে বাড়ি তালা দেয়া তখন ইভান দারোয়ানকে ডেকে জিজ্ঞাসা করে,

–অদ্রি আসেনি? রিসোর্টের দারোয়ান তো বললো অদ্রি বেরিয়ে গেছে।

দারোয়ান অবাক হয়ে বলে,
–না তো স্যার। ছোট মেডাম তো আহে নাই।

ইভান এবার অদ্রির নাম্বারে কল করে কিন্তু ফোন সুইচড অফ। নিহা তখন ইভানের সামনে গিয়ে বলে,

–ভাইয়া। আমার সাথে বিভান জিজুর বিয়ে হয়নি। সবটা একটা সাঁজানো ছিল। আমার সাথে রিয়ানের বিয়ে হয়েছে আর বিভান জিজু তো সকালেই দেশ ছেড়ে চলে গেছে। কিন্তু অদ্রি আপু কোথায় গেছে তা আমরা জানিনা।

ইভানরা অবাক হলেও সেটা ছাঁপিয়ে এবার টেনশনে পরে যায়। ইভান অদ্রির বাবা-মাকেও ফোন করে কিন্তু অদ্রি সেখানেও নেই। রাত ৮ টার মতো বাজে। কোথাও নেই অদ্রি। এয়ারপোর্টেও খোঁজা হয়েছে। কোথাও নেই। মিসিং ডায়েরি করতে চাইল কিন্তু অদ্রি তো সেচ্ছায় হারিয়ে গেছে!
অদ্রির মামা, খালা, চাচা, ফুফি সবার কাছে খবর নেওয়া হয়েছে। কোথাও যায়নি অদ্রি। বন্ধু-বান্ধবরাও জানেনা। ইভান বিভানের সাথেও কন্টাক্ট করতে পারছেনা।

________
অদ্রি হাইওয়েতে ওই ব্রিজের সামনে দাঁড়িয়ে সগোউক্তি করে,

“এই শহরে আমার নিঁখোজ হওয়ার বিজ্ঞাপন ছেঁপে যাবে তারপর নতুন সূর্য হয়ে আমি আবার উদিত হবো আমার শূণ্যতায় যে পূর্ণতা তার আকাশে।”

সিলেট যাওয়ার বাসে উঠে পরে অদ্রি। কাল সকালে সিলেট থেকে ভেঙে ভেঙে জার্মানিতে যাবে সে।

পরেরদিন সকালে বিভান জার্মানিতে পৌঁছে অদ্রিকে কল করে বন্ধ পায় নাম্বার। তারপর রিয়ানকে কল করে জানতে পারে অদ্রিকে পাওয়া যাচ্ছে না। বিভান তার ভাইকে ফোন দেয়। ইভানের ফোন রিহাব তুলে। বিভান বলে,

–ভাই অদ্রির কোনো খোঁজ পেয়েছো?

রিহাব নিজের কাকার কথা শুনে বলে,
–ছোটমাকে পাওয়া যায়নি চাচ্চু। স্যরি আমার আম্মুর জন্য এসব হলো।

বিভান নরম স্বরে বলে,
–না বাবা। এতে তোমার মায়ের কি দোষ বলো? তোমার ছোটমা চলে আসবে দেখো।

রিহাব গম্ভীর স্বরে বলে,
–তুমি তাহলে জানো না কিছুই। তোমাদের বেবিগুলো আমার আম্মু মে’রে ফেলেছে।

বিভান যেনো ঝটকা খেলো। তার হাত থেকে ফোনটা পরে গেলো। চোখ ফেটে জল গড়াচ্ছে তার। বিশ্বাস হচ্ছে না কিছুই। স্তব্ধ হয়ে আছে সে। কিছুক্ষন পর হাউমাউ করে কাঁদতে থাকে সে। বিভানের প্রফেসর মিস্টার রাসিফ আলী বিভানের চিৎকার শুনে গেস্টরুমে আসে। বিভান তাকে ধরে কাঁদতে থাকে।

উল্লেখ্যঃ রাসিফ আলী সবটা কিছুদিন আগে জানতে পেরেছিলেন।

রাসিফ আলী বিভানে স্বান্তনা দিয়ে বলে,
–সব ঠিক হয়ে যাবে দেখো। ধৈর্য ধরো।

________
পরেরদিন অদ্রি জার্মানিতে পৌঁছায়। মিস্টার রাসিফ আলী বিভানকে অদ্রির আগমনের কথা জানায়নি। বিভান সারারাত বিছানার হেডবোর্ডে পিঠ ঠেকিয়ে বসে ছিল। তার সবকিছু শূণ্য শূণ্য লাগছে। তার শূণ্যতা পূর্ণ করতে যে অদ্রিকে চাই।

অদ্রি মিস্টার রাসিফ আলীর বাড়িতে আসলে তিনি তাকে বিভানের অবস্থার কথা জানায়। অদ্রি ব্যাগটা রেখে বিভানের রুমের দরজাতে কড়া নাড়ে। ভিতর থেকে বিভান কোনো সাড়াশব্দ দেয়না। আবারো কড়াঘাত করলে বিভান ভাঙা গলায় বলে,

–প্লিজ লিভ মি এলোন স্যার।

অদ্রি একটা কাগজে কিছু লেখে তারপর আবারো কড়া নাড়ে। বিভান আবারো একই জবাব দেয়। অদ্রি কাগজটা দরজার নিচ দিয়ে ওপাশে পাঠিয়ে দিয়ে পরপর তিনবার কড়া নাড়ে।

বিভান এবার বিরক্ত হয়ে দরজার কাছে এসে বলে,
–স্যার আই বেগ টু ইউ। প্লিজ লিভ মি এলোন।

বিভান চলে যেতে নিলে অদ্রি অপরপাশ থেকে আবারো কড়া নাড়ে। বিভান পেছোন ঘুরে দরজার দিকে তাকালে নিচে একটা কাগজ দেখতে পায়। ভ্রুঁ কুঁচকে সেটা তুলে নেয়। সেখানে লেখা,

“নিঁখোজ বিজ্ঞাপন ছাঁপিয়ে তোমার শূণ্য হৃদয় পূর্ণ করতে তোমার হৃদয়হরণীকে স্বাগতম করবে না?”

বিভান কিছুক্ষন লেখাটা পড়ে থম মেরে থাকে। তারপর তৎক্ষণাৎ দরজা খুলে দেখে অদ্রি ও মিস্টার রাসিফ আলী হাসি মুখে দাঁড়িয়ে আছে। অদ্রিকে দেখে বিভান নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পেরে জড়িয়ে ধরে। তার চোখের কোন বেয়ে নোনাজলের ধারা বয়। দুজনের চোখে আজ নোনাজল। মূল্যবান কিছু হারানোর। নিজেদের আবারো পূর্ণমিলনের।
বিভান সগোউক্তি করে,

–আমার তোমাকে সব ক্ষেত্রে লাগবে। আমার হৃদয়ের শূণ্যতায় তুমি আল্লাহ্ প্রদত্ত পূর্ণতা।

পরাশিষ্টঃ
পাঁচ বছর পর। অদ্রি ও বিভান নিজেদের সাড়ে তিন বছরের মেয়েকে নিয়ে দেশে ফিরছে। রিমুকে আজ অদ্রি নিজে ফোন করে ওই বাড়িতে আসতে বলেছে। ইভান এখন অনেকটা বদলে গেছে। সে এখন শুধু নিজের বিজনেসের ও ছেলের দিকেই মনোযোগ দেয়। রিমুকে সে অনেকটাই ভালোবাসতো। তার জায়গায় কাউকে বসানোর ইচ্ছে হয়নি।
শিমুকে কেউ বিয়ে করতে রাজী হয়নি। শিমু সবার তিরস্কার পেয়ে ও রিজেক্টেড হয়ে হয়ে আজ বদ্ধ পাগল। রিমুও একবার স্ট্রোক করে বসেছে। এক পাশ তার প্যারালাইজড।

নিজের ছেলে, অদ্রিকে ও নাতনীকে দেখে বিভানের মা তিনজনকে জড়িয়ে কেঁদে উঠে। বাকিরাও চোখ মুছছে। ইভান এক জায়গায় স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ছেলেকে নিয়ে। এতো বছরেও ইভান নিজের ভাইয়ের সাথে মন খুলে কথা বলার সাহস পায়নি। বিভান মায়ের কান্না থামিয়ে ভাইকে জড়িয়ে ধরে। দুই ভাই দুজনকে ধরে নিরবে অশ্রু বহাতে থাকে।

কিয়ৎক্ষণ পর সদর দরজায় হুইল চেয়ারে রিমুকে ও রিমুর পেছোনে রিমুর বাবা-মাকে দেখে ইভান নিজের চোখ-মুখ শক্ত করে ফেলে। ইভান চিৎকার করতে নিলে অদ্রি গিয়ে রিমুর হুইল চেয়ার সহ ভিতরে আনে। তারপর হাসিমাখা মুখে সকলের উদ্দেশ্যে বলে,

–মাফ করে দিন ভাবীকে। সে এবং শিমু তাদের পাপের শাস্তি পেয়েছে। আমি ও বিভানও এখন ভালো আছি অনেক। রিহাব ও ইভান ভাইয়ার শূণ্যতা তো রিমু ভাবীর জন্য। মাফ করে দিন তাকে।

রিমুও কাঁদতে থাকে। অদ্রির হাতে মাথা কাত করে কাঁদতে থাকে। অদ্রি রিহাবকে ইশারা করে তার মায়ের কাছে আসতে। রিহাব এখন ১১ বছরের। পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ে এখন। রিহাবে তার মায়ের পায়ের কাছে বসে মায়ের কোলে মাথা রাখে। রিমু নিজের এক হাত ছেলের মাথায় রাখে। ইভান বিভানকে জড়িয়ে কাঁদে। অদ্রির শাশুড়ি ও ননাশ ওরাও চোখের জল মুছে।

সব শূণ্যতা পূর্ন হয়ে আজ তারা সবাই খুশি।

সমাপ্ত

পূর্ববর্তী নিবন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধ
গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ