বৈধ নাকি অবৈধ পর্ব ৫
জামিয়া পারভীন তানি
ভোরে ঘুম থেকে উঠে তূবা দেখে নাইম ওকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে। রাতের কথা মনে পড়ে, যেমন কষ্ট ও দেয় তেমন যত্ন ও করে। যখন শ্বাসকষ্ট উঠে হাপাচ্ছিলো তখন নাইম ই ওর সেবা করে। তূবা নাইম কে ঠেলে উঠে পড়ে। ভালো লাগে না এই ছেলে কে, যার জন্য এতো কিছু সহ্য করতে হচ্ছে তাকে ভালো লাগার কথা ও না। মনে হচ্ছে পালিয়ে যেতে পারলে ও বেঁচে যায়।
তূবা উঠা মাত্র নাইম তূবা কে কাছে টেনে নেয়। চুলের মুঠি ধরে বললো,
“ শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত কষ্ট দিয়ে মারবো তোকে। ”
তূবা চোখ বন্ধ করে কাঁদতে থাকে। নাইম চুল ছেড়ে দেয়, তূবা তখন বলে,
“ কিসের শাস্তি দিচ্ছেন? আমি কোনো অন্যায় করিনি। প্লিজ আমাকে মুক্তি দিন, আমি চলে যেতে চাই আপনার জীবন থেকে। ”
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/
“ মনে পড়ে না সেদিন গুলো? ”
“ হ্যাঁ পড়ে, আপনি ধোঁকা না দিলে আজ এতো খারাপ দিন দেখতে হতো না আমাকে। ”
“ আমি ধোঁকা দিয়েছি নাকি তুই?”
“ ভালোবাসতাম খুব, কিন্তু এনগেজমেন্ট করে বিদেশে চলে গেছিলেন, ভুলে গেছেন? ”
“ আমার এনগেজমেন্ট কবে হয়েছিল রে? মিথ্যা দোষারোপ করছিস?”
“ তাহলে….? ”
তূবা চুপ হয়ে যায়, নাইম মিথ্যা বলে না। তাহলে কি তাকে ধোঁকা দেওয়া হয়েছিল, যেনো নাইমের জীবন থেকে সরে যায়!”
তূবা কে চুপ থাকতে দেখে নাইম বলে,
“ চুপ করে আছিস কেনো? তুই নিজের দোষ ঢাকতে আমার উপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছিস তাইনা!”
“ না.. আমি যা শুনেছি সেটাই বলেছি মাত্র। তুমি আমার সাথে সব সময় দুষ্টুমি করতে আর বকা খেতে, আমি খুব এনজয় করতাম। সম্পর্ক টা ছিলো ই ঝগড়া করার। জানো! যখন থেকে বুঝতে শিখি তখন থেকেই তোমার প্রেমে পড়েছিলাম। ”
নাইম চোখ বন্ধ করে, ভাবতে থাকে হারানো দিনের কথা গুলো।
একবার তূবা কে একা পেয়ে তূবার ঘরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দেয় নাইম। তূবা ভয়ে কাঁপছিলো নাইম কে দেখে। নাইম তূবার গলায় আলতো স্পর্শ করে বলেছিলো,
“ আমার পরী, আমি তোকে কখনো কষ্ট দিবো না আর। আজ থেকে শুধু ভালোবাসবো। ”
তূবা ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলে, কিছুক্ষণ পর খেয়াল করে কেউ কথা বলছেনা। চোখ খুলে দেখে কেউ নেই সামনে। তূবা আশেপাশে তাকায়, ভাবছিলো তূবাকে হয়তো কিস করবে। সত্যিই কি নাইম এসেছিলো! এমন ধাঁধা মনের মাঝে ঢুকে যায়। তখন গেটে নক করার শব্দ শুনতে পায়। নাইম ঢুকে বলে,
“ কিরে কি এতো ভাবছিস? “
“ তুমি কি একটু আগে রুমে এসেছিলে? ”
“ জেগে জেগে স্বপ্ন দেখছিস নাকি? নাকি অনেক কিছু আশা করছিস মনে মনে? ”
“ কি আশা করবো? আজব তো!”
নাইম হুট করে তূবার কপালে কিস করে বলে,
“ আমি তোকে বিয়ে করতে চাই।”
তূবা যেনো আকাশ থেকে পড়ে, কিছুক্ষণ ভেবে বলে,
“ পাগল হয়ে গেলে তুমি? এত কম বয়সে কে তোমার বিয়ে দিবে শুনি?”
“ কোথায় কম বয়স? আমি এবার এইচএসসি দিয়েছি আর তুই এইটে পড়িস। ”
“ যাও গিয়ে মামাকে বলো, লাথিদিয়ে বিয়ের ভূত দূর করে দিবে ।”
“ তোর মামাকে কেনো বলা লাগবে? তুই রাজি থাকলে ই হবে। তুই কি আমাকে ভালোবাসিস না বল?”
“ এভাবে বিয়ে হয় না৷ তুমি এমন পাগলামি করো কিসের জন্য? ”
“ তুই বিয়ে করবি কিনা বল আগে?”
তূবা অনেক্ষণ চুপ থেকে বললো,
“ কিভাবে? ”
“ চল আমার সাথে। ”
তূবার হাত ধরে টেনে নিয়ে বাইরে আসে নাইম। একটা রিকশা ঠিক করে নেয়। তূবা যেনো অজানার উদ্দেশ্য যাচ্ছে। কিছুক্ষণ পর একটা বাড়ির সামনে রিকশা এসে থামে। একজন মধ্য বয়স্ক লোক বেরিয়ে আসে।
উনাকে নাইম চাচ্চু বলে জড়িয়ে ধরে, কিছুক্ষণ পর তূবা কে নিয়ে উনার বাসায় ঢুকে। উনি তূবার দিকে অবাক ভাবে তাকিয়ে থাকে। নাইম উনাকে বলে,
“ আমার ফুপির মেয়ে, ওকে বিয়ে করতে চাই। নইলে ওকে অন্যের সাথে বিয়ে দিয়ে দিবে। ”
উনি নাইম কে অনেক বুঝালেন যে তোমার বিয়ের বয়স এখনো হয়নি। কিন্তু নাইম বলে,
“ বিয়ের জন্য আবার বয়স লাগে নাকি? ওরে বিয়ে করতে চাই, কারণ ওরে আমি হারাতে চাইনা কখনো। আর একটা মেয়ের বিয়ের জন্য ইসলামি দৃষ্টিতে বয়স লাগেনা।”
“ তোমার বাবা যদি রাগ করে? তখন কি করবে?”
“ কিছুই হবে না দেখিয়েন। উনার বোনের ই তো মেয়ে। ”
অতঃপর নাইমের পাতানো চাচ্চু বাধ্য হয়ে ওদের বিয়ে পড়িয়ে দেয় সেদিন।
নাইম দীর্ঘশ্বাস ফেলে, আর বলে,
“ বিয়ের কথা মনে পড়ে তোমার? ”
“ হুম। ”
“ সেদিন তোমাকে জোর পূর্বক কাছে টেনে নিয়েছিলাম, সেটাতে কোনো পাপ ছিলো না তূবা। বিয়ে করা বউ তুমি আমার। অনেক আগে থেকেই তুমি আমার বৈধ স্ত্রী। ”
তূবার রাগ অনেক কমে আসে নাইমের উপর থেকে। সত্যিই তো , অল্প বয়সে আবেগের বসে চাচ্চুর পরিবারের সামনে কবুল বলে বিয়ে পড়েছিলো সে। তাহলে তো ওদের মাঝে কোনো পাপ কাজ হয়নি । কিসের জন্য তাহলে নাইমের উপর রাগ করে আছে সে!
চলবে….
দীর্ঘদিন লিখিনি কারণ আমি রোড এক্সিডেন্ট করেছিলাম। এখন আল্লাহর রহমতে পুরোপুরি সুস্থ।
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
▶ লেখকদের জন্য পুরষ্কার-৪০০৳ থেকে ৫০০৳ মূল্যের একটি বই
▶ পাঠকদের জন্য পুরস্কার -২০০৳ থেকে ৩০০৳ মূল্যের একটি বই
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক:
https://www.facebook.com/groups/golpopoka/