Monday, October 6, 2025







মায়াজাল পর্বঃ ০৬

মায়াজাল পর্বঃ ০৬
লেখকঃ আবির খান

রিফাতের খুব চিন্তা হচ্ছে। মনটা কেমন কেমন করছে। অধরা ঠিক আছে তো? ড্রাইভারটাও ফোন ধরছে না। হঠাৎই রিফাত দেখে ওর আশেপাশের সবাই মেইন গেইটের দিকে তাকিয়ে আছে। তাঁরা অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। রিফাত এক ঝটকায় ঘুরে মেইন গেইটের দিকে তাকায়। ও আস্তে করে বলে উঠে,

রিফাতঃ অধরা! (অবাক হয়ে)

রিফাত অধরার দিকে তাকিয়ে আছে। অধরা ওর দিকেই হেঁটে হেঁটে আসছে। একদম সত্যিকারের প্রিন্সেস লাগছে আজ অধরাকে। দুধে আলতা গায়ের রং এর সাথে ব্ল্যাক শাড়ী হেভি মানিয়েছে। রিফাতের চোখ ঝলমল করছে অধরাকে দেখে। সবচেয়ে বেশী ওর নজর কারছিল অধরার ডিপ লিপস্টিক দেওয়া ঠোঁটটা। আর কাজল কালো চোখগুলো। উফফ! রিফাত বাকরুদ্ধ হয়ে শুধু অধরাকে দেখছে৷ শুধু ও বললে ভুল হবে বাকি সবাই।

অধরাঃ স্যার….স্যার…

রিফাতঃ হ্যাঁহ…হ্যাঁ বলো…(ঘোর কেটে)

অধরাঃ এসেছি।

রিফাতঃ অধরা…

অধরার বুকটা কেঁপে উঠে এভাবে ডাকটা শুনলে। রিফাতকে আজ অসম্ভব হ্যান্ডসাম লাগছে। অধরা কিছুটা লজ্জা পাচ্ছে। ও আস্তে বলে,

অধরাঃ জ্বী স্যার?

রিফাতঃ অসম্ভব সুন্দর লাগছে তোমাকে। আমি যেভাবে ভেবে ছিলাম তার থেকেও অনেক অনেক গুণ বেশী সুন্দরী লাগছে তোমাকে। যেন চাঁদ নেমে এসেছে আমার ভুবনে। একদম প্রিন্সেস।

অধরা খুব লজ্জা পাচ্ছে। আসলে ও যখন প্রথম নিজেকে দেখে নিজেই নিজের ওপর ক্রাশ খেয়ে যায়। এত্তো সুন্দর লাগছিলো ওকে। লজ্জাসিক্ত অধরাকে আরও সুন্দরী লাগছে। রিফাত এক মুহূর্তের জন্যও অধরার উপর থেকে চোখ সরাতে পারছে না। রিফাত বলে,

রিফাতঃ চলো তোমাকে আমার বন্ধুর সাথে পরিচয় করিয়ে দি।

অধরাঃ জ্বী।
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা

◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।

আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share


রিফাত আর অধরা একসাথে হেঁটে নাবিদ আর ওর নববধূর কাছে যায়। সবাই ওদের দিকে কেমন করে যেন তাকিয়ে আছে। অধরা বেশ পড়তে পারছে সে উৎসুক চোখগুলো। অধরা রিফাতের আরও কাছ দিয়ে হাঁটে।

রিফাতঃ বন্ধু এই যে আবিদা৷ তোদের ভাবি। (মজা করে)

নাবিদঃ আর বলতে। বিয়ে আমাদের। তাকিয়ে আছে সবাই তোদের দিকে। তা ভাবি আপনি এতো সুন্দর কেন? আমার বউটাকে দেখেন একটুও সুন্দরী না। ইসস! আব্বা যদি আপনার সাথে বিয়েটা দিতো অামার। (মজা করে)

রিফাত হাসছে। অধরা খুব লজ্জা পাচ্ছে। অবাকও হচ্ছে। সেই রিফাত ওকে ওর স্ত্রী হিসেবেই পরিচয় করালো। অধরার কিছুটা খারাপ লাগে। এটা না বললেও পারতো। রিফাত অধরার মন পড়ে ফেলে। ও হাসি দিয়ে বলে,

রিফাতঃ শোন মজা করছিলাম। ও তোদের ভাবি না। আমার পারসোনাল সেক্রেটারি।

নাবিদ সহ ওর বন্ধুবান্ধব আরো যারা ছিল সবাই সকড। নাবিদ বলে,

নাবিদঃ ধুর কি বলিস? সত্যি?

রিফাতঃ আরে হ্যাঁ। একটু মজা করলাম।

নাবিদঃ শালা তুইও না। দেখছোছ তোরা ওর কাহানী?

নাবিদের স্ত্রী পাশ থেকে বলে উঠে,

বউঃ তুমি এতো লাফাচ্ছো কেন? এখন আপু সিঙ্গেল দেখে কি তাকে বিয়া করবা নাকি?

নাবিদঃ আরে না না। আমারতো তোমাকে ভালো লাগছে। তুমি হলেই হবে। হাহা।

বউঃ তাতো দেখতেই পারছি।

হঠাৎ করেই অনেকগুলো মেয়ে এসে অধরা ঘিরে ধরে। ওরা অধরাকে নিয়ে অন্যদিকে যায়। তবে রিফাতের চোখের আড়ালে না। রিফাতের কাছ থেকে অধরা দূরে গেলে ওর মনটা খারাপ হয়ে যায়৷ নাবিদ বলে উঠে,

নাবিদঃ কিরে দোস্ত তুই ওকে ভালবাসিস তাইনা? তোর চোখ কিন্তু তাই বলে দিচ্ছে।

রিফাতঃ শুধু ভালবাসি না। অনেক অনেক বেশী ভালবাসি দোস্ত।

নাবিদঃ বলে দে তাহলে। আর দেরি কীসের?

রিফাতঃ হ্যাঁ দোস্ত বলবো।

নাবিদঃ আবিরটা আসলে ভালোই হইতো তাইনা?

রিফাতঃ শালায় ঢাকার বাইরে। কি আর করার। আচ্ছা আমি ওর কাছে যাই।

নাবিদঃ যা যা। নাহলে কেউ নিয়া যাবে। হাহা।

রিফাত অধরার কাছে যেতে নিলে দেখে একটা ছেলের সাথে ও খুব হাসাহাসি করে কথা বলছে। রিফাত এতোক্ষণ নাবিদের সাথে কথা বলায় একটু বেখায়ালি হয়ে গিয়েছিল। তাই খেয়াল করেনি অধরা কি করছিলো। রিফাত দাঁড়িয়ে আছে সেখানেই। অধরাকে দূর থেকে দেখছে। মুক্ত ঝরা খিলখিল হাসি হাসছে। তবে সেটা ওর জন্য না, ওই ছেলেটার জন্য। রিফাত খুব কষ্ট পায়। সাথে অনেক রাগ হচ্ছে ওর। ও মনে মনে বলছে, “অধরা কি বুঝে না যে আমি ওকে ভালবাসি? ও কীভাবে আমার সাথে এসে অন্য ছেলের সাথে কথা বলে! কীভাবে?”

রিফাতের সাথে অনেকে এসে কথা বলছে, মজা করছে। কিন্তু ওর মন শুধু অধরার কাছে। ওর কিছুই ভালো লাগছে না। প্রচন্ড রাগ হচ্ছে। রিফাত এক জায়গায় বসে পড়ে। অধরার দিকে তাকিয়ে আছে রাগী ভাবে।

এদিকে অধরা ওর পুরনো এক বন্ধুকে পেয়ে তার সাথে গল্পে মেতে উঠে। পুরনো সে দিনগুলোর কথা মনে করছিলো ও। অধরা কথা বলার মাঝেই চোখ যায় রিফাতের দিকে। সেই লাল টুকটুকে অগ্নিগোলক এর মতো চোখগুলো ওর দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। অধরা মুহূর্তেই ভয় পেয়ে যায়। রিফাতের চোখে চোখ পড়তেই অধরার মাথায় আসে, আরে ওতো রিফাতের সাথে এসেছে। ও একা গল্পে মেতে উঠলো তাকে ছেড়ে। যে ওকে এতো সুন্দর করে সাজালো তার কাছে না থেকে অন্যজনের পাশে ও দাঁড়িয়ে আছে। ওতো রিফাতের পিএস। অধরা এসব ভেবে ভীষণ ভয় পায়। ওর বুঝতে বাকি নেই রিফাত খুব রেগে আছে। অধরা দ্রুত রিফাতের কাছে আসে। এসে ওর পাশে বসে। রিফাত কিছু বলছে না। অধরা দেখে রিফাতের চোখগুলো অনেক লাল হয়ে আছে। অধরা আস্তে করে বলে উঠে,

অধরাঃ সরি স্যার, আসলে পুরনো এক ফ্রেন্ডের সাথে অনেক বছর পর দেখা হলো তাই একটু কথা বলছিলাম।

রিফাত গম্ভীরমুখে বলে,

রিফাতঃ তা আসলে কেন? যাও কথা বলো।

অধরাঃ না বলেছি অনেক। আর বলবো না।

রিফাতঃ ভালো।

অধরা মনে মনে বলে, “উনি এতো রেগে আছে কেন? কি এমন ভুল করলাম? না ভুলতো করেছি। ওনার জন্যই তো আমি এখানে। ইসস! এটা কি যে করলাম। আমার তো ওনার কাছেই থাকা উচিৎ ছিল। সরি বলবো একবার? আচ্ছা বলেই দেখি।”

অধরাঃ স্যার স…

রিফাতঃ খেতে আসো।

রিফাত উঠে খেতে যায়। অধরা সরি বলতে পারে না। ওর মনটাও খারাপ হয়ে যায় রিফাতের আচরণ দেখে। ও আর কিছু না ভেবে রিফাতের সাথে খেতে বসে। রাগ করলে কি হবে। রিফাত যথেষ্ট কেয়ার করে অধরাকে খাওয়ায়। অধরা সবটা বুঝতে পারছে। কিন্তু রিফাতের মুখ গম্ভীর। যা অধরার ভালো লাগছে না। কেমন অস্থির লাগছে। খাওয়া দাওয়া শেষ। অধরা বসে আছে। অনেক ছেলে এর মাঝে ওর সাথে ভাব করতে এসেছে কিন্তু ও কাউকে পাত্তা দেয় নি। কারণ ওর এসব পছন্দ না।

রিফাতঃ চলো বাসায় যাবো।

বলেই রিফাত হাঁটা দেয়। অধরাও মাথা নিচু করে হাঁটা শুরু করে। ও বুঝতে পারছে না রিফাত এত্তো রিয়েক্ট কেন করছে। আজ প্রথম অধরা একাই গাড়িতে উঠে। রিফাত দরজা খুলে দেয় নি। অধরা গাড়িতে বসে রিফাতের দিকে তাকায়। রিফাত গাড়ি চালাতে শুরু করে। অনেক রেগে আছে ও। ওর মাথায় একটা কথাই ঘুরছে। অধরা কীভাবে ওকে রেখে অন্য ছেলের সাথে এভাবে কথা বলে? কীভাবে? ও যত ভাবছে ওর কপালের রগটা তত খাড়া হচ্ছে। অধরা খুব ভয় পাচ্ছে। অধরা আর নে পেরে বলে উঠে,

অধরাঃ স্যার প্লিজ শান্ত হন। সরি আমার ভুল হয়েছে। প্লিজ আর রাগ করবেন না। আমার খুব ভয় হচ্ছে। প্লিজ আস্তে গাড়ি চালান।

রিফাত অধরার কোন কথা না শুনে অনেক জোরে গাড়ি চালিয়ে কষিয়ে একটা ব্রেক মারে। অধরা অনেক ভয় পেয়ে যায়। রিফাত গাড়ি থেকে নেমে বাইরে চলে যায়। অধরাও তাড়াতাড়ি বাইরে আসে। এসে দেখে সেই ফুচকা খাওয়ার জায়গাটা। সারি সারি ল্যাম্পপোস্টের বাতি। কিন্তু আশেপাশে কোথাও কেউ নেই। হয়তো এতো রাতে এখানে কেউ আসে না।

অধরা দেখে রিফাত অন্যপাশে গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে দূরে তাকিয়ে আছে। অধরা গুটি গুটি পায়ে আস্তে আস্তে রিফাতের কাছে যায়। ও মাথা নিচু করে আছে। সেভাবেই বলে,

অধরাঃ স্যার প্লিজ আমাকে মাফ করে দিন। ভুল হয়েছে।

রিফাত কিছু না বললে অধরা মাথা তুলে ওর দিকে তাকায়। ল্যাম্পপোস্টের আলোতে অধরা স্পষ্ট দেখতে পায় রিফাতের লাল চোখগুলো ভিজা। অধরা মুহূর্তের জন্য স্তব্ধ হয়ে যায়। রিফাতের চোখে পানি! অধরা এবার কিছুটা জোর গলায় বলে,

অধরাঃ স্যার আমি আপনার পারসোনাল সেক্রেটারি শুধু। তাহলে কেন এত্তো রিয়েক্ট করছেন? আমি আমার বন্ধুর সাথেই একটু কথা বলেছি। আর কারো সাথে বলিনি। তাহলে আপনি কেন এত্তো রিয়েক্ট করছেন? এসব কি?

রিফাত আস্তে করে অধরার দিকে তাকায়। অধরা জিহবায় কামড় দিয়ে ভয় পেয়ে যায়। ও আবার কি বলে ফেললো এসব! এখন তো রিফাত আরো রাগ করবে। অধরা কিছু বলতে যাওয়ার আগেই রিফাত ওর ডান হাত দিয়ে অধরাকে ধরে হ্যাচকা টান মেরে ওর বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে। অধরা অসম্ভব ভয় পেয়ে যায়। নিজেকে ছাড়ানোর ব্যর্থ চেষ্টা করছে। রিফাতের বলিষ্ঠ হাত থেকে ও নিজেকে ছাড়াতে পারছে না। রিফাত বলতে শুরু করে আর অধরা ওর দিকে তাকিয়ে শুনতে থাকে,

রিফাতঃ সেদিন বলেছিলে না, কেন এই সামান্য মেয়েটাকে এত্তো কিছু দিয়েছি? আজ কেন তোমাকে অন্য ছেলের কাছে দেখে আমার কষ্ট হচ্ছে জানো? কেন নিতে পারছি না জানো?

অধরাঃ কেন? (ভীতু স্বরে)

রিফাতঃ কারণ আমি তোমাকে ভালবাসি। হ্যাঁ অধরা আমি তোমাকে ভালবাসি। খুব খুব ভালবাসি। তোমাকে ভালবাসি বলেই তোমাকে রাণীর মতো রেখেছি। তোমার জায়গায় অন্যকেউ হলে এই বুকের ভিতর তো দূর কাছে আসার সুযোগটুকুও পেতো না। তোমাকে সীমাহীন ভালবাসি বলেই এতো আগলে রাখি তোমার খেয়াল রাখি। বলো ভালবাসবে আমায়? বলো?

অধরা পাথর হয়ে আছে। রিফাত ওর মিষ্টি ঠোঁটটার দিকে সেই কখন থেকে তাকিয়ে আছে। অধরার ঠোঁটগুলো কাঁপছে। ওর মাথা কাজ করছে না। খুব অস্বস্তি লাগছে। অস্থির লাগছে। অধরা আর না পেরে বলে,

অধরাঃ স্যার আমাকে ছাড়ুন। আমি আপনাকে কখনো ভালবাসতে পারবোনা৷ কারণ আমি অনেক আগে থেকেই আরেকজনকে ভালোবাসি। আমার পক্ষে আর কাউকে এই মন দেওয়া সম্ভব না। আমাকে ছাড়ুন। ছাড়ুন আমাকে। আমার আর আপনার জব করবো না। এতো দিন এরকম করেন নি। তাই যা বলেছেন তাই করেছি। কিছু বলিনি। কিন্তু আর না। লাগবে না আমার আপনার জব৷ আপনি কি ভেবেছেন আপনি আমাকে কিনে ফেলেছেন? কখনো না। নিকোচি করি আপনার জবের। ছাড়ুন আমাকে।

রিফাত অধরার কথায় প্রচন্ডভাবে আঘাত প্রাপ্ত হয়৷ ও অধরাকে ছেড়ে দেয়। অধরা দূরে সরে দাঁড়ায়। রিফাতের খুব রাগ হচ্ছে। ও অধরার দিকে রাগী ভাবে তাকিয়ে আছে। অধরা যেই আবার কিছু বলতে যাবে রিফাত এক ঝটকায় অধরাকে টান মেরে ওর গোলাপি মিষ্টি ঠোঁটটাকে একদম ওর করে নেয়। রিফাতের যেন কোন হুশ নেই। অধরা চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে। রিফাত চোখ বন্ধ করে পরম আবেশে অধরারকে অনুভব করে যাচ্ছে। ও যেন জীবনের সবচেয়ে মিষ্টি জিনিসটা খাচ্ছে। অনেকটা সময় পর রিফাত অনুভব করে অধরা কাঁদছে। রিফাত ঠাস করে অধরাকে ছেড়ে দেয়। অধরা ঘন ঘন নিঃশ্বাস নিচ্ছে আর ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছে। রিফাতের মাথায় বাজ ভেঙে পড়ে। ও এটা করলোটা কি! রাগের মাথায় মনের সুপ্ত ইচ্ছাটা পূরণ করে ফেলছে৷ রিফাত অধরার কাছে যেতে নিলে অধরা কান্না করতে করতে বলে,

অধরাঃ খবরদার আমার কাছে আসবেন না। নাহলে এখানেই নিজেকে শেষ করে দিব। আমি বাসায় যাবো। যদি নূন্যতম মনুষ্যত্ব থেকে থাকে আমাকে বাসায় দিয়ে আসুন।

অধরা দ্রুত গাড়িতে গিয়ে বসে। রিফাত অসহায় হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ও খুব বড় একটা ভুল করে ফেলেছে। রিফাত আস্তে করে গাড়িতে উঠে গাড়ি চালিয়ে অধরার বাসায় চলে আসে। পুরো রাস্তা জুড়ে অধরা নিঃশব্দে কান্না করেছে। অধরা দ্রুত গাড়ি থেকে নামে। রিফাতও নেমে অধরার হাত ধরে শুধু বলে,

রিফাতঃ আমাকে তুমি খুন করে ফেলো যা ইচ্ছা শাস্তি দেও। তাও প্লিজ আমাকে মাফ করে দেও। আমি রাগের মাথায় এই ভুলটা করে ফেলেছি। দোহাই লাগে তুমি আমাকে মাফ করে দেও। প্লিজ অধরা প্লিজ।

অধরাঃ আমাকে আর কোন দিন অধরা বলে ডাকবেন না। আমি আপনার অধরা না। আমি আমার বিল্লুর অধরা শুধু।

বলেই অধরা চলে যায় ওর বাসায়। রিফাত পিছাতে পিছাতে গাড়ির সাথে গিয়ে ধাক্কা খায়। আর…

চলবে…

কেমন লেগেছে জানাবেন কিন্তু। সাথে থাকবেন সবসময়। ধন্যবাদ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধ
গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ