মিসেস চৌধুরী পর্ব-১৮

0
1885

#মিসেস_চৌধুরী
#Part_18
#Writer_NOVA

কেটে গেছে বেশ কিছু ঘন্টা। সাফান অনিকে নিয়ে ব্যস্ত।টেবলেট আকশির আশেপাশে ঘুরঘুর করছে।আনিস চৌধুরীকে জোর করে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে আকশি।সাথে টেবলেটকেও।আনিস চৌধূরীকে দেখে রাখার জন্য টপবলেটকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।আদিয়াত ফরেনসিক ল্যাবে গিয়েছে ফলাফল জানতে।আবদুল সাহবেও অফিসের পানে ছুটেছেন। আজও পুরো অফিস তাকে সামলাতে হবে।মানুষটা বড্ড সহজ সরল।মনের মধ্যে কোন প্যাঁচ নেই। আকশিদের কোম্পানির জন্য নিজের জানটা দিতেও প্রস্তুত আছে।আকশি কেবিনের বাইরে দাঁড়িয়ে তার প্রেয়সীকে দেখছে।মুখটা হাজারো বিষন্নতায় ঘেরা।ফিহাকে চেকআপ করে একজন মহিলা ডাক্তার কেবিন থেকে বের হতেই আকশির মুখোমুখি হলো।

আকশিঃ ডক্টর, পেশেন্টের অবস্থা কিরকম?
ডক্টরঃ দেখুন মি.চৌধুরী উনি এখন ভীষণ দূর্বল।তার এখন ফুলদমে রেস্টের প্রয়োজন। আপনার ওয়াইফ মিসেস চৌধুরী নিজের একটুও খেয়াল রাখে না।সারাক্ষণ টেনশন করে কোন ব্যাপার নিয়ে।
খাওয়া -দাওয়া নিশ্চয়ই ঠিকমত করে না।পুষ্টিকর খাবারের ধারের কাছেও মনে হয় যায় না।যার কারণে উনি এরকম দূর্বল হয়ে গেছে। খাবারের দিকটা কড়া নজর রাখবেন।উনি যাতে স্বাস্থ্য সম্মত খাবার খায়।
আকশিঃ ধন্যবাদ ডক্টর।
ডক্টরঃ ওয়েলকাম মি.চৌধুরী। নিজের ওয়াইফের খেয়াল রেখেন।আমি আসছি।

ডক্টর চলে যেতেই আকশি বড় করে একটা দীর্ঘ শ্বাস ছারলো। ফিহার জন্য ভীষণ মন খারাপ করছে।মেয়েটা নিজের খেয়াল না রেখে ওদের পরিবারের জন্য নিজের ক্ষতি করলো।তারপরেও অনির চিন্তা ওর কাছে সবার আগে।

আকশিঃ পৃথিবীর সব মা মনে হয় এমনি হয়।সাফানের থেকে জানলাম, ফিহা স্লিপ কেটে পরে যাওয়ার পরেও শক্ত করে অনিকে ধরে রেখেছিলো।যাতে ওর কিছু না হয়।আমার মা থাকলে বোধ হয় আজকে আমারও এই ক্ষতি গুলো মেনে নিতে পারতো না।অনেক কষ্ট পেতো বড় ভাইয়ার জন্য। সেই ছোট্ট বেলায় তোমায় দেখেছিলাম মা।চেহারাটা আবছা আবছা মনে আছে। ছবিতে দেখলেও মনে তোমার ছবি আঁকা আছে। তোমাকে কি ভোলা যায়?তুমি যেখানেই থাকো ভালো থেকো।আল্লাহ যেনো তোমাকে বেহেশতে নসিব করে। তুমি ছোট থাকতে আমাদের জন্য কত দোয়া করেছো?সেই দোয়া আল্লাহ নিশ্চয়ই কবুল করছে।কারণ তোমার দোয়া না থাকলে আজ আমি বেঁচে ফিরতে পারতাম না।আল্লাহর রহমতও আমার সাথে আছে।তোমায় ছারা পৃথিবীটা ফাঁকা ফাঁকা লাগে।এখন তোমার মতো আমাকে কেউ আঁচল দিয়ে মুখ মুছে দেয় না।আমি অসুস্থ হলে কেউ মাথায় জলপট্টি দিয়ে দেয় না।দুধ খাওয়ার জন্য কেউ পেছন পেছন ছুটে না।তোমার মতো কেউ আমাকে ভালবাসতে পারবে না মা।কেউ না,কেউ পারবে না।
(কাঁদতে কাঁদতে)

“মা” মাত্র একটা অক্ষরের একটা শব্দ। এই শব্দটার তুলনা অন্য কিছুতে হয় না।পৃথিবীতে যদি আমাদের সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতে পারে সে হলো আমাদের মা।যে নিস্বার্থে সন্তানের জন্য নিজের জীবন বাজি রাখতে পারে। সন্তানের দুঃখ, কষ্টে যার চোখ পানি সবার আগে আসে সে হলো মা।মায়ের বর্ণনা দিয়ে শেষ করা যাবে না।সন্তান হাজার ভূল করলেও তাকে ক্ষমা করে বুকে টেনে নেয়।পৃথিবীর সকল মানুষ আমাদের গলা ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলেও মা তার সন্তানকে কখনও ফেলে দিতে পারে না।বুকের মাঝে আগলে রাখে।

শত ঝড় -ঝাপটা মোকাবেলা করে তিনি আমাদের মাথা উঁচু করে বাঁচতে শেখায়।কিন্তু আমরা সেই মা-কেই বৃদ্ধাশ্রমে ফেলে আসার সময় একটুও কষ্ট পাই না।যখন তাকে হারিয়ে ফেলি তখন বুঝি মায়ের গুরুত্ব। একটা প্রবাদ আছে না দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বুঝি না।ঠিক তমনি মা শেষ বয়সে এসে আমাদের থেকে অবহেলা,অনাদর পেয়ে ধুঁকে ধুঁকে নিশ্বেষ হয়ে যায়।একবারও চিন্তা করি না জীবনের প্রথম বয়সে যদি আমাদের মা আমাদেরকে এতটা আদর,যত্ন দিয়ে বুকে আগলে না রাখতো তাহলে আজ আমরা ধরনীর বুকে পা ফেলে চলতে পারতাম না।তাই এখনও সময় আছে মা থাকতে মায়ের মর্মটা বুঝুন।সমুদ্রের পানি দিয়েও যদি আমরা মায়ের গুণগান লিখা শুরু করি তাহলে সমুদ্রের পানি শেষ হয়ে যাবে।কিন্তু মায়ের গুণগান, আত্মত্যাগ, ভালোবাসা, স্নেহ, আদর,যত্ন কখনও শেষ হবে না।

মায়ের কথা মনে হতেই হাঁটু গেড়ে বসে দুই হাত দিয়ে মুখ ঢেকে কান্নায় ভেঙে পরেছে আকশি।টাকা,পয়াসা,মান,দৌলত থাকা সত্ত্বেও আজ তার বুকটা শূন্য হয়ে আছে।যার অভাবটা মা ছারা কেউ পূরণ করতে পারবে না।মাথায় কারো আলতো পরশ পেয়ে চোখ মুছে তার দিকে তাকালো আকশি।সাফান চিন্তিতভাবে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। অনিয়া, সাফানের কোলে বেঘোরে ঘুমোচ্ছে। অনেক কষ্টে অনিকে ঘুম পারিয়েছে সাফান।

সাফানঃ কি হয়েছে আকশি?তুমি কাঁদছো কেন?
আকশিঃ কই কিছু হয়নি তো।আমি ঠিক আছি।(কৃত্রিম হাসি দিয়ে)
সাফানঃ আমিও একটা ছেলে আকশি।তাই তোমার যে কিছু হয়নি এই কথা আমি বিশ্বাস করছি না।তুমি অনেক সময় ধরে কাঁদছিলে।কি হয়েছে বল আমায়?ছেলেরা তো সামান্য কারণে কাঁদে না।যখন সে নিজের সাথে যুদ্ধ করে হেরে যায় তখন কাঁদে। আমায় বলতে পারো।হয়তো তোমার মনের বোঝাটা হালকা হবে।
আকশিঃ ব্যাস এমনি কিছু হয়নি।হঠাৎ করে মায়ের কথা মনে হয়ে গেল।অনেক মিস করছি তাকে।
সাফানঃ এর জন্য মন খারাপ করেছো তুমি। আমি ভাবলাম কি না কি হলো?তোমার তো তাও ভালো।তুমি জানো তোমার বাবা-মা কে? তাদের পরিচয়ে বড় হয়েছে। আর আমি ও ফিহা।আমরাতো আজ পর্যন্ত এটাও জানলাম না আমাদের বাবা-মা বেঁচে আছে না মরে গেছে। তাদের নাম কি?কি আমাদের বংশ পরিচয়। কারা জানি এতিমখানায় দয়া করে ফেলে রেখে গিয়ে ছিলো।সেই সুবাদে এখনো বেঁচে আছি।নয়তো কবে শিয়াল,কুকুরের খাদ্য হয়ে যেতাম।বেঁচে আছি, ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। এর থেকে বেশি আর কি হতে পারে বলো।

আকশি অবাক চোখে সাফানের দিকে তাকিয়ে আছে। নিজের মা নেই বলে সে দুঃখ পাচ্ছিলো।তার কাছে মনে হয়েছিলো সেই পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় অসহায়।কিন্তু তার থেকে অনেক মানুষ আছে যাদের কেউ নেই। এটা ভেবে আকশির সব মন খারাপ উধাও হয়ে গেল।আকশির বাবা আছে,টাকা আছে, নিজস্ব বাড়ি,গাড়ি, বিজনেস আছে।কিন্তু অনেক মানুষের তো তাও নেই। তাহলে সে নিজেকে কেন অসহায় ভাবে।সাফানের কিছু নেই তারপরেও সে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে।কিন্তু তার কেন এতো আক্ষেপ?হ্যাঁ,তার পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান ব্যাক্তি মা নেই। কিন্তু তার বাবা,ভাই তো তার সাথে ছিলো।কিন্তু সাফানের তো তাও নেই। সেজন্য গুরুজনেরা বলতো নিজের থেকে নিচুস্তরের লোকদেরকে দেখো।তাহলে তোমার মনে হবে তুমি সত্যি সুখী। উপরের স্তরের মানুষকে দেখলে আফসোস ছারা আর কিছু পাবে না।

🌿🌿🌿

দুপুরে একসাথে খাবার খেয়ে নিলো সাফান ও আকশি।দুজনের মধ্যে কয়েক ঘন্টায় ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।সাফানের থেকে ফিহার ব্যাপারে বেশ ইনফরমেশন জোগাড় করে ফেলেছে সে।সাফানকে আকশি বারবার চলে যেতে বললেও সাফান মানা করে দিয়েছে। ওর একটাই কথা ফিহা সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত সে এখানেই থাকবে।আকশিও আর জোর করলো না।দুজন একসাথে কেবিনের বাইরে থাকা চেয়ারে বসে গল্প করছে। হঠাৎ অনি ঘুম থেকে জেগে গেল।সাফান অনিকে নিয়ে আসতে গেল।অনিকে ফিহার পাশেই রেখে এসেছিলো।সাফান যাওয়ার পর ধীর পায়ে আদিয়াত এসে আকশির পাশের সিটে বসলো।

আকশিঃ কি রিপোর্ট দিলো?ফিডারে থাকা দুধে কি কিছু মিশানো ছিলো।

আদিয়াত হাতে থাকা রিপোর্টের ফাইলটা আকশির দিকে বাড়িয়ে দিলো।আকশি রিপোর্ট পরে চোখ মুখ শক্ত করে ফেললো।

আকশিঃ ওর এতবড় সাহস?আমার মেয়ের ফিডারে কড়া ডোজের ঘুমের ঔষধ মিশিয়েছে।এর শাস্তি ওকে অবশ্যই পেতে হবে।আমি তোকে ছারবো না রিয়ানা।
(রেগে দাঁতে দাঁত চেপে)

আদিয়াতঃ আমারও ঠিক তোর মতোই রাগ উঠেছিলো।আমি যদি এই মুহূর্তে রিয়ানাকে সামনে পেতাম তাহলে গলা টিপে মেরে ফেলতাম।একটা ছোট বাচ্চার সাথে কেউ এরকম করতে পারে।ছিঃ কতটা নিচ মন মানসিকতা।

আকশিঃ আমার ওকে নিজের হাতে খুন করতে ইচ্ছে করছে। কতটা খারাপ হলে কেউ এমনটা করতে পারে।এই মেয়েটাকে আমার আগের থেকেই পছন্দ নয়।নিজের স্বার্থের জন্য ও যা খুশি তাই করতে পারে।
আদিয়াতঃ হাইপার হোস না।এখন তো আমাদের হাতে প্রমাণ আছে।আমরা নিশ্চয়ই ওকে এর যথাযথ শাস্তি দিবো।কিন্তু এখন ফিহার দিকে তোর নজর দিতে হবে।
আকশিঃ ঠিক বলেছিস।

সাফান অনিয়াকে নিয়ে চলে এলো।সাফানের কোল থেকে অনিকে নিজের কোলে নিলো আকশি।

আকশিঃ কেমন আছো মা-মণি?তুমি এখন মাম্মিকে পেয়ে আমাকে ভূলে গেছো। অবশ্য ভূলবেই তো আমাকে তো তুমি এর আগে কখনও দেখো নি।তুমি তো গুড গার্ল।তাহলে এখন ফিডারে থাকা সব দুধটুকু খেয়ে নেও দেখি।

অনি ফিডারের চুষনি মুখে দিয়ে বসে আছে। এক চুমুকও গিলে নি।বেশ কিছু সময় ব্যয় করেও আকশি অনিকে একফোঁটা দুধ খাওয়াতে পারলো না।আকশি বিরক্ত হয়ে যাচ্ছে। আকশির মুখের কন্ডিশন দেখে আদিয়াত ও সাফান দুজন একসাথে হেসে উঠলো।

আকশিঃ বেশি করে হাসো।দিন তো তোমাদেরি।আমি চিন্তা করছি ফিহা অনিকে সামলায় কি করে?বাপ রে এখনি যা দুষ্টু হয়ে গেছে। আর তো দিন পরেই গেছে।

আদিয়াতঃ শুধু শুধু তো আর ফিহা অনির মা হয় নি।মা হতে হলে অনেক দায়িত্ব লাগে।সেই দায়িত্ব গুলো পালন করে বলেই ফিহা অনির কাছে তার নিজের মা হয়ে উঠেছে। অনি এখন ফিহাকে ছারা কিছু বুঝে না।

আকশিঃ তা তো দেখতেই পাচ্ছি।আমি যে এই মা আর মেয়েকে কি করে পটাবো তার টেনশনে মরে যাচ্ছি।

চোখ দুটো ভার হয়ে আছে ফিহার।পিটপিট করে চোখ খুলে চারপাশ দেখতে লাগলো।মাথাটা অনেকটা হালকা লাগছে।চারিদিকে তাকিয়ে ফিহা বুঝতে পারলো ও এখন হসপিটালে।সকালের কথা মনে হতেই ধপ করে উঠে বসতে চাইলে কোমড়ে ব্যাথা অনুভব করলো।অনি কোথায়?সকালে তো ওকে কিছু খাওয়ানো হয়নি।ধীরে ধীরে সকালের ঘটনা মনে পরে গেল।শক্তি জোগাড় করে উঠতে নিলে নার্স এসে বাঁধা দিলো।

নার্সঃ আরে ম্যাম আপনি করছেন কি?আপনি অসুস্থ। এভাবে উঠতে পারবেন না।আপনি রেস্ট নিন।শরীর ভীষণ দূর্বল।যেকোনো সময় পরে যেতে পারেন।
ফিহাঃ আমার বাচ্চা কোথায় নার্স?সারা সকালে ও মুখে কিছু দেয় নি।আমার মেয়ে আমাকে ছারা কারো হাতে খায় না।
নার্সঃ আপনার মেয়ে আপনার স্বামীর কাছে আছে।আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন।প্লিজ ম্যাম আপনি হাইপার হবেন না।
ফিহাঃ আমার স্বামী। (অবাক হয়ে)
নার্সঃ হুম আপনার স্বামী। আমি কি তাকে ডেকে দিবো।আপনার মেয়ে কি নিশ্চয়ই আপনার দেখতে ইচ্ছে করছে।
ফিহাঃ হ্যাঁ,খুব দেখতে ইচ্ছে করছে। আপনি কি আমাকে একটু ধরে বসিয়ে দিবেন।
নার্সঃ নিশ্চয়ই।

ফিহাকে ধরে নার্স বসিয়ে দিয়ে আকশির কাছে চলে
গেলো।ফিহা এবার নিজের দিকে তাকালো। শরীরে হসপিটালের আকাশি কালার পোশাক, হাতে স্যালাইন লাগানো।আকশির সামনে এসে নার্স বললো।

নার্সঃ এখানে পেশেন্টের স্বামী কে?
আকশিঃ জ্বি আমি।
সাফানঃ 🙄🙄
আদিয়াতঃ 🤨🤨
আকশিঃ এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন তোরা আমার দিকে?আমি কি ভুল কিছু বলেছি।
সাফান, আদিয়াতঃ একদম না।(একসাথে)
আকশিঃ কিছু বলবেন? (নার্সকে উদ্দেশ্য করে)
নার্সঃ পেশেন্টের জ্ঞান ফিরেছে।আর বাচ্চাকে দেখতে চাইছে।আপনি বাচ্চাকে নিয়ে ভেতরে চলে যান।

আকশি ভীরু পায়ে গুটিগুটি পা ফেলে ফিহার সামনে যেতে লাগলো।ভেতরে ভেতরে অনেক আনইজি ফিল করছে।ফট করে দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করলো।দরজা খোলার শব্দে ফিহা সেদিকে তাকাতেই অবাক হয়ে গেল।ওর সামনে অনিকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আকশি চৌধুরী। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না।ধীর গতিতে আকশি ফিহার সামনে এলো।আকশির থেকে ফিহা অনিকে কোলে তুলে নিলো।কিন্তু হা করে আকশির দিকেই তাকিয়ে আছে ফিহা।আকশি এক হাতে ফিহাকে জরিয়ে নিয়ে ফিহার দিকে তাকালো।ফিহা এতটাই অবাক হয়েছে যে নিজের বাহু থেকে আকশির হাত সরাতেও ভুলে গেছে।দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে আছে।কোলে ছোট বাচ্চা।মনে হচ্ছে সদ্য মা-বাবা হওয়া দম্পতি।

আদিয়াত এবারও ঠিক সময়ে একটা ফটো তুলে নিলো।আকশির পেছন পেছন এসেছিলো।ওদের দুজনকে এভাবে দেখে ছবি তোলার লোভটা সামলাতে পারে নি।পকেট থেকে মোবাইল বের করে বেশ কিছু ছবি তুলে ফেললো।

#চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে