#jannatul_ferdous
আস্তে আস্তে শিমুর দিকে এগিয়ে আসলো জিহাদ।খাট থেকে উড়না নিয়েই চোখে পেচিয়ে নিলো।
জিহাদ-মহারাণী হঠাৎ শাড়ি পড়ার কারণ কী?
শিমু-শাড়ি পড়লে আমাকে ভালো লাগবে আর তুমি আমাকে ভালো বলবে।
জিহাদ-তুমি তো এমনিতেই কিউট।
শিমু-কিন্তু আমি শাড়ি পড়বোই।
জিহাদ-ঠিক আছে।
শাড়ি পড়ানো হলে চোখ থেকে উড়না সরালো জিহাদ।অবাক হয়ে দেখছে সে শিমুকে।
শিমু-আমাকে এবার সাজিয়ে দিবে।
জিহাদ-আচ্ছা চলুন মহারাণী।
আয়নার সামনে দাড় করিয়ে চোখে কাজল,ঠোটে লিপিস্টিক আর চুল থেকে খোপা ছাড়িয়ে দিলো।
জিহাদ-আমার মহারাণী টাকে অপ্সরার মত লাগছে।
শিমু-আমি তোমার সাথে এভাবেই ঘুরতে যাবো ফ্রেন্ড।
জিহাদ-ফুচকা খাবে?
শিমু-খাবো।
জিহাদ-আচ্ছা কুচি গুলো ঠিক হয় নি।আমি ঠিক করে দিচ্ছি।
শাড়ির কুচি ঠিক করিয়ে দিয়ে উঠে দাঁড়ালো জিহাদ।
জিহাদ-যাওয়া যাক।
শিমু-হুমম চলো।
বের হতেই শিমুর আম্মু বললো—কই যাচ্ছো?
জিহাদ-আন্টি ওকে নিয়ে বের হচ্ছি।
শিমুর আম্মু-সামলাতে পারবে তো?
জিহাদ-জ্বি আন্টি নিশ্চয়ই পারবো।
শিমুর আম্মু-আচ্ছা যা।
দুইজন মিলে একটা পার্কের সাইডে ফুচকার দোকানে বসলো।ফুচকা খেতে খেতে পুষ্প আসলো।
পুষ্প-শিমু তুই বাসার বাইরে।
শিমু-হুম ফুচকা খেতে এসেছি।আচ্ছা তুই আমার সাথে দেখা করতে যাস না কেন?
পুষ্প-তুই তো কারো সাথে দেখা করতে চাস না।আমি কত বার চেয়েছি তোর সাথে দেখা করতে কিন্তু করলি না তুই।
শিমু-কখন করলাম না।দেখো ফ্রেন্ড কী মিথ্যে কথা বলছে।
জিহাদ-আপনাকে আমি চিনি না তবে চুপ থাকেন প্লিজ।
পুলক-কেনো?
জিহাদ-ওর কিছু মনে নেই।ওর সাথে যা ঘটেছে তা আবার মনে করিয়ে দিবেন না প্লিজ।ও যা করছে করতে দেন।
পুষ্প-আচ্ছা একা খাবি আমাকে দিবি না।
শিমু-হুম আমার পাশে আয়।
পুষ্প-দেখ তোর জিজু।
শিমু-কবে বিয়ে করলি?
পুষ্প-৫ মাস হলো।
শিমু-দেখছো ফ্রেন্ড দাওয়াত দিলো না আমাকে।রাগ করছি যা।
পুষ্প-আরে সরি।
শিমু-কানে ধর।
পুষ্প-সবার সামনে?
শিমু-হুম।
পুষ্প-ওকে।
পুষ্প কান ধরতেই শিমু খিলখিল করে হেসে উঠলো।
শিমু-হয়েছে আর লাগবে না।
পুষ্প-এবার বসি আপনার পাশে?
শিমু-হুম বসো।
পুলক-শালিকা আমিও আছি কিন্তু।
শিমু-তুমিও আসো বসো।
পুলক-আচ্ছা ওর কী কোনো সমস্যা আছে?
পুষ্প-আমি যে আমার বেস্টু শিমু সম্পর্কে বলছিলাম এই হচ্ছে শিমু।
পুলক-শুভ্রের জন্য এখনো অপেক্ষা করে?
পুষ্প-হুম অনেক ভালোবাসে।
শিমু-কী ফিসফিস করে কথা বলছিস।দেখছো ফ্রেন্ড আমাদের রেখেই সব কথা শেষ করে পেললো।
জিহাদ-তুমি বকবক একটু কমাবে?
শিমু-ওই যে আইসক্রিম ওয়ালা।আমি আইসক্রিম খাবো।
বলেই দৌড় দিলো রাস্তার দিকে।জিহাদ কিছু বুজে উঠার আগেই একটা গাড়ি এসে ধাক্কা দিয়ে চলে গেলো।রক্তে ভেসে গেলো রাস্তা।দৌড়ে গিয়ে শিমুকে জড়িয়ে ধরলো জিহাদ।
জিহাদ-কেনো এরকম করলে শিমু।এত দিন পর তোমাকে পেলাম,আবার হারাতে পারবো না আমি।কথা বলো শিমু।আমি যে শুধু #তোমাকে_ভালোবাসি।
পুলক-ওকে হাসপাতালে নিতে হবে।জিহাদ উঠো।
জিহাদ-ও আর উঠবে না।আমি কেনো ওকে এখানে আনলাম।
পুলক-এইসব বলে না।পুষ্প আমি গাড়ি আনতেছি।
পুষ্প-জানু কথা বল।
জিহাদ-আমার কলিজা টাকে আমি আবার হারিয়ে পেললাম।
সেই কখন থেকে শিমু ওই বন্ধ দরজার ভিতরে।জিহাদ চুপ হয়ে দরজার পাশেই দাঁড়িয়ে আছে।সময় কেটে যাচ্ছে।নিশু,পুষ্প সহ সবাই কান্না করছে।পুষ্প সেন্সলেন্স হয়ে গেলো কান্না করতে করতে।
নিশু-ভাইয়া আমার আপুটা কী আর উঠবে না?
জিহাদ-ওকে উঠতেই হবে।আমার ভালোবাসার জন্য উঠতেই হবে।
প্রায় ১২ ঘন্টা কেটে গেলো।ডাক্তার এসে বললো শিমু অনেকটা সুস্থ।পুষ্পের জ্ঞান ফিরে আসলো।
শিমুর আব্বু-মা রে এখন কেমন লাগছে?
শিমু-অনেক ভালো লাগছে আব্বু।নিশু কই?
নিশাত-এই তো আপ্পি আমি এখানে।
জিহাদ-আমি তোমার খেয়াল রাখতে পারিনি।তার জন্য আমি সত্যিই সরি শিমু।কান ধরতে বললেও ধরবো।
শিমু-আপনি কে???
কথাটা শুনেই জিহাদ অবাক হয়ে গেলো।শিমু জিহাদকে চিনতেও পারছে না।
চলবে……..
প্রিয় পাঠক আপনারা যদি আমাদের (গল্প পোকা ডট কম ) ওয়েব সাইটের অ্যাপ্লিকেশনটি এখনো ডাউনলোড না করে থাকেন তাহলে নিচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে এখনি গল্প পোকা মোবাইল অ্যাপসটি ডাউনলোড করুন => ??????
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.golpopoka.android