Sunday, October 5, 2025







ভালোবাসার ভিন্ন রং পর্ব-৩১

#ভালোবাসার_ভিন্ন_রং
#সাইয়্যারা_খান
#পর্বঃ৩১

প্রায় সপ্তাহ খানিক রোদের বাসায় পার করলো ওরা। পরসু থেকে রোদের মেডিক্যাল সাথে আবার মিশানের ও স্কুল শুরু হয়ে যাবে। এখন যেহেতু রোদের হাত শুকিয়েছে আর এমনিতেও সুস্থ অনেকটা তাই আজ আদ্রিয়ান সিদ্ধান্ত নিলো চলে যাবে। রাতে খাবার টেবিলে কথা উঠালো আদ্রিয়ান। শশুড়’কে বললো,

— আব্বু কাল নাহয় চলে যাই? রোদ আর মিশানের পড়াশোনা স্টার্ট হয়ে যাচ্ছে। আমার অফিসেও কিছু ফরেইন বায়ার আসবে।

রোদের আব্বু কোন উত্তর দেয়ার আগেই রাদ মুখের খাবারটুকু গিলে বললো,

— এখান থেকে যাবে মেডিক্যাল, স্কুল সাথে মিশির জন্য ও টেনশন করতে হবে না।

আদ্রিয়ান আপত্তি জানালো। এতদিন টানা শশুড় বাড়ী থেকে ঘরজামাই’য়ের ট্যাগ না লেগে যায়। কিন্তু এ কথা প্রকাশ না করে আদ্রিয়ান শান্ত ভাবে বললো,

— আশা করি রোদকে আমার দায়িত্বে দিতে আপত্তি নেই।

রোদের মা তারাতাড়ি করে বললো,

— আরে বাবা কি বলছো? এমন কিছু না।

রোদের বাবা’ও বললেন,

— আচ্ছা আম্মাজান কি বলিস?

রোদ এতসবে একদম চুপ ছিলো। আদ্রিয়ানের উপর এ ব্যাপারে কথা বলতে চায় না ও। তাই বললো,

— এখন যাই আবার নাহয় আসব নে?

রোদের বাবা বুঝলেন মে’য়ের মনের কথা। খুশিও হলেন বটে তার মেয়ে স্বামীর মতামতকে সম্মান করে বলে। তিশা মিশিকে খায়িয়ে দিচ্ছিলো কিন্তু দুধ মিশি কিছুতেই তিশার কাছে খাবে না। বাবার মতো দুষ্ট এই মেয়ে। অবশেষে রোদের ই খাওয়াতে হলো ওকে। রাদ টেবিলে আর একটা বাক্য ও বিনিময় করল না। মূলত বোনকে এখন যেতে দিতে চাইছে না কিন্তু তাই বলে আবার বোন জামাই’য়ের মতামত’কেও অসম্মান করতে পারছে না। খাওয়া শেষ হতেই রোদ উঠে রাদের রুমে ডুকলো। জাইফার শরীর আজ খারাপ হচ্ছে। এসময় এটা হওয়া যদিও স্বাভাবিক তবুও বাড়ীর সবাই এ নিয়ে ভীষণ চিন্তিত।
রোদ রুমে ডুকেই দেখলো জাইফা ঘুমাচ্ছে। রোদ পাশে বসতেই জাইফা চোখ খুলে তাকিয়ে বললো,

— কেমন আছো?

রোদ হেসে বললো,

— এটা তো আমার জিজ্ঞেস করার কথা আপি।

জাইফা উঠে বসতেই রোদ বললো,

— পুচকু কেমন আছে?

জাইফা হেসে বললো,

— যেমন ভাই তেমন তার বোন। তোমার ভাই আমাকে জিজ্ঞেস করে বেবি কিক মা’রে কি না?

রোদ হেসে উঠে বসলো,

— আব্বু হওয়ার খুশিতে ভাই কিছুটা বোকা হয়ে গিয়েছে।

রাদ ডুকে বললো,

— আজব আমার বাচ্চা নড়ে কি না এটা জিজ্ঞেস করব না?

জাইফা এবার জোরে হেসে উঠতেই রাদ দিলো এক ধমক। কেঁপে উঠল জাইফা সহ রোদ। রাদ বলে উঠে,

— জোরে হাসতে নিষেধ করি নি?

রোদ মুখ কুচকে বিরক্ত প্রকাশ করলো,

— ধুর মন্ডু! এভাবে ধমক দিলা আমি তো ভাবলাম কি না কি হয়েছে।

জাইফা ঠোঁট টিপে হেসে বললো,

–তোমার ভাই ঐ দিন ডক্টরে জিজ্ঞেস করে বেবি নড়ে না কেন, মুড সুইং হয় না কেন সহ এত্তো এত্তো প্রশ্ন। বেচারী ডক্টর পরিচিত বলে ধৈর্য ধরে সব উত্তর দেয় নাহলে ওনাকে দৌড়িয়ে দিত মাথা খাওয়ার জন্য।

রাদ আড় চোখে তাকালো। রোদ তা দেখে হেসে উঠে বললো,

— আহারে আপি, বেচারা আমার ভাই নতুন পাপা হবে। তুমি কি না তার লেগ পুল করো?

জাইফা অনেক কষ্টে হাসি আটকে রেখেছে। রাদ এগিয়ে রোদের পাশে দাঁড়াতেই রোদ ভাইয়ের কোমড় জড়িয়ে ধরে বললো,

— আবার আসব তো। প্লিজ মন খারাপ করে থেকো না। নাহলে আমাদের পুচকুও মন খারাপ করবে?

রাদ রোদের মাথায় হাত দিয়ে বললো,

— থেকে যা না।

রোদ মুখ তুলে ভাইকে দেখলো। রাদ বোনের নজরে দেখলো তার অসহায় চাহনি। হালকা হেসে রাদ রোদের নাক টেনে দিয়ে বললো,

— পিচ্চি আমার।

রোদ নিজের ফুলা ফুলা গালদুটো এলিয়ে হাসলো যার দরুন গালে আর থুতনিতে গর্তের সৃষ্টি হলো। রাদের মন যেন ভরে না রোদকে দেখে। এই বোন তার অনেক আদরের। ছয় বছর বয়সে যেখানে সবাই বাইরে খেলতো তখন প্রায় সময় রাদ বসে থাকত ছোট্ট রোদের কাছে। যখন থেকে একটু একটু বড় হওয়া ধরলো তখন থেকেই ভাইয়ের নেওটা এই রোদ। আদো আদো গলায় ভাই ডাকতে পারত না। কত আজগুবি শব্দ উচ্চারণ করত। গোলগাল রোদটা এই ভাইয়ের জান হয়ে রয়ে গেল। যেখানে সবার ঘরে নতুন বাচ্চা আসলে মানুষ বলে আগের সন্তানদের কদর বা আদর একটু হলেও কমে কিন্তু সেখানে রোদের সাথে পুরো উল্টোটা হলো। রুদ্র’র থেকে ও আদর পায় এই রোদ।
রাদ রোদকে মন ভরে দেখে আদর করে দিলো। জাইফা’র অবাক হয় এমন ভাইয়ের আদর দেখে বোনের প্রতি।
.
রুমে ডুকতেই রোদ দেখলো মিশি আদ্রিয়ানের বুকের উপর গোল হয়ে ঘুমিয়ে আছে। পাশে মিশান আধ শোয়া হয়ে ফোন টিপছে। রোদ এগিয়ে এসে মিশানে’র ফোন নিয়ে বললো,

— কয়টা বাজে?

মিশান ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বললো,

— এগারোটা।

রোদ চোখ রাঙিয়ে তাকালো। মিশান একটু হাসার চেষ্টা করে বললো,

— এখনই ঘুমাতাম কিন্তু বাবা দিলো না।

রোদ মুখে রাগী রাগী ভাব টেনে এনে বললো,

— তোমার বাবা’র কাজই এগুলো। নিজে উল্লুর মতো জাগে সাথে আরেকজনকে জাগায়।

আদ্রিয়ান চুপচাপ শুয়ে শুয়ে ফোন গুতাচ্ছে। মিশান উঠে দাঁড়াতেই রোদ ওকে নিয়ে রুদ্র’র রুমে ডুকলো। রুদ্র আবার এদিকে নতুন ভ্যাং ধরেছে। রোদ যাবে শুনে এই ছেলে বালিশে মুখ দিয়ে সোজা হয়ে আছে। রোদ ওর পাশে বসে ডাকলো,

— আমার আলুর দম। উঠ।

রুদ্র সারা দিলো না। রোদ আদর লাগিয়ে আবারও ডাকলো,

— এই যে আমার পোটলা, আমার চিপসের প্যাকেট। উঠ। আপি কিন্তু রাগ করব।

রুদ্র তবুও নড়লো না। রোদ দুই হাত দিয়ে কুতুকুতু দিতেই রুদ্র সাপের মতো মোচারাতে মোচারাতে একসময় ঘর কাঁপিয়ে হাসতে লাগলো। ছাড়া পেতে সারা বিছানা গড়াগড়ি করলো। মিশান এদিকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সব ভিডিও করছে দেখেই রুদ্র বহু কষ্টে উঠে মিশানের কাছে এসে ফোন কেড়ে নিয়ে বললো,

— শ্যালা তুই আমার ভিডিও করস ক্যান?

মিশান একটু রাগ করার ভান করে বললো,

— এই মামা হই তোর আমি। সম্মান দিয়ে কথা বল।

রুদ্র সম্মানের নামে ধাম করে একটা কিল বসালো মিশানের পিঠে। মিশান “মা” করে উঠতেই রোদ তারাতাড়ি ওর পিঠে হাত বুলিয়ে বললো,

— পোটলা তুই মারলি ক্যান। ব্যাথা পেয়েছো বাবা?

মিশান ঘাড় দুলালো। রুদ্র মুখ কুচকে বললো,

— আপি ঢং করে এই শ্যালা।

রোদ ঝাঁরি দিয়ে বললো,

— এই “শ্যালা” কি হ্যাঁ?

রুদ্র মিনমিন করে বললো,

— ওতো আমাকে শ্যালা ডাকে।জিজ্ঞেস করো তোমার ছেলেকে।

মিশান মাথা নিচু করে আছে। রোদ দুই জনকেই ধমকালো এই শব্দ যেন আর না শুনে। রুম থেকে বের হতে হতে রোদ ভাবলো এই শব্দ তো রোদের মুখের বুলি। নিজেই ছাড়তে পারে না সেখানে ভাই আর ছেলেকে শাসিয়ে এসেছে।

_________________

রুমে ডুকে রোদ পরনের কাপড় বদলে ঢোলা একটা টিশার্ট আর প্লাজু পড়ে বের হলো। মুখ মুছে ক্রিম লাগালো কিন্তু আদ্রিয়ানের কোন পাত্তা নেই। সে নিজের মতো ফোন ঘাটছে তখনও বুকে ঘুমন্ত মিশি। রোদ নিজেও বিছানায় উঠে ঘুমন্ত মিশিকে চুমু খেয়ে আদ্রিয়ানের গলায় মুখ দিয়ে বিড়ালের মতো ঘঁষাঘঁষি করতেই আদ্রিয়ান গলাটা একটু উঁচু করলো। রোদ গলায় মুখ দিয়ে শুয়ে রইলো। আদ্রিয়ান তখনও ফোন ঘাটতে ব্যাস্ত। রোদ শুয়ে শুয়ে প্রহর গুনছে কখন আদ্রিয়ান ফোন রেখে ওকে কাছে টেনে নিবে কিন্তু এই লোকের কোন হেলদুল নেই। এমন ভাবে ফোনে মননিবেশ করেছে যেন কোন নতুন প্রেমে পড়া প্রেমিক সে যে কি না প্রেমিকার সাথে প্রেমালাপ করতে দীন দুনিয়া ভুলে গিয়েছে। তবুও রোদ ধৈর্য হারা হলো না। নিজে নিজে আদ্রিয়ানের গলায় মুখ ঘঁষে দিচ্ছে কিন্তু হায় আফসোস লাভ হলো না। রোদ এবার ছোট ছোট চুমু খেলো। দাঁড়িতে আঙুল দিয়ে নেড়ে নেড়ে গালে চুমু খেল। এতসবেও আদ্রিয়ান যখন রেসপন্স করলো না তখন রোদকে আর পায় কে? ছোঁ মেরে ফোন কেড়ে নিয়ে নিতেই আদ্রিয়ান শান্ত গলায় বললো,

— আহা। কাজ করছিলাম তো।

রোদ ভয়ংকর চাহনি দিয়ে ফোন দেখতে দেখতে বললো,

— কার সাথে এত ইটিশ পিটিশ আপনার হ্যাঁ? আমি সেই কখন থেকে ই করছি আপনি কেন কিছু করছেন না?

আদ্রিয়ান বুক থেকে মিশিকে নামিয়ে সাইডে শুয়ে দিয়ে কাঁথা দিয়ে ঢেকে দিলো। রোদ তখন মনোযোগ দিয়ে আদ্রিয়ানের ফোন দেখছে। আদ্রিয়ান রোদের কানের কাছে মুখ এনে ফিসফিস করে বললো,

— ই মানে কি?

— জানিনা।

— আমি কিছু কি করব?

রোদ আদ্রিয়ানকে হালকা ধাক্কা দিয়ে রেগে বললো,

— যান এখান থেকে। আপনার নতুন প্রেমিকা গজিয়েছে তাই না? ওই শ্যালীরে আমি তেল ছাড়া ভেজে দিব। সাবান ছাড়া ধুয়ে দিব।

আদ্রিয়ান মুখটা সিরিয়াস করে বললো,

— বাহ্। যাক আমাকে তো কিছু করবে না।

— আপনাকে আমি পা ভেঙে লুলা বানিয়ে নয়াবাজারের নিচে ভিক্ষা করাবো। খারাপ লোক কোথাকার। সরেন এখান থেকে।

আদ্রিয়ান উঠে ওয়াসরুমে ডুকে আবার ফেরত এসে দেখলো রোদ তখনও ফোন ঘাটছে। বান্দি কোন ফোলডার হয়তো বাদ রাখে নি। লাইট অফ করে বিছানার শুয়ে আদ্রিয়ান বললো,

— কি বউ আমার প্রেমিকা পেলে?

রোদ ফোনটা রেখে দাঁত দিয়ে উপরের ঠোঁট কামড়ে মুখটা ভোতা করে রাখলো। এত খুঁজেও ও কিনা কিছুই পেলো না? আদ্রিয়ান হেঁচকা টানে রোদকে নিজের উপর ফেললো। রোদের মুখের উপর কাটা কিছু চুল আসতেই আদ্রিয়ান আলগোছে তা সরিয়ে নিলো। রোদের কোমড় চেপে ঝটাক মে’রে নিজের উপর উঠিয়ে নিতেই রোদ আদ্রিয়ানের কাঁধের দিকে মখ ডুবিয়ে দিলো। আদ্রিয়ান ও পরম আদরে আদরে বউকে ভাসিয়ে নিতেই হঠাৎ “আহ” করে উঠলো। রোদ তবুও ছাড়লো না। আদ্রিয়ান ব্যাথাকাতুর গলায় বললো,

— সোনা ব্যাথা পাচ্ছি।

রোদ তবুও ছাড়লো না। আদ্রিয়ানের ঘাড়ে কামড় দিয়ে ধরে আছে। একটু পর ছাড়তেই আদ্রিয়ান ঘাড়ে ডলতে ডলতে বললো,

— রাক্ষুসনী বউ। উফ্ সোনা দেখো তো মনে হচ্ছে র*ক্ত বের হচ্ছে।

রোদ আদ্রিয়ানের মুখ চেপে ধরে বললো,

— কখন থেকে গুতাচ্ছিলাম। এটা শাস্তি। আর কোন ব্লাড বের হয় নি। নিজে তো এর থেকেও জোরে দেন। চার পাঁচদিনেও দাগ যায় না।

আদ্রিয়ান এবার দুষ্ট হাসলো। বললো,

— তখন জানি কি বলেছিলা? ওহ হ্যাঁ আমি উল্লুর মতো জেগে থাকি সাথে তোমাকেও ঘুমাতে দেই না। তা এখন করি এমন কাজ যাতে কথাটা সত্যি হয়।

রোদ আদ্রিয়ানের উপর থেকে উঠতে উঠতে বললো,

— আরে ওটা তো কথার কথা। আপনি সিরিয়াস হচ্ছেন কেন?

আদ্রিয়ান চেপে ধরলো রোদকে বুকে। চোখে চোখ রেখে বললো,

— এখন তো হবে না বউ। আদর করেই ছাড়ব আমি।

রোদকে আর কিছু বলার সুযোগ দিলো না আদ্রিয়ান। দু’জনের ওষ্ঠধর এক হলো বিনা সময় অপচয়ে। রজনীটা পার করলো প্রিয়জনের বুকে।

______________

সবার থেকে বহু কষ্টে বিদায় নিলো রোদ। সবার চোখে পানি। এই সময়টাই হয়তো এখন। মিশি মায়ের কান্নায় কেঁদে উঠলো। মিশানেরও মন ভার। এখানে যে ওর আপন বলতে কেউ নেই তা কেউ ইহকালেও বুঝতে পারবে না। মিশানকে এমন ভাবে আদর করেছে যেন সত্যি মিশান রোদের বড় ছেলে আর মিশি ছোট মেয়ে। গাড়িতে উঠতেই রোদ দেখলো রাতুল সাইডে দাঁড়িয়ে। রোদ একবার আদ্রিয়ানকে কিছু বলতে গিয়েও বললো না। গাড়িটা চলে যেতেই রাতুলের ফোনে কল এলো। স্ক্রিনে একজন মেয়ের নাম জ্বলজ্বল করছে। দীর্ঘ শ্বাস ফেলে রাতুল কলটা রিসিভ করলো। না করে উপায় নেই। এই কল রিসিভ না করলে এখন কোন কাজে মনোযোগ দিতে পারবে না। বারবার রোদের চেহারাটা ভেসে উঠবে অক্ষিপটে।
ফোন রিসিভ করে কথা বলতে বলতে রাতুল বাসার দিকে হাটা দিলো। রাদ যে রাতুলকে দেখে নি তা না। দেখেছে কিন্তু রাতুল যে মুভ অন করার আপ্রাণ চেষ্টা করছে সেটাও রাদ জানে। সমস্যা একটাই রাতুল একপা রোদকে ভুলে এগিয়ে গিয়ে চার পা পিছিয়ে যায় রোদকে একবার দেখলে।
রাতুলের মনে ক্ষীণ আশার প্রদীপ এখনো জ্বলে রোদকে নিয়ে কিন্তু সমস্যা একটাই এই প্রদীপটা স্থায়ী হতে পারছে না। বারবার ঝরের তান্ডবে পরে। ঝাপ্টা বাতাসে যেন বুকের ভেতর এই অল্প আলোটাও কোন এক দিন নিভে যাবে। বিলীন হবে নাম না জানা ঠিকানায়। হয়তো নতুন কেউ আসবে। আসবে কি? এসেছে। ভঙ্গুর একজন এসেছে। এ যেন ক্ষত হাত নিয়ে কেউ কারো অসুখ সারতে এসেছে। নিজের হাতই যদি ভাঙা থাকে সে হাতে কি আর আরেকজনের ঘাঁ য়ে মলম লাগানো যায়? কি জানি হয় তো যায় নয়তো না।
আনমনে কথাগুলো ভাবতে ভাবতে রাতুল বাসায় ডুকলো।

#চলবে….

[ অনেকে বলছেন মিশি রোদের আপন মা না তাই আদ্রিয়ান ঐ দিন রোদের সাথে খারাপ আচরণ করেছে মিশিকে মারায়।
এটা কিন্তু স্বাভাবিক মা মারলে বাবা রেগে যাবেই যদি তা হয় মেয়ে তাহলে তো কথাই নেই। আমার আম্মু তো আমাকে এখনও ধমক দিলে আব্বু রেগে যায় যে কেন আমাকে ধমকায়। তাহলে কি আমার আম্মু আমার আপন মা না? এটা কখনো কোন যুক্তি হতে পারে না। সবাই পরিস্থিতির শিকার। ]

গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ