ভালোবাসার_রং পর্ব-১০

0
2678

#ভালোবাসার_রং (❣️You are my Lifeline ❣️)

#Part_10

#Ishita_Rahman_Sanjida_(Simran)

সোহান আর রিধি দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে গভীর চুম্বনে মগ্ন হয়ে আছে,,,,, কটেজের চারপাশে কালারিং লাইট জ্বালানো,,,, সেই আলোতে ওদের দুজনকে স্পষ্ট ভাবে দেখা যাচ্ছে,,,,,সোহান দুই হাতে রিধির কোমড় আঁকড়ে ধরেছে আর রিধি সোহানের শার্টের কলার ধরে আছে,,,,,

এটা দেখা মাত্রই আনহা আর আকিবের পা থেকে মাটি সরে যায়,,,,, ওরা দুজনে থ হয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সব দেখতেছে,,,,,,সোহান আর রিধি ওদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে,,,,

আনহা আর সহ্য করতে না পেরে জোর একটা চিৎকার দিলো,,,,

আনহা: সোহা,,,,,,,,,,,,,,,,,,ন,,,,,,,,,,,,,,,,

আনহার চিৎকারে সোহান রিধিকে ছেড়ে দেয়
সোহান আর রিধি ভয় পেয়ে যায় আকিব আর আনহাকে দেখে,,,,, ওরা ভাবতেও পারেনি যে এসময় আকিব আর আনহা এসে পড়বে,,,,,, আর ওদের হাতেনাতে ধরে ফেলবে,,,,,,,আনহা সোহানের দিকে এগিয়ে গেল,,,,,,
সোহান: আ আনহা,,,,
কিছু বলার আগেই আনহা সোহানের গালে কষে একটা চড় মারল,,,,,সোহান চড় খেয়ে তাল সামলাতে না পেরে একটু পিছিয়ে যায়,,,,

আনহা: ছিঃ সোহান,,,, তোমাকে আমি কতোটা বিশ্বাস করেছি,,,,, ভালোবেসেছি,,,,,,
আর তুমি তার এই প্রতিদান দিলে,,,, তুমি রিধির সাথে,,,, ছিঃ আমার ভাবতেও ঘৃণা হচ্ছে,,,,,, তুমি এতটা নিচ হতে পারলে কিভাবে,,,,,

সোহান: দ দেখ আনহা তুমি যা ভাবছো সেটা না,,,,,
আনহা: জাস্ট শাট আপ,,,,, কি করছিলে তোমরা হুম,,,, সিনেমার শুটিং,,, তুমি নায়ক আর রিধি নায়িকা,,,, এজন্য কি একে অপরকে কিস করছিলে,,,,, আর রিধি তুমি এটা কিভাবে করতে পারলে আকিব তোমাকে কতটা ভালবাসে সেটা তুমি জানতে না তারপরও তুমি,,,,, আর সোহান তুমি কেন করলে এটা বলো,,,,,,

আনহা সোহানের কলার ধরে ঝাকাতে শুরু করে,,,,সোহান বিরক্ত হয়ে আনহাকে জোরে ধাক্কা মারে,,,,আনহা পিছনে সরে পড়তে নিলে আকিব ওকে ধরে ফেলল,,,,,,

সোহান: হ্যা আমি এখন খারাপ তাই না আর তুমি কি??? অনেকদিন হলো তো আকিবের সাথে এক রুমে রাত কাটাচ্ছো,,,, কি ভেবেছ আমি কিছু বুঝিনা,,,,, আর আকিব কি ধোয়া তুলসী পাতা যে তোমাকে এতো দিন কিছু করেনি,,,,,হুহ,,,,,

আনহা: খবরদার সোহান,,,, আমার সম্পর্কে যা বলার বলতে পারো কিন্তু আকিবের সম্পর্কে একটা কথাও তুমি বলবে না,,,, তোমার ওই নোংরা মুখে আকিবের কথা মানায় না,,,,, আর কি যেন বললে আকিব ধোঁয়া তুলসী পাতা,,,,,,হ্যা,,,,,,, সত্যি আকিব খুবই ভালো,,,, এতো দিন আমরা স্বামী-স্ত্রী আছি ঠিকই কিন্তু আমাদের মধ্যে স্বামী স্ত্রীর কোন সম্পর্ক নেই,,, আর তোমার মতো নিচ নোংরা মানুষ সেসব বুঝবে না,,,,,,কারণ তোমার মানসিকতাই নোংরা,,,,,
সোহান: থামো তো অনেক জ্ঞান দিয়েছো,,,, নিজের চরিত্র ঠিক নেই আবার অন্যকে বোঝাতে এসেছে,,,,,
একথা শুনে আকিব ভয়ংকর রেগে যায় সোহানকে গিয়ে একটা ঘুষি মেরে নিচে ফেলে দেয়,,,,, আবার টেনে উঠিয়ে কলার ধরে বললো,,,,,
আকিব: তোর সাহস কি করে হলো আনহার সম্পর্কে বাজে কথা বলার,,,অনেক সহ্য করেছি তোর কথা আর না,,,, আসলে তোর মতো একটা ছেলের সাথে আনহাকে মানায় না,,,,,তাই হয়তো আজকে সবটা ধরা পড়ে গেছে,,,,,
আকিব খুব জোরে সোহানের কলার চেপে ধরেছে,,,,,রিধি গিয়ে আকিবের থেকে সোহানকে ছাড়িয়ে নেয়,,,,,

আকিব: বাহ খুব ভালো রিধি,,,,, আমাকে ছেড়ে যে তুমি অন্য কারো পালকিতে চড়বে সেটা আমার জানা ছিল না,,,,, আর কেনই বা চড়েছ সেটাও আমার জানা,,,,,রিধি আমি আমার ভালোবাসাকে পবিত্র রাখতে চেয়েছিলাম,,,,, আর পাঁচ জনের মতো তোমাকে ছোঁয়ার চেষ্টা করিনি,,,,কারণ ভালোবাসার মানুষকে আমি কখনোই অপবিত্র করতে চাই নি,,,,, কিন্তু এটা যে তোমার পছন্দ ছিল না এটা আমি জানতাম না,,,, আমি তোমার কাছে থেকে এটা আশা করিনি,,,,, আসলে এতো দিন তোমার মুখের উপরের মুখোশ টা দেখেছি,,,, কিন্তু আজ তোমার আসল রুপ দেখলাম,,,,, মুখোশের আড়ালে তুমি দেখতে খুবই সুন্দর কিন্তু তোমার আসল রুপটা ভয়ংকর,,,,,

আনহা: আকিব অনেক হয়েছে,,,,এই আপদ দুটোকে এখন এখান থেকে বিদায় করো,,,,,
এদের দুজনকে আমার সহ্য হচ্ছে না,,,,,

আনহা এসে আকিবকে হাত ধরে টেনে নিয়ে গেল,,,,ম্যানেজারের থেকে রিধি আর সোহানের রুমের চাবি নিয়ে ওদের রুমে যায়,,,,,, আকিব বুঝতে পারছে না আনহা ঠিক কি করতে চাইছে,,,,,

আকিব: এসব কি করছো,,,,
আনহা: কথা বলো না,,,,
আনহা শাড়ির আঁচল কোমড়ে গুজে,,,,,রিধি আর সোহানের ব্যাগ দুটো নিয়ে বাইরে আসে ততক্ষণে সোহান আর রিধিও চলে এসেছে,,,,,আনহা ওদের দিকে ব্যাগ দুটো ছুড়ে মারে,,,,,,,
রিধি: আনহা এসব কি করছো,,,,,,

আনহা: দেখতে পাস নাই কি করলাম,,,, তোদের বের করে দিলাম যা ভাগ,,,,,
রিধি: ভাগবো মানে এতো রাতে আমরা কোথায় যাবো,,,,
আনহা: জাহান্নামের চৌরাস্তায় যা তাতে আমার কিছু যায় আসেনা,,,, কিন্তু তোরা এখানে থাকতে পারবিনা,,,,নাগর নিয়ে হানিমুন করবি আর সব খরচ দিবে আকিব এটা কখনোই হবে না,,,,

রিধি: না এই রুম আমরা আমাদের টাকায় বুক করে নিব,,,,,

ওদের চেঁচামেচিতে ম্যানেজার আর অন্যান্য লোকজন চলে আসে,,,,,
আনহা: ওই তো ম্যানেজার চলে এসেছে,,,,
আচ্ছা ম্যানেজার সাহেব এই রুমটা কে বুক করেছে,,,,,
ম্যানেজার: আকিব,,,,
আনহা: তাহলে আকিবের ওয়াইফ হিসেবে আমার সিন্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আছে,,,,, আর আমি চাই এই রুমে ওরা থাকবে না,,, আমার হাজব্যান্ড রুম বুক করেছে সেটাতে আদৌ কেউ থাকবে না রুমটা খালি থাকবে সেটা সম্পূর্ণ আমার ব্যপার,,,,,এখন এদের এখান থেকে বিদায় করুন,,,, আমি আর কিছু বলতে চাই না,,,,,,,

ম্যানেজার আর কিছুই বলতে পারলাম না আনহাকে,,,, কারণ আনহা ভয়ংকর রেগে আছে,,,, আর আকিব এতক্ষণ আনহার কথা শুনছিল,,,,, এতো কিছুর পরও আনহা নিজেকে শক্ত রাখছে কিভাবে,,,,

ম্যানেজার: সরি ফর দিস (সোহানের দিকে তাকিয়ে) আপনারা এখানে থাকতে পারবেন না,,,,ওনারা রুম বুক করেছে,,,,, এখন সবটা ওনাদের হাতে,,, ওনারা যদি পারমিশন দেয় তবেই আপনারা থাকতে পারেন,,,,,

সোহান: দেখ আনহা তুমি এটা করতে পারো না
আনহা: আমি কি করতে পারি আর না পারি সেটা তুমি খুব ভালো করে জানো,,,বিড়ালের মত চৌদ্দ বাড়িতে মুখ দেওয়া না,,,, এখন যাও এখান থেকে,,,,,

আনহা আকিবকে নিয়ে রুমে চলে আসে
রিধি আর সোহান কোন উপায় না পেয়ে চলে যায়,,,,, রুমে এসে আনহা খাটের উপর বসে পড়ল আকিব ও পাশে বসে আছে,,,,, নিচের দিকে হালকা ঝুঁকে হাত দিয়ে নিজের চুলগুলো আস্তে আস্তে টানছে,,,,,, অনেক্ষণ চুপ করে বসে থেকে আনহা রুম থেকে হনহনিয়ে বের হয়ে গেল,,,,,আকিব বুঝতে পারল না যে আনহা কোথায় গেল,,,,,

কিছুক্ষণের মধ্যেই আনহা ফিরে এলো হাতে দুটো মদের বোতল আর দুটো গ্লাস,,,,,,আকিব এসব দেখে অবাক হয়ে যায়,,,,,
আকিব: এসব কি,,,,,
আনহা: দেখছো না কি,,,,, এগুলো আমাদের ডিনার টেবিলে সাজানো ছিল,,,,,,
আকিব: হ্যা ছিল,,, কিন্তু,,,,,
আনহা: তখন তো খাইনি এখন খাবো,,,,,
আকিব: আমি এসব খাইনা,,,,
আনহা: আমি ও তো খাই না,,,, তবে আজকে খাবো তুমি ও খাবে,,,, শুনেছি এসব খেলে নাকি মনের কষ্ট কমে,,,,,দেখি আজকে ট্রাই করে,,,,,নাও এবার বসো,,,,,
আকিব আর আনহা খাটের পাশে ফ্লোরে বসে পড়লো,,,,,,আনহা গ্লাসে মদ ঢেলে নিজে এক গ্লাস নিয়ে আকিবকে এক গ্লাস দিলো তারপর দুজন দুজনের গ্লাসে টোকা মেরে বললো চিয়ার্স,,,,চোখ বন্ধ করে দুজন দুগ্লাস শেষ করে দিলো,,,,, তারপর আবার গ্লাসে মদ ঢেলে দুগ্লাস দুজনে শেষ করে ফেলে,,,,এতেই ওদের নেশা ধরে যায়,,,,,, প্রথমবার এসব খাওয়ায় আরও বেশি নেশা ধরে ওদের,,,,,,

আনহা: আচ্ছা আকিব,,,বলতে পারো সোহান কেন আমার সাথে এরকম করলো,,,,,(ঠোঁট উল্টিয়ে) আমি তো ওকে এতো,,,,, ভালোবেসেছি,,,,, (হাত দুটো প্রসারিত করে)
তাহলে ও কেন আমাকে ভালোবাসলো না,,,,,

আকিব: সেটা আমি কি করে বলবো,,,,, দেখছো না রিধিও আমাকে কেমন ছ্যাকা দিল

আনহা: হুম,,,এতে তোমার দোষ,,,,, তোমার দোষেই রিধি তোমাকে ছ্যাকা দিয়েছে,,,,
আকিব: এখানে আমার দোষ কোথায় হলো,,,

আনহা এবার পুরো বোতল হাতে নিয়ে এক চুমুক দিলো,,,,, তারপর বলল,,,,
আনহা: তুমি অনেক আনরোমান্টিক আকিব
রিধিকে তো একটা কিস করতে পারতে তাহলে তো এসব হতো না,,,, তাহলে সোহান ও এভাবে আমাকে ঠকাতো না,,,, (কান্নাস্বরে)

আকিব: কি বলছো তুমি এসব,,,,, ওকে আমি কেন কিস করতে যাব ও কি আমার বউ নাকি
আর তুমি জানো না যে ইসলাম ধর্মে চুমু খাওয়া হারাম,,,,,
আনহা: ওমা ???? (গালে হাত দিয়ে) আমি তো এসব একদমই জানতাম না,,,, কিন্তু হারাম জেনেও সোহান আর রিধি কেন কিস করলো,,,,
আকিব: আরে ওদের মধ্যে বেশি রোমান্স ভাব এসে গেছে,,,,
আনহা: ধ্যাত,,,,,( হাসি দিয়ে) মাত্র তিন চারদিন ধরে একে অপরকে চেনে এর মধ্যেই প্রেম ভালোবাসা ইত্যাদী হয়ে গেল,,, আর তারপর রোমান্স,,,,,
আকিব: আরে ওরা হয়তো একটু বেশি রোমান্টিক,,,,,(নেশাযুক্ত কন্ঠে)
আনহা: হি হি হি,,,,??? বাজে কথা সব,,,, তুমি আর আমি তো কতদিন ধরে একরুমে থাকছি,,,,কই আমাদের তো কোন রোমান্স রোমান্স ফিল হলো না,,,,,
আকিব: তোমার সাথে রোমান্স ফিল হবে কেন তুমি তো আমার ভাবি হও
আনহা: কি ???
আকিব: থুড়ি,,,,, তুমি তো আমার ভাবি না,,,,
বউভাবি,,,,, থুক্কু,,,,,,বউ,,,,
আনহা: আসলে আকিব তুমি সত্যি আনরোমান্টিক,,,,, না হলে রিধি তোমাকে ছেড়ে যেত না,,,,,(বলেই আবার বোতলে চুমুক দিল,,,)

আকিব: কি আমি আনরোমান্টিক,,,,(বোতলে এক চুমুক দিয়ে) আমি কিস করতে পারি না
আসো তোমাকে একটা কিস করে দেখাই,,,,,

আকিব আনহার দিকে এগিয়ে যেতেই আনহা আকিবকে হালকা ধাক্কা মারে আকিব নেশায় ঢুলছিল,,,,আনহার ধাক্কায় আকিব আগের জায়গায় বসে পড়ে,,,,,
আনহা: সরো,,,, এমনিতেই আমার কষ্ট হচ্ছে ওনি আবার এসেছে চুমু খেতে,,,সোহান এটা কি করলো আকিব,,,,,এ্যা এ্যা,,,, (কেঁদে উঠলো)
আকিব: প্লিস আনহা তুমি কেঁদো না,,,,, তুমি কাঁদলে আমিও কেঁদে দিব,,,, আমি একটা বাচ্চা ছেলে,,, আমি কাঁদলে কি তোমার ভালো লাগবে,,,, একটা বাচ্চার প্রতি তোমার কি কোন দয়া মায়া নেই,,,,, (মুখ গোমড়া করে)

আনহা: ওলে আমার বাবু সোনামনি কাউয়া,,,
থাক তোকে কাঁদতে হবে না,,,,আয় আমার কাছে আয়,,,, তোকে আমি ঘুম পাড়িয়ে দেই

বলতে বলতে আনহা আকিবকে কাছে টেনে নেয়,,,,,আনহা ওর হাত দিয়ে আকিবের মাথা টেনে ওর ঘাড়ে রেখে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে,,,,,,নেশার ঘোরে দুজনে কি করছে কেউ জানে না,,,,আনহা আকিবের সিল্কি চুলে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে,,,,,, আর আকিব তা চোখ বুজে অনুভব করছে,,,,,,

আনহা: এই আকিব এভাবে ঘুমাস না,,,,
আকিব: তুমি তো এভাবে আমাকে ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছ,,,
আনহা: ওহহহ,,,,,,এখন ওঠ বিছানায় গিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেই তোকে,,,,,

দুজনে টলতে টলতে উঠে,,,, ঠিকমতো দাঁড়াতে পারছে না,,,, কোনরকমে ওরা খাটের উপর শুয়ে পড়ল,,,, মদের বোতল গ্লাস ওভাবেই মাটিতে পড়ে আছে,,,,,,আনহা শুয়ে শুয়ে আকিবের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে ঘুমিয়ে পড়ল,,,,, আকিব তো আরো আগেই ঘুমিয়ে পড়েছে,,,,, মদটা বেশি খেয়ে ফেলেছে ওরা,,,,,







পরেরদিন বারোটায় আনহার ঘুম ভাঙল,,,,, নেশার কারণেই দুজনের ঘুম বেশি হয়েছে,,,,,
ঘুম ভেঙ্গে আনহা দেখতে পেল ও আকিবের বুকের মধ্যে,,,,আকিব ও দুহাতে আনহাকে জড়িয়ে ধরেছে,,,,,এটা দেখে আনহা নিজেকে ছাড়িয়ে উঠে দাঁড়ায়,,,,, কিন্তু নেশার ডোজটা এতোই বেশি ছিল যে আনহা দাঁড়িয়ে থাকতে না পেরে মাটিতে ধপ করে পড়ে যায়,,,, মাথাটা ওর ঘুরছে,,,,, অনেকক্ষণ বসে থেকে আস্তে আস্তে উঠে দাঁড়ায়,,,,, আর কালকে রাতের কথা মনে করার চেষ্টা করে,,,,,,

আনহা: মাথাটা কেমনে ঝিমঝিম করছে,,,, কালকে রাতে কি হয়েছিল,,,,,,, (মাথায় হাত দিয়ে,,,,,চোখ বারবার পিটপিট করে) ওহ হ্যা মনে পরেছে,,,, কালকে সোহান আর রিধিকে বের করে দেওয়ার পর আমরা মদ খেয়েছিলাম,,,,হা,,,,,?????মদ খেয়ে কি করেছিলাম,,,,,, ইশ,,,কেন যে মদ খেতে গেলাম,,,, আমার তো কিছুই মনে পড়ছে না,,,,আকিব আমার সাথে কিছু,,,,,,

এটা বলে আনহা নিজেকে ভালোকরে দেখতে লাগল,,,,,
আনহা: নাহ শাড়িটা তো ঠিকই আছে,,,, খুব একটা এলোমেলো না ঘুমানোর জন্য একটু এলোমেলো হয়ে গেছে,,,,আকিব কে ভালো করে দেখতে হবে,,,,,

আনহা গিয়ে আকিবের গায়ের চাদর টেনে সরায়,,,,, এতে আকিবের ঘুম ভেঙ্গে যায়,,,,,
আনহা আকিবের প্যান্ট শার্ট ভালো করে হাত দিয়ে টেনে উল্টে পাল্টে দেখতেছে,,,,,
আকিব: ওয়াট কি হয়েছে,,,,, আর আমার টিশার্ট এ হাত দিচ্ছ কেন,,,,,

আনহা: উফফফ বাবা বাঁচা গেল,,,,,, কিছুই হয়নি,,,, আমি তো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম,,,,

আকিব: কিছু হয়নি মানে,,,,, কি হয়েছিল,,,,,

চলবে,,,,,,,,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে