বড়_বেশি_ভালোবাসি part : 15

0
2053

বড়_বেশি_ভালোবাসি
part : 15
writer : Mohona

.

নীড়-মেরিন দৌড়ে বাইরে এলো। দেখলো মেঘ সাংঘাতিক রেগে আছে। আর অধরা ওকে মাথা ঠান্ডা করতে বলছে।
কবির : কি হয়েছে?
মেঘ : মিষ্টি বাচ্চা …
মেরিন : জজজী ভাইয়া?
মেঘ : নীড়ই কি তোমার সেই dark chocolate ? ?..
মেরিন মনে মনে : হায় হায় ভাইয়া বলে কি???
মেঘ : কি হলো? বলো?
মেঘ এই প্রথম এভাবে মেরিনের সাথে কথা বলছে।
মেরিন: ককককেন ভাইয়া?
মেঘ : বলতে বলেছি so বলো….
নীড়ই কি dark chocolate ?
মেরিন : হামম।?।

.

মেঘ নীড়ের সামনে গিয়ে ঠাস করে নীড়কে থাপ্পর মারলো। সবাই তো অবাক। মেঘ নীড়ের কলার ধরে
বলল: তাহলে তুই ই সেই ছেলে যারজন্য আমার বোন রাতের পর রাত কেদেছে। তোর জন্য আমার বোন হাসতে ভুলে গিয়েছিলো… তোর জন্য আমার বোন এতো কষ্ট পেয়েছে… তুই আমার বোনকে কষ্ট দিয়েছিস?
কবির : আহ মেঘ কি করছো কি ?
মেঘ : তুমি জানো না বাবা… এই সেই কালপ্রিট যার জন্য মিষ্টি সেদিন অমন করে london থেকে দেশে আসার জেদ করেছিলো। আমার বোনের মন ভেঙেছিলো। ওর জন্য আমার বোন কেদেছে । কষ্ট পেয়েছে… একে তো আমি মেরেই ফেলবো।
এই বলে মেঘ নীড়কে মারার জন্য হাত ওঠালে মেরিন গিয়ে থামালো।
মেরিন : ভাইয়া… ভাইয়া … ভাইয়া… কি করছো কি? ছেরে দাও উনাকে…
মেঘ : তুমি ওকে ছেরে দিতে বলছো? যার জন্য তুমি এতো কষ্ট পেয়েছো সেই লম্পটকে তুমি বাচাচ্ছো?
মেরিন : ভাইয়া যা হবার তা হয়ে গেছে… please তুমি ঠান্ডা হও। মেঘ : না… আমি ঠান্ডা হবোনা। যার জন্য আমার বোন এতো কষ্ট পেয়েছে তাকে আমি….
কনিকা : আহা মেঘ… যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। কিন্তু এখন তো ওদের বিয়ে হয়ে গেছে।
মেঘ : বিয়ে my foot… বিয়ে যেমন আছে তেমনি divorceও আছে।
divorce এর কথাটা শুনে নীড়-মেরিনের বুকটা কেপে উঠলো।
নীড় : কি বলছো কি ভাইয়া?
মেঘ : যেটা শুনলে।
নীড় : আমি কিছুতেই মেরিনকে divorce দিবোনা।
মেঘ : মেঘ খান যখন বলেছে যে তোমাদের আলাদা করবে তখন করবেই। তখন কারো বাবার ক্ষমতা নেই আটকানোর।
মেরিন : ভা…
মেঘ : কোনো কথানা…. বাবা , আম্মু , অধরা চলো।
মেঘ মেরিনকে টেনে নিয়ে যেতে লাগলো। নীড় খপ করে মেরিনের হাত ধরলো। ভীষন শক্ত করে।
নীড় : ppplease ভাইয়া এমনটা করোনা। মরে যাবো আমি…
মেঘ: who care…
মেরিন : ভাইয়া আমি কোথাও যাবোনা।
মেঘ মেরিনের হাত টান দিতো লাগলো।

নীড়-মেরিন ২জন ২জনের হাত শক্ত করে ধরে রেখেছে। মেঘ সব বাধা উপেক্ষা করে মেরিনকে নিয়ে গেলো। নীড় হাটুগেরে বসে পরলো। আর কাদতে লাগলো।
নীড় : মেরিন…. ?। বাবা … আমার মেরিনকে এনে দাও বাবা…. আমি ওকে ছারা বাচবোনা…

.

পরদিন….
মেরিন : এ্যা হ্যা আমি নীড়ের কাছে যাবো… আমার dark chocolate এর কাছে যাবো.. আমি bangkok যাবোনা…
মেঘ: shut up… ওই ছেলেটার কাছে আমি আর যেতে দিবোনা। next week ই আমরা ব্যাংকক যাবো।সেখানে অধরার treatment ও হবে।
মেরিন : ও ভাইয়া….
মেঘ:কোনো কথা না। হা করো।
মেরিন : না আমি খাবোনা।
মেঘ : ভাইয়ার আদর দেখেছো এখন শাসন দেখতে চেয়ো না। হা করো।
মেরিন : খাবোনা খাবোনা খাবোনা….
মেরিন সব খাবার ফেলে দিয়ে রুমে চলে গেল।
কবির : মেঘ, তুমি কি বেশি করছো না…..
মেঘ কোনো জবাব দিলোনা।

.

পরদিন…
সকালে….
সারারাত কাদতে কাদতে মেরিন ভোরের দিকে ঘুমিয়েছে। মেঘ খাবার নিয়ে এসেছে।
মেঘ : মিষ্টি বাচ্চা… ও মিষ্টি বাচ্চা।
মেরিনের ঘুম ভাঙলো। তবে মনে আছে ভাইয়ার ওপর ১রাশ অভিমান। তাই কিছু না বলে washroom এ গেলো। fresh হয়ে এসে দেখে মেঘ এখনো বসে আছে। মেঘকে ignore করে যেতে নিলে মেঘ টেনে ধরে পাশে বসালো।
মেঘ: ভাইয়ার ওপর বুঝি রাগ হয়েছে? sorry মিষ্টি বাচ্চা… তুমি যেদিন বলেছিলে যে তুমি আর চৌধুরী বাড়িতে যাবেনা… সেদিন যদি তোমার কথা মেনে নিতাম তাহলে ওই ছেলেটার ওপর তুমি আবার দুর্বল হতেনা….
মেরিন :…
মেঘ: আর তোমাকে চৌধুরী বাড়িতে যেতে হবেনা।
মেরিন : আমি যাবো যাবো হাজারবার যাবো। আমার নীড়ের কাছে যাবো…
মেঘ: তোমার নীড়? এমনভাবে বলছো যে তুমি নীড়কে ভালোবাসো…তুমি যেমন তেমন…. নীড় কি তোমাকে ভালোবাসে?
মেরিন : ….
মেঘ: কি হলো বলো….
মেরিন মনে মনে : সত্যিই তো… নীড় কি আমাকে ভালোবাসে?
মেঘ : নীড় তোমাকে ভালোবাসেনা…. খাবার রেখে গেলাম খেয়ে নিও।
মেঘ চলে গেলো

.

মেরিন : ঠিকই তো বলছে ভাইয়া…. নীড় তো আমাকে ভালোবাসেনা…. উনি তো কোন না কোন মোহ না কি তাকে ভালোবাসেন… বাসুক তাতে আমার বাপের কি? আমি তো উনাকে ভালোবাসি। কিন্তু ১তরফ ভালোবাসা দিয়ে কি সারাজীবন কাটানো যায়। কেন যেন মনে হচ্ছে যে উনিও আমাকে ভালোবাসেন। আমার সব wish পূরন করেছেন। সেদিন তো আমাকে i love you ও বলেছেন। তবে? কিন্তু যদি উনি আমাকে সত্যি আজও ভালোবেসে থাকেন তবে কেন বিয়ের প্রথম রাতে অমন ব্যাবহার করলেন? মোহ পাখির কথাই বা কেন বলেছিলো…. উনি তো কখনোই আমাকে মোহ ডাকতেন না। তবে? আর সত্যি সত্যি আমাকে ভালোবেসে থাকে uff… কিচ্ছু ভাবতে পারছিনা।

.

২দিনপর….
আজ বিকালে খানেরা ব্যাংকক যাবে। তখন মেঘের ফোনে ১টা call এলো।
মেঘ: hello…
….
মেঘ: what ?
…..
মেঘ: সসসত্যি ববলছো? আমার অধরার…?।
….
মেঘ: এবার তো তবে ওই নীড়ের খবরই আছে। সত্যি সত্যি এবার অনেক রাগ করবো…

.

২সপ্তাহপর….
চৌধুরী বাড়িতে ১টা কুরিয়ার এলো। নীড়ের নামে। নীড়ের তো এখন দেবদাস অবস্থা। যেন সরাসরি শাহরুখ খানের কাছে থেকে training নিয়েছে। তার ওপর কুরিয়ারের ভেতরের কাগজ পরে তো লাশে পরিনত হলো। কারন কুরিয়ারে ১টা খাম এসেছে। যার ভেতরে ১টা পেপার আছে। পেপারটা খুলল। আর খুলেই তার ওপরে ভীষন বড় করে লেখা divorce paper আর নিচে ছোট করে মেরিন বন্যা নীড় খানের signature … যার পাশে ছোট করে লেখা hate you… যা দেখে নীড়ের পায়ের নিচের মাটি সরে গেলো। হাত থেকে কাগজটা পরে গেলো। তাই আর মাঝের লেখাগুলো পড়া হলোনা। নীড়ের চোখ দিয়ে কেবল পানি পরতে লাগলো।
২-৩ অশ্রু বিসর্জন দিয়ে নিজেকে সামলে নিলো। এরপর মেরিনকে খোজার mission এ নেমে পরলো। কাকতালীয়ভাবে খুব সহজেই পেয়ে। অথচ এতোদিন ধরে চিরুনি তল্লাস করেও মেরিনকে পায়নি।

.

২দিনপর…
রাতে…
মেরিন মনের সুখে বারান্দায় দারিয়ে আকাশের তারা গুনছে। তখন কোথায় থেকে হঠাৎ ৪জন এসে মেরিনকে তুলে নিয়ে যেতে লাগলো। হাত-পা মুখ চোখ সব বাধা।
মেরিন মনে মনে : কেন যেন মনে হচ্ছে এরা সব dark chocolate এর সেই বিশ্ব বখাটে ৪ বন্ধু… ?….
মেরিনকে ১টা খুব সুন্দর ডুপ্লেক্স বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হলো। বসানো হলো। এরপর নীড় এসে মেরিনের মুখের বাধনটা খুলল। এরপর চোখের বাধন।
মেরিন : এতো জোরে কেউ চোখ টা বাধে?
মেরিন তাকিয়ে দেখলো যে নীড় বাঘের মতো তাকিয়ে আছে। যা দেখে মেরিনের কলিজা শুকিয়ে গেল।
মেরিন : divorce করা জামাই আপনি?? ঠিকই ধরেছি যে ওই ৪জন আপনার বিশ্ব বখাটে ৪বন্ধু। আমার হাত ২টা খুলে দিননা। আচ্ছা divorce হওয়া জামাই আপনি এতো রাতে এখানে তুলে আনলেন কেন? বিয়ের সাক্ষী বানাবেন ব…
আর বলতে পারলোনা। নীড় ঠাস করে ১টা থাপ্পর মারলো।

.

মেরিন : আম্মু গো…
নীড় মেরিনের মুখের সামনে সেই divorce paper টা ধরে
বলল : এটা কি?
মেরিন: এটাও জানেননা? ?।
নীড় : বলতে বলেছি…
মেরিন : এটা ১টা পেপার…
নীড় : কিসের পেপার?
মেরিন : divorce paper… ☺️… একি আপনি sign করেননি? এটা ঠিকনা কিন্তু… এখনই ক…
নীড় মেরিনের গাল চেপে ধরলো।
নীড় : তোর সাহস কি করে হয় divorce paper এ sign করার? বল? বল? ?।
মেরিন : অমল মুক..
নীড় : ছারবোনা তোর মুখ। খুব শখ না তোর divorceএর? তোর divorce এর শখ মিটাচ্ছি। এটাতে sign করবো। তোকে divorce দিবো। এরপর এখনি তোর সাথে না জায়েজ সম্পর্ক গরবো। then কাল সকালে বিয়ে করবো।
বলেই নীড় মেরিনের গাল ছেরে divorce paper এ sign করলো।

.

মেরিন : এই কারনেই বলে কোনো পেপার না পড়ে sign করা ঠিকনা।
নীড় : shut up…
নীড় মেরিনের হাত-পায়ের বাধন খুলতে লাগলো।
মেরিন : আমি তো আপনার এককালীন বউ তাই আপনাকে suggest
করছি ১টা বার পেপারটা পড়ে তো নিন।
নীড় মেরিনের কথা না শুনে সব বাধন খুলে মেরিনের ওরনা ১টানে খুলে মেরিনকে কোলে তুলে নিলো। কিন্তু মেরিনের ঘ্যানর ঘ্যানর তো আছেই। তাই বাধ্য হয়ে নীড় কাগজটা হাতে নিলো পড়ার জন্য । আর পড়ে তো shocked…

কারন এর ভেতরে ১০০ভাষায় i love you লেখা বাংলা অক্ষরে। যা পড়ে নীড়ের অজ্ঞান হওয়ার উপক্রম।

.

খুশিতে চোখে পানি গরিয়ে পরলো। মেরিনের দিকে ঘুরলো। দেখলো মেরিন হাসছে। নীড়ের চোখের পানিগুলো মেরিন শুষে নিলো।
মেরিন : জানিতো কেন কাদছেন… আমাকে divorce দিয়ে ওই মোহ পাখিকে বিয়ে করতে পা….
আর বলতে পারলোনা। নীড় মেরিনকে বুকের সাথে শক্ত করে চেপে ঘরে হাউমাউ করে কাদতে লাগলো। মেরিনও কাদতে লাগলো। একটুপর নীড় মেরিনকে বুক থেকে সরিয়ে ঠাস করে আরেকটা থাপ্পর মারলো।
মেরিন : আরে এখন মারলেন কেন?
নীড় : বেশ করেছি। আমাকে এতো কাদালে কেন? যদি আমি নিজেকে কিছু করে ফেলতাম? যদি ম…
মেরিন নীড়ের মুখে হাত রাখলো।
মেরিন : আমি কি কোনো কাপুরুষকে বিয়ে করেছি ? যে সে ওই উল্টা পাল্টা করবে?
নীড় : ভালোবাসি…. তোকে
❤❤#বড়_বেশি_ভালোবাসি❤❤ রে….
মেরিন : আমিও বড় বেশি ভালোবাসি…
নীড় মেরিনকে আবার বুকে জরিয়ে নিলো।

.

কিছুক্ষনপর….
নীড় : এই drama করার মানে কি?
মেরিন : মানেটা হলো আপনি…
নীড় : মানে?
মেরিন : মানে আপনি ড্রামা পছন্দ করেন।
নীড় : যেমন?
মেরিন: যেমন…. ?…
নীড় : ?।
মেরিন :close up 1এর add দেয়া বন্ধ করুন।
huh…
নীড়: কি করেছি সেটা বলবে তো? ?।
মেরিন : huh…
নীড় : না বলাই ভালো। আজকে আর আজাইরা কথা বলার দরকারও নেই। এর থেকে ভালো তোমাকে ভালোবাসি।
বলেই নীড় মেরিনকে কোলে তুলে রুমে নিয়ে গেলো।
মেরিন তো অবাক। কারন রুমটা সেই ওদের বাসরঘরের মতো সাজানো।
মেরিন : ?
নীড় : এতো react করার কিছু নেই…. নাজায়েজ সম্পর্ক করার ইচ্ছা থাকলেও এটা তো আমাদের first night ই হতো… ?
মেরিন লজ্জায় লাল হয়ে গেলো।

.

ওরা romance করুক আমি ততোক্ষনে সবটা clear করি।

[[[
৫বছর আগে যখন মেরিন নীড়কে ছেরে এসেছিলো তখন নীড় প্রায় পাগল হয়ে পরেছিলো। মেরিনকে খোজা শুরু করেছিলো। ইয়া কিছুই বলেনি। কারন ইয়ার চোখেও নীড়ই দোষী ছিলো। ইয়া মেরিনকে এতোটাই ভালোবাসে যে ও মেরিনের জন্য ইমানের সাথে break up করেছিলো। কোনোভাবে নীড় জানতে পারে যে মেরিন বাংলাদেশেই গেছে। নীড় ছুটে দেশে চলে আসে। কিন্তু কোনোভাবেই মেরিনের সামনে আসতে পারেনা। মেরিন পড়ালেখায় মনোনিবেশ করেছিলো। তাই নীড় অন্যকিছু ঠিক করলো। ও ঠিক করলো যে মেরিনের graduation টা complete হলে ওর সামনে যাবে। নীড় london ফিরলো। ওখান থেকে graduation complete করে permanently দেশে ফিরে। ৫বছরে নীড় রোজ মেরিনকে দেখেছে । মেরিনের দুষ্টুমি দেখেছে। পাগলামি দেখেছে। কিন্তু এসবের আড়ালে মেরিনের মনের কষ্টটাও অনুভব করেছে। মেরিনের কষ্টে নীড় হাজারগুন বেশি কষ্ট পেয়েছে। যেদিন মেরিনের চোখে বেশি কষ্ট দেখতো সেদিন রাতে নীড় মেরিনদের বাসায় চুপিচুপি গিয়ে মেরিনকে বুকে জরিয়ে ঘুমিয়েছে। মেরিনের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। দেখতে দেখতে মেরিন graduation complete করলো। কিন্তু পারা প্রতিবেশিদের এদিকে নীড় আর ওদিকে মেরিনের বিয়ে নিয়ে মাথা ব্যাথা উঠলো তখন নীড় ১টা plan বানালো।

.

নীড় : ভোর ভাইয়া…
ভোর : বলো।
নীড় : তুমি কি আমাকে ছোটো ভাই ভাবো?
ভোর : ভাবার কি আছে? তুমি তো আমার ভাই ই।
নীড় : তাহলে আমার জন্য ১টা কাজ করতে হবে।
ভোর : কি কাজ?
নীড় : আমার বিয়ের ঘটকালি…
ভোর : মানে?
নীড় : খুব সহজ। কবির ফয়সাল খানের একমাত্র মেয়ে মেরিন বন্যা খানের সাথে আমার বিয়ের ঘটকালি।
ভোর : love case?
নীড় : হামম।
ভোর : তাহলে এভাবে?
নীড় : সে এক লম্বা কাহিনি। অন্য ১দিন বলবো।
ভোর: ok…
ভোর নিহালের মাথায় নীড়ের জন্য মেরিনের কথাটা ঢোকায়। বাকি সব তো নিহালই করেছে।

.

বিয়েরপর তো রোজ নীড় মেরিনকে দেখে আহত নিহত হয়েছে। কোনো রকমে নিজেকে সামলেছে। মেঘ সেদিন যখন জানতে পারলো যে নীড়ই dark chocolate সেদিন সত্যি রাগ করেছিলো। তাই মেরিনকে নিয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু পরদিন যখন নীড়ের সত্যিটা জানতে পারলো তখন মেঘ মনে মনে অনক খুশি হলো। তবুও ২পাগলকে একটু শায়েস্তা করার জন্য মেঘ নাটকটা করলো। আরো ১টা কারন আছে। যেন মেরিন বুঝতে পারে যে নীড় ওকে কতোটা ভালোবাসে। আর যখন অধরার সত্যি জানতে পারলো তখন খুশি হয়ে গেলো।
]]]

.

চলবে….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে