বড়_বেশি_ভালোবাসি
part : 14
writer : Mohona
.
মেরিন : অধরা আপু…?
নীড় : হামম।
মেরিন : অধরা আপু…???..
অধরা পিছে ঘুরলো।
অধরা: মিষ্টি কলিজা।
মেরিন দৌড়ে গিয়ে অধরাকে জরিয়ে ধরলো।
অধরা মেরিনের কপালে চুমু দিয়ে
বলল: কেমন আছে আমার মিষ্টি কলিজাটা?
মেরিন : ভালো। তুমি কেমন আছো?
অধরা : ভালো।
নীড় : মিথ্যা কথা । তুমি মোটেও ভালো নেই।
অধরা:?
মেরিন : আপু… strawberry ক্ষীর…
নীড় : i am her adam…
অধরা : oh my god… আমার পিচ্চি মিষ্টি বাচ্চাটার বিয়ে হয়ে গেছে।
মেরিন : unfortunately …
অধরা : এমন করে বলেনা বাচ্চা।
মেরিন : তুমি এতো শুকিয়ে গেছো কেন?
নীড় : শুধু শুকানোটাই দেখছো ? আপু যে ভালোনেই সেটা দেখছোনা?
অধরা : আরে কে বলল আমি ভালো নেই? আমি ভালো আছি।
নীড় : মিথ্যা কথা। যেখানে মেঘ ভাইয়া ভালো নেই সেখানে তুমি কিভাবে ভালো থাকো?
অধরা : কি হয়েছে মেঘের? ?।
.
একটুপর…
নীড় : আপু তুমি যেমন মা-বাবা সবার ওপর অভিমান করে এখানে একা একা পরে আছো কষ্ট পাচ্ছো। আজও ভালোবাসো মেঘ ভাইয়াকে। ঠিক তেমনি ভাইয়াও আজও তোমাকে ভালোবাসে। হ্যা ভাইয়া family এর সাথে থাকে সেটাই কেবল পার্থক্য।
মেরিন : প্রতি রাতে ভাইয়া কান্না করে। তোমাকে অনেক ভালোবাসে ভাইয়া । যতোবার বিয়ের কথা তোমার কথা বলতে যাই ভাইয়া সবাইকে থামিয়ে দেয়। even ভাইয়া মাঝে মাঝে drinks ও করে। যে ভাইয়া ওগুলোর গন্ধ সহ্য করতে পারতোনা সে ভাইয়া…
অধরা : আমি কি করতাম সেদিন বলো… আমি ভাবতেও পারিনি যে বাবা সেদিন এমন করবে ভাবতেও পারিনি।
মেরিন : আপু তোমার কোনো দোষ নেই।
নীড় : আচ্ছা দারাও তোমরা এখন মেলোড্রামা off রাখো।
অধরা-মেরিন : ?।
নীড় : i have a plan…
মেরিন : what?
.
পরদিন…
মেঘ মেরিনের ফোনে call করলো। নীড় ধরলো।
নীড় : hello ভাইয়া…
মেঘ : hello…. কেমন আছো তোমরা?
নীড় : এই তো ভাইয়া ভালো। তোমাদের?
মেঘ : আমরাও ভালো। মিষ্টি বাচ্চা কোথায়?
নীড় : এই তো… এই মেরিন….
মেরিন : আস… আআ….
নীড় : মেরিন….
নীড় মেঘের ফোন কেটে দিলো।
মেঘ : নীড়… নীড়… মিষ্টি বাচ্চা … ?।
মেরিন : আপনি এমন drama করতে বললেন কেন?
নীড় : যেন মেঘ ভাইয়া এখানে আসে। মেঘ ভাইয়া চেন্নাই না এলে আমার plan successful হবে কি করে…?
মেরিন : আমার ভাইয়ার যদি heart attack হয়না তখন আমি আপনাকে বোঝাবো কতো ধানে কতো মরিচ।
নীড় : লও ঠ্যালা এর ভাই-ভাবি কে মিলিয়ে দিচ্ছি। তাও কথা শোনাচ্ছে।
মেরিন : huh…
.
বিকালে…
নীড় : মেরিন মেরিন মেরিন….
মেরিন : কি ?
নীড় : ভাইয়া চলে আসছে। তুমি শুয়ে পরো। আর হ্যা over acting করবেনা।
মেরিন : হামম। ?….
মেঘ অস্থির হয়ে এলো।
মেঘ : মিষ্টি কলিজা… মিষ্টি…
নীড় : আরে ভাইয়া… তুমি?
মেরিন : ভাইয়া?
মেঘ দৌড়ে মেরিনের কাছে গেলো।
মেঘ: কি হয়েছে তোমার মিষ্টি বাচ্চা?
মেরিন : তেমন কিছুনা ভাইয়া… just… মাথা চক্কর দিয়েছিলো।
মেঘ : মাথা চক্কর দিয়েছে আর তুমি বলছো কিছু হয়নি? নীড় hospital এ নাও নি?
নীড় : আসলে না ভাইয়া…
মেঘ : না? আমি তোমার carelessness দেখে অবাক হচ্ছি। ।
নীড় : sorry ভাইয়া….
মেঘ : shut up….
মেঘ মেরিনকে নিয়ে best hospital এ নিয়ে গেলো। doctor দেখালো। test করালো। দেখলো মেরিন সুস্থ আছে। মেঘ সস্তির নিঃশ্বাস নিলো। আরে মেরিনের কিছু হলে তো report খারাপ আসবে। ?।
.
ওরা doctor এর কেবিন থেকে বের হচ্ছে। তখন মেঘ অধরাকে দেখলো। কিন্তু ওকে ট্রলিতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যা দেখে মেঘের বুকটা কেপে উঠলো।
মেঘ : অধরা…
মেরিন : কোথায়? আরে আপু? কিন্তু এভাবে কেন? কি হয়েছে?
নীড় মেরিনকে খোচা মারলো।
নীড় : over acting বন্ধ করো।
মেঘ অধরার পিছে পিছে গেলো। অধরাকে ICU তে নেয়া হলো। oxygen mask লাগানো হলো। মেঘের চোখে পানি এসে পরলো। বুকটা কাপতে লাগলো। ১টা নার্স বের হলো।
মেঘ দুঃখ ভারাক্রান্ত কন্ঠে নার্সকে জিজ্ঞেস করলো যে মেয়েটার কি হয়েছে।
নার্স : এর ব্রেইন ক্যান্সার হয়েছে 2nd stage …. কিন্তু আফসোস না আছে মা-বাবা না আছে কোউ। আর যাকে প্রানের চেয়ে বেশি ভালোবাসে তাকে শেষবারের মতো দেখতে পারলো না…. মেঘ মেঘ বলতে বলতেই হয়তো শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করবে।
বলেই নার্সটা চলে গেলো।
কথাটা শুনে মেঘের পায়ের নিচের মাটি সরে গেলো। ওর ভালোবাসার অধরার এমন অবস্থা। মেঘ হাটু গেরে বসে কাদতে লাগলো।
.
মেরিন : আমার ভাইয়াটা কি কান্না করছে… দেখি সরুন… যেতে দিন।
নীড় : ১ পা আগে বারালে পা ভেঙে দিবো।
মেরিন : আমার ভাইয়া কান্না করছে আর আমি…
নীড় : shut up… তুমি এখান থেকে ১পাও নরবে না। যদি নরো তো তোমার কপালে কি আছে তা আমি নিজেই জানিনা। আমি আসছি…
নীড় গেলো।
মেরিন : আজব মানুষ তো…
নীড় গিয়ে মেঘের কাধে হাত রাখলো।
নীড় : ভাইয়া… কি হয়েছে?
মেঘ নীড়কে জরিয়ে ধরে কাদতে লাগলো।
মেঘ : আমার জীবন আজকে অবসানের পথে… আমার বেচে থাকার অবলম্বন আজকে বাচা-মরার লড়াই করছে। আমার অধরা….. এতোদিন ওর থেকে দূরে ছিলাম কিন্তু মেঘের অধরা ঠিক আছে বলে নিঃশ্বাস নিতাম। কিন্তু এখন… ??… আমি মরে যাবো…
নীড় : শান্ত হও ভাইয়া। এখন তুমি কাদলে কেমন করে হবে। এখন আপুর তোমাকে সব থেকে বেশি দরকার। আপুর জ্ঞান ফিরলে তুমি আপুর কাছে সবার আগে যাবে।
মেঘ : কোন মুখে যাবো বলো তো নীড়…
নীড় : ভাইয়া সব ভুলে আপুর বাকী সময়টা সুখে ভরিয়ে দাও…
মেঘ : বাকী সময় মানে…. আমি আমার অধরাকে কোথাও যেতো দিবোনা।
বলেই মেঘ ভেতরে ঢুকলো।
জেগে থাকা ঘুমন্ত অধরাকে বুকে জরিয়ে হাউমাউ করে কাদতো লাগলো।
.
মেরিন : কাজটা কি ঠিক করলেন? এতো কিছু থাকতে আপুর মিথ্যা রোগের নাটক করলেন? এখন যদি আপুর সত্যি কোনো…
নীড় : shut up…. এই সমস্ত কুসংস্কারী কথা আমার সামনে বলবেনা ।
মেরিন : huh… এই রোগী রোগী game কতোদিন চালাবেন?
নীড় : যতোদিন ভাইয়া ভাবির শ্রেষ্ঠ ইচ্ছাটা পূরন না করবে?
মেরিন : মানে?
নীড় : তোমার মাথা আসলেই ঢেরশ মার্কা। ভাইয়া ভাবির বিয়ে।
মেরিন: ও। হামম। আপনি জানেন ভাইয়া যদি সব জানতে পারে তো…
নীড় : আমার কপালে দুঃখ আছে। তবুও আমি রাজি।
মেরিন : যদি আপুর সাথে…
নীড় : যদি আপুর সাথে কিছু করে তবে আমি তোমাকে divorce দিবো। সেই ভয়ই দেখাবো। তাহলে আর কিছু হবেনা।
মেরিন : ওরে বুদ্ধিমান রে… আমার ভাইয়ের এতে কিছুই হবেনা।
নীড় : হতোনা। যদি তুমি pregnant না হতে…
মেরিন : হামমম… এই কি বললেন?
নীড় : বললাম তুমি pregnant তাই ভাইয়া divorce হতে দিবেনা।
মেরিন : আমার বাবু হবে আর আমিই জানি না। আ….
নীড় : ওই চুপ। drama করবো drama… আর তোমার বাবু কিভাবে হবে? বাবু হওয়ার মতো কিছু করেছি? idiot… বেশি কথা বললে actually বাবুর আম্মু বানাবো বলে দিলাম।
কথাটা শুনে মেরিন লজ্জায় লাল-নীল হয়ে গেলো।
নীড় : থাক আর লজ্জা পেতে হবেনা। আমার বাবুর আম্মু তুমি না আমার মোহ পাখি হবে।
মেরিন : কি বললেন?
নীড় : যেটা শুনলে…. ?
মেরিন : সাহস থাকলে আরেকবার বলুন…
নীড় : ১বার না হাজারবার বলবো। আমার বাবুর আম্মু হবে ম….
নীড় আর বলতে পারলোনা। মেরিন নীড়ের কলার ধরে কাছে এনে নীড়ের ঠোট জোরা দখল করে নিলো। নীড় তো just shocked…. মেরিন ওকে নিজে থেকে kiss করছে। তাও হসপিটালে।
নীড় মনে মনে : oh my god… আমার বউ আমাকে kiss করছে। হ্যা করবে কার বাপের কি?
ভেবেই নীড়ও তাল মিলাতে লাগলো। আর আশেপাশে লোক ওদের দেখতো লাগলো।
.
একটুপর….
মেরিন নীড়কে ছাড়লো।
মেরিন : নীড়ের বাবুর আম্মু কেবল আমি হবো।
বলেই নীড়ের কলার ছেরে দিলো। আশেপাশে চোখ বুলালো।
মেরিন : আমি হানিমুনে এসে আমার জামাইকে kiss করেছি। কারো সমস্যা?
বলেই মেরিন ২কদম সামনে বারলো। তখন ওর বোধ হলো যে ও কি করেছে। ৩৬০° কোণ নীড়ের দিকে ঘুরলো। দেখলো নীড় বাকা হাসি দিয়ে আছে। মেরিন দৌড়ে গিয়ে নীড়ের বুকে মুখ লুকালো। আর নীড়ও মেরিনকে বুকে জরিয়ে নিলো।
.
২দিনপর…
অধরা-মেঘের অনেকটা মেলোড্রামা হয়েছে এই ২দিনে।
নীড় : আপু এখন কেমন লাগছে।।
অধরা : আমার আর ভালো।
মেরিন : আপু এটা কি?
অধরা : একি তুমি এটা কোথায় পেলে? দাও।
মেরিন :এটা বুঝি তোমার ডাইরি?
অধরা : দিয়ে দাওনা please ….
নীড় : মেরিন কারো ডাইরি পড়া ঠিকনা।
মেরিন : ঠিকনা? এই নিন।
বলেই মেরিন ডাইরি দিতে গিয়ে আবার নিয়ে নিলো।
মেরিন :huh…. দেবোনা।
ডাইরী নিয়ে টানাটানি করতে করতে সেটা উরে গিয়ে মেঘের সামনে পরলো। তাও ১টা খোলা পাতা । সেটা ওঠাতে গিয়ে না চাইতেও মেঘের চোখ লেখার মধ্যে পরলো। লেখাটা হলো….
” মেঘের অধরা কখনোই আর হতে পারবোনা। মেঘের বউ হয়ে মরার স্বপ্ন আর সত্যি হলোনা…. সুখে থেকো মেঘ। আমার সব সুখ তোমার নাম। ”
( ডাইরির লে়খাটা আসল। আর আগে লেখা।)
লেখাটা পড়ে মেঘের চোখে পানি চলে এলো। ডাইরি ভাজ করে রেখে হনহন করে বেরিয়ে গেলো। ৩জন তো অবাক।
মেরিন : ভাইয়া চলে গেলো কেন?
নীড় : নির্ঘাত তোমার over acting ধরে ফেলেছে।
মেরিন : মোটেও না।
.
৩ঘন্টাপর…
মেঘ ফিরলো না। ঢুকলো ১টা নার্স। হাতে ১টা প্যাকেট নিয়ে ঢুকলো।
তখন মেরিনের মোবাইলে মেঘ ফোন করলো।
মেরিন : হ্যা ভাইয়া…
মেঘ : তোমার ভাবিকে তুমি তোমার মনের মতো সাজাও…
মেরিন :!!!!
মেঘ: তোমার ভাবিকে আজই এখনই বিয়ে করছি । private jet এ আম্মু-বাবা , নিহাল uncle & নীলিমা aunty চলে আসবে। তারাতারি সাজাও মিষ্টি বাচ্চা।
কথাটা বলেই মেঘ রেখে দিলো। আর মেরিন তো yahoo বলে খুশিতে দে লাফ।
নীড় : আরে কি হলো বলবে তো?
মেরিন : plan successful … এখনই ভাইয়া ভাবির বিয়ে।
নীড় : সত্যি?
মেরিন : হামম। এখন আপনি বাইরে জান।
.
২ঘন্টাপর…
মেরিন অধরাকে তৈরী করে দিলো। off white রঙের লেহেঙ্গা সাথে হালকা গহনা আর simple সাজে ভীষন সুন্দর লাগছে অধরাকে।
মেরিন : মাশাল্লাহ আমার ভাই আজকে মরে না যায়….
অধরা : ধ্যাত।
মেরিন অধরার কানের পিছে কাজলের টিপ দিতে দিতে
বলল : নজর না লাগুক আমার ভাবিরও গায়ে…
অধরা হেসে দিলো।
মেরিন :
???
ভাবি আমার ভাবি
ভাইয়ার জীবন চাবি।
ভাইয়াকে সুখে রেখো….
ভাইয়াকে সুখে রেখো
১টাই আমার দাবি…
???
অধরা :
???
ওগো ননদিনী
মিষ্টি ননদিনী
ভাইয়াকে বাসবো ভালো….
ভাইয়াকে বাসবো ভালো
রাখবো তোমার দাবী…
???
মেরিন :
???
ভাবি আমার ভাবি
ভাইয়ার জীবন চাবি…
???
.
২জন গান গাইতে গাইতে খেয়ালই করেনি যে নীড়-মেঘ চলে এসেছে। আর ওদেরকে অবাক চোখে দেখছে।
মেঘ অধরাকে কোলে নিয়ে গাড়িতে বসালো।
এরপর marriage registry office এ নিয়ে বিয়ে করলো। এরপর সবাই মিলে নিহালের এক বন্ধুর কটেজে উঠলো।
.
রাতে…
মেরিন অধরাকে মেঘের রুমে বসিয়ে রেখে এলো। মেরিন নিজের হাতে আজকে এই ঘরটা সাজিয়েছে। ওর অনেক ইচ্ছা ছিলো ভাইয়ের বাসরঘর সাজানোর। এরপর মেরিন নিজের রুমে গেলো। গিয়ে অবাক হয়ে গেলো। কারন এই রুমটাও খুব সুন্দর করো সাজানো। অজান্তেই মেরিনের মুখে হাসি ফুটলো। তখন বারান্দা থেকে গিটারর শব্দ এলো। মেরিন ধীর পায়ে গেলো।
নীড় :
???
কি করে বল..তোকে বোঝাই
হৃদয় জুরে তুই শুধু একাই
দুটি চোখে তোরই ছবি
ভাসে দিবানিশি
তোকে অনেক ভালোবাসি
তোকে অনেক ভালোবাসি
❤❤#বড়_বেশি_ভালোবাসি❤❤
তোকে অনেক ভালোবাসি।
???
মেরিন গানটা শুনছে।
নীড় এতোটুকু গেয়ে থেমে গেলো। এরপর ১টানে মেরিনকে কোলে বসিয়ে দিলো। নিজের বুকের সাথে চেপে ধরলো। নীড়ের heartbeat মেরিন স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছে।
মেরিন : এসবের মানে? আমি তো আপনার মোহ পাখি নই.. ?
নীড় : আমার বাবুর আম্মু তো…. তাইনা?
মেরিন আবার লজ্জায় লাল হয়ে গেলো।
নীড় : ইশ… কলিজার ভেতর ঢুকিয়ে রাখতে মনে চায়। তুই আমার কলিজার ভেতরেই থাকতে পারিসনারে… মাঝে মাঝে বাইরে উকি দিবি।
মেরিন কোনো কথা না বলে আসতে করে নীড়ের বুকের লাল তিলটাকে kiss করলো। যেন নীড় না বোঝে। নীড় বুঝে মুচকি হাসলো।
নীড় : মেরিন…
মেরিন : হামম।
নীড় : i love you….
মেরিন : i love অন্যকাউকে…
নীড় মেরিনের চুল গুলো হালকা করে ধরে মুখটা বুক থেকে ওঠালো।
নীড় : সাহস থাকলে আরেকবার বলো…
মেরিন : আপনি যখন বলেন…. তারবেলা। সব দোষ শুধু আমার তাইনা।
নীড় মুচকি হাসলো।
নীড় : হামম তোমারই তো দোষ। কেন ছেরে এসেছিলে আমাকে? আরো বকতে আরো মারতে… কিন্ত ছেরে এসেছিলে কেন? তুমি কি জানো…
মেরিন : আমি কেন ছেরে এসেছিলাম…. আপনিই তো….
তখন ওর কিছুর শব্দ পেলো। কারো চিল্লানোর শব্দ। দৌড়ে রুম থেকে বের হলো। গিয়ে দেখলো…