ভালোবাসার_রং পর্ব-০৯

0
2617

#ভালোবাসার_রং (❣️You are my Lifeline ❣️)

#Part_9

#Ishita_Rahman_Sanjida_(Simran)

সকালবেলা,,,,,,,,,,,,,,

দরজায় কে যেন নক করছে,,,,, আনহা আর আকিব ঘুমাচ্ছে তো ঘুমাচ্ছে,,,,কাল অনেক রাতে ঘুমানোর কারণেই দুজনের একজনের ও ঘুম ভাঙছে না,,,,,,, হঠাৎ করেই আরো জোরে দরজাটা ধাক্কা দিতে লাগল,,,,,,

আনহা: উফফফ এখন আবার কে এলো,,,, আকিব,,,, একটু উঠে দেখ না কে এলো,,,,

আকিব ও উঠছে না,,,,,আনহা আকিব কে ধাক্কা দিল,,,,,
আকিব: ওয়াট,,,,,, সারারাত লাটিমের মতো ঘুরিয়ে এখন ঘুমের বারোটা বাজাবে নাকি,,,,

আনহা: উফফ আকিব,,, কথা না বলে গিয়ে দেখো কে এসেছে,,,,
আকিব গিয়ে দরজা খুলে দেখে রিধি আর সোহান এসেছে,,,,,,,
আকিব: রিধি তুমি,,,,,,
রিধির নাম শুনে আনহা ও লাফ মেরে ওঠে ওদের কাছে যায়,,,,,
আনহা: রিধি সোহান,,,, তোমরা এসে গেছো,,,
ভেতরে আসো তোমরা,,,,,এই আকিব সরো,,,
পুরো দরজা জুড়ে দাঁড়িয়ে আছে,,,,

আনহা আকিবকে ঠেলা মেরে সরিয়ে ওদের ভিতরে আনে,,,,
আনহা: তোমাদের তো কাল আসার কথা ছিল,,,,,এতো দেরি করলে কেন,,,
সোহান: আসলে আনহা আমার একটা কাজ ছিল,,,,তাই,,,
আনহা: ওহ,,,,আকিব ওদের জন্য রুম বুক করোনি,,,,
আকিব: হুম,,,
আনহা: তাহলে দাঁড়িয়ে আছো কেন,,,,, দেখছো না,,, ওরা ক্লান্ত,,,, চাবি নিয়ে আসো গো,,,,
আনহার কথায় আকিব মুখ গোমড়া করে চলে গেল,,,,, কিছুক্ষণ পর আকিব ফিরে আসে,,,,,
আকিব: একটা প্রবলেম হয়েছে,,,,
আনহা: কি প্রবলেম,,,,
আকিব: সোহান আর রিধির জন্য যে দুটো রুম বুক করেছিলাম তার একটা অন্যজন বুক করে নিয়েছে,,,,
রিধি: এসব কি বলছো আকিব,,,, এখন কি হবে,,, আবার একটা ভুল করে ফেললে তুমি,,,

আকিব: মোটেও আমার ভুল না,,,,,, ভুল তোমরা করেছো,,,, তোমরা যদি কালকে আসতে তাহলে দুটো রুমই পেতে,,,

সোহান: ওসব কথা বাদ দিয়ে এখন কি হবে সেটা বলো,,,,
আনহা: একটা কাজ করলে কেমন হয়,,,,যে,,,
আমি আর রিধি এক রুমে আকিব আর সোহান এক রুমে থাকবে,,,,,
আকিব: হুম ভালো বুদ্ধি,,,, আর ওই ম্যানেজার তানভীর ভাইয়াকে সব বলে দিক তারপর আপু এখানে এসে আমাকে পাঠাবলি করুক,,,,, তোমার জন্য আমি আর মার খেতে পারব না,,,,
আনহা: সেটাও তো ঠিক,,,, তাহলে এখন কি হবে,,,,,
রিধি: তোমরা যদি কিছু মনে না কর তাহলে আমি আর সোহান রুম শেয়ার করে থাকতে পারবো,,,,
রিধির এমন কথায় আকিব ও আনহা অবাক হয়ে যায়,,,,
রিধি: দেখ আকিব ব্যাপারটা ওভাবে নিও না এছাড়া আর তো কোন উপায় নেই,,,, আমি না হয় নিচে কোন ভাবে ঘুমাবো আর সোহান,,,,

সোহান: ছিঃ ছিঃ এসব কি বলছেন আপনি
মেয়েদের যথেষ্ট সম্মান দিতে আমি জানি,,,,,
আপনি খাটে ঘুমিয়েন আমি নিচে ঘুমাব,,,,

আকিব আর আনহা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ওদের কথা শুনছে,,,,, কিছুই বলছে না,,,,,

রিধি: আচ্ছা সে দেখা যাবে,,,,,আকিব,,, তুমি রাজি তো,,,,দেখো এছাড়া তো কোন উপায় দেখছি না,,,,
অগাত্যা মন রাজি না হলেও মুখে ওরা রাজি হয়ে গেল,,,,,সোহান আর রিধি চাবি নিয়ে রুমে চলে যায়,,,,,









এগারোটার দিকে চারজন মিলে গাড়িতে করে রওনা হলো হাজাছড়া ঝর্ণার উদ্দেশ্যে,,,,,,
ম্যানেজারের দেওয়া গাড়িতে করেই ওরা যাচ্ছে,,,,,নানা রকম গাছগাছালি পাহাড় দেখতে দেখতে ওরা হাজাছাড়া ঝর্ণায় পৌঁছে গেল,,,,,ঝর্ণা দেখেই আনহা গোসল করতে নেমে যায়,,,,,ঝর্ণায় অনেকেই গোসল করছে
আনহা কতগুলো বাচ্চাদের সাথে দুষ্টুমি করছে আর গোসল করছে,,,,,সোহান আর রিধি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতেছে,,,,, এক ঘন্টা যাবত গোসল করে আনহা উঠে আসে,,,,

সোহান: তোমার কি কোন কান্ডজ্ঞান নেই আনহা,,,,, কতোক্ষণ ধরে এখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মশার কামড় খাচ্ছি,,,,

আনহা কিছু বলার আগেই আকিব এসে আনহাকে তোয়ালে এগিয়ে দেয়,,,,,, আর গিয়ে চেঞ্জ করতে বলে,,,,,, আনহা চেঞ্জ করতে চলে গেল,,,,,,
রিধি: বাব্বাহ আকিব,,,,,আনহার প্রতি এতো কেয়ার,,,,,
সোহান: হুম,,,,,, বাট কেন???
আকিব: বাট এই কেয়ার টা তো তোমার করা উচিৎ ছিল সোহান,,,,, আর সেটা আমার করতে হচ্ছে,,,, কেন,,,,,এই যে সকাল থেকে দেখছি তুমি রিধির কেয়ার করছো,,,, গাড়ি থেকে হাত ধরে নামাও ওঠাও,,,, এখানে হাত ধরে আস্তে আস্তে নিয়ে এলে যেন পাথরে পিছলে রিধি পড়ে না যায়,,,, কিন্তু এটা তো আমার করার কথা ছিল,,,, তুমি করলে কেন,,,

আকিবের কথায় সোহান আর রিধির মুখে ভয়ের ছাপ দেখা যায়,,,,তা দেখে আকিব আরও কিছু বলতে যাবে,,,, তখনই আনহা চলে আসে,,,,

আনহা: আমার হয়ে গেছে,,,,চল সবাই,,,, সরি সোহান আমার জন্য তোমাকে মশার কামড় খেতে হলো,,,,,
আকিব: হুম চলো,,,,,

ওরা গাড়িতে উঠলো,,,,, আকিব আনহা পাশাপাশি বসে,,,,কারণ ড্রাইভারটা ওই ম্যানাজারের চামচা,,,,, কি হচ্ছে না হচ্ছে সব গিয়ে বলে দেবে,,,, রিধি আর সোহান ও পাশাপাশি বসেছে,,,,আনহা বাইরে তাকিয়ে বন জঙ্গল পাহাড় দেখছে আর আকিবকে দেখাচ্ছে,,,,রিধি আর সোহান ও গল্প করছে,,,
আনহা পিংক কালারের একটা কারচুপি পরেছে,,, চুলগুলো খোলা,,,, ভেজা চুল থেকে টপটপ করে পানি পরছে আকিবের ঘাড়ে হাতের উপর,,,,,একটা সুঘ্রাণ বের হচ্ছে আনহার চুল থেকে,,,,, পাগল করা সেই ঘ্রাণ,,,
আকিবের সবকিছু যেন গুলিয়ে যাচ্ছে,,,,, আনহার দিকে তাকাতে না চাইলেও বেহায়া চোখগুলো সেদিকেই যাচ্ছে বারবার,,,,, আকিব চোখে সানগ্লাস পরে নেয়,,,,গাড়ি ছুটছে আপন মনে,,,,,, গন্তব্য স্থল ঝুলন্ত ব্রিজ

অবশেষে ওরা খাগড়াছড়ি পৌঁছে যায়,,,,,তার পর লাঞ্চ করে রওনা হয় ঝুলন্ত ব্রিজ দেখতে
ঝুলন্ত ব্রিজ,,,,রিসাং ঝর্ণা দেখে ওরা যায় আলুটিলা গুহা দেখতে,,,,,আকিব আর আনহা গুহার ভেতরে যায় কিন্তু রিধি আর সোহান বাইরে থাকে,,,,, ঝুলন্ত ব্রিজ,,, রিসাং ঝর্ণা আর আলুটিলা গুহা ঘুরতে ঘুরতে ওদের রাত বারোটা বেজে যায়,,,,তারপর ওরা গাড়ি করে আবার রওনা হয় এবারের গন্তব্য স্থল হলো কলাঙ্ক পাহাড়,,,,যেটা নীলাচলের সবচেয়ে সুন্দর জায়গা,,,, মেঘের রাজ্যে সেখানেই,,,, সকাল বেলা মেঘ ভেসে বেড়ায় কলাঙ্ক পাহাড়ে,,,,,এটা কেউ মিস করতে চায় না,,,,তাই ঘুম ক্লান্তি সব বাদ দিয়ে কলাঙ্ক পাহাড়েই যাবে সবাই,,,,,
সরারাত গাড়িতেই কেটে যায়,,গাড়িতেই সবাই ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কাটায়,,,,,,
কলাঙ্ক পাহাড়ে পৌঁছে সবাই ব্রেকফাস্ট করে,,
তারপর কলাঙ্ক পাহাড়ের উপরে যায়,,,ওখানে বসার সুন্দর জায়গা আছে সবাই ওখানে বসে পড়ল,,,, অনেক ক্লান্ত সবাই,,,, কিন্তু মেঘ এতো কাছে দেখে আনহার ক্লান্তি সব উড়ে যায়,,,, পাহাড়ের উপর চারদিকে ঘুরে ঘুরে ছবি তুলছে,,,, আর আকিব রিধি সোহান ওর কান্ড দেখতাছে,,,,আনহা ওদের কাছে গেল,,,

আনহা: সোহান রিধি আকিব চলো ছবি তুলি
দেখছো না মেঘ গুলো কত সুন্দর দেখাচ্ছে,,,,
ছবি না তুললেই মিস করবে,,,,

সোহান: আর ইউ ক্রেজি আনহা,,,,, কাল থেকে তোমার পাগলামি সহ্য করছি,,,, আর কতোকাল বাচ্চা থাকবে,,,দেখছো না,,, আমি খুব ক্লান্ত,,,,যতসব,,, (রেগে)
আনহা মুখটা কালো করে ফেলল সোহান ওকে এভাবে অপমান করবে ও ভাবতে পারেনি,,,,আকিব ও কিছু বললো না ওদের ব্যাপার ওদের হাতেই ছেড়ে দিল,,,,

রিধি: সত্যি আনহা,,, তুমি এমন কেন,,,লোকে কি বলবে,,,,, আসলে প্রথম এসেছো তো,,,, জীবনে তো কখনো সাজেক আসোনি,,,,প্রথম বার এলে এরকমই হয় (শয়তানি হাসি দিয়ে)

আকিব এবার আর চুপ করে থাকতে পারলো না,,,,,
আকিব: স্টপ ইট,,,,রিধি,,,কারো ব্যাপারে বাজে মন্তব্য করার অধিকার তোমার নেই,,,,
আনহাকে তুমি ইনসাল্ট করতে পারো না,,,,

রিধি: আমি কোথায় ইনসাল্ট করলাম,,,, যা সত্যি তাই তো বললাম,,,, আর আনহাকে আমি এসব বলছি এতে তোমার বাধছে কোথায়,,,,
সোহান: আকিব,,,, আনহার প্রতি তুমি এতো সিরিয়াস কেন,,,,,
আকিব: আনহার প্রতি সিরিয়াস তো তোমার
হওয়া উচিৎ ছিল,,,, কিন্তু তুমি সেটা না করে উল্টো আনহাকে ইনসাল্ট করছো,,, এখন আমি কি করব বলো,,,,আনহা চলো আমি তোমার সাথে ফটো তুলবো,,,,,
আকিবের কথায় রিধি আর সোহান থম মেরে বসে রইল,,,,,,
আকিব আনহার হাত ধরে নিয়ে যায়,,,, কেন জানি আকিবের কথায় আনহা খুশি হয়,,,, সোহানের বলা কথাগুলোয় ওর কিছুই যায় আসে না,,,, কিন্তু কেন সেটাও আনহার অজানা,,,,,আকিবের সাথেই কলাঙ্ক পাহাড় ঘুরে আনহা,,,, তারপর সবাই কটেজে ফিরে আসে,,,,,আসার পথে রিধি আর সোহানের সাথে তেমন কোন কথা বলে না আনহা আর আকিব,,,,,, কারণ আজকে বড্ড বাড়াবাড়ি করে ফেলেছে ওরা,,,,







অনেক জার্নি করেছে ওরা,,,, কটেজে এসে সবাই বিশ্রাম নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে,,,, যেহেতু লাঞ্চ কলাঙ্ক থেকেই করে এসেছে,,,,,,তাই ঘুমের রাজ্যে পাড়ি দেয় সবাই,,,, সন্ধ্যার পরে আনহার ঘুম ভাঙল,,,,ঘুম থেকে উঠে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নেয় আকিবকে ও ফ্রেশ হতে পাঠায়,,,, তখনই দরজায় কে যেন নক করল আকিব গিয়ে দরজা খুলল,,,,
আকিব: আপনি,,,,,
ম্যানেজার: জ্বী,,,,,আপনাদের জন্য কটেজের বাইরে ক্যান্ডেলাইট ডিনারের এ্যারেন্জ করা হয়েছে,,,, আপনারা রেডি হয়ে চলে আসুন,,,,

একথা শুনে আনহা আর আকিব চোখ বড় বড় করে তাকায়,,,,
আনহা: আকিব তুমি এসব করেছো,,,,,
আকিব: না তো,,,, আমি তো,,,
ম্যানেজার: আরে না,,,,,,এসব তানভীর আমাকে করতে বলেছে,,,,,
আনহা: কিন্তু,,,,, আমাদের সাথে আরো দুজন বন্ধু আছে ওদের যদি,,,,,
ম্যানেজার: সরি,,, আপনারা দুজন ছাড়া ওখানে আর কাউকে এ্যালাও করা হবে না,,,,
আপনারা চাইলে ওনাদের জন্য আমি অন্য ব্যবস্থা করতে পারি,,,,, এখন আমি আসি,,,,,

আকিব একটা বড় নিঃশ্বাস ছাড়লো,,,,,,
আকিব: গেলো,,,, সবকিছু,,,,রিধিকে এখন কি বলবো,,,,
আনহা: আপু আর ভাইয়া আমাদের পিছু ছাড়বে না,,,,,ধ্যাত,,,,

কি আর করার রেডি হয়ে দুজনে কটেজের বাইরে চলে আসে,,,,,,বাইরে সোহান আর রিধি বসে বসে কিছু একটা নিয়ে কথা বলছিল,,,,,
রিধি: আকিব আনহা তোমরা,,,বসো,,,,
আকিব: আর বসা হয়েছে,,,,,,,আপু ডিনার এ্যারেন্জ করেছে আমার আর আনহার জন্য

সোহান: ওয়াট,,,,আকিব এবার মনে হচ্ছে সবকিছু বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে,,,,,,,
আনহা: বেশি হলেও কিছু করার নেই সোহান তুমি রিমি আপুকে চেনো না,,,, একবার যদি কিছু জানতে পারে তাহলে আমাদের ডিভোর্স কিছুতেই হতে দেবে না,,,,
সোহান: আচ্ছা ঠিক আছে তোমরা যাও,,,, আমি আর রিধি ডিনার করে নিব,,,,

সোহানের কথায় আনহা তো অবাক,,,, কেন সোহান সব কিছু এতো সহজে মেনে নিচ্ছে,,, যে সোহান আনহা ছাড়া কিছু বুঝতো না,,,,
আনহা বলার সাথে সাথে হাজির হতো ওর সামনে,,,,কোন ছেলের সাথে কথা বললে রাগে ফায়ার হয়ে যেতো,,,,সে সোহান আকিবের সাথে এক রুমে থাকা এখন আবার
ডিনার এসব কিভাবে মেনে নিচ্ছে,,,,, কিছু তো একটা গন্ডগোল আছে,,,,,,,আনহা এসব ভাবতে ভাবতে আকিবের সাথে ডিনারে চলে গেল,,,,,
যেখানে ডিনার এ্যারেন্জ করা হয়েছে জায়গাটা অনেক সুন্দর,,,,,আনহা তো দেখেই অবাক,,,,,,, টেবিল টা গোলাপের পাপড়ি আর ক্যান্ডেল দিয়ে সাজানো,,,,আশে পাশেও ক্যান্ডেল ফুলের তোড়া দিয়ে সাজানো,,,, অপলক দৃষ্টিতে সবকিছু দেখছে,,,,

আনহা: ওয়াও,,,,,, বিউটিফুল,,,, এরকম ভাবে কখনোই আমি ডিনার তো দূরের কথা ব্রেকফাস্ট লাঞ্চ কিছুই করিনি,,,,,,

আনহার কথায় আকিব শব্দ করে হেসে উঠলো,,,,,

আকিব: তবে এখন করো,,,,,,, ওহ এখন আবার ফটো তুলবে,,,,ওয়েট তোমার একটা ফটো তুলি,,,,
আনহা: আচ্ছা তোল,,,, রিমি আপুকে সেন্ড করে দিও,,,,,আপু তো কেডি পাঠকের মতো গোয়েন্দাগিরি শুরু করেছে,,,,, প্রত্যেক কাজের প্রমান চাই তার,,,,,
আকিব আনহার সাথে কয়েকটা ফটো তুলে রিমিকে সেন্ড করে দেয়,,,,,তারপর দুজনে খেতে বসে,,,,,
আনহা খেয়েই যাচ্ছে আকিব গালে হাত দিয়ে বসে বসে আনহার খাওয়া দেখছে,,,

আনহা: আকিব তুমি খাচ্ছ না কেন আমার খাওয়া দেখলে কি তোমার পেট ভরবে,,,, ওহহ তোমার তো রাতের বেলা ব্যারাম ওঠে,,, না খাওয়ার ব্যারাম,,,,,প্লিজ আকিব আজকে ডিনার করো,,,, আমার জন্য,,,,রিমি আপুর কষ্টটা এভাবে বিফলে যেতে দিও না,,, প্লিজ,,,

কেন জানি আকিব আনহার অনুরোধ ফেলতে পারলো না,,,দুজনে একসাথে ডিনার করলো,,,
তারপর একসাথে রুমে যেতে লাগলো যাওয়ার পথে ম্যানেজারের সাথে দেখা হলো,,,
ম্যানেজার: আপনাদের সবকিছু পছন্দ হয়েছে তো,,,,
আকিব: হুম থ্যাঙ্কস ফর দিস,,,,,,
ম্যানেজার: ওয়েলকাম,,,,, আপনারা এবার রুমে গিয়ে রেস্ট করুন,,,,

আনহা: আকিব চলো না রিধি আর সোহানের রুমে গিয়ে একটু দেখা করে আসি,,,
আকিব: ওকে চলো,,,,
ম্যানেজার: এক মিনিট,,,, আসলে ওনারা তো রুমে নেই,,,,
আনহা: নেই মানে কোথায়,,,,
ম্যানেজার: ওনাদের তো কটেজের পেছনে যেতে দেখলাম,,,, ওখানে সুন্দর বসার জায়গা আছে,,,,,, আজকে তো পূর্ণিমা হয়তো চাঁদ দেখতে গিয়েছে ওখানে থেকে চাঁদটা খুব ভালোভাবে দেখা যায়,,,,, আপনারা চাইলে ও যেতে পারেন,,,,
ম্যানেজার চলে গেল,,,,
আনহা: কি,,,,,, আমাদের রেখে চাঁদ দেখা না,,, দাঁড়া দেখাচ্ছি মজা,,,,চল তো আকিব,,,,
আজকে সবাই আড্ডা দেব অনেক রাত পর্যন্ত

আনহা আকিবের হাত ধরে টানতে টানতে কটেজের পিছনে নিয়ে গেলো,,,,,

ওখানে গিয়ে আনহা আর আকিব যা দেখল সেটা দেখার জন্য দুজনের কেউই প্রস্তুত ছিল না,,,,,,,,,

চলবে,,,,,,,,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে