মেঘের আড়ালে পর্ব-০৫

1
2605

#মেঘের আড়ালে💞
#পর্ব___০৫
#লেখিকাঃফাতেমা জোহরা নাভিলা
১২.
দেখতে দেখতে আজ পনেরো দিন কেটে গেছে, এই সামান্য কিছু দিন এর ব্যবধানে সবার সাথে নূরের বন্ডিং জমে পুরো খির হয়েছে। বাড়িতে এখন সবায় নূর এর দুষ্টু মিতে মেতে থাকে, নূরের অদ্ভুত অদ্ভুত কান্ড আজগুবি কথাগুলো সবায় যেমন খুব উপভোগ করে। অভস্য এর মধ্যে নূর অনেক বার নানা রকম কথার ঝুলির ফাঁকে ফাঁকে জানার চেষ্টা করেছিলো ইয়াদ এর সাথে এমন কি হয়েছিলো। কিন্ত সবায় তাকে এড়িয়ে গেছে ব্যাপারটা কিন্তু মামনি বলেছে এখনো জানার সঠিক সময় আসেনি সঠিক সময় আসলে তাকে সব বলবে। সবার সাথে সমর্পক আস্তে আস্তে সাবাবিক হলেও নূর তার সাইকোর সমর্পক সেই আগের মতোই আছে টম এন্ড জেলি, কিন্তু একে উপকে এখন আর সেই বিরক্তি লাগেনা আগের মতো করে,,,,,,,,,,,,,

“আরে আরে কি করছেন কি সরুন তো সরুন হুস হুস হুস”।।।(চিপ্স খেতে খেতে)

এইইই মেয়ে এইইই কি করছো কি তুমি?? আর রুমের এই কি অবস্থা করে রেখেছো !!(রাগিত শুরে)

“ওফফফফ,,, এতো দিন জানতাম রাত কানা আছে, এখন তো দেখি রাত কানার সাথে সাথে দিন কানা ও আমাদানি হয়েছে বাহহ”।।। দেখতেই তো পারছেন মশায় আমি ডোরেমন দেখছি তাহলে জিজ্ঞাস বা কোন দুঃখে করছেন। সরুন তো টিভির সামনে থেকে এমন খাম্বার মতো না দাঁড়িয়ে থেকে, আমাকে শান্তিতে দেখতে দিন।

তুমি কি বাচ্চা যে ডোরেমন দেখছো।।। আর দেখছো তো দেখছো রুমের এই কি হাল করে রেখেছ।। পুরো রুমে জুড়ে চিপ্স ছিটিয়ে রেখেছ কেন?? খাচ্ছো কম ফেলছ বেশি, এটা কি আদৌ কোন রুম না তোমার জন্য ডাস্টবিন কোনটা(ধমক এর শুরে)। সারাদিন অফিস এর খাটুনি করে, এখন আমি তোমার জন্য বাসায় এসে বুয়ার ও ডিউটি করবো।।।।

ব্যাপারটা কিন্তু মন্দ না (চিন্তিতো ভঙিতে),,করলে করতে পারেন আপনাকে কিন্তু সেইইই মানাবে এই ডিউটিতে ম্রিস্টার ,,,,,,,

দেখো,,, আমি এখন অযথা কোনো তর্কে যেতে চাচ্ছিনা তোমার সাথে। তাই পাঁচ মিনিট এর সময় দিলাম তোমাকে। আমি জেনো ফ্রেশ হয়ে এসে দেখি তুমি পুরো রুমকে ক্লিন করে রেখেছ।। আর যদি তুমি পরিষ্কার না করো তাহলে এর ব্যবস্তা কিন্তু ভয়াবহ হবে তোমার জন্য।।।

কচু হবে,,, শালা উগন্ডার রাক্ষস খালি কথায় কথায় ধমকাই আমাকে,,,দেখিস তোর বউ একজন নিতান্ত শেওলা গাছের ছেঁকা খাওয়া বেকা হওয়া প্রেত্নি হবে যে তোর ঘাড়ে বসে বসে সারাদিন তোর ঘাড় মটকাবে হুহ, আর সাথে তার দাত গুলো হবে ফোকলা ফোকলা যখন হাসবে তার চিরল দাত দিয়ে, তখন সবায় বলবে দেখো ইয়াদ সাইকো বউ দাত ফোকলা আমিন তুই ও কি এই নূরকে মনে রাখবি, যাহ বদ দোয়া করে দিলাম হুহহ।।। হে আল্লা এইই আমি কি করলাম এই পাগল এর সাথে থাকতে থাকতে আমি নিজেই হাফ পাগল কবে হলাম।।। এই সাইকো বেটার বউ তো আমিই, নিজেকে নিজেই এতো বাজে অভিশাপ গুলো দিয়ে দিলাম হাউউউ,,, (নিতান্ত মনে মনে কথা গুলো বলছে)

মনে মনে আমার গুষ্টি উদ্ধার করা হলে আর আমাকে বিশেষ বিশেষ গালি পর্ব দেওয়া শেষ হলে ফটাফট কাজে লেগে পরো। (ওয়াশরুমে যেতে যেতে)

১৩.

“রাত ৯ টায় সবায় এক সাথে বসে ডিনার করছে”।

“ইশারা ইফরান কোথায়”!!
.

এইতো আম্মু আমি এখানে জলদি করে খেতে দেওতো খুব খুধা লেগেছে।।
.

বস আমি দিচ্ছি আজ তোদের দুই ভাই এর প্রিয় পছন্দের কাচ্চি রান্না করসি।।

.

ওফফফ আম্মু জলদি করে দাও তাহলে, আচ্ছা আব্বু একটা কথা ছিলো তোমার সাথে।।(চেয়ারে বসতে বসতে)

আব্বুঃ হ্যা বল, ইফরান কি বলবি?

ইফরানঃ নূর এর তো সবে মাএ পরীহ্মা শেষ হলো এর মধ্যে বিয়ে হয়ে গেলো। কোথায় তো আর যাওয়া হয়নি অর তাই ভাবছি নূর, ইশারা, ইরা আমি ভাইয়া কোথাও থেকে ঘুরে আসি কি বলো??

নূরঃ ঠিক বলেছ জিজু, একদম আমার মনের কথা বলসো তাই তো তোমাকে এতো এতো ভালোবাসি , চলো সাজেক যাই সবায় মিলে?

আব্বুঃ মন্ধ না, নূর মামনি আর বাকিরা যদি যেতে চায় তাহলে যাহ গিয়ে ঘুরে আয় তোরা কিছু দিন এর জন্য,আমার কোনো আপত্তি নেই।(মুচকি হাসি দিয়ে)

নূরঃ ধন্যবাদ আংকেল (জিভে কামর দিয়ে) স্যরি বাবা। আই লাভ উউউউ।।(৩২ বাতি বের করে)

ইয়াদঃ কোথাও যাওয়া হবে না তোমার।। ইফরান তোদের যেতে মন চাইলে তোরা যায়। নূর আর আমি যাব না।।( নিজের দিকে তাকিয়ে খেতে খেতে)

নূরঃ বললেই হলো আমি যাবো না, আপনার যেতে মন না চাইলে আপনি থাকুন বাসায় আমিতো যাবোই।

ইয়াদঃ তুমি যাবা না মানে যাবা না বেসস।।

নূরঃ কেন জামুনা কোন সুখে জামুনা শুনি (রেগে)

ইয়াদঃ আমি বলসি তাই,আর তুমি আমার কথা শুনতে বাধ্য।

নূরঃ মগেরমুলুক বললেই হলো।।

ইয়াদঃ হ্যা হলো (কিছুটা ধমক এর শুরে)

“ইয়াদ কি হচ্ছে কি? নূর কেন যাবেনা আর তুমি অর সাথে এমন ভাবে কেন কথা বলছো।”

ইয়াদঃ আব্বু প্লিজ এটা আমার আর আমার ওয়াইফ এর ব্যাপার। আমি চাইনা এর মধ্যে কেউ কিছু বলুক।

“সবায় এক প্রকার অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ইয়াদ এর দিকে, ইয়াদ নূরকে নিজের বউ বলে দাবি করছে তাহলে কি সে ধীরে ধীরে তাদের সমর্পকে মেনে নিতে শুরু করেছে”,,,,,,

নূরঃ তাহলে আমাকেই বলেন আমি কোন দুঃখে যাবো না।

ইয়াদঃ কারন কাল থেকে তুমি কুচিং এ যাবা।

নূরঃ কোন কুচিং??কিসের কুচিং!! অবাক হয়ে।।

ইয়াদঃ বহুত হইসে তিড়িংবিড়িং তোমার। তুমি যে HCS দিয়েছো সেই খেয়াল কি আছে?

নূরঃ তো,, HSC সাথে সাজেক যাওয়ার কি সমর্পক।।

ইয়াদঃ আলবাদ সমর্পক আছে।।

নূরঃ ভাইরে ভাই কথা না পেঁচিয়ে আপনি যদি সারাংশটা একটু ব্যাখাটা দিতেন।আর জিজু তোমার ভাইকে কিছু বলতো আমি হাপিয়ে যাচ্ছি উনার সাথে অযথা তর্ক করে করে।

ইয়াদঃ ইফরান কি বলবে, আমি বলছি,, এক মাস তো চলেই গেলো আছে আর মাএ দুই মাস, এখন যদি এই দুই মাস ভালো করে না পড় তাহলে রেজাল্ট দেওয়ার পর ভার্সিটিতে এডমিশন নিবে কিভাবে??? তাই তুমি যাবা না। এখন থেকে নো তিড়িংতিড়িং অনলি পড়া বিড়িংবিড়িং বুঝসো,,,,,,,,,,

চলবে…………

[ভুলগুলো ক্ষমার চোখে দেখবেন আসা করি]

1 মন্তব্য

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে