#jannatul_ferdous.
চকলেট কিনে দিতেই খেতে শুরু করলো শিমু।জিহাদ টাকা দিয়ে পিছনে ঘুরতেই দেখলো শিমু রাস্তার মাঝখানে চলে গেছে আর আপন মনে চকলেট খেয়েই যাচ্ছে।পিছন থেকে গাড়ি আসছিলো কিন্তু সে খেয়াল নেই শিমুর।জিহাদ শিমুকে টান দিয়ে সরিয়ে নিয়ে গেলো।
জিহাদ-এই তুমি চোখে দেখো না।এখুনি তো গাড়িটা এক্সিডেন্ট করিয়ে পেলতো।তুমি কী নিজের দিকে খেয়ার রাখতে পারো না?
শিমু-(কান্না করতে করতে)আম্মু এটা আমার ফ্রেন্ড না।আমাকে বকছে,আমাকে একটুও আদর করে না।আম্মু(চিৎকার দিয়ে উঠলো)
জিহাদ-সরি শিমু।আমি আর বকবো না।
শিমু-কানে ধরো।
জিহাদ-রাস্তাতে সবাই দেখছে।
শিমু-আম্মু……..
জিহাদ-ধরছি তো।
শিমু-উঠবস করো।
জিহাদ-এটাও করতে হবে।
শিমু-করতে হবে।
জিহাদ-আচ্ছা।
জিহাদ কান ধরে উঠবস করছিলো আর শিমু খিলখিল করে হাসছে।শিমুর হাসিতে জিহাদও হাসছে।
শিমু-আচ্ছা আর লাগবে না।শুভ্রকে বলবো তুমি অনেক ভালো।
(শুভ্রের নাম শুনেই জিহাদের মুখ কালো হয়ে গেলো)
শিমু-চলো আম্মু তোমার জন্য রান্না করছে।
জিহাদ-আচ্ছা চলো।
ভিতরে যেতেই নিশাত বললো—
—-ভাইয়া তুমি কানে ধরছো আমি ছাদ থেকে দেখেছি।
জিহাদ-কি করবো মহারাণীর আদেশ মানতেই হবে।
নিশাত-ভাইয়া একটা কথা বলবো?
জিহাদ-হুম বলো।
নিশাত-ভাইয়া আমার আপুর বর্তমান হয়ত ওই অতীতেই আটকে আছে তাই আপু বুজেও না তুমি ওকে ভালো বাসো।তুমি ভালোবাসো তাই না ভাইয়া?
জিহাদ-এসব বাদ দাও তো।
নিশাত-তুমি তাহলে আপুকে ভালোবাসো না?
জিহাদ-হুম ভালোবাসি।অনেক আগে থেকেই ভালোবাসি।কিন্তু তোমার আপু কী আমার হবে?
শিমু-যা…..
জিহাদ-কি হলো?
শিমু-উপরে দেখো।
বলতে না বলতেই চিকেনের পিসটা জিহাদের গায়ে এসে পরলো।শিমু জোরে হেসে উঠলো।রাগ উঠলেও শিমুর হাসি দেখে জিহাদের রাগ চলে গেলো।
নিশাত-সরি ভাইয়া।আপু একটু…….
জিহাদ-আমি কিছু মনে করিনি।আমি একটু ফ্রেশ হবো।
জ্যাকেটটা খুলে পেলে ফ্রেশ হয়ে এলো জিহাদ।শিমু চুপচাপ এতক্ষন সব কিছু দেখছিলো।
জিহাদ-কি ব্যাপার খাবার খাচ্ছো না কেন?
শিমু-আমি নিজের হাতে খাই না।
জিহাদ-এত বড় মেয়ে নিজের হাতে খাও না।
শিমু-আমাকে খাইয়ে দাও।
জিহাদ-আমি কাউকে খাওয়াতে পারি না।
শিমু-না দিতে হবে।
বলেই চিৎকার শুরু করে দিলো শিমু।বাধ্য হয়ে জিহাদ খাবার নিয়ে খাইয়ে দিতে লাগলো শিমুকে।
নিশাত-ভাইয়া আপু যা বলে তাই করা লাগে সবাইকে।তুমি রাগ করো না প্লিজ।
জিহাদ-আরে না রাগ করিনি।ওর উপর রাগ করা যায়?
শিমু-ফ্রেন্ড তুমি অনেক ভালো।আমি এতগুলা সরি ওইরকম করার জন্য।
জিহাদ-তুমিও অনেক ভালো।এখন চুপচাপ খাও।
খাবার খেয়ে শিমু ঘুমাতেই জিহাদ চলে গেলো।বিকেলে ঘুম ভাঙ্গতেই জিহাদকে দেখতে পেলো না শিমু।
শিমু-বাবাই,আম্মু।
বাবাই-কি হইছে?
শিমু-আমার ফ্রেন্ড কই?
বাবাই-তোমার ফ্রেন্ড ওর বাসায় গেছে।
শিমু-আমাকে রেখে গেলো কেনো।আমি কিচ্ছু রাখবো না,সব ভেঙ্গে পেলবো।
পুরো রুমের জিনিষপত্র তছনছ করতে লাগলো শিমু।
শিমু-আমার ফ্রেন্ডকে চাই এখুনি চাই।আমার ফ্রেন্ডকে তোমরা তাড়িয়ে দিলে কেন।
শিমুর আব্বু বাইরে থেকে দরজা লক করে জিহাদকে কল দিলো।শিমু ভিতরে চিৎকার দিয়ে কাঁদছিলো।
১০মিনিট পরেই…..
দরজা খুলে জিহাদ ডুকতেই একটা ফুলের টব ওর দিকে ছুড়ে মারলো।তবে জিহাদের গায়ে এসে লাগেনি এটা।
শিমু-ফ্রেন্ড তোমার লাগেনি তো।আমি ভেবেছি ওরা তোমাকে তাড়িয়ে দিয়েছে।তুমি আমাকে ছেড়ে কোথাও যাবো না ফ্রেন্ড।
বলেই দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরলো জিহাদকে।কিছুক্ষনের জন্যই অবাক হয়ে গেলো জিহাদ।তারপর শিমুকে জড়িয়ে ধরলো সে।
জিহাদ-রুমের এই অবস্থা করলে কেন।তুমি তো গুড গার্ল,ভালো মেয়েরা কী এসব করে?
শিমু-তুমি চলে গেছিলে কেন?আর যাবে না তো।
জিহাদ-না যাবো না।তবে এসব করা যাবে না।
শিমু-আচ্ছা তুমি থাকলে আর করবো না।
জিহাদ-চলো এবার রুম গুছাবে।
শিমু-ঠিক আছে।
এভাবেই শিমু এক মূহুর্ত জিহাদকে চোখের আড়াল করতো না।তাই জিহাদ বাধ্য হয়ে শিমুদের বাড়িতেই চলে আসলো।
শিমুর আব্বু-তোমার অনেক কিছু করতে হচ্ছে আমার পাগলী মেয়েটার জন্য।কিন্তু কয়েকদিনে সে শুভ্রকে একবারের জন্যও খুজেনি।
জিহাদ-না আঙ্কেল এসব কিছু না।ওকে আমি সুস্থ করেই ছাড়বো।
শিমুর আব্বু-অনেক ধন্যবাদ। আমার মেয়ে সুস্থ হলে আমি সারাজীবন তোমার কাছে কৃতজ্ঞ থাকবো।
জিহাদ-আঙ্কেল ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করো না তো।
শিমু-ফ্রেন্ড কই তুমি।
জিহাদ-আঙ্কেল আমি আসছি।
শিমুর আব্বু-যাও।
জিহাদ-কি হইছে(রুমে এসেই)
শিমু-আমাকে শাড়ি পড়িয়ে দাও।
জিহাদ-আমি নিশু কে ডেকে দিচ্ছি ও পড়িয়ে দিবে।
শিমু-তুমি মানে তুমি পড়িয়ে দিবে।
বলেই গায়ের উড়নাটা খুলে পেলে দিলো খাটে।
জিহাদ-একটু অপেক্ষা করো পড়িয়ে দিবো।
চলবে……….
প্রিয় পাঠক আপনারা যদি আমাদের (গল্প পোকা ডট কম ) ওয়েব সাইটের অ্যাপ্লিকেশনটি এখনো ডাউনলোড না করে থাকেন তাহলে নিচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে এখনি গল্প পোকা মোবাইল অ্যাপসটি ডাউনলোড করুন => ??????
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.golpopoka.android