Monday, October 6, 2025







বাড়ি"ধারাবাহিক গল্প"রাত যখন গভীররাত যখন গভীর ২ পর্ব-৩২+৩৩+৩৪

রাত যখন গভীর ২ পর্ব-৩২+৩৩+৩৪

#রাত_যখন_গভীর
#জান্নাতুল_মাওয়া_মহুয়া
#(jannatul_mawa_moho)
Season:02
Part :৩২
************
আরেকটা, মহিলা পুলিশ অফিসার এসে বলেঃ কি হচ্ছে টা কি?
আপনাদের,
দুজনের ঝগড়া তে পুলিশরা সবাই ও বিরক্ত। কখন যে আপনারা বিদায় হবেন।উফ।

তখনই, সবাই প্রবেশ করে পুলিশ স্টেশনে।
কামাল বলেঃ এই তো একটু পরে এই দুজন টম এন্ড জেরি কে নিয়ে যাবো হি হি।

রাবেয়া বলেঃ আরে,তোমার তো যেখানে সেখানে জোক্স দিতে হয়। অন্তত পক্ষে এখানে জোক্স না বললে ও পারতে।

সুমি বলেঃ আবার, তোমরা শুরু হয়ে যে ও না কিন্তু। রহমান,আপনি কিছু করেন?
আমার বেস্টি টা আর কতক্ষণ থাকবে জেলের মধ্যে??? বেচারি জান্নাত।

রহমান বলেঃ শান্ত হও। আমি একটা উকিল কে বলেছি।অবশ্য, কামাল সাহেব এর ও পরিচিত। উকিল একটু পর পৌঁছাবে।একটু অপেক্ষা করো।

কামাল বলেঃ কিরে?
পেত্নী জান্নাত?
কেমন লাগছে জেলে?
তোর হবু বর জানে তো?
নাকি আমি কল করবো?

জান্নাত অস্পষ্ট স্বরে বলেঃ তার জন্য তো এতো সব হলো।হুহ।

জান্নাত বলেঃ বাদ দে কামাল ওর কথা। আমাকে জাস্ট বের কর এখান থেকে।

রাবেয়া বলেঃ মুগ্ধ ভাইয়া, আপনি ঠিক আছেন তো?

মুগ্ধ অস্পষ্ট স্বরে বলেঃ যে খবর আপনার ননদীনি জান্নাত শুনালো।আমি যেটা
শুনলাম সেটা শুনে ভিতর টা ক্ষত বিক্ষত হয়ে গেছে। আজকের মতো কখনো এতটা খারাপ লাগে নি।ইয়া আল্লাহ পথ দেখান।

মুগ্ধ বলেঃআরে,ভাবি আমি একদম ঠিক আছি।যত দ্রুত বের হতে পারবো ততটা ভালো হবে।

সবাই অপেক্ষা করছে, উকিল এর জন্য। উকিল এসেছে। একটা পেপার দেখালো।সাথে সাথে দুজন কে মুক্ত করে দিলো।

সবাই চলে আসছিলো। তখনই, অফিসার মহিলা বলেঃ জান্নাত তোমার পাশে মুগ্ধ কে বেশ লাগে। দুজন দুজনার জন্য পারফেক্ট। এভাবে চলতে থাকুক আজীবন তোমাদের পথ চলা।ডা,মুগ্ধ বউয়ের যত্ন নিবেন কিন্তু।

জান্নাত লজ্জা পেল। কারণ, অফিসার তো সত্যি টা জানে না।

মুগ্ধ বলেঃ জি,ইনশাআল্লাহ।

সবাই গাড়ি তে উঠে পড়ে।
কামাল বলেঃ কই যাবা সবাই?
রাবেয়া বলেঃ চলো একটু ঘুরতে যাই।তাছাড়া, রহমান তো আমাদের মেহমান। সো হালকা ঘোরাঘুরি তো চলে।

কামাল বলেঃ আমার মামুনির কি হবে?
সে কি একা বাসায় আসতে পারবে?

সুমি বলেঃ চিন্তা করিস না।ইনশাআল্লাহ মেয়ে বড় হয়েছে ঠিক সামলে নিবে।
এখন তো তোর পিচ্চি মেয়ে আর পিচ্চি নেই।এখন সে ভার্সিটি তে পড়ছে।

সবাই কামাল এর হাতে ছেড়ে দে। সবাই কামাল কে বলে, যে কোন জায়গায় নিয়ে যেতে।কামাল এর পছন্দ মতো। কামাল আপন মনে এগিয়ে যাচ্ছে।

সাথে এগিয়ে যাচ্ছে সবাই । একটা সুন্দর সময় কাটানোর জন্য।।
💮

মিসেস রেহেনা অনেকটা সময় ধরে জান্নাত কে কল দিচ্ছে পাচ্ছে না।জান্নাত এর বাবা কে ও জানিয়ে দিয়েছে। কিন্তু কেউ কোন খবর পাচ্ছে না।

মিসেস রেহেনার প্রেশার বেড়ে যাচ্ছে। কারণ, জান্নাত এর খবর না পেলে তার প্রেশার বেড়ে যায়।

মিসেস রেহেনা আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে, প্রেশার এর ফলে ।রেহেনা কে অবাক করে দিয়ে। জান্নাত কল করেছে তখনই,

কল রিসিভ করে,
রেহেনা বলেঃ কিরে হতচ্ছাড়ি কই আছিস?আমার
প্রেশার বেড়ে যাচ্ছে। তাও তোর কোন খবর পাচ্ছিলাম না।
কই আছিস?
রিসিভ করিস নি কেন কল?

জান্নাত বলেঃ মা আমি ঠিক আছি। চিন্তা করিও না।তেঁতুল এর শরবত খাও ঠিক হয়ে যাবে।
ওষুধ টা ও খেয়ে নাও মা।আমি আর পিচ্চি নাই তো।এতো চিন্তা করলে কি চলে!

জান্নাত আবার বলেঃ ওহ হ্যাহ্যা মা।আমি রাবেয়া ও কামাল এর বাসায় থাকবো।কয়েক দিন।
থাকবো তো?

মিসেস রেহেনা চিন্তা করছে কি করা যায়। মিসেস রেহেনা লক্ষ্য করছে, জান্নাত বেশ কিছু দিন ধরে চুপচাপ হয়ে গেছে।সবসময় মন মরা হয়ে থাকে। তাই তিনি মেয়ের মন ঠিক করতে ওকে করে দেয়।

জান্নাত ও খুশী হয়ে গেছে। মোবাইল রেখে দিয়ে একটা চিৎকার করে দেয়।

মিসেস রেহেনা তার দুহাত তুলে বলে, ইয়া মাবুদ, ইয়া আল্লাহ পাক, আমার মেয়ে কে সুস্থ রাখো।আগের মতো করে দাও।সাথে, তার
কাজের প্রতি আরোও উন্নতি করে দাও।ওর মনে প্রশান্তি দাও।আর যেনো একটা ভালো সঙ্গী পাই।আমিন।

💮

💮
শাম্মি বলেঃ হাবিব এবার যে তোমার চোখ জোড়া বন্ধ করতে হবে?

হাবিব বলেঃ বাহ রে কেনো?
বন্ধ করতে হবে?
বলো?

শাম্মি বলেঃ চুপ একদম যা বললাম আপনাকে তাই করেন!
এদিকে আসেন।

এই বলে,শাম্মি তার দু’হাতে হাবিবের চোখ জোড়া বন্ধ করে দেয়। হাবিব চোখ বন্ধ করে হাঁটছে।আর পথ বলে দিচ্ছে, শাম্মি।

শাম্মি বলেঃ হাবিব চোখ জোড়া খুলে দেখো।

হাবিব চোখ জোড়া খুলে দেখে, সামনে একটা জাহাজ। খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে জাহাজ টাকে।

শাম্মি বলেঃ চলেন।যাই।

দুজন জাহাজে উঠে পড়ে।

শাম্মি বলেঃ আপনার জন্য কিছু কাপড় রাখা আছে পড়ে নেন।আমিও রেডি হয়ে আসি।বাম পাশে আপনার কেবিন। ওকে?

হাবিব বলেঃ আচ্ছা।।। ওকে

দুজন দু’দিকে কেবিনে চলে গেল। শাম্মি কাপড় টা পড়ে নেই।রেডি হয়ে বেরিয়ে আসে।
অন্য দিকে, হাবিব ও রেডি।

শাম্মি দেখে, হাবিব একটা সাদা শার্ট এবং পেন্ট পড়েছে। সাদা ড্রেসে হাবিব কে অসম্ভব ভালো দেখাচ্ছে।

হাবিব ডেবডেব করে তাকিয়ে আছে শাম্মির দিকে। হাবিব দেখে, শাম্মি চুল গুলো খোলা রেখেছে। গোলাপি রঙের একটা টপস এবং হালকা গোলাপি রঙের লেহেঙ্গার মতো রাউন্ড দেয়া আছে ড্রেসে।গলায় একটা নেকলেস। হাবিব বলেঃ হাই,মার ঢালা।

শাম্মি লজ্জা পেল। হাবিব এক পা দু পা করে এগিয়ে আসছে শাম্মির দিকে। হঠাৎ করে, শাম্মির কোমর টা জাপ্টে ধরে ফেলে।

হাবিব বলেঃ কিছু মনে করো না।প্লিজ শাম্মি।
আমি নিজেকে আর সংযত করতে পারি নি।কি যেনো অদৃশ্য একটা টান অনুভব করছি।যার ফলে এভাবে জাপ্টে ধরেছি।

তখনই শাম্মি বলেঃ হাবিব………

💮

💮
=>মামা!!!!!

ঐশী বলেঃ আবে রিনি আরেক টু জোরে ডাক দে।দেখছিস না কতো মানুষ আছে।

রিনি বলেঃ মা…..মামা।
দু প্লেট ফুচকা দেন।একদম ঝাল করে।

এবার কাজ হলো এটেন্সন পেলো।ফুচকা ওয়াকা দু প্লেট দিলো।দু জন ই টপাটপ মুখে দিয়ে দেয়। ১ মিনিটে শেষ করে ফেলে।

এবার,ঐশী বলেঃ মামা,আরও দু প্লেট। তবে,আরও ঝাল হতে হবে। আগের গুলো ঝাল কম ছিলো।

একটু পর, আবার দু প্লেট দিয়ে দিলো।আস্তে আস্তে মানুষ কমে যায়।

রিনি বলেঃ মামা ঝাল আরও বাড়িয়ে দেন।
ঐশী বলেঃ আমাকে ও।

ফুচকাওয়ালা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে তাদের দিকে। কারণ, অলরেডি লাল মরিচের গুঁড়োর জন্য ফুচকা লাল হয়ে গেছে। কিন্তু, এরা আরও ঝাল খুঁজছে।

ফুচকাওয়ালা কোন উপায় না পেয়ে, কাঁচা মরিচ গুঁড়ো গুঁড়ো করে দেয়।

দুজন এবার তৃপ্তি পাচ্ছে। দুজনের চোখে অশ্রু টলটল করছে। তবুও কেউ পানি চাইছে না।

দু’জন ই আবার ফুচকা অর্ডার করে। এবাবে করে, একজন ৫ প্লেট করে খেয়ে নিলো।রিনি টাকা টা পে করে দেয়। দুজনের মুখ লাল হয়ে যাই। চোখ জোড়া অশ্রুতে চকচক করছে।

গাড়ির কাছাকাছি গিয়ে, ড্রাইভার চাচা কে পেল রিনি।

রিনি বলেঃ চাচা আপনি আমার চাচা না!
একটা আবদার করি?

ড্রাইভার চাচা বলেঃকি আবদার বলো,?
তাছাড়া
মামুনি,তোমরা কি ঠিক আছো?
তোমাদেরকে এমন লাগছে কেন দেখতে?

রিনি বলেঃ আমি এবং ঐশী আমরা ঠিক আছি।
রিনি আবার কিছু একটা বলতে যাচ্ছি লো।
তখনই, ড্রাইভার চাচার মোবাইলে কল আসে।

কথা শেষ করে। কান্না করছে ড্রাইভার চাচা।

রিনি বলেঃ কি হয়েছে?

ড্রাইভার চাচা বলেঃ আমার মেয়ে এক্সিডেন্ট করেছে। আমার বউ জরুরি ডেকেছে। কিন্তু তোমাদের একা কেমনে রেখে যাবো?

রিনি বলেঃ আপনি কোন চিন্তা না করে যান
আমি ড্রাইভ করবো।তাছাড়া, ঐশী ও ড্রাইভ জানে।

ড্রাইভার চাচাকে আস্বস্ত করেছে রিনি।কোন সমস্যা হবে না বলেছে।ড্রাইভার চাচা যেতে চাচ্ছিলো না।জোর করে পাঠিয়ে দেয় রিনি।

রিনি এতক্ষণ লক্ষ্য করে নি।তার বান্ধুবী ঐশী তার পাশে নেই।রিনি ঐশী কে খুজতে লাগলো। কিন্তু পাচ্ছে না।

রিনি পুরো ক্যাম্পাসে খুঁজে যাচ্ছে।কিন্তু কোন হদিস পাচ্ছে না। হটাৎ করে, রিনির চোখ জোড়া পড়ে একটা ঘরে। সে ঘরে আছে, মাহমুদ।

রিনি দেখে, মাহমুদ স্যার এক নজরে তাকিয়ে আছে একটা মেয়ের দিকে। আর মেয়ে টা তৃপ্তি করে ফুচকা খাচ্ছে।

রিনির কেনো জানি সহ্য হচ্ছে না এমন দৃশ্য টা।রিনি চোখ সরিয়ে নেই। কারণ, তার বেস্টি কে খুঁজে বের করতে হবে। তাছাড়া, এসব দেখে রিনির বড্ড কষ্ট হয়।

রিনি সবখানে খুঁজে দেখেছে।তবে ছাদে দেখেনি।তাই,রিনি
ছাদের দিকে এগিয়ে গেছে। তখনই, রিনি একটা ছেলের কন্ঠ শুনতে পেল।

রিনি আস্তে আস্তে এগিয়ে যাচ্ছে কন্ঠ টার দিকে।

রিনি ছাদে উঠেছে।আন,
রিনি দেখতে পেল… ,……..

চলবে…..

#রাত_যখন_গভীর
#জান্নাতুল_মাওয়া_মহুয়া
#(jannatul_mawa_moho)
Season:02
Part :৩৩
************
রিনি আস্তে আস্তে এগিয়ে যাচ্ছে কন্ঠ টার দিকে।

রিনি ছাদে উঠেছে।অতঃপর
রিনি দেখতে পেল,
একটা ছেলে।কিন্তু ঐশী চোখ বন্ধ করে পড়ে আছে ছাঁদে।সেন্স লেস হয়ে।

ছেলে টার চোখ জোড়া নীল।
রিনি বলেঃ কে আপনি?
আমার বান্ধুবীর সাথে কি করছেন?
দূরে সরেন বলছি???

ছেলে টা বলেঃ আমি আলাউদ্দিন। আমি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম।তখন মেয়ে টা দেখি রাস্তা তে পড়ে আছে। আমি মেয়ে টাকে ঠান্ডা বাতাস পাই মতো ছাদে নিয়ে আসি।
মেয়ে টা মনে হয়, ঝাল কিছু বেশি খেয়েছে?তাই ঝাল এর প্রকোপ বেশি হয়ে সেন্স লেস হয়ে গেছে।

রিনি বলেঃআপনি কেমনে জানলেন?
তাছাড়া, ও এখন কেমন আছে?

আলাউদ্দিন বলেঃ আমি মেডিকেল এ পড়ি।
তাই বুঝতে দেরি হয়নি।একটু পর সেন্স ফিরবে।

বেশ কিছু সময় পর, ঐশী চোখ জোড়া খুলে দেখে। তার সামনে একটা ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। তার ঠিক পাশে আছে রিনি।

ঐশী বলেঃ কি হয়েছে আমার?
হঠাৎ করে মাথা টা চক্কর দিয়ে উঠে। আর কিছু মনে পড়ছে না। একটু বল কি হয়েছে রিনি।।

রিনি বলেঃ মিস্টার, আলাউদ্দিন তোকে সারিয়ে তুলেছে।এবার চল।বাসায় যায়। বাকিটা পরে বলবো।

ঐশী বলেঃ যাবো তবে আগে তারি কিনবো।আজকে খাবোই খাবো।

রিনি বলেঃ আবে আমি কই পাবো?
ড্রাইভার চাচা ও তো নাই।

আলাউদ্দিন বলেঃ এটা কোন ব্যাপার না চলেন।

আলাউদ্দিন তাদের তারি নিয়ে দেয়। তারপর, দুজন ই আলাউদ্দিন কে বিদায় দেয়। রিনি গাড়ি চালাচ্ছে। ঐশী পাশে বসে আছে।

ঐশী বলেঃ থাম এখানে।
এখানে খাই।

রিনি বলেঃ বাসার সামনে গিয়ে খাবো।যাতে খাওয়ার পর বাসায় প্রবেশ করতে পারি।

যেমন কথা তেমন কাজ। গাড়ি পার্ক করেছে। তারি গ্লাসে নিলো।দুজন ই খাচ্ছে।

বেশ কিছুক্ষণ পর,
রিনি বলে উঠেঃ ঐশী, মাথা টা চক্কর দিচ্ছে কেন?
চারপাশে, ধোঁয়াশা দেখছি।এমন কেন?

ঐশী বলেঃ আমি তো অন্ধকার দেখছি চারপাশে।

দুজন ই তারি সব শেষ করে নিয়েছে। প্রচুর মাথা ধরেছে।

হঠাৎ,
ঐশী দেখে,
রিনি তাকে রুমে নিয়ে যাচ্ছে। সুন্দর করে শুয়ে দিলো।ঐশী আরাম করে ঘুমিয়ে পড়লো।আবার, আলতো করে চোখ জোড়া খুলে বলে,ধন্যবাদ রিনি।

রিনি আলতো করে দেখে,
ঐশী তাকে তুলছে। তবে চোখ জোড়া কছলে ফেলে রিনি।তখন দেখে প্রিন্স।

রিনি বলেঃ হে হে।ঐশী তোরে এখন দে দে দে দেখতে প্রিন্স এর মতো লাগছে। এমন কেন?মনে হয় এই প্রিন্স আমাকে পাগল করে ছাড়বে।

আবার,
রিনি বলেঃ তোই আমার কোমরে শক্ত করে ধর।না হয় পড়ে যাবো।
আর শাড়ি টা সামনে থেকে ঠিক করে দে।
একদম পড়ে যাচ্ছে আঁচল টা।
জা জানিস ঐশী, আজকে এই জালিম মাহমুদ স্যার একটা মেয়ের ফুচকা খাওয়া অনেক তৃপ্তি করে দেখছিলো।
কেনো জানি আমার খারাপ লাগছে। বুকের মধ্যে চিনচিন করছে। হুহ।

রিনি আবার বলেঃ এই ঐশী তোই হাসিস কেন?কিছু তো বল?
দুঃখের কথা বলছি। আর তোই আমাকে নিয়ে হাসছিস।

রিনি বকবক করতে করতে ঘুমিয়ে পড়লো। রিনি কে সুন্দর করে শুয়ে দিলো। রিনি গভীর ঘুমে মগ্ন হয়ে ঘুমিয়ে পড়লো। একদম পিচ্চি মেয়ের মতো।শাড়ি টা এলোমেলো হয়ে গেছে। কালো শাড়ী তে একদম অপসারী লাগছিলো রিনি কে।

ঐশী ও রিনি গভীর ঘুমে মগ্ন হয়ে ঘুমিয়ে পড়লো। সকালের আলোতে, রিনির চোখ জোড়া খুলে দেখে,সে বাসায় তার রুমে ঘুমিয়ে ছিলো এতক্ষণ। পাশে দেখে ঐশী ও ঘুমিয়ে আছে।

রিনি মনে করার চেষ্টা করে কি হয়ে ছিলো রাতে?

রিনি বলেঃ আচ্ছা,কেমনে আসলাম নিজের ঘরে?

রিনি চোখ বন্ধ করে চেষ্টা করছে কালকের রাতের কথা মনে করতে। তখনই, রিনির মনে পড়ে, সে নেশার ঘোরে আবছা আলোতে দেখেছিলো,
ঐশী,তাকে তোলে নিয়ে…..

💮

💮

হাবিব বলেঃ কিছু মনে করো না।প্লিজ শাম্মি।
আমি নিজেকে আর সংযত করতে পারি নি।কি যেনো অদৃশ্য একটা টান অনুভব করছি।যার ফলে এভাবে জাপ্টে ধরেছি।

তখনই শাম্মি বলেঃ হাবিব,আমি ও আপনাকে ভালোবাসি। অনেক ভালোবাসি।সারাজীবন আপনার সাথে থাকতে চাই।

হাবিব বলেঃ এটা কি স্বপ্ন নাকি?
মনে হচ্ছে সব স্বপ্ন। আমি এমন স্বপ্ন সারাজীবন দেখতে চাই। আমার ঘুম যেনো না ভেঙ্গে যায়। স্বপ্ন টা থাকুক এভাবে। চলুক দিনভর।

শাম্মি তার মুখ টা হাবিব এর কাছে নিয়ে গেল। শাম্মি আস্তে করে, একটা চুমু দেয়।

শাম্মি বলেঃ প্রিয়, এটা সত্যি।স্বপ্ন না।ভালোবাসি হাবিব।সেদিন নিরব ছিলাম কারণ, আমি কি চাই তা জানতে। কিছু টা সময় নিয়ে ছিলাম।
অবশেষে উত্তর পেলাম।তোমাকে ছাড়া আমার চলবে না।

হাবিব বলেঃ ধন্যবাদ এতো সুন্দর সারপ্রাইজ এর জন্য। শাম্মি তোমার হাতটা দাও?

শাম্মি হাতটা এগিয়ে দেয়। হাবিব আলতো করে হাতটা ধরে আর একটা চুমু দেয়। দুজন একটা চেয়ারে বসে।

হাবিব দেখে কিছু মেহেদীর টিউব পড়ে আছে । হাবিব একটা তোলে নেই।আর,শাম্মি কে দু-হাতে মেহেদী দিচ্ছে। দেখতে দেখতে দুহাত ভরে মেহেদী দিয়ে দেয়। শাম্মি অবাক হয়ে গেছে। কারণ, হাবিব অনেক সুন্দর করে মেহেদী দিয়ে দিলো।মেহেদী শুকিয়ে গেছে। দুজন তাকিয়ে আছে দুজনের চোখের দিকে।

শাম্মি বলেঃ হাবিব,আমি কি মা,বাবাকে আপনার কথা জানাবো?
হাবিব বলেঃ শাম্মি……

💮

💮
রাবেয়া বলেঃ কামাল এটা তো খুব সুন্দর জায়গা।তবে এটার নাম কি?

জান্নাত বলেঃ ওফ ফাইনালি পৌঁছে গেলাম।কমছে কম ২,৩ ঘন্টা এর সফর হয়েছে।

কামাল বলেঃ এটা হচ্ছে, আলির গুহা। এখানে অনেক টা পথ টা হাটতে হবে।সো কিছু খাবার বহন করতে হবে। আমি ও মুগ্ধ যায়। তোমাদের জন্য কিছু নিয়ে আসি খাবার জন্য।

সুমি বলেঃ হা।যাও। রহমান থাকুক আমাদের সাথে। কারণ, আমরা এমন নির্জন জায়গায় একা থাকলে ভালো হবে না।

সবাই সহমত জানাই। কামাল ও মুগ্ধ চলে গেল। রহমান বসে আছে জান্নাত, সুমি,রাবেয়ার সাথে।

জান্নাত বলেঃ সুমি!!!

সুমি বলেঃ জি।

জান্নাত বলেঃ কেমনে পারলি?
আমাকে এভাবে একা করে রাখতে। তোকে যে কতটা মিস করছি। বলার ভাষা হারিয়ে ফেলছি। তোই যখন কাছে ছিলি তখন তোর সাথে না থাকলে যে এতটা মিস করবো বুঝতে পারিনি।তবে এখন হারে হারে টের পাচ্ছি।

সুমি বলেঃ তোই আমার তেমন ই প্রিয় আছিস।
নিয়তি চাইলে আমরা আবার একসাথে থাকবো।
আমিও বড্ড কষ্ট পেয়েছি তোকে ছেড়ে। কাছে আয়।

সুমি জাপ্টে ধরে জান্নাত কে।দুজন বান্ধুবী বেশ কিছু দিন দূরে থাকলে একে অপর কে খুব মিস করে।

রাবেয়া বলেঃ আমি কি দোষ করলাম?
আমাকে ও জড়িয়ে ধরো না?

তিনজন ই হাগ করে।সুমির মনটা আজ অনেক ভালো লাগছে। একদম ফুরফুরে হয়ে গেছে। জান্নাত এর ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে উঠেছে। রাবেয়া ও খুব খুশী।

রহমান বলেঃ আচ্ছা, জান্নাত।

জান্নাত বলেঃ জি জিজু।

রহমান বলেঃ মুগ্ধ কে কেনো কষ্ট দিচ্ছো?
প্রিয় মানুষ টা কে না পাওয়ার অনেক কষ্ট। কেনো দূরে সরিয়ে দিচ্ছো?

সুমি বলেঃ জান্নাত আমার মনে হয়,

এটা বলার সাথে সাথে, রহমান সুমির কথা টা বন্ধ করে দেয়।
রহমান বলেঃ জান্নাত, জীবন টা তোমাকে ভালো একটা উপহার দিচ্ছে।
কেনো সরিয়ে দিচ্ছো???

জান্নাত বলেঃ জানি না জিজু।

রাবেয়া বলেঃ জান্নাত, আসো ওই পাখি টা দেখি।ওইদিকে প্রকৃতি ও দেখতে সুন্দর।

রাবেয়া ও জান্নাত একপাশে চলে গেল।

সুমি বলেঃ আমার কথা কেনো বন্ধ করে দিয়ে ছিলে?

রহমান জিন বলেঃ সুমি,আসলে,
জান্নাত নিজে ও জানে না।তার অজান্তেই, সে মুগ্ধ কে….
চলবে…..

#রাত_যখন_গভীর
#জান্নাতুল_মাওয়া_মহুয়া
#(jannatul_mawa_moho)
Season:02
Part :৩৪
************
রিনি চোখ বন্ধ করে চেষ্টা করছে কালকের রাতের কথা মনে করতে। তখনই, রিনির মনে পড়ে, সে নেশার ঘোরে আবছা আলোতে দেখেছিলো,
ঐশী,তাকে তোলে নিয়ে আসছিলো।

রিনি বলেঃ আচ্ছা। ঐশীর ওতো নেশা হয়ে ছিলো তাহলে আমাকে কেমনে এতো দূর নিয়ে এসেছে?
আচ্ছা কোন ভাবে কি কালকে প্রিন্স এসেছিলো?
সে কি সব করলো!
ওফ,
সব কিছু অদ্ভুত লাগছে।

রিনি ফ্রেশ হতে গেলো।রিনি কাপড় চেঞ্জ করার সময় বুঝতে পারে, তার শরীর থেকে একটা মিষ্টি ঘ্রাণ আসছে। রিনি ঘ্রাণ টা আবার ভালো ভাবে অনুভব করলো।রিনি এক মিনিটে বুঝতে পারলো, এটা প্রিন্স এর কাছ থেকে যে ঘ্রাণ আসতো সেই সুঘ্রাণ টা রিনি তার কাপড় থেকে পাচ্ছে।

রিনি কিছু টা বিভ্রান্ত হচ্ছে। কাল রাতে যে নেশা বেশি হওয়াতে তার তেমন কিছু মনে নেই। অনেক চেষ্টা করে ও মনে পড়ছে না।

রিনি ওয়াশরুমে চলে গেল। কারণ তার রেডি হতে হবে।ওয়াশরুমের মধ্যে প্রবেশ করে,
রিনি আয়নার সামনে দাড়িয়ে আছে।

রিনি বলেঃ ওফ এতো চিন্তা করলে আমার আবার প্রেশার উঠে যাবে।বাড় মে যায়ই প্রিন্স(ইনতিয়াজ)।অর বাড মে যায় ই মাহমুদ স্যার।
ওফ,
আমি রেডি হয়ে যাই। ভার্সিটি তে যেতে হবে আজ।তারপর, ঐশী কে ও ডেকে দিতে হবে। অনেক ঝামেলা আহা।

রিনি আজ একটা লাল রঙের ট্রিপিচ পড়েছে। চুল গুলো হালকা করে খোলে দিয়েছে।চোখে কাজল,আর একটা ছোট টিপ।কানে দিয়েছে ছোট ছোট ঝুমকো কানের দোল। রিনি প্রস্তুত হয়ে গেছে।

ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে ঐশী কে ডাক দিচ্ছে। কিন্তু ঐশী উঠছে না।
রিনি আর কোন উপায় না পেয়ে এক বালতি পানি ঢেলে দেয়। ঐশী এবার তাড়া হোড়া করে উঠে গেছে।

ঐশী বলেঃ আবে,কি হয়ছে?
কে মরছে নাকি?
এভাবে ডাকছিস কেন?
যা বে ফোট বে!
আমি ঘুমাবো।

রিনি বলেঃ আরে,আজ যে ক্লাস আছে।তাইতো ডাকছি।যদি না উঠিস দেরি হয়ে যাবে। তখন যদি শাস্তি দেয় কি করবি?
নতুন নতুন ভার্সিটি কোন নিয়মকানুন জানি না।তাই তাড়াতাড়ি যায় একটু।তাছাড়া,

যা প্রস্তুত হয়ে নে।না হয় মাইর খাবি।

ঐশী বলেঃ অকে মেরি মা।যাচ্ছি আমি। তবে একটা কথা বলি রিনি,
তোরে না আজ সেই লাগছে। ওয়াও।আজকে অনেকে দেখে ক্রাশ খাবে।আর কিছু তো ফিদা হয়ে নাকি পড়ে যাবে দেখিস।
হি হি হি।

রিনি বলেঃ যাহ।তুই একটু বাড়িয়ে বলিস আরকি।
যা এবার দেরি হয়ে যাবে।

ঐশী ও রেডি হয়ে গেছে। তারা দুজন চলেছে ভার্সিটির দিকে।

ভার্সিটি তে প্রবেশ করেছে একটু দেরি তে। কারণ
জেম এর কারণে দেরি হয়ে গেছে। দুজন হাঁপাতে হাঁপাতে ক্লাসে যাচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ করে, রিনির পানির পিপাসা পেলো।রিনি পানি পান করতে চলে গেল। তারপর, ঐশী একা ক্লাসে চলে গেল। কিন্তু যখন রিনি পানি পান করে ক্লাসে প্রবেশ করতে যাচ্ছি লো।তখন দেখে, মাহমুদ স্যার ক্লাসে।কিন্তু, ঐশী ক্লাসে বসে পড়েছে। রিনি বুঝতে পারে, প্রথম ক্লাস টা মাহমুদ স্যার এর।আহা।

রিনি বলেঃ স্যার,আমি কি আসতে পারি?

মাহমুদ বলেঃ সময় দেখছেন? আপনি ২ মিনিট দেরি করে ফেলেছেন।
সো,বের হয়ে যান দাঁড়িয়ে থাকেন। আমার ক্লাস শেষ হয়ে গেলে আপনি আসিয়েন।

রিনি ভাবলেশহীন ভাবে আস্তে আস্তে দরজার সামনে দাড়িয়ে আছে। আস্তে আস্তে রোদ প্রবেশ করেছে। রিনি গায়ে রোদ পড়ছে।রিনি চিন্তা করছে, একটা ক্লাস শেষ হবে ৫৫ মিনিট পর। কিন্তু রিনির যে রোদ সহ্য হচ্ছে না।

রিনির মাথা টা চক্কর দিচ্ছে। রিনির চারপাশে অন্ধকার লাগছে।রিনির চোখ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ করে, ঐশী ক্লাসের বাইরে,
লক্ষ্য করে,……….

💮

শাম্মি বলেঃ হাবিব,আমি কি মা,বাবাকে আপনার কথা জানাবো?
হাবিব বলেঃ শাম্মি,যতদ্রুত সম্ভব বলো।আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না প্রিয়।

শাম্মি বলেঃ আচ্ছা প্রিয়।তবে এটা আমাদের শেষ দেখা?

হাবিব বলেঃ আজব,কেন শেষ দেখা?
তাহলে কি তুমি পাল্টি মারবে নাকি?

শাম্মি বলেঃ আপনি ভুল বুঝলেন।আমি বলতে চাইলাম,বিয়ের আগে শেষ দেখা। বিয়ের পর তো ২৪ ঘন্টা আপনার সাথে এবং আপনার চোখের সামনে থাকবো!

হাবিব বলেঃ ওফ তাই বলো।একটুর জন্য ভয় পেয়ে গেছিলাম।

শাম্মি বলেঃ আমাদের মনে হয়, এখন যাওয়া উচিত।

হাবিব বলেঃ একটা আবদার রাখবে?

শাম্মি বলেঃ জি বলেন কি আবদার আমি রাখার চেষ্টা করবো।

হাবিব বলেঃ তোমার হাত দুটো স্পর্শ করতে চাই। ১ মিনিটের জন্য।

শাম্মি ১ সেকেন্ড ও সময় নষ্ট করে নি।তার হাত দুটা হাবিবের দিকে এগিয়ে দেয়।

হাবিব শাম্মির হাত দুটা তার বুকের বা পাশে রাখে।আর একটা বড় করে নিশ্বাস নিলো।

হাবিব বলেঃ জানো,শাম্মি আমি একটা প্রশান্তি অনুভব করছি।ইনশাআল্লাহ খুব শীঘ্রই আমরা এক হবো।

শাম্মি বলেঃ ইনশাআল্লাহ।

দুজন দুজনার বাসায় ফিরে আসে। হাবিব আজ বড্ড খুশি। অবশেষে প্রিয় মানুষ টার কাছ থেকে ভালোবাসি কথা টা শুনতে পেলো।হাবিব ফুরফুরে মন নিয়ে শুয়ে পড়েছে।
এমন সময় পাশের বাসার আয়ান আবার একটা ছড়া আবৃত্তি করছে,
সে বলছে,
“দূর নীলিমায় নয়,
আছি তোমার পাশে।
খুজে দেখ,
পাবে হৃদয়ের মাঝে।
শুনবো না কোনো গল্প,
শুধু গাইবো একটা গান।
যে গানে রয়েছে,
তোমার প্রতি ভালোবাসার টান।।।
(কবিতা লেখিকা ঃ উর্মি)

হাবিব বলেঃ শাম্মি বড্ড খুশী দিয়েছো আজ।জানো একটা কথা আজ সত্যি হলো,সেটা হচ্ছে,
“দেরিতে হবে কিন্তু,
ঠিকই হবে তুমি যা চাও তাই হবে।
মনে রেখো,
তোমার সময় টা খারাপ,
তোমার জীবন টা নয়।
শুরু অপেক্ষা কর,
সময় সবকিছু ফিরিয়ে দিবে”

আসলেই,ভালো কিছু পেতে অপেক্ষা করা শ্রেয় আজ অপেক্ষার ফল পেলাম।
আল্লাহ শুকরিয়া।

এটা বলে,হাবিব ঘুমের রাজ্যে তলিয়ে যায়। আজ যেনো তার চোখে প্রশান্তির ঘুম আসবে।গভীর ঘুমের মধ্যে মগ্ন হয়ে আছে হাবিব।

💮

রহমান জিন বলেঃ সুমি,আসলে,
জান্নাত নিজে ও জানে না।তার অজান্তেই, সে মুগ্ধ কে ভালোবেসে ফেলেছে।তবে প্রকাশ করতে ভয় পাচ্ছে।কিছু একটা তাকে আটকাচ্ছে।

সুমি বলেঃ তাহলে, আপনি বলে দেন যে আপনি জানেন, জান্নাত যে মুগ্ধ কে ভালোবেসে ফেলেছে। মুগ্ধ অনেক খুশি হবে। এটা তার জন্য বেস্ট একটা মুহূর্ত হবে।

রহমান বলেঃ সুমি ভুলে ও বলবে না তুমি।কারণ, ভালবাসার কথা টা প্রিয় মানুষ টার মুখ থেকে শুনতেই বেশি ভালো লাগে।
আমি চাই,জান্নাত, নিজ মুখে এই কথা শিখার করোক।

এসব বলছিলো।তখনই, জান্নাত চলে আসে।

সুমি বলেঃ এসে গেলি?

জান্নাত বলেঃ হুম।

সুমি বলেঃ আরে,তোর কাপড়ে এগুলো কি রে?

জান্নাত বলেঃ কই?

জান্নাত দেখে,তার কাপড় কাক পায়খানা করে দিয়েছে।জান্নাতের এখন অসহ্য লাগছে। কি করবে?
রাবেয়ার সাথে প্রকৃতি দেখতে ব্যস্তো ছিলো যে, কাক এর কুকাজ টা লক্ষ্য করে নি।

তখনই,মুগ্ধ ও কামাল ফিরে আসে। বেশ কিছু প্যাকেট নিয়ে।

রাবেয়া বলেঃ দাও সব।আমি সব ঘুছিয়ে নি।

সব দিলো কিন্তু মুগ্ধ একটা প্যাকেট দিলো না।

রাবেয়া বলেঃ কি হলো?
দাও।
এটাতে কি আছে মুগ্ধ?

কামার বলেঃ আরে বলো না আর।
মুগ্ধ পানি আনতে গেছে। আমি গেছিলাম খাবার আনতে। তখন নাকি মুগ্ধ দেখে একটা
পিচ্চি মেয়ে একটা শাড়ি আর একটা ছোট হাতের মালা বিক্রি করছে।মুগ্ধের সামনে এসে,অসহায় বঙ্গি তে বলে,যে ভাইয়া এগুলো নাও প্লিজ।
অনেক দিন ধরে চেষ্টা করছি বিক্রি করার পারছিনা।

মুগ্ধ আর না করে নি।নিয়ে নিলো সব কিছু। তবে সে চিন্তার মধ্যে পড়ে যায় এসব সে কি করবে। তাই ভাবনায় আছে। সেই কারণেই,তোমাকে প্যাকেট টা দিচ্ছে না রাবেয়া ।

সুমি বলেঃ কই দেখি এদিকে দাও সেটা। জান্নাত এর খুব দরকার এটা।তার কাপড় নষ্ট হয়ে গেছে।তাছাড়া অতিরিক্ত কাপড় ও নেই। সো এটা দাও।

মুগ্ধ এক ঝটকায় দিয়ে দিলো।সুমি ও দেরি না করে,জান্নাত কে দিয়ে দিলো।জান্নাত কাপড় পাল্টে আসতে গেলো।

সবাই অপেক্ষা করছে জান্নাত এর জন্য। অবশেষে জান্নাত আসলো।পরণে তার সাদার মধ্যে লাল রঙের কাজ করা শাড়ি। চুল গুলো খোপা করেছে।হাতে সেই ছোট ফুলের মালাটা পড়েছে। সবাই এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার দিকে।
মুগ্ধ তো৷ পলক ই ফেলছে না।মুগ্ধ মনে মনে, পিচ্চি টাকে ধন্যবাদ দিচ্ছে। পিচ্চির জন্যই তো আজ, জান্নাত মুগ্ধের দেয়া শাড়ি টা পড়েছে।

জান্নাত বলেঃ আরে,আরে আমার লজ্জা করছে কিন্তু এভাবে সবাই যে তাকিয়ে আছো যে?
এবার কি আমরা যাত্রা শুরু করবো!

সবাই বলে উঠেঃ হা হা।এবার যাত্রা শুরু করবো। তবে,খুব সুন্দর লাগছে।

যাত্রা শুরু করেছে।
সবাই হাঁটছে।প্রচন্ড গরম।তার মধ্যে সূর্য টা অনেক উত্তাপ দিচ্ছে। সবাই হাপিয়ে উঠেছে। সবার অবস্থা খুব খারাপ।
এমন সময় সবাই কিসের একটা শব্দ শুনতে পেলো।আর অনুসন্ধান করছে কোথা থেকে শব্দ টা আসছে।

সবাই অনুসন্ধান করে অবশেষে
দেখে একটা খুব সুন্দর…..
চলবে…..

গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ