Monday, October 6, 2025







বাড়ি"ধারাবাহিক গল্প"রাত যখন গভীররাত যখন গভীর ২ পর্ব-২৯+৩০+৩১

রাত যখন গভীর ২ পর্ব-২৯+৩০+৩১

#রাত_যখন_গভীর
#জান্নাতুল_মাওয়া_মহুয়া
#(jannatul_mawa_moho)
Season:02
Part :২৯
************
এমন সময়, রিনি ঘরে প্রবেশ করে।

রাবেয়া বলেঃ যা,রিনি ফ্রেশ হয়ে নে।আমরা একটু পর বেরিয়ে যাবো।আজকে বেক করতে হবে।

কামাল বলেঃ আমি গাড়ি টা বের করি।

হাবিবের মন খারাপ। জান্নাত তো একদম কেমন জানি হয়ে গেছে চুপচাপ । রিনির তো মাথা কাজ করা বন্ধ করে দিছে। রিনির নিজেকে পাগল মনে হচ্ছে।

দুপুরে সবাই গাড়ি তে উঠে পড়ে। লাবু ও রেশমীর চোখে অশ্রু টলটল করছে। অর্ক ও রাহাত হুজুর ও মন মরা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আর টাটা দিচ্ছে।

হাবিব গাড়ি চালাচ্ছে। রাবেয়া ও কান্না করছে। রিনি তাকিয়ে আছে গাড়ির জানালা দিয়ে।

হাবিব বলেঃ কামাল ভাই, ভালোবাসা অনেক কষ্ট দেয় তাই না?
মানুষের কেনো অন্য একজন কে এতো ভালো লাগে?
কেনো তাকে ছাড়া সব কিছু বিষন্ন লাগে?
ভালোবাসার প্রকাশ এর পর,তার প্রতি উত্তর না দিলে নিরবতা টা কেনো এতো কষ্ট দেয়?

কামাল বলেঃ আসলে জীবন এমন ই হয়।কারো কাছে ভালোবাসা নিজে এসে ধরা দেয়। আর কারো কারো ক্ষেত্রে ভালোবাসা টা জাগিয়ে তুলতে হয়।
মাঝে মাঝে কিন্তু নিরবতা সম্মতির লক্ষণ হয়ে থাকে।

তারপর সবাই চুপচাপ হয়ে গেছে। রিনির চোখ জোড়া বন্ধ করে রাখে।রিনি কখন যে ঘুমের রাজ্যে তলিয়ে যায় নিজে ও জানে না।।

খুব সুন্দর একটা জায়গা। চারপাশে ফুল।নাকের মধ্যে ফুলের সুগন্ধী আসছে । সামনে একটা নদী। রিনি অনেক সুন্দর একটা শাড়ি পড়ে আছে।রিনি অপলক দৃষ্টি তে একজনের দিকে তাকিয়ে আছে।তার মুখের উপর রিনির হাত দুটো স্পর্শ করে রিনি।
আর চোখে চোখ রেখে রিনি বলছেঃ

প্রিন্স, আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।তোমার সাথে সারাজীবন কাটাতে চাই। একসাথে সূর্য উদয ও সূর্যাস্ত দেখতে চাই। আমার প্রতিটা সকাল যেনো তোমার মুখ দেখে শুরু হয়।

প্রিন্স বলেঃ রিনি,অনেক দেরিতে বুঝতে পারলে।তবে দেরি টা একটু বেশি করে ফেললে।তোমার জন্য আমার সব অনুভূতি গুলো কেনো জানি আগের মতো কাজ করে না।রিনি আমি অন্য একজন কে ভালোবাসি।

না না….এমন হতে পারে না।প্রিন্স….

রাবেয়া বলেঃ রিনি…রিনি
কি হলো?

কামাল বলেঃ রিনি রিনি।ঠিক আছিস?চিৎকার করছিস কেন?

রিনি চোখ জোড়া খুলে দেখে,সে গাড়ি তে।কোথায় ফুলের বাগান।আর কোথায় প্রিন্স।

রিনি দেখে তার পাশে একজন বসে আছে।সে আর কেউ নই।
তার পাশে তার প্রিয় মা বসে আছে। রিনি মনে মনে বলে,আল্লাহ শুকরিয়া আপনার।এটা স্বপ্ন ছিলো।এমন স্বপ্ন যেনো আমার ঘুমের মধ্যে আর না আসে আল্লাহ। কিন্তু আমি তো প্রিন্স কে ভালোবাসি না?
তাহলে, স্বপ্নে প্রিন্স এর এমন কথা তে রিয়েক্ট করলাম কেনো?
তাহলে কি আমি!
না একদম অসম্ভব এটা।

রাবেয়া রিনির মাথা তে হাত বুলিয়ে দেয়।সাথে সাথে রিনি তার চিন্তার দুনিয়া থেকে বেরিয়ে আসে ।

রাবেয়া বলেঃ খারাপ স্বপ্ন দেখছিস?
মনে হচ্ছে! এতো টা জোরে চিৎকার দিলি।ভয় পেয়েছি।

রিনি বলেঃ হা মা অনেক খারাপ স্বপ্ন টা।

রাবেয়া আর কিছু বলেনি।তবে,
রিনির মাথা তে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।
রিনি আবার জানালা দিয়ে তাকিয়ে আছে। প্রকৃতি কে দেখছে রিনি।আর ভুলতে চেষ্টা করছে তার সেই স্বপ্ন টার কথা।

বেশ কিছুক্ষণ পর,হাবিব বলেঃ কামাল গাড়ি টা থামিয়ে দাও।

কামাল বলেঃ কেন?

হাবিব বলেঃ আমার বাসা এসে পড়েছে।

জান্নাত বলেঃ কিছু দূর তো বাকি?

হাবিব বলেঃ সমস্যা নেই।

হাবিব চলে গেল। জান্নাত চিন্তা করছে কেমনে কাটাবে তার দিন গুলো। সুমি তো রহমানের কাছে। এখন জান্নাত বড্ড একা হয়ে গেছে।

এসব ভাবতে ভাবতে জান্নাত ও পৌঁছে যায় তার বাসায়। জান্নাত কামাল কে বিদায় জানিয়ে বাসায় প্রবেশ করে।

বেশ কিছুক্ষণ পর,রিনি,কামাল, রাবেয়া ও তাদের বাসায় পৌঁছে যায়। তারা বাসায় প্রবেশ করে।

বাসার অবস্হা অনেক খারাপ। ধূলো জমে আছে সারা ঘরে।

রাবেয়া, রিনি ঘর পরিষ্কার করছে।কাজ শেষ করার পর ।রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লো। কামাল,রাবেয়া ও রিনি।

💮

জান্নাত বাসায় প্রবেশ করার পর থেকে একা অনুভব করছে। ঘরের প্রতিটি কোণায় আছে সুমির সাথে কাটানো মূহুর্তে স্মৃতি।

জান্নাত ওয়াশরুমের মধ্যে গিয়ে ঝর্ণা টা ছেড়ে দেয়। জান্নাত এর চোখের জল ও ঝর্ণার জল মিশে এক হয়ে গেছে। বেশ অনেক সময় ধরে গোসল করছে জান্নাত।

জান্নাত এর মা রেহেনা বলেঃ কি রে?
আর কতক্ষণ?
বের হো”
সুমি কই!ওর বাবা কল দিয়ে ছিলো। এবং জানতে চাচ্ছিলো ওর কথা?? ।তাছাড়া সুমি কে ছাড়া ঘর টা শূন্য লাগছে।

জান্নাত একটা গামছা মাথা তে পেচিয়ে দরজা খুলে। জান্নাত বলেঃ মা বিছানা তে বস।মনে আছে, একদিন তুমি বাবা বাসায় ছিলে না।আমি এবং সুমি একা ছিলাম।সেদিন রাবেয়া কে বাসায় এনে ছিলাম।

জান্নাত সমস্ত ঘটনা খুলে বলে। একদম শুরু থেকে শেষ অবধি। জান্নাত এর মা কিছু টা অবাক হয়ে গেছে। নিরবে রুম থেকে বেরিয়ে আসে জান্নাত এর মা।

জান্নাত ও তার ক্লান্ত শরীর বিছানা তে এলিয়ে দেয়।

💮

হাবিব অনেক্ক্ষণ রাস্তার মধ্যে হেটে ছে।বেশ রাত করে বাসায় ফিরে আসে। হাবিব এর মা খাবার দেয়। হাবিব চুপচাপ খেয়ে নেই।আর ঘুমাতে চলে গেল। হাবিবের মা লক্ষ্য করছে, তার ছেলে কেমন জানি হয়ে গেছে!
কিন্তু কি হয়েছে???

হাবিব বিছানা টা গাঁ এলিয়ে দেয়। আর তার স্মৃতি গুলো মনে করছে।মনে করছে শাম্মির সাথে কাটানো সময় গুলো। ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়লো।

💮
সুমি দিন দিন রহমানের প্রতিটি কাজ দেখে মুগ্ধ হয়ে যাই। সুমির কি যেনো একটা অনুভূতি কাজ করে রহমানের জন্য।

আজ রহমান এবং সুমি বেশ কিছু ফুল গাছ লাগিয়েছে বাগানে।সুমি কে রহমানের পরিবার এর সবাই আপন করে নিয়েছে।

রাতে সুমি ও রহমান অনেক ক্লান্ত ছিল। দুজন খাবার খেয়ে রুমে প্রবেশ করে। রহমান ও সুমি ফ্লোরে ঘুমায়। সুমি বিছানার এক পাশে ফ্লোরে আর রহমান বিছানার অন্য পাশে ফ্লোরে।

সুমির কেন জানি ঘুম আসছে না।তাই সুমি আস্তে করে উঠে পড়ে। আর রহমানের কাছে চলে গেল। সুমি দেখে রহমান বেমালুম ঘুমাচ্ছে। সুমি রহমানের দিকে তাকিয়ে আছে।

সুমি বলেঃ এতটা ইনোসেন্ট একটা চেহারা!
যেকোনো মেয়ের মনে ধরে যাবে।এই মায়াভরা চেহারা দেখে আমি এলোমেলো হয়ে যাই রহমান।

সুমি এক নজরে তাকিয়ে আছে রহমানের দিকে।কখন যে তাকিয়ে থাকতে থাকতে ঘুমিয়ে পড়লো নিজে ও জানে না।

ঘুব সকালে রহমান চোখ জোড়া খুলে দেখে। সুমি তার বুকের ওপর মাথা দিয়ে ঘুমাচ্ছে। রহমান তাকিয়ে আছে সুমির সেই নিষ্পাপ চেহারার দিকে।

রহমান তাড়াতাড়ি উঠে পড়ে। কারণ সুমি যদি জেগে ওঠে তাহলে রহমান জেগে গিয়ে তাকিয়ে আছে দেখলে লজ্জা পাবে।

এভাবে লুকোচুরি চলছে তাদের মধ্যে। দুজনের ভাঙা হৃদয় এ অদ্ভুত অনুভূতির সৃষ্টি হচ্ছে।তবে কারো অনুভূতির ব্যাপারে কেউ জানে না।রীতিমতো দুজন ই বেখাবার।

💮

রিনি রিনি….
রিনি বলেঃ মা আরেক টু ঘুমাতে দাও।

রাবেয়া বলেঃ কলেজ যাবি না?
তোর কিন্তু সামনে ফাইনাল পরীক্ষা। তোর বাবা স্যারকে ম্যানেজ করে নিয়েছে।বাহানা একটা বানিয়ে দিয়েছে তোর কলেক এ যাতে কথা শুনতে না হয় তোর।

রিনি বলেঃ আচ্ছা মা উঠছি।

রিনি রেডি হয়ে কলেজ চলে গেল। ক্লাস করেছে সব।ভালোভাবে পড়াশোনা করছে।

এইভাবে যেতে লাগলো তার দিন গুলো। কিন্তু একদিন এক্সট্রা ক্লাস এর কারণে রিনির কলেজ থেকে ফিরতে দেরি হয়ে গেছে।

রিনির তাই খিদা লাগলো।বাসায় আসা অবধি অপেক্ষা করতে পারলো না।তাই রিনি একটা রেস্তোরাঁ তে প্রবেশ করে। আর খাবার আনতে বলে।

খাবার খেতে খেতে রিনির চোখ জোড়া স্থির হয়ে যাই কোণার একটা সিটের দিকে তাকিয়ে।

রিনি দেখে,
মাহমুদ স্যার একটা মেয়ের সাথে। তবে রিনি মেয়ে তার চেহারা দেখতে পাচ্ছে না।
রিনি দেখে মাহমুদ স্যার
অনেক হেসে হেসে কথা বলছে।

এক পর্যায়ে,মেয়ে টা কি জেনো বললো।
আর মাহমুদ মেয়ে টার চোখে কি পড়েছে তা দেখছে। রিনি বুঝতে পারলো মেয়ে টা হয়তো বলেছে,চোখে কিছু পড়েছে।

রিনির এসব দেখে একদম খিদে চলে গেছে। রীতিমতো পালিয়ে গেছে। তুক্কো খিদে মরে গেছে বলা যায়।

রিনি আর বেশিক্ষণ থাকতে পারে নি।উঠে চলে আসে রেস্তোরাঁ থেকে । রিনির মনে হাজার প্রশ্ন। কিন্তু উত্তর জানা নেই।

রিনি নির্জন রাস্তা ধরে হাঁটছে।রিনি বলছে,আচ্ছা ওনি তো মাহমুদ স্যার। প্রিন্স তো না।যদি প্রিন্স হতো আমার উপস্থিতি টের পেতো।সময় নষ্ট না করে হয়তো আমার কাছে আসতো?

কিন্তু আমি কেনো এতো প্রিন্স ও মাহমুদ স্যার কে নিয়ে চিন্তা করছি???
আমি তো অতীত টা ভুলতে চাচ্ছি তবে কেনো বারবার হানা দিচ্ছে???

রিনি বকবক করতে করতে বাসায় ফিরে আসে। রিনির মা খাবার দিলো।
রিনি বলেঃ মা জানো,
কলেজ কিছু দিন বন্ধ থাকবে।

রাবেয়া বলেঃ বাহ ভালো তো।

রিনি ছুটির দিন কাটাচ্ছে।একদিন সকালে,
রিনি বসে বসে টিভি তে ডোরেমন দেখছিলো।এমন সময়, রিনির মোবাইলে কল আসে।

রিনি মোবাইল হাতে নিয়ে দেখে…..

চলবে…..

#রাত_যখন_গভীর
#জান্নাতুল_মাওয়া_মহুয়া
#(jannatul_mawa_moho)
Season:02
Part :৩০
************
রিনি ছুটির দিন কাটাচ্ছে।একদিন সকালে,
রিনি বসে বসে টিভি তে ডোরেমন দেখছিলো।এমন সময়, রিনির মোবাইলে কল আসে।

রিনি মোবাইল হাতে নিয়ে দেখে.
ঐশী কল করেছে।

রিনি বলেঃ কি খবর তোর?
কলেজ এ আসিস নি কেন এতো দিন?
ঐশী বলেঃসেটা বড় কথা না।বড় কথা হচ্ছে, মাহমুদ স্যার আসছিল। আমার পরীক্ষার প্রস্তুতি কেমন জিজ্ঞেস করছিলো।

রিনি বলেঃ তো?

ঐশী বলেঃআমি ভালো বললাম।আমার রুমে তোর সাথে আমার একটা ছবি আছে। স্যার ছবির দিকে তাকিয়ে বলে,এই মেয়ে দেখবা আমার ভার্সিটি তে চান্স পাবে না।
আমি স্যার কে বলছি তোই অনেক ভালো। কিন্তু স্যার এর একটাই কথা। তোই চান্স পাবি না।

রিনির রাগ হচ্ছে বড্ড। রিনি বলেঃ ব্যাটার সাহস হয় কেমনে?
বাই।তোর সাথে পরে কথা বলবো।

রিনি কল কেটে দেয়। টিভি বন্ধ করে দেয়। বই নিয়ে বসে যাই। রাত দিন পড়া লেখা করছে।মোবাইল বন্ধ করে দিলো রিনি।

কামাল বলেঃ রাবেয়া আমাদের মেয়ের কি হলো?
এতো পড়তেছে কেন?

রাবেয়া বলেঃ থাক পড়োক।যতো পড়বে ততো ভালো নাম্বার আসবে।

এই ভাবে করে, রিনির পরীক্ষার দিন ঘনিয়ে আসে। রিনির প্রস্তুতি একদম পারফেক্ট।

অবশেষে পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে। রিনির সব পরীক্ষা ভালো হয়েছে।রিনির রেজাল্ট বেরিয়ে আসে। রিনি Golden a+ পেয়েছে। আজ রিনি ভার্সিটি পরীক্ষা। রিনি হলে প্রবেশ করে। কিন্তু পরীক্ষা তে গার্ড ছিল মাহমুদ স্যার।রিনির সামনে দাড়িয়ে ছিলো পরীক্ষা শেষ হওয়া অবধি। রিনির সব প্রশ্ন কমন আসছে তাই সমস্যা হয়নি।

ফল প্রকাশ হলো।রিনি ১ম হলো ভর্তি পরীক্ষাতে।রিনি অনেক খুশি।

রিনি ঐশী কে কল দিয়ে বলেঃ তোর স্যারকে রেজাল্ট দেখতে বলিস।

আজ রিনির প্রথম দিন ভার্সিটি তে।রিনি আজ কালো শাড়ী পড়েছে। আজ কামাল এবং রাবেয়া ও যাচ্ছে। জান্নাত ও আসবে।জান্নাত যেখানে মুগ্ধ তো সেখানে যাবেই। হাবিব যাবে না বললো।রহমান এবং সুমি ও উপস্থিত থাকবে।কারণ তারা সবাই এই ভার্সিটির প্রাক্তন শিক্ষার্থী।তাদের কে ভার্সিটি পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

রিনি ভার্সিটি তে পা দেয়।আজ ফ্রেশার দের জন্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

রিনির মা,বাবা কামাল, রাবেয়া এবং বাকিরা সবাই এক দিকে বসে । রিনি তার বান্ধুবী দের কাছে যাচ্ছে।

হঠাৎ করে, রিনি সামনে একটা ছেলে আসে। ছেলে টা বলেঃ এই যে, আপনার চোখে কি যেনো লেগে আছে।

ছেলে টা রিনির চোখ স্পর্শ করতে যাচ্ছি লো। তখন মাহমুদ স্যার চলে আসে।

মাহমুদ বলেঃ মিস্টার, নয়ন।
আপনার কি এটা নাকি কাজ?
কার চোখে কি পড়েছে তা দেখা?
এখনই এই জায়গা ছেড়ে স্টেজ এ যান।ওইখানে অনেক কাজ আছে।কি যাবেন নাকি
অন্যথায় খারাপ কিছু হয়ে যাওয়ার অপেক্ষা করছেন?

নয়ন হচ্ছে, ইতিহাস এর লেকচারার। মাহমুদ, নয়নের সিনিয়র। তাই মাহমুদের কথা মেনে নিলো।

মাহমুদ বলেঃ মিস আপনি কি দাঁড়িয়ে থাকবেন?

রিনি বলেঃ যাবো তার আগে আপনার সাথে একটা বুঝাপড়া আছে।
কি জানি বলছিলেন?
আমি চান্স পাবো না!
এখন কেমনে পেলাম?
আর ১ম ও হলাম।

মাহমুদ বলেঃ প্রশ্ন সহজ ছিলো তাই।

মাহমুদ আর কিছু না বলে পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছি লো। তখন ই একটা শাড়ী পড়ে একটা মেয়ে আসে। তাকে দেখে মাহমুদ একটা মিষ্টি হাসি দেয়।
মেয়ে টা মাহমুদ এর হাত ধরে। দুজন একসাথে চলে গেল। রিনি তাকিয়ে আছে তাদের দিকে। রিনির মনে অস্থিরতা কাজ করছে।

রিনি বলেঃ কেনো এমন হচ্ছে এমনটা হওয়ার কথা তো ছিলো না।
রিনির মন বলছে,যারে তুমি নিজ হাতে দিয়েছো বিসর্জন,তার তরে কেন এতো আয়োজন? যারে তুমি ফেরায়াছো অনাদরে তারে কেন মনে রাখো অগোচরে।
অতীত ভুলিয়ে স্মৃতি হয়ে কাঁদাও।তার নামে কেন পূজার ফুল সাজাও?
যে ফুল পূজিবে না চরণ,সে ফুল কেন করো বক্কে ধারণ।।।

রিনি আর কিছু ভাবতে পারছে না।রিনি দাড়িয়ে আছে। তখন একজন বলেঃ সবাই এদিকে আসো।গ্রুপ ছবি তুলতে হবে।

ভাগ্য ক্রমে।রিনি ও মাহমুদ স্যার একপাশে দাঁড়িয়ে যায়। রিনি আড় চোখে তাকিয়ে দেখে মাহমুদ কে।

রিনি বলেঃ কেনো এতো কষ্ট পাচ্ছি?
কেনো মনের মাঝে মেঘ জমে আছে?
মাহমুদ তো প্রিন্স না তাহলে কেনো এমন হচ্ছে?
আর প্রিন্স এর তো খবর ই নেই।
আচ্ছা, প্রিন্স কি মাহমুদ?
সে কি ইচ্ছে করে কষ্ট দিচ্ছে।

হুহ আমি তো সত্যি সত্যি কষ্ট পাচ্ছি। কিন্তু কেন যে কষ্ট পাচ্ছি।

তখনই,পাশ থেকে কে জানি বলে উঠেঃ
“কষ্ট নিয়ে জীবন শুরু,
কষ্ট নিয়ে শেষ।
কষ্ট কে ভালোবেসে কষ্টে আছি বেশ।
কষ্ট নিয়ে সুখী
আমি কষ্ট নিয়ে দুঃখী।
কষ্ট গুলো বুকের মাঝে
জমা করে রাখি।
(কবিতা লেখিকাঃ উর্মি).

ছবি তুলে সবাই যার যার মতো মজা করছে। রিনি তাকিয়ে আছে দূরে একটা নদীর দিকে।

💮

💮

মুগ্ধ বলেঃ
জান্নাত প্লিজ সরি তো?

জান্নাত বলেঃ তুমি তো এই ভার্সিটির না?
তুমি তো মেডিকেল এর তাহলে আসলে কেন?
মিথ্যা বলা আমি পছন্দ করি না।তাই কোন মাফ নেই।

মুগ্ধ বলেঃ জান্নাত কেনো এতো অবাধ্য তুমি?
এটা শেষ মিথ্যা আর কখনো বলবো না।

জান্নাত বলেঃ আচ্ছা মাফ করে দিলাম।

মুগ্ধ বলেঃ ধন্যবাদ প্রিয়।

মুগ্ধ জান্নাত এর হাতটা ধরতে যাচ্ছি লো। তখন,
জান্নাত বলেঃ শুক্রবার আমার engagement। আপনি অবশ্যই আসবেন।

মুগ্ধ বলেঃ মজা করছো কেন?

জান্নাত বলেঃ আমি সিরিয়াসলি বলছি।কয়েক দিন আগে আমাকে পছন্দ করে গেছে। সো,মিস্টার মুগ্ধ অবশ্যই আসবেন।আমি কিন্তু খুশী হবো আপনি আসলে।

মুগ্ধ রাগে মুখ লাল রঙের করে ফেলে। জান্নাত এর হাত দুটো শক্ত করে ধরে।

একটা গাছের সাথে চেপে ধরে। মুগ্ধ বলেঃ তাই না?
আমাকে এখনো চিনো নাই
মিস জান্নাত।

এটা বলে, মুগ্ধ জান্নাত এর হাত দুটো শক্ত করে ধরে গাড়ির মধ্যে নিয়ে গেল।
দুজন গাড়ি তে বসে আছে।

মুগ্ধ গাড়ি start করে। মুগ্ধ খুব স্পিড এ গাড়ি চালাচ্ছে। জান্নাত বলেঃ আহিসতা আহিসতা চালাও। মুগ্ধ আমার ভয় লাগছে।

তখনই,

💮

সুমি বলেঃ রহমান,আমরা ওদের সাথে আড্ডা দি না?

রহমান বলেঃ তোমার জোড়াজুড়ি তে আসলাম। সো আর কোন কথা না।একটু পর চলে যবো।

সুমি বলেঃ প্লিজ, আমরা ওদের সাথে আস্তে আস্তে ইজি হয়ে গেলে ভালো হয়।

রহমান জিন বলেঃ হুম। চলো।

কামাল,রাবেয়া সবার পাশে এসে সুমি ও রহমান বসে।
তখনই, সুমির মোবাইলে একটা কল আসে।

সুমি একদম অবাক হয়ে গেছে।

কামাল বলেঃ কি হয়েছে?

তখনই, সুমি…..

💮

হাবিব বসে আছে একা তার রুমে। ভালো লাগছে না তার কিছু।

পাশের বাসার আয়ান আবার কবিতা আবৃত্তি করছে।
কবিতাটা ছিলো,
“একটি পাখি গাছের ডালে।
তোমার কথা আমায় বলে
বলছে সে তার শুরে শুরে
তুমি আছো অনেক দূরে,
বন্ধু তুমি কেমন আছো?
আমায় কি ভুলে গেছ?
খুব যে মনে পরে তোমায়,
তোমার কি মনে পরে আমায়?

হাবিব বলেঃ আচ্ছা, সত্যি কি শাম্মির আমাকে মনে পরে না?

হাবিব এর চোখ জোড়া অশ্রুতে টলটল করছে।
এমন সময়, হাবিব দেখে,……. চলবে…..

#রাত_যখন_গভীর
#জান্নাতুল_মাওয়া_মহুয়া
#(jannatul_mawa_moho)
Season:02
Part :৩১
************
জান্নাত বলেঃ আহিসতা আহিসতা চালাও। মুগ্ধ আমার ভয় লাগছে।

তখনই, গাড়ি টা একটা গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে গাড়ির থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে।

তখনই, পুলিশ আসে সাথে সাথে। পুলিশ বলেঃ আপনাদের সিগনাল দিচ্ছি লাম।দেখেননি?
আপনাদের কে গাড়ি দ্রুত গতিতে চালানোর জন্য এরেস্ট করা হয়েছে।

মুগ্ধ ও জান্নাত এখন কারাগারে বন্দী। দুজন মুখ ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

নিরবতা ভেঙ্গে,
মুগ্ধ বলেঃ ব্যথা পাইছো প্রিয়?

জান্নাত বলেঃ না।আমি ঠিক আছি।তবে আমার একটা কথা ভেবে খারাপ লাগছে,
আমার হবু বর জানলে কষ্ট পাবে।

মুগ্ধ বলেঃ বাল পাবে।শালার জন্য রাগ উঠছে।না হয় আমি এভাবে কখনো গাড়ি চালাইতাম না।শালাকে পাইলে হবে।আমার কলিজা কে আমার কাছ থেকে নেয়ার সাহস কারো নেই।
জান্নাত একটা কথা মিলিয়ে নিও।তুমি শুধু মুগ্ধের।আর কারো না।আমার ছিলে,আমার আছো,আমারই থাকবে।যতোই, তাল বাহানা করো না কেন?
বউ তো হবে ডাক্তার মুগ্ধের!!
তোমার নসিবে আমি ই আছি।

জান্নাত বলেঃ আমার মনে হচ্ছে, কেউ একজন জেলাস।শুক্রবারে আসবেন কিন্তু মিস্টার মুগ্ধ 😇
আপনি আমার বিশেষ অতিথি। আমার হবু বরের সঙ্গে পরিচয় করে দিবো।

মুগ্ধ বলেঃ এইখান থেকে বেরিয়ে বুঝাচ্ছি মিস জান্নাতুল মাওয়া মহুয়া। তুক্কু মাই ডিয়ার জান্নাত কত ধানের কত চাল। দেখবো কে আলাদা করে, আমাকে তোমার থেকে।

তখনই,
পুলিশ অফিসার এসে বলেঃ এরা এমন এক জাত,সব সময় তর্ক করে।ভাই, তুমি কথাই পারবে না।ব্যর্থ চেষ্টা করিও না।

মুগ্ধ বলেঃভাই বুঝে না সে যে।

পুলিশ বলেঃ আহ ভাই। কিছু কিছু এমন অবুঝ থাকে।তবে,তাদের হাসিল করতে হয়।জোর করে।

আরেকটা, মহিলা পুলিশ অফিসার এসে বলেঃ কি হচ্ছে টা কি?
আপনাদের,
দুজনের ঝগড়া তে পুলিশরা সবাই ও বিরক্ত। কখন যে আপনারা বিদায় হবেন।উফ।

💮

হাবিব এর চোখ জোড়া অশ্রুতে টলটল করছে।
এমন সময়, হাবিব দেখে,
কেউ একজন তার রুমে প্রবেশ করেছে।

হাবিব আবছা আলো তে দেখে একটা মেয়ে। মেয়ে টা শব্দ করে বলে উঠেঃ
“যদি দেখা না হয়,
ভেবো না দূরে আছি।
যদি কথা না হয়,
ভেবো না অভিমান করেছি।
যদি না ফিরে তাকাই,
ভেবো না ঘৃণা করি।
আমি তো শুধু চাই আমার না, থাকার কষ্ট টা,
তুমি অনুভব করো।।
(কবিতা লেখিকাঃ উর্মি)

হাবিব এবার ভালো ভাবে লক্ষ্য করে এটা আর কেউ না।এটা শাম্মি।

হাবিব আবেগে আপলোত হয়ে যাই।

হাবিব বলেঃ শাম্মি। তুমি এসেছো।আজ হঠাৎ করে আমাকে চমকে দিলে।কেনো আসলে?
সেদিন তো চলে গেলে কিছু না বলে।।

শাম্মি বলেঃ আপনাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছিলো।হুম গিয়ে ছিলাম কিছু না বলে।
তবে আজ কেন জানি বড্ড ইচ্ছে ছিলো,আপনাকে দেখবো তাই চলে আসলাম।

হাবিব বলেঃআমার ও মাঝে মাঝে এমন লাগে। যখন কাউকে খুব মিস করি।তখন মন চাই তাকে একবার দেখতে। কিন্তু পুরা কপাল ইচ্ছে বুকে পাথর দিয়ে রাখি।জানি পারবো না দেখতে তাকে।জানো সে আমার অনেক কাছে।তবুও অনেক দূরে।
জানো,সে আর আমি এক চাঁদ এর নিচে, একই সূর্যের আলো তে দুজন আলোকিত।
তবুও সে অনেক দূরে।

শাম্মি বলেঃ আচ্ছা, কেমন আছেন?

হাবিব বলেঃ এটা উত্তর তুমি জানার কথা। কেমন রেখেছো?
সেদিন যাওয়ার সময় আল্লাহ হাফেজ ও বলো নি।খুব বেশি অন্যয় করে ফেলেছি নাকি
ভালোবাসি কথা টা বলে?

শাম্মি বলেঃ সব কথা কি বলতে হয় নাকি?
কিছু কথা কি বুঝে নেয়া যায় না!!!

হাবিব বলেঃ মাথা খারাপ কিছু বুঝতে পারছি না। বুঝিয়ে দাও।

শাম্মি বলে, আসেন আমার সাথে। একটা জায়গায় নিবো

হাবিব বলেঃ কোথায়?

শাম্মি বলেঃ আসেন তারপর, জানবেন।।।

দুজন চলেছে, কোন এক অজানা জায়গার উদ্দেশ্যে।কি হতে চলেছে তাদের সাথে!!!

💮

সুমি একদম অবাক হয়ে গেছে।

কামাল বলেঃ কি হয়েছে?

তখনই, সুমি বলেঃ জান্নাত এর কল ছিলো?

কামাল বলেঃ এখানে থেকে কেন কল দিচ্ছে?

সুমি বলেঃ ও এখানে নেই।

রাবেয়া বলেঃ তাহলে কোথায়?

রহমান জিন বলেঃ আরে বলো না কেনো কল দিয়েছে?
চুপ হয়ে আছো কেন???
আজব।আমার শালির কি হলো??

সুমি বলেঃ জান্নাত, পুলিশ স্টেশন এ।তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর,,

রহমান জিন বলেঃ আর কি?

সুমি বলেঃ আর সাথে মুগ্ধ ভাই ও আছে। আমাকে জান্নাত এর মোবাইল থেকে পুলিশ অফিসার কল দিয়েছে। জান্নাত দে নাই।

রহমান জিন বলেঃ চল তাহলে সবাই যায়।

রাবেয়া বলেঃ রিনি কে কি করবো?
ওর তো অনুষ্ঠান শেষ হয়নি।ওরে কি করবো?

সুমি বলেঃ রাবেয়া ভাবি,রিনি থাকুক।ওর বান্ধুবী ঐশী আছে না।তার সাথে বাসায় যেতে পারবে।গাড়ি তো আপনাদের টা রেখে যাচ্ছি।

রাবেয়া বলেঃ আচ্ছা, চলো তাহলে। আমি ঐশী ও রিনি কে মেসেজ করে দিচ্ছি। তাদের বলে দি,আমরা কাজে যাচ্ছি।
সুমি বলেঃ আচ্ছা।

সবাই চলছে, পুলিশ স্টেশন এর দিকে। কিন্তু রিনিকে রেখে গেছে ভার্সিটি তে।

💮

ঐশী বলেঃ আবে,রিনি,এখানে দাড়িয়ে কি করস?
আই,ওইদিকে যায়। আর তোরে কিছু ছবি তুলে দিবো। চল।

রিনি বলেঃ আরে মেরি জান।তোই কই ছিলি?
একা একা কিছু করতে পারছিলাম না।
ভালো লাগছিল না।তাই এখানে দাঁড়িয়ে নদীর দিকে তাকিয়ে ছিলাম।
চল যায়। দুজন ই প্রচুর ছবি তুলবো।।

রিনি ও ঐশী দুজন ছবি তুলছে।এমন সময় দুজনের মোবাইলে মেসেজ আসে।

ঐশী বলেঃ রিনি,তোর মা মেসেজ দিলো।

রিনি বলেঃ আমিও পেলাম।
সমস্যা নাই।আজকে চিল হবে।
আজকে একটু তারি খাবো।মনটা বড্ড জ্বালাচ্ছে। সব কষ্ট নেশা করে ভুলতে চাই।

ঐশী বলেঃ মেরি জান, প্রথম বার খেয়ে যদি মাতাল হয়ে যাই তখন কে সামলাবে?

রিনি বলেঃ আন্না জানি না। আমি খাবো।

ঐশী বলেঃ ওকে মেরি মা খাবো।রিনি একটা জিনিস লক্ষ্য করছি?

রিনি বলেঃ কি?

ঐশী বলেঃ নয়ন স্যার তোর দিকে অনেক্ক্ষণ ধরে তাকিয়ে আছে।

রিনি বলেঃ কোন নয়ন স্যার?

ঐশী বলেঃওই যে ইসমাইল হোসেন নয়ন।ইতিহাস এর।যে তোর চোখে কিছু পড়েছে বলে ছিলো।

রিনি বলেঃ মনে পড়ছে। চল তাইলে এখান থেকে।

রিনি পেছনে পিছিয়ে ঘুরতেই,কার যেনো বুকে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যাচ্ছি লো।

তখন কে জানি,রিনির হাতটা ধরে টান দেয়। রিনি এক ঝটকায় তার বুকে গিয়ে পড়লো।

রিনি মুখ গুঁজে আছে।অজানা একজনের বুকে।
রিনি একটা মিষ্টি ঘ্রাণ পাচ্ছে।রিনি মন ভরে ঘ্রাণ টা নিচ্ছে। এই ঘ্রাণ টা খুব পরিচিত রিনির। কিন্তু এখন মনে পড়ছে না। কোথায় পেয়েছি লো সে ঘ্রাণ টা।

রিনির চিন্তা তে ছেদ পড়ে যখন কেউ একজন বলে উঠেঃ কি ছাড়বে না নাকি?
সরো।
আজকাল কারো উপকার করতে নেই।গায়ে পড়তে চাই।

রিনি মুখ তুলে দেখে, এটা মাহমুদ স্যার।

রিনি বলেঃ মা মা…

মাহমুদ বলেঃ মা মা করছো কেন?কি বলবে স্পষ্ট করে বলো।

রিনি বলেঃ মাহমুদ স্যার আপনি?
কিন্তু আপনি কেন এখানে?

মাহমুদ বলেঃ ওই যে, ফুচকা দেখচো?

রিনি বলেঃ জি।

মাহমুদ বলেঃ গুড।চোখে তাহলে ঠিকঠাক দেখো।আমি ফুচকা আনতে যাচ্ছি লাম।আর হঠাৎ করে,মিস রিনি পিছনে ফিরে গেলেন।যার ফলে এই ঘটনা ঘটছে।

রিনি বলেঃ ওহো সরি স্যার।
স্যার একটা কথা বলি?

মাহমুদ বলেঃ হুম বলো।

রিনি বলেঃ আপনি ফুচকা খান নাকি? ইয়ে মানে ছেলে রা তো ফুচকা খাই না।তাই আরকি।

মাহমুদ বলেঃ আরে আমি তেমন খাইনা।ওই যে ওইদিকে দেখো,একটা বিউটিফুল লেডি আছে। তার জন্য নিচ্ছি।

রিনি বলেঃ ওহ।

মাহমুদ বলেঃ হুম।

মাহমুদ চলে গেল। রিনি বলে,বিউটিফুল লেডি।বদমেজাজি কোথাকার।আচ্ছা, যদি প্রিন্স আমার সাথে থাকতো তাহলে কি?
আমাকে ও এভাবে ফুচকা খাওয়া তো?

আচ্ছা, প্রিন্স কে আপন করে নিলে কি হতো?

এমন সময়, ঐশী বলে,গুন্ডি কই আছিস?
কই হারালি?মাঝে কই হারিয়ে যাস?

রিনির চিন্তা জগতের ইতি টানতে হলো ঐশীর জন্য।
তখন, রিনি বলেঃ ঐশী!!!

ঐশী বলেঃ হুম বল?

রিনি বলেঃ চল ফুচকা খাই।একদম জাল দিয়ে। দেখি কে কতটা খেতে পারে।পানি খাবো না কেউ। তারপর, একদম, তারী খাবু।টাকা সব আমি পে করবো?
রাজী!

ঐশী বলেঃ ওকে ডিল ডান।চল।

দুজন চলেছে, ফুচকার দোকানের দিকে। কি করতে বসেছে রিনি?

রিনির পাগলামি তে সঙ্গ দিচ্ছে বেচারি ঐশী!!
কি হবে তাদের??
চলবে…..

গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ