#ভালোবাসার_রং_বদল
#Abanti_Islam
#Part:6
অনুর ঠোঁট এর সাথে অভির ঠোঁট মিশিয়ে অনুর ঠোঁট এর দখল করে নেয় অভি। অনু অভির থেকে যত নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছি অভি ততটা অনুকে চেপে ধরেছে। ঠোঁট ছেড়ে শাড়ির আচলে টান দিয়ে খুলে অনু কে খাটের উপর ফেলে ওর শরীর নিয়ে খেলা শুরু করে।
অনু নিরবে সব সহ্য করে যাচ্ছে।অভির প্রতি ঘৃণা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। কোন ভাবে নিজেকে এখান থেকে মুক্ত করতে হবে সেই ভাবনায় আছে।
অভির অনুর দিকে কোন খেয়াল নেই। অনুর শরীর নিয়ে মেতে আছে। অনুর চোখের পানি অভিকে আরো আনন্দ দিচ্ছে। নিজের কাজ শেষ করে অভি বলল,,,
— কি ভেবেছিস আমার শরীরে আঘাত করে আমার থেকে বাচঁতে পারবি এটা কোন ভাবে সম্ভব নয়। তোকে তো বসে আনবই।
অনু চোখের পানি মুছে বলল,,,,
—“তোর মত একজন খুনিকে অনু কখনও ভালোবাসবে এটা ভাবাও তোর জন্য পৃথিবীর সব থেকে বড় ভুল”
অনুর কথা শুনে অভি কিছুটা অবাক হয়ে বলল,,
— “কে খুনি তোর মাথা ঠিক আছে তো। খুনি কাকে বলছিস।”
অনু তাছিল্যের হাসি হেসে বলল,,,,
—“এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেছিস তোর স্মৃতি শক্তি এত দূর্বল কোন ব্যাপার না। সময় হলে আমি তোকে সব মনে করিয়ে দিব। বলে ওখান থেকে উঠে চলে যায়।
অভি নিজ মনে ভেবে চলছে অনু কি বলতে চাইছে।আমার সম্পর্কে কি জানে অনু হঠাৎ এই কথা বলছে কেন।
____________________
সাহারা বেগম এর ডাকে সবাই ডাইনিং রুমে চলে আসে। উনাকে আজকে অনেক খুশি দেখাচ্ছে।
অভি কৌতুহল নিয়ে জানতে চায় কি হয়েছে মা। তোমাকে আজকে এত খুশি দেখাচ্ছে কেন।
সাহারা বেগম হাসি মুখে বলল কালকে অভয় আর আহান আসছে মাত্র ফোন দিয়েছে। কালকে সন্ধ্যায় বাসায় আসবে।
অভি খুশি হয়ে বলল তাহলে তো অনেক কাজ করতে হবে আজকে। ওদের রুম গুলো সুন্দর ভাবে গুছাতে হবে হবে। সব কিছু নতুন করে সাজাতে হবে।
সাহারা বেগম মুখে হাসি এনে বলল ঠিক বলেছিস।অনেক দিন পর বাড়িতে আমার দুই ছেলে আসছে। ওদের তো আর যেই সেই ভাবে থাকতে দেওয়া যাবে না সব কিছু নতুন করে করতে হবে। বলে নিজের রুমে চলে যায়।
আহেলী কুহেলী নিজেদের মত করে প্লান করে যাচ্ছে। হঠাৎ অনুকে দেখে ওখান থেকে নিজেদের রুমে চলে যায়। ওদের দেখে মনে হচ্ছে অনু এখানে আসাতে অনেক বিরক্ত হয়েছে।
তাতে অনুর কিছু যায় আসে না। নিজের মত করে কিচেন রুমে চলে যায়। কিচেনে এসে দেখে এখানে সবাই খুব খুশি। অনু কিছুক্ষন ভেবে বলল,,,
—” ময়না কে আসছে যে এত খুশি সবাই। তুমি কিছু জানো কি”
ময়না অনুর দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে বলল,,,
— কালকে ছোট ভাইজান আর আহান ভাইজান আসছে। তাই সবাই অনেক খুশি।
অনু কিছুটা কিছুটা বিরক্ত নিয়ে বলল,,,
—“ওরা খুশি সেটা তো বুঝতে পেরেছি ওদের ছেলে ভাই আসছে তাই। কিন্তু তুমি এত খুশি হচ্ছ কেন সবাই তো একি রকম।”
ময়না কিছুটা হতাশ হয়ে বলল,,,
আরে ভাবি আফনে তো ভুল ভাবছেন অভয় আর আহান ভাইজান অন্যরকম একজন মানুষ এরা এদের মত না অনেক ভালা মানুষ। ঠিক গোবরে পদ্ম ফুল এর লাহিন। কালকে আইলে বুঝবার পারবেন এরা কত ভালা মানুষ বলে ময়না নিজের কাজে মন দেয়।
অনু আর কোন কথা না বলে বাগানের দিকে চলে যায়। ওখানে একটা দুলনা টানানো আছে। দোলনা শিকল গুলোর মধ্যে পাহাড়ি লতা খুব সুন্দর ভাবে সাজানো দেখে মনে হয় প্রকৃতি তার নিজের সুন্দর্য দিয়ে দুলনাটা সাজিয়ে দিয়েছে মাঝে বেগুনি রং এর ছোট ছোট ফুল। যা দুলনা কে আরো সজীব করে রেখেছে। এই বাড়িতে অনুর একটাই পছন্দের যায়গা সেটা হলো এই দোলনা। এখানে অনেক সময় কাটায় নিজের মতো করে। অনুর সব ক্লান্তির অবসান ঘটায় এই দুলনা।
অনু নিজের মনে ভেবে যাচ্ছে এই বাড়িতে এসেছে অনেক দিন হয়ে গেছে। এখনো বাবা মার খোঁজ দেয় নি অভি। আধো ওরা বেঁচে আছে তো ওনারা। নাকি অভির লোকজন ওর বাবা মার কোন ক্ষতি করেছে। ভেবে চোখের পানি পড়ে যাচ্ছে।
অনেক হয়েছে আজকে অভির কাছ থেকে বাবা মার খোঁজ নিতে হবে। ওদের সাথে একবার কথা বলতে হবে। ভেবে দোলনা ছেড়ে উঠে চোখের জল মুছে বাড়ির দিকে হাটতে শুরু করে দেয়।
অভি অনেক আগে বাহির হয়ে গেছে ভাই আসছে। ওদের রুমে নিজে সাজিয়ে দিবে তার জন্য যা যা দরকার সব নিজে মার্কেট থেকে পছন্দ করে কিনার জন্য চলে যায়। সবাই নিজের মতো করে খুব বিজি। অনু একা বারান্দায় বসে আছে।
রাতের খাবার এর জন্য ময়না জন্য অনুকে ডেকে নিচে চলে আসতে বলে।
অনু কোন কিছু না বলে খাবার খাওয়ার জন্য ডাইনিং রুমে চলে আসে।
অনুকে দেখে সাহারা বেগম বলল,,,
—” কালকে আমার দুই ছেলে বাড়ি আসবে তাই তুমি এতদিন যা করেছ। সেটা এখন আর করা যাবে না। ওদের সামনে তোমার এই অসভ্য ব্যবহার করবে না। ভালো ভাবে থাকার চেষ্টা করবে। ওরা যতদিন বাসায় থাকবে ততদিন ওদের সাথে ভালো ব্যবহার করবে।
রাতে অনু বারান্দায় বসে নিজের মনে ভেবে যাচ্ছে। হঠাৎ অভি অনুর পিছনে দাঁড়িয়ে অনুর শাড়ির নিচ দিয়ে পেটের মধ্যে হাত দিয়ে স্লাইড করে যাচ্ছে। অনু রাগে গজ গজ করে বলল,,,
— আমি বাবা মার সাথে কথা বলতে চাই। আমাকে ওদের সাথে কথা বলিয়ে দেন।আমি এখনি ওদের সাথে কথা বলতে চাই।
অভি অনুর নাভি শরীরে স্লাইড করতে করতে বলল,,,
— এখন তোমার বাবা মার সাথে কথা বলিয়ে দেওয়া সম্ভব না। কথা বলতে হলে কালকে সকালে বলতে পারবে। কিন্তু তার আগে আজকে আমার সব কথা তোমাকে শুনতে হবে বলে ওর ঘারে মুখ খুজে দেয়। অনু আজকে কোন কথা বলছে না চুপ করে সব সহ্য করে যাচ্ছে। আর চোখের পানি ফেলছে। অনু এটা ভালো করে বুঝতে পারছে আজকে ও কোন প্রতিবাদ করলে কালকে বাবা মার সাথে কথা বলতে দিবে না।
অভি প্রতিদিন এর মতো অনুর শরীর নিয়ে মেতে আছে। অনুর চোখের পানি ওকে আরো বেশি আনন্দ দিয়ে যাচ্ছে।
চলবে,,,,