লেখা-jannatul ferdous.
শিমুর আব্বু বলা শুরু করলো ১বছর আগের কথা——
প্রায় ১বছর আগে শিমুকে শুভ্র নামের একটা ছেলেকে ভালোবাসতো,শিমুও তাকেই ভালোবাসতো.ছেলেটা ছিলো আমার বন্ধুর ছেলে.ছেলেটাকে আমারও ভালো লাগতো।
জিহাদ–তাহলে ওর সাথে বিয়ে দেওয়াতে সমস্যা কী ছিলো?
শিমুর আব্বু-হুম বিয়ে দিতে চাইছিলাম.৬ মাস আগে শিমু শুভ্রকে নিয়ে আমার কাছে আসে.
৬ মাস আগে…….
শিমু-বাবাই তোমাকে বলছিলাম না শুভ্রের কথা.
শিমুর আব্বু-আরে শুভ্র কেমন আছো?
শুভ্র-ভালো আছি আঙ্কেল.তুমি কেমন আছো?
শিমু-তোমরা চিনো দুজন দুজনকে…..????
শিমুর আব্বু-আমার বন্ধু সোহান আঙ্কেলকে তো চিনো.ওর ছেলেই শুভ্র.
শিমু-আমি তো শুধু শিশিরকে দেখছি.
শিমুর আব্বু-শুভ্র শিশিরের বড় ভাই.
শিমু-তুমি তো খুব পচা আমাকে বলো নাই.
শুভ্র-আমি তোমাকে বিদেশে থাকতেই দেখেছিলাম, সেদিন থেকেই তোমাকে ভালোবেসে পেলি.
শিমুর আব্বু-আচ্ছা আমি সোহানের সাথে কথা বলে সব ঠিক করবো.
শুভ্র-থ্যাংকিউ আঙ্কেল.
শিমুর আব্বু-আমার মেয়ের সুখেই তো আমার সুখ.
শিমু-লাভ ইউ বাবাই.
শিমুর আব্বু-ঠিক আছে মামনি তোর আম্মুকে বল ওকে খেতে দিতে.
শিমুর আম্মু-খাবার রেডি হয়ে গেছে।চলো শুভ্র.
নিশাত-ভাইয়া.
শুভ্র-আরে শালিকা যে কেমন আছো?
নিশাত-ভালো আছি.
শুভ্র-শালিকা আমাকে পছন্দ হয়েছে?
নিশাত-কি জন্য?
শুভ্র-তোমার আপুর বর হিসেবে?
নিশাত-চলবে তবে আমাকে নিয়মিত ফুচকা খাওয়াতে হবে.
শুভ্র-হাহাহা.ঠিক আছে খাওয়াবো.
নিশাত-ওকে চলো খেতে চলো.
এইটুকুই বলেই আবার দীর্ঘশ্বাস পেললো শিমুর আব্বু.
জিহাদ–তারপর কি হলো আঙ্কেল???
শিমুর আব্বু-সোহানের সাথে কথা বলে বিয়ে ঠিক করে পেলি দুইজনের.
জিহাদ–তাহলে শুভ্র এখন কোথায়?
শিমুর আব্বু-বিয়ে ঠিক হওয়ার পর থেকে আমার মেয়েটা খুব খুশি ছিলো।এত খুশি,এত হাসতো মেয়েটা.মেয়েটার হাসি মুখ টা দেখে খুব ভালো লাগছিলো।আর শুভ্রও ছেলে হিসেবে খারাপ ছিলো না।খুব ভালো ছিলো ছেলেটা।
জিহাদ–তারপর??
শিমুর আব্বু-এভাবেই বিয়ের দিন এগিয়ে আসলো।সবাই খুব খুশি ছিলো বিয়েতে.
বিয়ের দিন–
শিমুর আব্বু-কী ব্যাপার সোহান,শুভ্র কই?
শুভ্রের আব্বু-ওর ফ্রেন্ডসদের সাথে আসবে.
শিমুর আম্মু-আচ্ছা ঠিক আছে.
বিয়ের সময় পার হয়ে যাচ্ছিলো কিন্তু শুভ্র আসলো না(চোখ ভিজে আসলো শিমুর আব্বুর)
জিহাদ–শিমু কি করলো আঙ্কেল?
শিমুর আব্বু-আমার মেয়েটা সহ্য করতে পারেনি এসব।দরজা বন্ধ করে পেললো।অনেক বার দরজা খুলতে বললাম, খুললো না।দরজা ভেঙ্গে সারা ফ্লোরে রক্তে ভরপুর ছিলো।মেয়েটা আমার ফ্লোরে অজ্ঞান হয়ে পড়ে ছিলো লাল শাড়ি পরে, সাজগোজ করে.
জিহাদ–শুভ্র এভাবে ঠকালো কেনো শিমুকে?
ওকে নিয়ে হাসপাতালে গেলাম।ডাক্তার ওকে সুস্থ করে তুললেও জানতে পারি যে শুভ্রের গাড়ি একসিডেন্ট হইছে
জিহাদ–শুভ্র বেঁচে নেই?
শিমুর আব্বু-হুম এক্সিডেন্টে মারা যায় শুভ্র।শিমু শেষ বারের মত দেখতেও পারেনি শুভ্রকে।তারপর থেকেই মেয়েটা আমার এরকম হয়ে গেলো.তুমি আমার মেয়েটাকে বাঁচাও,ওর এই অবস্থা আর সহ্য হচ্ছে না.
ডাক্তার বললো ওর মানসিক অবস্থা ঠিক নেই।সব জায়গায় ওর অনূভুতিতে নাকি শুভ্র মিশে আছে।আর ওর অনুভূতিকে মুছা কারো পক্ষেই সম্ভব না।
আমার মেয়েটাকে বাঁচাও প্লিজ।(চোখ দিয়ে পানি পড়তে লাগলো শিমর আব্বুর)
জিহাদ-বাঁচাতে তো হবেই।ওকে যে আমিও ভালোবাসি সেই ছোট বেলা থেকে(আস্তে আস্তে বললো জিহাদ)
শিমুর আব্বু-কিছু বললে?
জিহাদ-না আঙ্কেল কিছু না।ওর মন থেকে অতীতের অনুভূতি আমি মুছে দিবো।
শিমুর আব্বু-তাহলে চলো বাড়িতে।আচ্ছা তুমি তো নাকি বিদেশ থেকে আসছো,কই থাকো এখন?
জিহাদ-আমার বাড়িতে।
শিমুর আব্বু-এখানে তোমার বাড়ি আছে?
জিহাদ-হুম আছে।
শিমুর আব্বু-আচ্ছা আজ উঠা যাক।
জিহাদ-চলুন আপনাকে দিয়ে আসি।
শিমুর আব্বু-না এত কষ্ট করতে হবে না।
জিহাদ-কষ্ট হবে কেনো আঙ্কেল।চলুন দিয়ে আসি।
শিমুর আব্বু আর আপত্তি করলো না।বাড়ির সামনে গিয়ে গাড়ি থেকে নামতেই শিমু দৌড়ে আসলো।
শিমু-শুভ্র এসেছে,শুভ্র এসেছে।
গাড়ির সামনে জিহাদকে দেখেই দাঁড়িয়ে গেলো।কেঁদে দিলো শিমু।
জিহাদ-কান্না করছো কেনো?
শিমু-তুমি আসছো কেনো?আমার শুভ্র কই?
জিহাদ-তুমিই তো আমাকে আসতে বললে চকলেট নিয়ে।
শিমু-চকলেট!!! দাও তাহলে।
জিহাদ-আনতে ভুলে গেছি।
আরো জোরে চিৎকার দিয়ে উঠলো শিমু
জিহাদ-চলো এখুনি সামনের দোকান থেকে কিনে দিবো।
শিমু-হুম চলো।
চকলেট কিনে দিতেই খেতে শুরু করলো শিমু।জিহাদ টাকা দিয়ে পিছনে ঘুরতেই দেখলো শিমু রাস্তার মাঝখানে চলে গেছে আর আপন মনে চকলেট খেয়েই যাচ্ছে।পিছন থেকে গাড়ি আসছিলো কিন্তু সে খেয়াল নেই শিমুর।
চলবে……..
প্রিয় পাঠক আপনারা যদি আমাদের (গল্প পোকা ডট কম ) ওয়েব সাইটের অ্যাপ্লিকেশনটি এখনো ডাউনলোড না করে থাকেন তাহলে নিচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে এখনি গল্প পোকা মোবাইল অ্যাপসটি ডাউনলোড করুন => ??????
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.golpopoka.android