Monday, October 6, 2025







শত্রু শত্রু খেলা পর্ব-১০

#শত্রু_শত্রু_খেলা
#পর্ব_১০
#মেঘা_সুবাশ্রী (লেখিকা)

প্রকৃতিতে এখন বসন্তকাল হলেও সন্ধ্যোর পর থেকে দমকা হাওয়াসহ ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ক্ষণে ক্ষণে বজ্রপাতসহ বিজলিও চমকাচ্ছে। চারদিকে বাতাসের শো শো শব্দের প্রতিধ্বনি হচ্ছে। বৃষ্টির পানির ছিঁটে পড়ার কারণে দরজা জানালা সব বন্ধ করে নিজ কাজে মনোযোগ দিয়ে বসে আছে সৌরভ। পড়ার স্তূপ পড়ে আছে তার সামনে। আজকাল তারও পড়তে ইচ্ছে করে না। কিন্তু না চাইলেও পড়তে হবে তাকে। এটাই তার একাডেমিক জীবনের শেষ পড়া। পূর্ণ মনোযোগের সাথে সে বইয়ের মধ্যে ডুবে আছে।

দৈবাৎ ভো ভো কম্পিত শব্দে তার মোবাইল কেঁপে উঠলো। সৌরভ চমকালো। এই অবেলায় থাকে কল দিলো কে। নাম্বার দেখে ভ্রু কুঁচকালো এই নাম্বার সে চিনে না। প্রথমবার অগ্রাহ্য করলেও শেষে রিসিভ করলো কোনো প্রয়োজনীয় কল ভেবে। কিন্তু মেয়েলী কন্ঠ ভেবে থমকালো। নিজেকে ধাতস্থ করে প্রশ্ন করলো,

কাকে চাই?

অপর পাশের কম্পিত কন্ঠস্বর। কাঁপা কাঁপা গলায় বলল আমি কি আপনার সাথে একটু কথা বলতে পারি ভাইয়া।

প্রয়োজনীয় হলে বলতে পারেন। অপ্রয়োজনীয় হলে রেখে দিন। আমার অতো সময় নেই আপনার সাথে গল্প করার।

আপনি কাউকে পছন্দ করেন?

মেজাজ চটে গেলো সৌরভের। কোথায় থেকে আসে এই আকাইম্মাগুলা? আমি কাকে পছন্দ করবো আর কাকে করবো না সেটা কি এদেরকে বলতে হবে না’কি? তিরিক্ষি মেজাজে বললো,

হাও রিডিকিউলাস! আমি প্রথমেই বলেছি প্রয়োজনীয় হলে কথা বলুন নয়তো রেখে দেন। আপনার ঐ প্রশ্নের জবাব দেয়ার প্রয়োজন আছে বলে তো মনে হচ্ছে না। এটা একান্তই আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এবার ফোন রাখতে পারেন। আর হ্যাঁ, দ্বিতীয়বার কল করবেন তো কথা বলার মতো অবস্থায় আপনি থাকবেন না। মনে থাকে যেনো। ‘ইডিয়ট’

অপর পাশের মেয়েটির অপেক্ষা করলো না। সে নিজেই কল কেটে ফোন বিছানায় ছুড়ে ফেললো। মেজাজ শান্ত করতে বারান্দায় ছুটে গেলো। বৃষ্টির মধ্যে যদি নিজের রাগ পানি হয়ে ধুয়ে যায়।

বারান্দায় বসে বৃষ্টির মধ্যে নিজেকে স্নিগ্ধ করছে। কিন্তু আনমনে এক অপ্রত্যাশিত জিনিস দেখে সে থমকালো।

প্রিয়া বারান্দায় বসে আপনমনে বৃষ্টি বিলাস করছে। তার এলোমেলো খোলা চুলগুলো বাতাসের সাথে উড়ে উড়ে জলকেলি খেলছে। বিজলি চমকানোর ক্ষীয়মান আলোতে মেয়েটার বিমূর্ত প্রতিচ্ছবি স্পষ্ট বিদ্যমান।

সৌরভের দৃষ্টি এখনো বিমূর্ত প্রিয়ার দিকে নিবদ্ধ। কতক্ষণ সময় পেরিয়েছে সৌরভ নিজেই জানে না। আচমকা তার হুঁশ এলো। সে এভাবে মেয়েটাকে দেখছে কেনো? তার মাথা গেছে নাকি?

কিন্তু প্রিয়ার কোনো হেলদোল নেই। সে বৃষ্টিকন্যা হয়ে বসে আছে চুপটি করে। এই বৃষ্টি দেখলে তার কেমন প্রেম প্রেম পায়। সে জানে না কেনো? কিসের জন্য? তবে অদ্ভুত সব অনূভুতি এসে জমা হয় তার মানসপটে। তাই ছুটে আসে নিজের অজ্ঞাত অনূভুতিকে বুঝার জন্য। নিজের অর্ধভেজা তনু লেপ্টে আছে বারান্দার দেয়ালের সাথে। তার দৃষ্টি নিবন্ধ পাশের বড় আমগাছের দিকে। সেখানে গাছের পাতা থেকে বৃষ্টি পড়ার টুপ টুপ শব্দ আসছে। সে না চাইতেও মনটা সেখানে আটকে আছে।

চৈতন্যহীন প্রিয়ার পাশে যে আরও একজন ব্যক্তি আছে সেই সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞাত সে। অথচ সেই ব্যক্তির সম্পূর্ণ দৃষ্টি জুড়ে ছিল তার প্রতি একরাশ মুগ্ধতা।

প্রিয়ার অর্ধভেজা শরীর দেখে সৌরভের হুঁশ এলো। সে কর্কশ গলায় চেঁচালো,

এই ভূত্নীই, খুব শখ হচ্ছে বুঝি এই রাতে ভিজে জ্বর বাঁধানোর।

প্রিয়া বিদ্যুৎ চমকানোর মতই চমকে উঠলো। সে সৌরভ থাকলে খুব একটা বারান্দায় আসেনা। তার উপর তার শরীরের অর্ধেক ভিজে লেপ্টে আছে। ছিঃ! কি বিচ্ছিরি লাগছে তাকে। নিজেকে নিজে শ’ খানেক গা*লি দিলো। এত জ্ঞানশূন্য কখন হলো সে। লজ্জায় আর জড়োতায় কাচুমাচু করছিলো। গায়ের ওড়না ঠিক করলো দ্রুতই। প্রতিত্তোরে কি বলবে কোনো কথাই খুঁজে পাচ্ছে না।

সৌরভ নিশব্দে হাসলো। প্রিয়ার এমন লজ্জামাখা মুখ দেখলে মেয়েটাকে কেমন আদুরে আদুরে লাগে তার কাছে। তাই তো মেয়েটাকে সে বার বার লজ্জা দেয়। বৃষ্টিময় তিমির রাতে সৌরভের হাসি-মাখা মুখ প্রিয়ার নজরে এলো না। প্রিয়ার দৃষ্টি নত হয়ে আছে তখন থেকেই। আজকাল যখন তখন সে এই ছেলের সামনে লজ্জায় পড়ে যাই।

সৌরভ এবার কোমল গলায় বললো,

বাসায় চলে যাও। নয়তো ঠান্ডা লেগে পরে জ্বর উঠবে। এভাবে অসময়ের বৃষ্টিতে ভিজা ঠিক না।

প্রিয়া চলে যাওয়ার জন্য উদ্ধত হলেই পিছন থেকে সৌরভ ডেকে উঠলো,

প্রিয়া শোনো,

জ্বী, কিছু বলবেন?

সৌরভ কি বলবে এখন। মেয়েটাকে কেনো ডেকেছে সে নিজেই জানে না। আমতা আমতা করতে লাগলো।

তুমি দ্রুত কাপড় চেইঞ্জ করে নাও। পড়াশোনা কি সব ছেড়ে দিয়েছো? যাও পড়তে বসো।

আচ্ছা, বলে মাথা নাড়ায় প্রিয়া। তারপর নৈশব্দে প্রস্থান করে দ্রুত।

সৌরভ দীর্ঘ এক শ্বাস ছাড়ে কি বলতে কি বলেছে সে নিজেই জানে না। তবে তার মনটা স্নিগ্ধ এক সজীবতায় ভরে গেছে। সেও বারান্দার দরজা লাগিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে। বিরক্তিকর মনটা এখন বেশ ফুরফুরে আছে।

রাতের গভীরতা ক্রমশ বাড়ছে। বাইরে এখন বৃষ্টি নেই বরং অন্তরীক্ষে শুভ্র এক ফালি চাঁদের কিরণে উজ্জ্বল হয়ে আছে। সৌরভ হেলান দিয়ে শুয়ে আছে। চোখের কোণে ঘুম আসি আসি করছে। আচানক তার বেহায়া মোবাইল সশব্দে ভো ভো করে কেঁপে উঠলো। সৌরভ প্রচন্ড বিরক্তবোধ করলো। কিন্তু নাম্বার দেখে পুরাই দস্তুর অবাক।

সে জানে না, কখনো দেখেনি এই নাম্বার? কিছু একটা চিন্তা করে কলটা রিসিভ করলো। কিন্তু অপর পাশের পুরুষালি ব্যক্তিটির কথা শুনেই কিংকর্তব্যবিমূঢ়। বুঝার চেষ্টা করছে ব্যক্তিটি চাইছে কি?

ভাই আমারে বাঁচান, আমার অনেক সমস্যা। বিশ্বাস করেন আমি বেশি যৌন সমস্যায় ভুগতেছি। আপনি যেখানে বলবেন আমি আসব? যত টাকা চান আমি দিবো তাও আমারে বাঁচান। যদি বলেন রাতে আপনার বাড়ি আসতে তাও আসবো শুধু আমার সমস্যাটা ভালো করে দেন,,,, বাকিটা বলার আগেই সৌরভ রামধমক দিলো।

মাথা গেছে নাকি আপনার? কোত্থেকে কল দিছেন? কি সব আবোল তাবোল বকতেছেন? আর কিসের সমস্যা দূর করবো আমি, রাখেন তো মিয়া।

সৌরভ ভেবে পাই না এত রাতে তার কাছে কিসের সমস্যার সমাধান চাই। লাইট নিভিয়ে শুয়ে পড়লো সে। যদি মাথাটা ঠান্ডা হয় তার।

________________

ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলো প্রিয়া প্রীতি। আচমকা প্রত্যুষ এলো তাদের কাছে। প্রিয়া অবাক না হলেও প্রীতি অবাক হলো প্রত্যুষকে দেখে।

প্রত্যুষ বোনের বিছানায় বসে আবদার করলো আপু আজকে আমি তোমাদের সাথে ঘুমায়। প্রিয়া বলার আগেই প্রীতিই বললো ঘুমা, কিসের সমস্যা ঘুমাইলে। তবে শর্ত একটাই হাত পা ছোড়াছুড়ি করতে পারবি না, সটান হয়ে ঘুমাবি, পারবি?

প্রত্যুষ ভাবলো কিছুক্ষণ। কি বলবে উত্তর গোচ্ছাছিলো। তারপর আচমকা বললো জানো আপু আজকে আমাদের স্কুলে কি হয়েছে?

প্রিয়া ভাইয়ের কান্ড দেখে মনে মনে হাসছে। কিন্তু চোখমুখ শক্ত করে বললো না বললে জানবো কি করে?

প্রত্যুষের ভয় কেটে গেছে। এবার হাসি মুখে বললো জানো আপু, আমাদের ক্লাশের তিয়াশ আছে না সে রাফিদের ব্যাগ থেকে টাকা চুরি করেছে। তিয়াশকে সবাই এখন চোর বলে ডাকে। তার সাথে কেউ কথা বলে না।

তুই দেখেছিস তিয়াশকে চুরি করতে।

না আপু, আমি তো দেখেনি কিন্তু আয়ানরা বলেছে তিয়াশ একটা চোর। সে সবার ব্যাগ থেকে টাকা চুরি করে। তার বাবাও একটা চোর। আরও অনেক কথা বলেছে তাকে।

শোন প্রত্যুষ, কখনো কারো কথা শুনে কোনো কিছু বিশ্বাস করবি না। যদি নিজের চোখে না দেখিস। তবে হ্যাঁ’ দেখার পরও ভালো করে যাচাই করবি তুই যা দেখেছিস তা সত্যিই কিনা?

আচ্ছা, আপু।

তুই তিয়াশকে চোর ডাকবি না। কালকে গিয়ে তিয়াশকে সরি বলবি। তারপর ওর থেকে আসল কথা জেনে নিবি। সবাই ওকে কেনো চোর ডাকে।

ঠিক আছে আপু।

এখন তুই উঠ আমাদের মাঝখানে ঘুমাবি। পারবি?

হ্যাঁ, পারবো তো। আপু আমাকে একটা ভূতের গল্প শোনাবে।

ডাইনী বুড়ির শোনালে হবে।

হুম হবে।

প্রিয়া ভাইয়ের মাথায় হাত রেখে আপনমনে গল্প শোনাতে লাগলো। গল্প শুনতে শুনতে প্রত্যুষ ঘুমিয়ে পড়েছে। প্রীতিও গভীর ঘুমে নিমগ্ন। কিন্তু তার চোখের ঘুম উধাও। অন্তরীক্ষে উদিত তারকারাজির দিকে তার অপলক দৃষ্টি। এক পশলা বৃষ্টির পর অন্তরীক্ষে চাঁদের এমন উজ্জ্বল দীপ্তি সত্যিই অসাধারণ!

___________

এদিকে ঘুম নেই সৌরভের দু’চোখে। কিছুক্ষণ পর পর তার মোবাইল কেঁপে উঠছে। শেষে বাধ্য হয়ে সে মোবাইল বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু সে ভেবে পায় না তার কাছে এরা কিসের সমস্যার সমাধান চাই।

দু’চোখ হাজার চেষ্টা করেও বন্ধ করতে পারলো না। বার বার একটা প্রশ্ন আসছে মনে এরা কারা ভাই? তার নাম্বার কোথায় পেলো?

চলবে,,,,,,,,,

গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ