ভালোবাসি তোমাকে পার্ট-০১
jannatul_ferdous
নিশাত এসে টান দিয়ে সরিয়ে নিয়ে গেলো শিমুকে।আরেকটু হলেই ছাদ থেকে ঝাপ দিতো সে।কিন্তু নিশাত সরিয়ে নিয়ে গেলো।বৃষ্টি হচ্ছে তার মাঝেই শিমু ছাদে চলে আসছিলো।
নিশাত-(জড়িয়ে ধরে)কি করছিস এসব আপ্পি.এত কাছে গেলি কেনো ছাদের।তোর যদি কিছু হয়ে যেতো.
শিমু-আমার আবার কী হতো?দেখ ও দাঁড়িয়ে আছে আমার অপেক্ষায়,যেতে হবে তো আমাকে।
নিশাত-আপ্পি কেউ নেই দাঁড়িয়ে.চল এখান থেকে.
(নিশাত টেনে নিছে নিয়ে গেলো শিমুকে)
নিশাত-আম্মু.
শিমুর আম্মু-কি হয়েছে?
নিশাত-দেখো কী করছে.
শিমুর আম্মু-শিমু তো পুরো ভিজে গেলো।এভাবে ভিজলো কীভাবে?
নিশাত-ছাদে গিয়ে.
শিমুর আম্মু-আবার ছাদে গেলো.নিশু যা তো ওকে চেঞ্জ করিয়ে নিয়ে আয়।আমি খাবার দিচ্ছি।
শিমু-আম্মু।
শিমুর আম্মু-বল মা।
শিমু-শুভ্র তো ওইখানে দাঁড়িয়ে আছে।ও তো ভিজে যাবে,ওকে বাসায় আসতে বলো।
শিমুর আম্মু-(চোখে পানি টলমল করছে)–আচ্ছা তুই চেঞ্জ কর আমি ওকে নিয়ে আসছি।
শিমুকে নিয়ে নিশু চলে গেলো।
শিমুর আম্মু-আমার মেয়েটার ভাগ্যেই এরকম হয় কেন?হে পরম করুনাময় আল্লাহ ওর এই অবস্থা আমি মা হয়ে কীভাবে দেখবো।ওর সুস্থ হওয়ার পথ দেখিয়ে দেন আমিন।
শিমুর আব্বু-শুনছো গতকালকেই বিদেশ থেকে ডাক্তার এসেছে।আমরা শিমুকে নিয়ে ওর কাছে যাবো।
শিমুর আম্মু-আমার শিমু সুস্থ হবে তো?
শিমুর আব্বু-চেষ্টা করে তো দেখতে পারি.বাকিটা আল্লাহ ভরসা।
শিমুর আম্মু-হুমমম।নিশু শিমুকে নিয়ে খেতে আয়।
শিমু-(খাবার টেবিলে বসেই)–শুভ্র কই আম্মু।তুমি ওকে আনোনি?আমি খাবো না।
(বলেই প্লেটটা ফ্লোরে ছুড়ে পেলে দিলো)
শিমুর আম্মু-শিমু(চিৎকার দিয়ে উঠলো)
শিমুর আব্বু-থামো ওর উপর রাগ করছো কেন?
মা রে এইদিকে আয়.এত রাগ করলে হয়.আমি গেছিলাম ওকে আনতে,ও বাসায় চলে গেছে।তোর আন্টি তো ওর জন্য অপেক্ষা করছে তাই না?
শিমু-হুম না গেলে তো আন্টি বকা দিবে।
শিমুর আব্বু-তাই তো চলে গেছে।এখন তুই খেয়ে নে।
শিমু-আচ্ছা ঠিক আছে তুমি খাইয়ে দাও.
শিমুর আব্বু-আমার রাজকুমারীটাকে খাইয়ে দিবো তো।
শিমু-লাভ ইউ বাবাই.
শিমুর আব্বু-লাভ ইউ টু মা.
শিমুকে বুজিয়ে সুজিয়ে খাইয়ে দিলো ওর বাবা।কিন্তু এভাবে আর কয় দিন চলবে.
শিমুর আম্মু-আমার মেয়েটা কী আর কোনো দিন সুস্থ হবে না?
শিমুর আব্বু-দেখি এই ডাক্তারটাকে দেখিয়ে.কালকে যাবো আমি ওর সাথে দেখা করতে.
শিমুর আম্মু-ঠিক আছে.
পরের দিনেই শিমুর আব্বু-আম্মু শিমুকে নিয়ে চলে গেলো ডাক্তারের চেম্বারে.
শিমু-আমি এখানে কেনো?
শিমুর আম্মু-তোর সাথে একজনের দেখা করাতে নিয়ে এসেছি.
শিমু-কে?
জিহাদ-আমি.(পিছন থেকেই বললো)
শিমু-এই তুমি কে?
জিহাদ-আমাকে চিনতে হলে ফ্রেন্ড হতে হবে আমার।
শিমু-আচ্ছা ফ্রেন্ড।
জিহাদ-তাহলে আমার নাম জিহাদ আর আমি তোমার ফ্রেন্ড।
শিমু-তুমি খুব ভালো।
জিহাদ-তুমিও.আন্টি আজকে ওকে নিয়ে চলে যান আমি পরে যাবো আপনাদের বাড়িতে ওকে দেখতে।
শিমু-আমার জন্য কিন্তু চকলেট আনতে ভুলবে না।
জিহাদ-ঠিক আছে মহারাণী।
শিমুর আম্মু-চল তাহলে।
শিমু-আমার সাথে দেখা করতে যাবে কিন্তু।
জিহাদ-যাবো তো,মহারাণীর হুকুম তো মানতেই হবে
শিমু-আচ্ছা।
(শিমু চলে গেলো)
শিমুর আব্বু-আপনি তাহলে ডাক্তার।
জিহাদ–হুমম,ওর সব গুলো রিপোর্ট হাতে পেয়েছি।
শিমুর আব্বু-ধন্যবাদ ডাক্তার.
জিহাদ-ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবেন না প্লিজ।ওর এরকম অবস্থা হলো কীভাবে তা যদি বলতেন।
শিমুর আব্বু-আচ্ছা বলো কী জানতে চাও.
জিহাদ-এখানে থেকে বের হয়ে চলুন.অন্য কোনো জায়গায় কথা বলতো পারি আমরা.
শিমুর আব্বু-ঠিক আছে চলো.
জিহাদ আর শিমুর আব্বু গিয়ে একটা কপিশপে বসলো।তারপর বলা শুরু করলো ১বছর আগের কথা।
চলবে………….
বি.দ্র.ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।