ভালোবাসার রং বদল Part:4

0
1899

#ভালোবাসার_রং_বদল
#Abanti_islam
#Part:4

কালকে আমার গলার মধ্যে পা দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আজকে ওই পা টা আছে না গেছে। বলে উঠে সামনে এসে দাড়ায়।

সাহারা বেগম এটা তুমি কি করলে এই ভাবে কেউ প্রতিশোধ নেয়। অনু উনার দিকে তাকিয়ে থেকে বলল,,,

— কালকে আপনার ছেলে আমার সাথে যা করেছে। ওই হিসাবে এটা তো কিছু না।কেমন লাগছে এখন মিস্টার অভি চৌধুরী।

আহেলী খুব রাগি গলায় বলল,,,

–কি করেছে তুমি আমার ভাইয়ার সাথে ভাইয়া কেন এই ভাবে পরে গেছে।

অনু কিছুক্ষন সবার দিকে তাকিয়ে থেকে বলল,,,

— বেশি কিছু করি নাই তো উনি যে স্লিপার পরে আছে তার মধ্যে সেম্পু দিয়ে দিয়েছি।এর বেশি তো কিছু করি নাই। আর উনি নিজে বে খেয়ালে হেঁটেছে যার জন্য পরে গেছে। আসলে পায়ে অনেক শক্তি তো তাই নিজেকে অনেক কিছু ভাবত। তাই শক্তি কিছু কমিয়ে দিয়েছি। বলে উপরে চলে যায়।

____________________

অভির সারা শরীরে বেন্ডেজ করা। হাত ভেঙ্গে গেছে পায়ের হাড় ফেটে গেছে। হাতে পায়ে প্লাস্টার করা। এক মাস এর জন্য বেড রেস্ট দিয়ে দিছে ডাক্তার। হসপিটালে থাকতে হবে না বাসায় চলে যেতে পারে কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে।

সাহারা বেগম ছেলেকে নিয়ে বাসায় চলে আসে।এসে অনুকে ডেকে বলে দেয় যেন।একমাস অভির কাছে না আসে।

অনু কিছুক্ষন ভেবে বলল,,,

যে একমাস আপনার ছেলের কাছে যেতে হবে না। সেই একমাস মনে করবেন আমি বেঁচে গেছি।বলে ওখানে থেকে চলে আসার সময় আহেলী অনুর হাত পেছন থেকে মচর দিয়ে ধরে। তোর অনেক বড় সাহস হয়ে গেছিস আমার ভাই এর সাথে এখন পর্যন্ত কেউ চোখ তুলে তাকায় নি।আর তুই আমার ভাইয়ের বার বার আঘাত করে চলেছিস।

হঠাৎ করে কেউ হাত পিছন থেকে ধরাতে অনু চমকে যায়। কিছুক্ষণ এর মধ্যে অনু নিজেকে সামলে নিয়ে। আহেলী হাত থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে ঠাস করে কয়েকটা থাপ্পড় দিয়ে বলল এই ভুল আর কখনও কর না যেখানে তোর ভাইকে আমি ছাড় দেই না সেখান তুই তো কিছুই না। নেক্সট এই ভুল করলে তোকে ও তোর ভাইয়ের মত দেখিয়ে দিব অনু কি? বলে ওখান থেকে রাগে চলে আসে। এসে রুমের সব জিনিস পত্র লন্ডভন্ড করে ফেলে। সব কিছু ভেঙ্গে চুড়চুড় করে ফেলে।

দুইদিন পর,,,,,

এই বাড়িতে আসা পযর্ন্ত এখনো এই বাড়ি কখনো ঘুরে দেখে নি অনু। তাই নিজে নিজে রুম গুলো ঘুরে দেখছে। প্রতিটা রুম গুলো গুছানো। কিন্তু এক একটা রুম এক রকম। রুম গুলো ঘুরে দেখে নিচে চলে আসে। এসে বাগানটা ঘুরে দেখে। এখানে বিভিন্ন ধরনের ফুল গাছ লাগানো। হাঠাৎ কেউ পিছন থেকে দৌড়ে আসে। বউ মনি ভালো আছেন তো। আপনার শরীর ভালো আছে তো।

উনার কথা শুনে অনু অবাক হয়ে বলল,,,

— আপনি এই কথা বলছেন কেন আমার কিছু হয়েছি কিনা কেন জানতে চাইছেন।

লোকটি মাথা নিচের দিকে করে বলল,,,

— মা আমি এই বাড়ির দেখাশোনা করি একদিন তোমাকে দেখেছি আর কোন দিন দেখি নি। তাই ভেবেছি তোমার কিছু হয় নি তো। জানো মা তোমাকে দেখতে একদম আমার মেয়ের মতো।এখ আসি মা কেউ আমাকে এখানে দেখে নিলে খুব খারাপ হয়ে যাবে। বলে ওখান থেকে চলে যায়।

অনু কিছু বলতে যাবে তার আগেই উনি চলে গেছে। তাই নিজের মত বাগানটা ঘুরে উপরে নিজের রুমে চলে আসে। এসে কাজের বুয়া কে দিয়ে রুম পরিষ্কার করিয়ে। সোফার মধ্যে বসে আছে। হঠাৎ করে পেছন থেকে কাজের লোক বলল,,,

— আফা আফনারা একখান কথা কই কাউরে কইবেন না কথা দেন।

অনু উনার কথা শুনে কিছুক্ষন ভেবে বলল,,,,

— বলেন কি বলতে চান তার আগে দড়জা নক নক করে আসুন নয়ত আমার বলতে হবে না ওরা নিজেরা শুনে ফেলবে।
কাজের মেয়ে অনুর কথা মতো দরজা আটকে এসে বলতে শুরু করে। জানেন আফা এই বাড়িতে আগে যে দুই বউ ছিল। উনারা অনেক কানত কেউ তাগরে দাম দিত না। কত মাইর খাইছে। একজন তো কষ্টে বলে চোখের পানি ছেড়ে দেয়।

— আমি এখন আসি আফা অনেক কাজ রাইখা আইছি বলে ওখান তেকে চলে যায়। আর কিছু না বলে।

অনুর মাথার মধ্যে এখন অনেক চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে। কি রহস্য আছে এখানে সবাই অনেক ভয়ে ভয়ে কাজ করে। কেউ কারো সাথে কেন কথা বলে না। এই সব রহস্যের সমাধান আমাকে করতেই হবে। যে ভাবে হোক।

_________

এখানের সবাই এখন অনুর সাথে কথা বলছে। কাজের লোক গুলো এখন অনুর সাথে ভালোআউথূভূউউ ভাবে কথা বলে। দিন দিন সবাই অনুর সাথে ফ্রি হচ্ছে। আর অভি আর বাকিদের সাথে ঝামেলা চলে যাচ্ছে। চার জন এর সাথে অনু একা প্রতিদিন ঝামেলা করে যাচ্ছে। অনু ও কোন কিছুতে কম যায় না। একাই সবার সাথে লরে যাচ্ছে।

এখন আহেলী আর কুহেলী সব থেকে বেশি ঝামেলা করে। ওরা সব সময় অনুকে নানান ভাবে বিরক্ত করছে।

আহেলীর চিৎকার সবাই ওর রুমে চলে আসে। এসে দেখে আহেলী মুখ জ্বলে যাচ্ছে বলে এক নাগাড়ে চিৎকার করে যাচ্ছে। অনু নিচে টেবিলে বসে আছে। আর মনের সুখে হেসে যাচ্ছে।

সবাই আহেলী কে নিয়ে নিচে চলে আসে।ওর সারা মুখ লাল হয়ে আছে চোখ থেকে পানি পড়ে যাচ্ছে।

কুহেলী বারবার জানতে চাইছে কি করে এই রকম হলো সাহারা বেগম ডাক্তার কে ফোন দিচ্ছি অভি হুইল চেয়ারে বসে বুঝার চেষ্টা করে যাচ্ছে কি হয়েছে।কিন্তু আহেলী কিছুই বলতে পারছে না।

অনু সবার কান্ড দেখে কিছুক্ষন হেসে বলল,,,

-এত লাফালাফি করে লাভ নেই ওর মুখের মধ্যে এসিড লেগেছে যার ফল সরূপ এখন কিছুক্ষন মুখ জ্বালা করবে পরে হয়ত রেস বাহির হতে পারে। ভালো হবে কোন স্কিন ডাক্তার দেখান বলে ওখান থেকে চলে আসার সময় সাহারা বেগম জানতে চায় তুমি ওর সাথে কি করেছে বল কেন আমার মেয়ের মুখ এই ভাবে জ্বলে যাচ্ছে আর লাল হয়ে আছে।

অনু শাশুড়ি দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে বলল,,

— ওইদিন আপনার মেয়ে আমার মুখের মধ্যে গরম চা ঢেলে দিয়েছে তার ফল হিসাবে ওর মুখের মধ্যে এসিড দিয়ে দিয়েছি যদিও সেটা সামান্য পরিমাণ ছিল।পরের বার এই রকম কোন ভুল করলে তার ফল আরো খারাপ হয়ে যাবে বলে।উপরে চলে যায়।

চলুন কয়েকদিন আগের ঘটনা জেনে আসি। অনু সোফার মধ্যে বসে কফি খাচ্ছিল হঠাৎ আহেলী ওর থেকে কফির মগটা নিয়ে গরম কফি অনুর মুখে ঢেলে দেয়। যার জন্য অনু কালকে রাতে সুযোগ বুঝে আহেলী ফ্রেশ ওয়াশ এর মধ্যে সামান্য পরিমাণ এসিড দিয়ে দেয়। যার জন্য সকালে মুখ দৌয়ার জন্য যখন ফ্রেশ ওয়াস দেয় তখনি এসিড এর জন্য মুখ জ্বালা শুরু করে।

চলবে,,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে