ভালোবাসার_রং পর্ব-১৩

0
2673

#ভালোবাসার_রং (❣️You are my Lifeline ❣️)

#Part_13

#Ishita_Rahman_Sanjida_(Simran)

আকিব: আমার কিছু হয়নি,,,,,
আনহা: কিছু তো একটা হয়েছে,,,, ভার্সিটি থেকে ফেরার পর থেকে দেখছি তুমি আমাকে ইগনোর করছো,,,,কারণটা কি হুম,,,,

আকিব: ইগনোর তোমাকে,,,,তাও আমি,,,,
হুহ (একটু হেসে) তোমাকে ইগনোর করতে যাব কোন সুখে,,,, আর তুমি তো আমার কে হও যে তোমাকে ইগনোর করব,,,, ওপস সরি
তুমি তো আমার বউ নামমাত্র,,,,যাক গে এত কথা বলার সময় নয় এখন,,,, সামনে আমার পরীক্ষা এটা নিশ্চয়ই জানো তাই আমাকে পড়তে হবে,,,,সো ডোন্ট ডিস্টাব মি ওকে,,,,

আকিব আনহার হাত থেকে বইটা নিয়ে আবার পড়তে বসে,,,,আনহা আকিবের কথায় থ হয়ে যায়,,,,এ কোন আকিবকে দেখছে ও,,,, এরকম ব্যবহার করছে কেন আকিব,,,,, তার কারণটা কি সোহান,,,,, না তা কেন হতে যাবে,,,, আর তাছাড়া সোহানকে তো আনহা দেখতে পারে না সেটা আকিব ভালো করে জানে,,,, তাহলে কেন আকিব এমন করছে,,,,,,যদি কারণটা সোহান হয় তাহলে একবার আনহাকে জিজ্ঞেস করতে পারত,,,,,,আনহা এসব ভাবতে ভাবতে না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়েছে,,,,,,







আকিব টেবিলে বই সামনে নিয়ে বসে আছে
সোহানকে বলা কথাগুলো ওর কানে বাজতেছে,,,,আনহা আকিবকে ভালোবাসে না এই কথাটা ও কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না
কিন্তু কেন,,,,কেন ও আনহার কথাগুলো ওর কাছে খারাপ লাগছে,,,,,আনহা ওকে ভালো না বাসলে তাতে আকিবের কি আসে যায়,,,,
কিন্তু তারপরও আকিবের কেমন যেন অস্থির লাগছে আনহার কথায়,,,, খুব রাগ হচ্ছে,,,,

এসব ভাবতে ভাবতে আকিবের অনেক রাত হয়ে যায় অথচ বই এর এক অক্ষর ও পড়েনি
পড়তে মন চাইছে না,,,, শুধু বই খুলে হাতে একটা কলম নিয়ে বসে আছে,,,, একটু পর পর বইয়ে দাগ দিচ্ছে আর বইয়ের পাতা উল্টাচ্ছে,,,,,আকিব টেবিলের উপর মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ে,,,,,

সকালে আনহার আগেই আকিবের ঘুম ভেঙ্গে যায়,,,,,ফ্রেশ হয়ে আকিব বাইরে হাঁটতে বের হয়ে যায়,,,,আনহা ঘুম থেকে উঠে আকিবকে দেখতে পায় না,,,,আনহা ফ্রেশ হয়ে নিচে এসে খাবার রেডি করতে করেতেই আকিব চলে আসল,,,,আনহা আকিবের দিকে তাকালো কিন্তু আকিব আনহাকে না দেখার ভান করে উপরে চলে গেল,,,,যেটা আনহার ইগোতে লাগলো,,,,,আনহার এখন আকিবের উপর ভিশন রাগ হচ্ছে,,,, ইচ্ছে করছে গিয়ে ওকে আস্ত চিবিয়ে খেতে,,,,স্টুপিড একটা,,,, খাবার রেডি করে আনহা উপরে রুমের দিকে যেতে লাগলো,,,,আকিব ও তখন নিচে আসছিলো
আনহাকে এমনভাবে ক্রস করল মনে হয় ওকে চেনেই না,,,,আনহার এবার ইচ্ছে করছে লাথি মেরে আকিবকে ফেলে দিতে,,, কিন্তু সেটা ও পারবে না,,,,,আনহা রাগে গজরাতে
গজরাতে রেডি হতে চলে যায়,,,, রেডি হয়ে এসে দেখে আকিব টেবিলে বসে খাচ্ছে,,, আর ওর শাশুড়ি খাবার সার্ভ করছে,,,,,আনহাকে
ডেকে খেতে বসাল,,,, খাওয়া শেষ করে আকিব ভার্সিটিতে যাওয়ার জন্য পা বাড়াল
আনহা ও ছুটল পিছু পিছু,,,,,





ভার্সিটির সামনে এসে বাইক থামায় আকিব,,,
আনহা নেমে পড়ে,,,, একটু এগোতেই আকিব আনহাকে ডাকল,,,,,
আকিব: Excuse me
আনহা ভ্রু কুঁচকে আকিবের দিকে তাকায়
আকিব: আপনার কি আজকে এক্সট্রা ক্লাস আছে,,,,
আনহা: মানে,,,,,
আকিব: তাহলে আমি ওয়েট করবো,,, আপনাকে ছাড়া বাড়ি ফিরলে আমাকে তো উওম মাধ্যম খেতে হবে,,,, আর মা তো জানে না আপনি ভার্সিটির ক্লাস ছেড়ে রেস্টুরেন্টে এক্সট্রা ক্লাস করতে যান,,,,,

আনহা: দেখ আকিব তুমি কিন্তু,,,,
আনহা কিছু বলার আগেই আকিব হাত দিয়ে শার্ট টানতে টানতে চলে গেল,,,,

আনহা তো রাগে অগ্নেগিরির লাভার মতো টগবগ করে ফুটছে,,,,ক্লাসের দিকে হনহন করে এগিয়ে যাচ্ছে,,,, তখনই মারিয়ার সাথে ধাক্কা খায়,,,,,
মারিয়া: উফফ বাবা,,, এভাবে কেউ হাটে আনহা,,,, কি ব্যথা পেলাম,,,,
আনহা মারিয়াকে কিছু না বলে ক্লাসে গিয়ে চুপচাপ বসে পড়ল,,,,, মারিয়া ভাব খারাপ দেখে আনহার কাছে যায়,,,,,আনহার পাশে বসে,,,,,
মারিয়া: কি রে আনহা এতো গরম কেন,,,,
আনহা: কিছু না,,,,,
মারিয়া: আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি তোর গা থেকে আগুনের আঁচ আসছে,,,,,
আনহা: বাজে বকিস না তো যা এখান থেকে
মারিয়া: না আমাকে সব বল কি হয়েছে,,, আর চল বাইরে গিয়ে কথা বলি,,,,,
আনহা: কেন ক্লাস করবি না,,,,,
মারিয়া: আরে টাকলু আজকে আসেনি,,, ওনার নাতনির অন্নপ্রাশন আজকে সেখানে গিয়েছে সো আজকের ক্লাস অফ চল,,,,

মারিয়া আনহাকে টেনে নিয়ে মাঠের এক কোনায় গিয়ে ঘাসের উপর বসে,,,,

মারিয়া: এবার বল কি হয়েছে,,, আমাকে বল হালকা লাগবে,,,,বাই দা ওয়ে কালকের ঘটনার জন্য আকিব তোকে কিছু বলেছে,,,,

আনহা সব খুলে বললো,,,,,

মারিয়া: ওহ এই ব্যপার,,,,,এতে তোর বাঁধছে কোথায়,,,, তুই তো আকিবকে ভালোবাসিস না,,,, তাহলে খারাপ লাগছে কেন,,,,

আনহা: জানি না কিন্তু,,,, আমার ভালো লাগছে না,,,,কাল থেকে আকিব আমার সাথে ঠিকমতো কথাও বলছে না আগে কত কথা বলত মজা করত,,,,ধ্যাত,,,,

মারিয়া: আকিবের সাথে কথা না বললে তোর খারাপ লাগে,,,,
আনহা মাথা ঝাঁকিয়ে হ্যা বলে,,,,
মারিয়া: শোন আনহা,,,, তুই নিজের অজান্তেই আকিবকে ভালোবেসে ফেলেছিস,,,,
আনহা: কি ???
মারিয়া: হুম,,, না হলে ওর ইগনোর গুলো তোর সহ্য হতো,,,, কিন্তু তুই আকিবের ইগনোর তো সহ্য করতে পারছিস না,,,, তাহলে ভেবে দেখ তুই আকিবকে কতটা ভালোবাসিস,,,,,,

আনহা মারিয়ার কথা গুলো চুপ করে শুনছে
এখন আনহার মারিয়ার কথাগুলো সত্যি মনে হচ্ছে,,,,
মারিয়া: কালকে হয়তো আকিব সোহানের সাথে তোকে দেখে সহ্য করতে পারনি,, তার কারণ হলো আকিব ও তোকে ভালোবাসে,,,
বুঝলি,,,,,
আনহা: কিন্তু এখন আমি কি করবো সেটা বল,,,,,
মারিয়া: বোকা,,,,কি করবি মানে,,,,আকিবকে
সব বলবি,,, আর নিজের মনের কথা গুলো বলবি,,,,,
আনহা: কি বলব,,,,
মারিয়া: হায় আল্লাহ,,,,,বুদ্ধু আকিবকে বলবি তুই ওকে ভালোবাসিস,,,,, শোন একটু রোম্যান্টিক ভাবে বলবি,,,,আস্তে আস্তে ওর কাছে গিয়ে আস্তে করে বলবি,,,,,,আকিব আই লাভ ইউ,,,, (এ্যাকটিন করে) বলবি আমার সাদাকালো মনটাকে তুমি #ভালোবাসার_রং দিয়ে রাঙিয়ে দিয়েছো,,,,
আই লাভ ইউ সো মাচ আকিব,,,,, আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি,,,,,

আনহা এতক্ষণ ধরে মারিয়ার কান্ড দেখতাছে মনে হচ্ছে ও কোন সিনেমার শুটিং করতেছে
নায়ক ওর সামনে আর ও নায়ককে প্রপোজ করতেছে,,,,, মারিয়া এবার থেমে গেল,,,,
মারিয়া: কি রে বুঝলি,,,,
আনহা: কিন্তু আকিব যদি না করে দেয়,,,,,

মারিয়া: তুই দেখতে কোন অংশে কম আছিস হ্যা,,,,, তুই যদি এখন অন্য কোন ছেলেকে প্রপোজ করিস তাহলে সে রাজি হতে এক সেকেন্ড ও সময় নেবে না,,,, আর আকিব তো তোর হাজবেন্ড,,,,বলে দে চাপ নিস না,,,,,,

আনহা: আমার ভয় করছে আমি পারবো না
মারিয়া: পারতে তোকে হবেই,,,, মনে রাখিস তুই আমার বেস্টু,,,,,

আনহা: সেই জন্যই তো ভয় হচ্ছে,,,,,
মারিয়া: কি বললি তুই,,,, আমি তোকে ভালো আইডিয়া দিচ্ছি আর তুই উল্টো ভাবছিস,,,,, থাক দেব না তোকে বুদ্ধি,,,,পরে দেখবি পাখি খাঁচা ছেড়ে অন্য খাঁচায় বাসা বেঁধেছে,,,,

আনহা: অন্য খাঁচায় বাস বাঁধবে মানে,,,,
মারিয়া: বাঁধবেই তো,,,, একটা ছেলে কতদিন সিংগেল থাকতে পারে,,,, তুই বল ওরাও তো চায় একটা বউ পেতে বউকে ভালোবাসতে,,,
কিন্তু তুই তো সেরকম না,,,

আনহা: তুই বলতে চাইছিস আকিব অন্য কারো সাথে,,,,
মারিয়া: এবার লাইনে আসেন,,,,, আকিব অন্যের আঁচলে বাঁধা পড়ার আগে তুই নিজের আঁচলে বেঁধে ফেল,,,,

আনহা: তোর কথাই শুনতে হবে দেখছি,,,,,,
দোস্ত দোয়া রাখিস,,,,,,
মারিয়া: দিলাম দোয়া কইরা,,,,,মরলে খাবি ভিক্ষা কইরা,,,,,,

আনহা মারিয়ার কথায় একটু মুচকি হাসে ও জানে যে মারিয়া এরকমই সবসময় মজা করে

মারিয়া: এই যে মহারানী,,,চলেন আপনাকে বুদ্ধি দিতে দিতে ক্লাসের টাইম হয়ে গেছে,,,,

ক্লাস শেষে মারিয়ার থেকে বিদায় নিয়ে আনহা আকিবের সাথে বাড়িতে আসে,,,,,,,
আনহা আজকে ক্লাসে একটু ও মন দিতে পারেনি,,,,, শুধু ভেবে যাচ্ছে কিভাবে আকিবকে ভালোবাসার কথা বলবে,,,,,ওর বুকটা ধড়ফড় করতে লাগলো,,,, হাত পা কাঁপতে লাগলো,,,,,যে করেই হোক আজকে আকিবকে ও ভালোবাসার কথা বলবেই,,,,,
আনহা রুমে গিয়ে গোসল করতে বাথরুমে ঢুকলো,,,,,,,,

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছে আনহা মারিয়ার কথাগুলো প্রাকটিস করছে আর আয়না দেখে দেখে হাত নাড়িয়ে নানা ভঙ্গিমা করছে,,,,,

আনহা: মারিয়া কি যেন বললো,,,,কি যেন,,,
(একটু ভেবে) হুম,,,, মনে পড়েছে,,,,, প্রথমে গিয়ে বলব,,,, (একটু কেসে) আকিব আমার সাদাকালো মনটাকে তুমি #ভালোবাসার_রং দিয়ে রাঙিয়ে দিয়েছ,,,,, আ,,,,, আ,,,,, ধুর এটাইতো মুখ দিয়ে বের হচ্ছে না,,,,, এখন কি করি,,,,, আবার চেষ্টা করি,,,,, আ,,,,, আই লাভ,,,,, ইইইই,,,,, ইউ,,,, আ,,,কি,,,,

আর কিছু বলার আগেই আকিবের ডাক পড়ল,,,,,,
আকিব: এই যে মিস আনহা ম্যাম আপনি জেগে আছেন নাকি গোসল করতে করতে ঘুমিয়ে পরেছেন,,,,,বালিশ আর চাদর কি দেব ঘুমাতে,,,,,,,(দরজায় টোকা দিয়ে,,,,,)

আকিবের কথায় আনহা হকচকিয়ে গেল,,,,
তাড়াতাড়ি বের হতে নিলে খেয়াল করল ও তোয়ালে পড়েই বের হচ্ছে,,,,,

আনহা: এমা আমি তো তোয়ালে পরা এভাবে বের হচ্ছি কেন,,,,,
আনহা তাড়াতাড়ি করে চেঞ্জ করে বেরিয়ে আসে সাথে সাথেই আকিব বাথরুমে ঢুকে আনহার মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দেয়,,,,

আনহা: ইসসস,,,,, বাদর একটা,,, এটিটিউড দেখায় আমার সাথে,,,,হুহ,,,,

আনহা নিচে চলে আসে,,,, শাশুড়ির সাথে খাবার রেডি করে,,,,,বার বার সিঁড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে আকিব আসতেছে কি না,,,,,
একটু পরেই আকিব আসল সবাই একসাথে খেয়ে নিলো,,,,আনহা ভাবলো এখন আকিব রুমে গেলেই আনহা ওকে সব বলবে,,, কিন্তু হয়ে গেল তার উল্টো,,,,আকিব সোফায় গিয়ে বসে টিভি অন করে,,,,,আনহা মুখটা গোমড়া করে ফেলে,,,, এখন আকিবকের সাথে কথা বলবে কিভাবে,,,,,, এখানে তো ওর শাশুড়ি ও আছে,,,,,উনি বসে বসে কিসের যেন একটা বই পড়ছেন,,,,,,আকিবকে রুমে পাঠানোর একটা ফন্দি আটল আনহা,,,,,,,আনহা গিয়ে সোফায় বসলো,,,,,

আনহা: আকিব তুমি একটু চেপে বসো তো আমি পা তুলে বসবো,,,,,
আকিব একটু বিরক্ত হয়ে সরে বসে আনহা দুপা তুলে আধশোয়া হয়ে আছে,,,,, একটু পরে আনহা আবার বলে উঠলো,,,,

আনহা: এসব কি ছাই ভস্ব দেখতেছ তুমি,,,,,
কি খেলা না খেলা,,,,,এখানে কি বাংলাদেশের খেলা হচ্ছে যে দেখবে,,,,, রিমোট আমাকে দাও,,,,,
আকিব: তোমার দেখতে ইচ্ছে না করলে রুমে যাও,,,,,
আনহা: না আমি টিভি দেখব তোমার প্রবলেম হলে তুমি রুমে যাও হুম,,,,, এখন রিমোট দাও

আকিব: না আমি দেবো না,,,,
আনহা আকিবের হাতে থেকে রিমোট টানতে লাগলো,,,,,আকিবও সমান তালে রিমোট টানছে,,,,,
মা: কি হচ্ছে আকিব আনহাকে রিমোট দাও

আকিব: কিন্তু মা,,,,
মা: কোন কথা নয়,,,যা বলছি তাই কর,,,,

আনহা একটু খুশি হয় কারণ আকিব এখন রুমে যাবে আর একটু পরে আনহাও যেতে পারবে,,,, কিন্তু এবারও আনহার ভাবনায় এক গ্লাস পানি ঢেলে আকিব বাড়ির বাইরে চলে যায়,,,,,আনহা এবার কাঁদো কাঁদো হয়ে গেল
বেচারি করতে চাইল কি আর হয়ে গেল কি
আকিব বাইরে চলে যায়,,,,এখন আনহা কি করবে এখান থেকে যেতেও পারবে না,,, তাহলে শাশুড়িকে কি জবাব দেবে ওর জন্যই তো আকিবকে বকে বের করে দিল,,,,,,
আনহা সোফায় চিত হয়ে শুয়ে রিমোট দিয়ে চ্যানেল বদলাচ্ছে,,,,,, কিছু ভালো লাগছে না ওর,,,, টিভি দেখতে দেখতে ওখানেই ঘুমিয়ে পড়ে,,,,,,

সন্ধ্যায় আনহার ঘুম ভাঙল,,,,, আনহা ফ্রেশ হয়ে নিয়ে ওল শ্বশুর শাশুড়ির জন্য চা বানাতে লাগলো,,,,, তখনই আকিব বাড়ি ফিরল আনহার তো ইচ্ছে করছে এখনই চা বানানো ফেলে আকিবের কাছে যেতে,,,, কিন্তু পারবে না চা বানিয়ে ও নিয়ে ওর শ্বশুর শাশুড়িকে দিয়ে আসতে নিলেই ওর শাশুড়ি ওকে টেনে নিজের পাশে বসিয়ে গল্প শুরু করে দিল,,,,,আনহা এবার পড়লো মহা বিপদে
কি করবে এখন,,,,ওর ইচ্ছে করছে এক গ্লাস পানিতে ডুবে মরতে,,,,,,প্রায় ঘন্টাখানেক কথা বলা শেষ,,,, তার পর আনহা চলে আসে এখন আবার রাতের খাবার বানাতে হবে আনহার আর আকিবের কাছে যাওয়া হলো না,,,,,

শ্বশুর শাশুড়িকে খাইয়ে আনহা এক কাপ কফি হাতে আস্তে আস্তে রুমে যায়,,,, গিয়ে দেখে আকিব টেবিলে বসে পড়তাছে,,,,, কাঁপা কাঁপা হাতে টেবিলে কফির কাপ রাখলো,,,,
আকিব এক নজর আনহার দিকে তাকিয়ে আবার পড়ায় মন দিলো,,,,যদিও আনহাকে দেখে ওর পড়ায় মন বসছে না,,, তবুও বইয়ের দিকে তাকিয়ে আছে,,,,,,,আনহা এখনও আকিবের পাশে দাঁড়িয়ে আছে আকিব বুঝলো যে আনহা ওকে কিছু বলতে চাচ্ছে
কিন্তু আকিব কিছু বলল না,,,,আকিব কিছু বলছে না দেখে আনহা বলে উঠলো,,,,,

আনহা: আ,,,কি,,ব,,,,I wanna say something to you,,,,
আকিব: হুম বলো (বইয়ের দিকে তাকিয়ে)

আনহা: আল্লাহ,,,সহায় হও (মনে মনে) ম মানে কিভাবে যে বলি,,,,,
আকিব: আমাকে কি নতুন দেখছো নাকি,,,
আনহা: না,,,,
আকিব: তাহলে আমতা আমতা না করে বলো soon,,,, আমার পড়া আছে,,,,
আনহা: আসলে আকিব,,,,, (হাত দিয়ে নিজের নখ কামড়াতে লাগলো)
আকিব: উফফ ভারি জ্বালা তো,,,, নেইল কাটার লাগবে তোমার,,,,
আনহা: না না,,,,,
আকিব: তাহলে,,,, কি বলবে,,,
আনহা: আসলে,,,,আকিব,,,ত তুমি,,,,
আকিব: হুম আমি,,,,,
আনহা: ত তুমি,,,, স সাদাকালো মন,,,,
আকিব: ওয়াট সাদাকালো মন,,,,,
আনহা: বলতে দাও,,,
আকিব: হুম বলো,,,
আনহা: ত তুমি,,, সাদাকালো,,,, ম মন,,, তারপর যেন কি,,,,হুম মনে পড়েছে,,, সাদাকালো মন র রঙিন,,,,,এই যা ভুলে গেছি

আকিব: হোয়াট সাদাকালো মন রঙিন,,, এসব কি গাঁজা খেয়েছ নাকি,,, ঠিকমতো বললে বলো না হলে বিদায় হও,,,,

আনহা মুখ গোমড়া করে চলে আসলো,,,,,
নিজের মাথায় নিজেই গাট্টা মারতে লাগলো,,,
কিছুই বলতে পারলো না আকিবকে,,,

আনহা: ধ্যাত কিছুই বলতে পারলাম না কালকে মারিয়া তো আমাকে রামধোলাই দিবে এখন কি করি,,,,,,

আনহা ওড়নার আঁচল হাতে নিয়ে মোচড়াতে মোচড়াতে নিচে চলে আসলো,,,,,,

পরেরদিন ভার্সিটিতে,,,,,,,

চলবে,,,,,,,,,,,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে