বড়_বেশি_ভালোবাসি
part : 13
writer : Mohona
.
নীড় দৌড় লাগালো। আর গিয়ে দেখে সারা রান্নাঘরে ধোয়া। মেরিনের smoke allergy । আগুন খুব বেশিনা। নীড় তারাতারি fire extinguisher দিয়ে আগুনটা নিভিয়ে মেরিনকে বের করে আনলো। মেরিন অজ্ঞান হয়ে পরেছে। যা দেখে নীড়ের বুকটা কেপে উঠলো। নীড় তারাতারি মেরিনকে কোলে তুলে বের হলো। নিয়ে খাটে শুয়ালো।
.
নীড় : মমমেরিন…. মেরিন… ও মেরিন…. কি করে ফেললাম। মজায় মজায়। আল্লাহ… মমেরিন…. মেরিন… পানিহ….
নীড় অস্থির হয়ে গেলো। মেরিনের মুখে পানির ছিটা দিলো। অনেকক্ষন পরে মেরিন চোখ মিটমিট করলো। চোখ মেলল। মেরিন চোখ মেলতেই নীড় মেরিনকে জরিয়ে ধরে হাউমাউ করে কাদতে লাগলো।
নীড় : i m sorry মেরিন i m sorry… i m really very sorry … আমি বুঝতে পারিনি যে এমন কিছু হবে….
ধোয়াতে মেরিনের allergy তাই কথা বলতে পারছে না…
নীড় : ঠিক আছো? ও মেরিন… বলোনা…
মেরিন মনে মনে : ওরে শালা তুই জানোস না যে আমার smoke allergy …. আমার গলা দিয়ে আওয়াজ বন্ধ হয়ে গেছে। কতোঘন্টা পর আসবে কে জানে….
নীড় : বলোনা জান…
মেরিন মনে মনে : সে কি রে… আমাকে জান বলছে…?।
নীড় মেরিনকে বুক থেকে সরালো।
মেরিনের গালে হাত দিয়ে
বলল : কি হলো কথা বলছোনা কেন??..
নীড় সমানে কান্না করছে।
মেরিন অবাক চোখে নীড়কে দেখছে। ওর চোখের পানির মানে বোঝার চেষ্টা করছে।
মেরিন মনে মনে : উনার চোখের পানি কেন বলছে আজও উনি আমাকে ভালোবাসেন। অনেক ভালোবাসেন।
নীড় : বলোনা…
মেরিন মনে মনে : আম্মুগো আমার কান… আস্তে কথা বলতে পারেনা এই লোকটা…
নীড় : কথা বলো…
মেরিন মনে মনে : লও ঠ্যালা… কিভাবে বলবো?
নীড় : বলোনা…
মেরিন দিলো নীড়ের হাতে এক কামড়।
নীড় : কথা না বলে কামড় দিচ্ছো কেন?
মেরিন চোখ ছোটো করে তাকালো।
নীড় : uffs… ভুলেই গিয়েছিলাম যে তোমার smoke allergy … এই কারনে কথা বলতে পারছোনা?
মেরিন : ?
নীড় : তারমানে এখন তুমি কথা বলতে পারবেনা?
মেরিন : ?।
নীড় :??। the মেরিন কথা বলতে পারবেনা। কথা না বলে থাকবে the মেরিন বন্যা নীড় খান চৌধুরী!! ?। ভাবা যায়!! এটাও সম্ভব। দারাও একটু হেসে নেই।
বলেই নীড় হাহা করে হাসতে লাগলো।
মেরিন মনে মনে : ওরে শালি… দারা তোকে দেখাচ্ছি…
বেডে থাকা মোবাইলটা ধপাস করে নীড়ের দিকে ছুরে মারলো।
নীড় : ouch… মা গো বউ না জল্লাদ…
মেরিন ভেঙচি মেরে শুয়ে পরলো।
নীড় : আচ্ছা শোনো আর কোথাও কি ব্যাথা ট্যাথা পেয়েছো?
মেরিন কোনো উত্তর দিলো।
.
একটুপর…
মেরিন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। নীড় মেরিনের হাত পা ভালোভাবে check করছে যে কোথাও ব্যাথা পেয়েছে কিনা। আল্লাহর রহমতে মেরিন আর কোথাও কোনো ব্যাথা পায়নি। কারন আগুন তেমন বেশি ছিলোনা।
নীড় মেরিনের কপালে চুমু দিলো। এরপর মেরিনের হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিলো। হাতটা নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নিলো।
নীড় : তুমি কিভাবে কথা না বলে থাকবে সেটা জানিনা… তবে আমি তোমার কথা না শুনে কি করে থাকবো…. তোমার কন্ঠ যে আমার নেশা। i m really very sorry জান। তোমাকে hurt করতে চাইনি। আমি তো just মজা করছিলাম । আমি তো জানি যে তুমি রান্না করতে পারোনা। আমি তো জানিযে তুমি গ্যাসও অন করতে পারোনা। আমি যেতে যেতে যে তুমি… আর কখনো এমন মজা করবো না।
.
পরদিন…
১২টা…
মেরিনের ঘুম ভাঙলো। এই এক-দেড় মাসে এই প্রথম মেরিনের ঘুম স্বাভাবিক ভাবে ঘুম ভাঙলো।
মেরিন মনে মনে: অবাক কান্ড। এটা কি স্বপ্ন নাকি সত্যি? আজকে আমি normally আমার ঘুম ভাঙলো। না পানিতে ডুবলাম আর না দম আটকালো আর না অন্য কোনো drama… ভাবা যায়!!!
নীড় : good morning …
মেরিন: ?।
নীড় : এতো অবাক হওয়ার কি আছে। আমার বাপের কাছে হুদদদাই বকা খেতে পারবোনা।
মেরিন washroom এ চলে গেলো।
fresh হয়ে বেরিয়ে এলো।
নীড় : আসো খেয়ে নাও। তোমার কফি & জুস। সাথে পাস্তা। come…
মেরিন মনে মনে : তুই খা তোর খাবার।
নীড় : আমি তো খাবোই। আসো খেয়ে নাও।
মেরিন মনে মনে : huh…
নীড় : আসো….
নীড় জোর করে মেরিনকে কোলে বসিয়ে জোর করে খাওয়াতে লাগলো।
নীড় : আমার সাথে রংবাজী দেখাবেনা। got it?
মেরিন মনে মনে : তোরে তো আমি কিসমিস থেকে কাচামরিচ বানাবো। অনেক জালিয়েছিস আমাকে।
যেই ভাবা সেই কাজ। মেরিন গলায় হাত দিয়ে drama করতে লাগলো।
নীড় : কি হয়েছে গলায়?
মেরিন : ?
নীড় : ব্যাথা করছে?
মেরিন মাথা নেরে হ্যা বলল ।
নীড় : সে কি কেন?
মেরিন :?।
নীড় : sorry… হালকা গরম পানি দিবো?
মেরিন মাথা নেরে না করলো।
নীড় : আচ্ছা rest করো। আচ্ছা দুপুরে কি খাবে?
মেরিন: ?।
নীড় : oh sorry… তুমি rest করো। কিছু লাগলে ডা… i mean আমাকে call করো।
নীড় নিচে গেলো।
নিচে যেতে না যেতেই মেরিন ফোন করলো। নীড় দৌড়ে এলো ।
নীড় : কিছু লাগবে।
মেরিন মাথা নেরে না করলো।
এরপর হাসি দিলো।
মেরিন :?।
যারমানে test করছিলো।
নীড় : তুমিও না…
নীড় গেলো। আবার মেরিন একই কাজ করলো। নীড়ের আবার আসতে হলো। এমন ৮-১০বার করার পর নীড় মেরিনকে কোলে তুলে নিয়ে নিচে গেলো।
নীড় : এখন তো আর আমাকে ওপর নিচ করাতে পারবেনা। পাজি। আর হ্যা এখন কিছু লাগলে হাতে তালি বাজাবে। got it?
মেরিন :?।
.
একটুপর…
নীড় রান্না করছে আর একটু পর পর মেরিনকে দেখছে।
নীড় : বাচা গেলো। আমি তো ভেবেছিলাম না জানি কতোবার তালি বাজাবে।
ঠিক তখনই মেরিন তালি বাজালো। নীড় গেলো।
নীড় : বলো? কি লাগবে?
মেরিন ইশারা দিয়ে কিছু বলল। কিন্তু নীড় বুঝলোনা।
নীড় মনে মনে : মেরিনের ইশারা আমি বুঝতে পারছিনা? এটা কিভাবে সম্ভব?
মেরিন মনে মনে : বুঝবেন কিভাবে? আমি তো নিজেই বুঝিনি যে আমি কি ইশারা করিছি। ?। দেখ কেমন লাগে?
নীড় : আরেকবার বলোনা…
মেরিন মুখ ভেঙচে ওরনা মুরি দিয়ে সোফায় শুয়ে পরলো। সেদিন মেরিন নীড়কে অনেক জালালো। রাতের মধ্যেই মেরিন আওয়াজ ঠিক হয়ে গেলো।
মেরিন : আওয়াজ তো এসে গেছে। কিন্তু এটা উনাকে জানানো যাবেনা। উনাকে বুঝিয়েই ছারবো যে কতো ধানে কতো মরিচ।
.
২দিনপর….
২দিন ধরে মেরিন অভিনয় করে যাচ্ছে। আর নীড়কে নাস্তা নাবোদ করছে।
নীড় : ওর আওয়াজ তো এতোক্ষন থাকার কথানা। wait wair… ও drama করছে না তো? দেখতে হয় বিষয় টা।
নীড় অনেক পদ্ধতি অবলম্বন করলো। কিন্তু মেরিন কিছুতেই মুখ খুলল না। নীড় রান্নাঘরে রান্না করছে আর ভাবছে কি করা যায়।
নীড় : idea….
মেরিন মনের সুখে চকোলেট খেতে খেতে TV দেখছে।
তখনই শুনতে পেলো।
নীড় : আউচ…
মেরিন ছুটে রান্নাঘরে গেলো। গিয়ে দেখলো যে নীড়ের হাত কেটে রক্ত বের হচ্ছে।
মেরিন : একি? ককি হয়েছে? কিভাবে কাটলো। দেখি আসুন তো। বসুন বসুন।
মেরিন নীড়কে বসিয়ে দৌড়ে গিয়ে first aid box নিয়ে এসে পরম যত্নে নীড়ের হাতে ব্যান্ডেজ করতে লাগলো। আর নীড় মেরিনকে দেখতে লাগলো।
মেরিন :কি যে করেন না। দেখে কাদ করবেন তো নাকি? ভাব দেখলে আর বাচিনা…
মেরিন নীড়ের দিকে তাকিয়ে দেখে যে নীড় ওর দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে।
মেরিন : কি হলো আপনাকে কি গোল্ড মেডেল পরানো হচ্ছে যে close up 1 এর add দিচ্ছেন। ?।
নীড় আর কিছু না বলে মেরিনের ঠোট জোরা দখল করে নিলো।
.
একটুপর…
নীড় : এই বকবক শোনার জন্য আমি আমার শরীরের সব রক্তও বর করতে পারি…
মেরিন : মানে আপনি…
নীড় : sorry…
মেরিন : আ…
তখনই কলিং বেল বাজলো।
মেরিন গিয়ে দরজা খুলল। দেখলো সবাই এসে পরেছে। রাজ্যের গল্প জুরে দিলো সবার সাথে।
নীড় মনে মনে : চল ভাই নীড় তোর পাগলি বউ ক্ষেপেছে।
.
রাতে…
মেরিন চুল বাধছে। যেই নীড় রুমে এলো মেরিন ধামধুম করে কাজ করতে লাগলো।
নীড় : কেউ যদি মনে করে যে সে রাগ করে থাকলে তাকে বাবু সোনা জানু বেবি টেবি বলে তার রাগ ভাঙাবো তবে আমি তাকে জানাতে চাই যে এটা তার ভুল ধারনা। আমার খেয়ে দেয়ে অনেক কাজ আছে। হ্যা যদি আমার মোহপাখি হতো তাহলে সেটা আলাদা ছিলো…
কথাটা শেষ হতে না হতেই নীড়ের মাথায় চিরুনি পরলো।
নীড় : ouch…
মেরিন নীড়ের সামনে এসে ধাক্কা দিয়ে নীড়কে বেডে ফেলে নীড়ের বুকের ওপর চরে বসলো।
মেরিন :ওই শালি ওই কিসের মোহপাখি হ্যা কিসের মোহপাখি? মোহপাখির সাথে যখন এতোই পেরেম তো বিয়ে করেছিলি কেন? পরকীয়ার প্রধানমন্ত্রী কোথাকার? আরেকবার যদি মোহপাখি মোহপাখি করতে শুনি তো ঝুটি ধরে ছিরে ফেলবো। এককেবারে টেকো বউ বানিয়ে ছারবো। এরপর মুখে এসিড মেরে এই সুন্দর চেহারাটা বান্দর করে দিবো। তারপর দেখবো ওই মোহপাখি কিভাবে তোকে ভালোবাসে।
নীড় : আমার মোহপাখি তখনো ভালোবাসবে।
মেরিন : আহা ভালোবাসবে… কতো ঢং। আরেকবার মোহপাখির নাম নিলে না একেবার মুখ ভেঙে ফেলবো বলে দিলাম।
নীড় : তুমি এতো জ্বলছো কেন? তুমি কি এখনো আমাকে ভালোবাসো? যদি তুমি আমাকে আজও ভালোবাসতে তবে বলতে পারতে। এখন তুমি আর কাউকে ভালোবাসোনি বলে কি আমিও আর বাসবোনা? তুমি চাইলে তুমিও যাকে ইচ্ছা তাকে ভালোবাসতে পারো।
মেরিন : আমি তো ভালোবাসতেই পারিনা। তাইনা মিস্টার চৌধুরী? তবে হ্যা এবার পরকীয়া করবো। আপনি ১টা করেন আমি ১০টা করবো। huh…. সর চোখের সামনে থেকে….
নীড় :…
মেরিন : সরিস না কেন?
নীড় :…
মেরিন : সরবি নাকি ১টা উস্টা মারবো?
নীড় : কিভাবে সরবো? তুমি তো আমার কলিজার ওপর বসে আছো।
মেরিন নীড়ের বুকের ওপর থেকে নেমে গিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো। যাওয়ার আগে ধিরিম করে দরজা লাগিয়ে দিয়ে গেলো।
নীড় হাসতে হাসতে শেষ।
নীড় : হায়রে আমার বউটারে… “মিস্টার চৌধুরী” তার মানে হেব্বি রেগে আগুন।
নীড় বসে বসে হাসতেছে তখন মেরিন রুমে এসে নীড়ের কলার ধরে টেনে রুমের বাইরে বের করে দরজা লাগিয়ে দিলো।
নীড় : এটা কি হলো?
মেরিন : তুই তোর মোহপাখির কাছে গিয়ে ঘুমা শালি ফকিন্নি।
.
মেরিন : শালি… তুই মোহ মোহ করবি না? তোর মোহ গিরি আমি বোর করে দিবো। নীড় কেবল মেরিনের।
নীড়কে বকতে বকতে মেরিন ঘুমিয়ে পরলো। কিছুক্ষনপর মেরিনের মনে হলো কেউ ওর গলায় পাগলের মতো kiss করছে। পরকক্ষনেই মেরিনের দম আটকে আসতে লাগলো। মেরিন বুঝতে পারলো কাহিনি কি? মেরিন জানে react করে লাভ হবেনা।
.
৩দিনপর…
আজকে নীড়-মেরিন india যাবে। flight এ উঠলো।
মেরিন : awwwe ki cute… শাহরুখ খানের বাড়ি দেখতে পারবো।
নীড় : আমার ঠ্যাকা পরেনি কাউকে ঘোরানোর।
মেরিন : আমি বলিওনি কাউকে নেই। আল্লাহ আমাকেও হাত-পা দিয়েছে।
নীড় : দেখা যাবে।
মেরিন: আচ্ছা আগে আমরা শিমলা কেন যাচ্ছি?
নীড় : ওখানে গিয়ে বিয়ে করবো মোহপাখিকে তাই। ?।
মেরিন : তাহলে আমিও ওখানে বিয়েটা সেরে ফেলবো।
নীড় : তোমাকে বিয়ে করবেটা কে? আমিই তো না দেখে ভুলেভালে করিয়া ফেলিয়াছি।
মেরিন : মেরিন বন্যা খান কে বিয়ে করার জন্যনা লাইন লেগে আছে ছেলেদের বুঝেছেন?
নীড় : in your dream ….
.
ওরা শিমলা পৌছালো।
মেরিন তো গিয়েই ঘুম। নীড়ও ঘুমিয়ে পরলো। আর যখন ঘুম ভাঙলো তখন দেখলো যে মেরিন কারিনা কাপুর খানের jab we met এর “ইয়ে ইশক হায়” গানের get up নিয়ে দারিয়ে আছে। নীড় মোটেও অবাক হয়নি ।
নীড় : এইযে drama queen হঠাৎ কারিনা হওয়ার ইচ্ছা হলো যে?
মেরিন : mind your own business …
একটুপর মেরিন নিচে গিয়ে অবাক হয়ে গেলো..
কারন নীড় কালো জিপ নিয়ে দারিয়ে আছে।
চোখে চশমা পরেছে। অন্যরকম mature লাগছে। চুলে জল দেয়নি। নীড়ের সিল্কি চুল গুলো উরছে। শীতের জন্য নীড়ের গাল ২টা আরো গোলাপী হয়ে আছে। আর গোলাপী ঠোট ২টা just wow…
মেরিন মনে মনে : crush কি খাওয়া উচিত হবে? হবে না কেন আমারই তো darkchocolate …। তবে এ আমার ইচ্ছানুযায়ী কিভাবে get up নিলো? মাশাল্লাহ আমার জামাইটা কতো সুন্দরগো…. ?? থু থু… নজর না লাগে যেন dark chocolate এর গায়ে….
নীড় : crush খাওয়া হয়ে গেলে গাড়িতে উঠতে পারেন।
মেরিন ভেংচি কেটে জিপে উঠলো।
.
একটুপর…
জিপ টা হঠাৎ থেমে গেলো।
মেরিন : কি হলো?
নীড় : নামো….
মেরিন: what….???… আমি কেন নামবো?
নীড় : না নামলে আমি গান ছারলে নাচবে কি করে?
মেরিন :☺।
.
কিছুদিনপর…
মেরিন মনে মনে : আচ্ছা dark chocolate তো আমার সব wish পূরন করছে… কাহিনি কি? উনি যদি আমাকে ভালোইনাবাসেন তাহলে আমার সব ইচ্ছা পূরন করছে কেন? ধুর ভালোলাগেনা।
নীড় : এই যে ভাবনা কন্যা ready হওনি কেন? বলেছি না আজকে চেন্নাই যাবো।
মেরিন : কেন চেন্নাই যাবো কেন? আমাদের তো ওখানে যাওয়ার কথা ছিলোনা।
নীড় : তোমাকে উত্তর দিতে বাধ্য না।
মেরিন : আপনি….
নীড় : shut up…..
.
পরদিন…
মেরিন : আরে আপনি আমাকে এভাবে কুরবানির গরুর মতো টেনে নিয়ে কোথায় যাচ্ছেন?
নীড় : কুরবানি দিতে।
মেরিন : কালকে জোর করে চেন্নাই নিয়ে এলেন আর আজকে এখন কোথাও টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। আপনার মাথায় কখন কি চলে বোঝা মুশকিল।
নীড় : সামনে তাকাও।
মেরিন: না।
নীড়: তাকাও…
মেরিন : না…
নীড় মেরিনের গাল ধরে সামনে ঘোরালো।
মেরিন : অধরা আপু…..
.
চলবে…