#ভালোবাসার_রং_বদল
#Abanti_Islam
#Part:9
অনু কিছুক্ষন চুপ থেকে বলল,,,
—“তুই কিছু খেয়েছিস?”
অভয় অনুর দিকে তাকিয়ে বলল,,,
—” এখন শরীর কেমন লাগছে তোর। আর আমার খাওয়ার কথা ভাবতে হবে না তোর। আমি ঠিক আছি। অনু আন্টি আঙ্কেল কোথায়। আর তোর ফোন কোথায় জানিস দেশের বাহিরে থেকেও তোর সাথে যোগাযোগ করার কত চেষ্টা করেছি। আমাদের সার্কেল এর সবার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। কেউ তোর কোন খোঁজ দিতে পারে নি। অনেক বার তোর বাসায় গেছে। কিন্তু ওখানে কেউ ছিল না। কিন্তু তোকে এইভাবে এখানে দেখব আমি ভাবতেও পারি নাই।
অনু অভয় এর কথায় চোখের জল মুছে বলল,,,
—” অনেক কিছু হয়ে গেছে। বাবা মা কোথায় আমি জানি না। আমার ফোনটাও নিয়ে নিছে। কারো সাথে যোগাযোগ করতে দেয় নি। এই বাড়ি থেকেও বের হতে দেয়নি আমাকে। অনেক বার তোর মাকে বলেছি আমি ভর্তি হতে চাই কিন্তু উনি না বলে দিয়েছে। আমি বাবা মার সাথে কথা বলতে চাই। তুই কিছু একটা ব্যবস্থা করে দে।
অভয় কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল,,,
—” তুই এখন ঘুমিয়ে যা। আমি সকালে ভাইয়া কথা বলব। আর আজকে তুই এখানে থাক আমি আর আহান এক সাথে থাকব। অনু অভয় কথা শুনে কিছুক্ষন চুপ থেকে বলল,,,
—” কিন্তু তোর ভাই তো আমাকে এখানে থাকতে দিবে না।”
অভয় অনুর কথা শুনে অনুর কাছে এসে ওর মুখটা দুই হাতের মধ্যে নিয়ে বলল,,,
—“চিন্তা করিস না। আমি তো আছি আমি তোর কিছু হতে দিব না।এখন ঘুমিয়ে পর অনেক রাত হয়ে গেছে।”
______________________
মাঝ রাতে কারো চিৎকার শুনে ঘুম ভেঙ্গে যায়। অভয় চোখ খুলে ঘরির দিকে তাকিয়ে দেখে তার ২টা বাজে এতরাতে কে চিৎকার করছে। ভেবে খাট থেকে নেমে দরজার কাছে যেয়ে ফিরে এসে আহান কে ঘুম থেকে জাগিয়ে নিয়ে যায়।
আহান ঘুম ঘুম চোখে বলল কি হয়েছে তোর এত রাতে ঘুম থেকে ডেকে তুললি কেন।
অভয় আহান এর কথা শুনে কিছুটা বিরক্ত হয়ে বলল,,,
—” কে যেন চিৎকার করে কান্না করছে শুনতে পাচ্ছিস না নাকি। চল দেখে আসি কে কান্না করছে। আহান অভয় এর সাথে হেঁটে যেতে যেতে বলল সেটা তো সকালেও জানা যেত এত রাতে ঘুম নষ্ট করার কি দরকার ছিল।
অভয় কিছুটা রেগে বলল,,,
—“তুই আমার সাথে আসবি নাকি এখানে বকবক করবি তার থেকে ভালো হয় তুই ঘুমিয়ে থাক। আমি একা দেখে আসি কে এই ভাবে চিৎকার করছে। বলে রুম থেকে বাহির হয়ে যায়। আহান অভয় এর পিছনে পিছনে এসে বলল,,,
—” আরে রেগে যাচ্ছিস কেন। চল আমি ও তোর সাথে যাচ্ছি। বলে দুইজনে ডাইনিং রুমে চলে আসে। শব্দ কোথা থেকে আসছে বুঝার চেষ্টা করে যাচ্ছে। হঠাৎ আহান বলল শব্দটা ভাইয়া রুম থেকে আসছে। অভয় আহান এর কথা শুনে কিছু একটা ভেবে নিজের রুমে চলে যায়।
অভয় রুমে এসে দরজা ধাক্কা দিতে দরজা নিজ থেকে খুলে যায়। ভেতরে ঢুকে আলো জ্বালিয়ে দেখে ওখানে কেউ নাই। অভয় দৌড়ে উপরে চলে যায়। আহান পেছন থেকে দৌড়ে অভয় কে প্রশ্ন করে চলেছে।
—” তুই ভাইয়া রুমের দিকে কেন যাচ্ছিস। অভয় আহান এর কথা শুনে কিছুটা রেগে বলল,,,
—” ভাইয়া অনুর সাথে কিছু করছে। অনু এইভাবে চিৎকার করছে। তুই চল আমার সাথে। বাসায় আসা থেকে অনুর সাথে একবার ও কথা বলিস নি তুই।
অভয় এর কথা শুনে আহান বলল,,,
—” অনু এখন বাইয়ার বিবাহিত স্ত্রী ভাইয়া অনুর সাথে যা ইচ্ছে করতে পারে ওদের মাঝে আমাদের যাওয়া ঠিক হবে না।
___________________
অভি রুমে এসে অনুকে না দেখে অনেক রেগে যায়। রুম থেকে বাহির হয়ে অভয় রুমে যেয়ে দেখে অনু ঘুমাচ্ছে। ওখানে থেকে অনুকে ঘুমন্ত অবস্থায় অনুকে কোলে তুলে নিয়ে আসে। এনে ফ্লোরে মধ্যে ফেলে দেয়। হঠাৎ মরে পাওয়াতে অনু ভাবে খাট থেকে পড়ে গেছে। কিন্তু চোখ খুলে তাকিয়ে অনুর ভুল ভেঙ্গে যায়। অনু খুব ভালো করে বুঝতে পারছে অভি কতটা রেগে আছে। অভি অনুর চুল ধরে টেনে তুলে বলতে থাক অনেক সাহস হয়ে গেছে তোর। আমার ভাইয়ের দিকে নজর দিচ্ছিস তুই। বলে হকি স্টিক দিয়ে এলোপাথাড়ি মেরে যাচ্ছে।
অনুক কিছুক্ষন সহ্য করেছে যখন সহ্য সীমার বাহিরে চলে যায়। তখন চিৎকার শুরু করে দেয় নিজেকে বাচানোর জন্য।
অভয় আর আহান দরজার বাহিরে দাড়িয়ে আছে। আহান তুই মাকে ডেকে নিয়ে আয়। নয়ত ভাইয়া অনুকে মেরে ফেলবে।
আহান অভয় দিকে তাকিয়ে বলল,,,
—” ওরা স্বামী স্ত্রী ওদের বিষয় ওদের বুঝতে দে শুধু শুধু এই ঝামেলা পড়ার কোন দরকার নাই।
আহান এর কথা অভয় রেগে ওর দিকে একবার তাকিয়ে নিজে দরজা ধাক্কা দেওয়া শুরু করে ভাইয়া দরজা খোল বলে চিৎকার করছে।
কিন্তু সেই দিকে অভয় এর কোন হুস নেই। অনুকে মারায় ব্যস্ত আছে।
অভয় চিৎকার শুনে সাহারা বেগম সহ বাকি সবাই চলে আসে। এসে বুঝতে পারে ভেতরে কিছু একটা হচ্ছে। তাই সাহারা বেগম অভয় এর কাধে হাত রেখে বলল। তোর ভাই ভাবি বিষয়ে কিছু বলা তোর ঠিক হবে না।তুই এখানে থেকে চলে আয়।
মার কথা শুনে অভয় রেগে দরজায় শরীর সমস্ত শক্তি দিয়ে দাথি দেয়। যার ফলে দরজার লকটা খুলে যায়। দরজা পর্দা শরিয়ে ভেতরে ঢুকে যা দেখে তার জন্য কেউ প্রস্তুত ছিল না।
চলবে,,,,