বজ্জাত বর পর্ব: ৩+৪

0
4118

বজ্জাত_বর
পর্ব: ৩+৪
লেখক: বিলকিস

পরশ: yes, come in ( মিষ্টির দিকে তাকিয়ে, ও তুমি কি ব্যাপার আমাকে না দেখে থাকতে পারছোনা)
মিষ্টি: মোটেও না।
পরশ: হুম বুঝতে পেরেছি।
মিষ্টি: কি বুঝতে পেরেছেন।
পরশ: তোমাই বলবো কেনো।
মিষ্টি: স্যার আপনও গতদিনে বাবাকে মিথ্যা বললেন কেনো।
পরশ: কোন মিথ্যা।
মিষ্টি: ওই যে আপনি বাবাকে, বললেন আমি বিয়েতে রাজি।
পরশ: কেনো তুমি আমাকে বিয়ে করতে রাজি না।
মিষ্টি : না স্যার, আমি যদি আপনাকে বিয়ে করি, তাহলে ওদের কি হবে।
পরশ: ওদের মানে
মিষ্টি: মানে আমার বয়ফেন্ড স্যার। পরশ: ও
মিষ্টি: স্যার আপনাকে একটা সত্যো কথা বলি
পরশ: কেনো, তুমি মিথ্যা কথা বলো।
মিষ্টি: না,মানে স্যার
পরশ: কি যেনো বলবে
মিষ্টি : আসলে স্যার আপনে কাউকে বলবেন না।
পরশ: ok বলবো, না
মিষ্টি: দরজার চারপাশে তাকিয়ে,ফিস ফিস করে স্যার আমার না একশত টা বয়ফেন্ড আছে।
পরশ: তাই
মিষ্টি: হ্যা, স্যার এখন যদি আমি আপনাকে বিয়ে করি। তাহলে ওরা খুব কষ্ট পাবে।আপনি বলুন স্যার ওদের কষ্ট দেয়া কি ঠিক
পরশ: মোটেই ঠিক না। আচ্ছা তুমি একটা তোমার একশতো বয়ফেন্ডের নাম লিখো।
মিষ্টি: মনে মনে বললো, ঔষুধে কাজ হয়েছে।স্যার লেখছি।
পরশ: তোমার একশতো বয়ফেন্ডের নাম কি।
মিষ্টি: আকাশ, স্যার
পরশ: ও,তুমি একটা কাজ করো, একশতো এক নাম্বার বয়ফেন্ডের নাম টা লিখো।
মিষ্টি: এ্যা
পরশ: এ্যা না হ্যা
বলে পরশ মিষ্টি দিকে এক পা এগুচ্ছে আর মিষ্টি এক পা করে পিছাচ্ছে।এক সময় মিষ্টি দেয়ালের সাথে ধাক্কা খেলো।পরশ মিষ্টির খুব কাছে এসে বললো,
পরশ: একশতো এক নাম্বার বয়ফেন্ডের নাম জানবে না।
মিষ্টি: কি.. কি নাম স্যার, ( কাপো কাপো গলায়)
পরশ: আরফিন পরশ
মিষ্টি: এ্যা মা..মা… মানে
পরশ: মানে কিছুই না। তুমি তোমার একশোটা বয়ফেন্ড কে ছাড়তে পারবেনা আর আমি তোমার ছাড়তে পারবো না।
তুমি ওদের সাথে প্রেম করবে আর আমি তোমার সাথে প্রেম করবো।পরে বিয়ে
বলে,মিষ্টি ঠোঁটের আলতো করে চুমু খেলো।
মিষ্টি: এটা ঠিক হচ্ছেনা স্যার।
পরশ: কোন টা ঠিক হচ্ছে না
মিষ্টি: স্যার আপনি খুব খারাপ। ( আস্তো একটা শয়তান,ইদুর,এনাকুন্ডা) বলে রুম থেকে বের হতেই পরশ পেছন থেকে ডাক দিলোবললো
পরশ: এভাবে রাগ করতে হয় না। আর তোমাকে এই বিদেশি পোশাকে মানায় না। একটু ভালো পোশাক পরে আসবে।বলে হাসতে লাগলো
এদিকে মিষ্টি রাগে রাগে ক্লাস রুমে এসে বললো আস্তো শয়তান এনাকুন্ডা,ইদুর । না এই শয়তানটাকে অন্যভাবে শাস্তি দিতে হবে।পেছন থেকে রুমি এসে বললো,
রুমি: কি রে এতো রাগ করছিস কেনো।আর কাকে শয়তান বলছিস।
মিষ্টি: কে আবার স্যার। আমাকে বলে তোমাকে এই বিদেশি পোশাকে একটু মানায় না। একটু ভালো পোশাক পড়তে পারো না।
রুমি: এজন্য তুই রাগ করছিস। আমার মনে হয় স্যার ঠিক বলছে।
বলতে পরশ ক্লাস রুমে ঢুকে সবাই যার যার জায়গার চলে যাই।পরশ মিষ্টি দিকে তাকাতে দেখতে পাই মিষ্টি রাগে ফুলছে।
পরশ: তোমরা ২০০ পৃষ্টা এক নাম্বার অংকটা করো।সবাই অংক করছে।হঠাৎ করে পরশ খেয়াল করেতে মিষ্টি দিকে যাই।
পরশ: কি করচ্ছো এটা।
মিষ্টি: ছবি আকছি
পরশ: আমি তো ছবি আকতে বলি নাই অংক করতে বলছি।( রাগী গলায়)
মিষ্টি কিছু না বলে দাড়িয়ে রাইলো
পরশ: হাত পাতো।
মিষ্টি হাত পাততে পরশ মিষ্টির হাতে বেতের বারি দিলো। মিষ্টি চোখ দিয়ে পানি পরতে লাগলে।ক্লাস শেষ করে মিষ্টি বন্ধুদের কথা না বলে চলে গেলো।রাতে পরশ মিষ্টির বাবাকে ফোন দিলো।
পরশ: আসসালামু আলাইকুমআঙ্কেল।কেমন আছেন।
মিষ্টি বাবা:সালামের উওর দিয়ে আমি ভালো আছি বাবা। তুমি কেমন আছো।
পরশ: আমি ভালে আছি আঙ্কেল। আঙ্কেল মিষ্টি আছে।
মিষ্টির বাবা: ওতো এখানে নেই বাবা। আজ কলেজ থেকে ফিরে এসে কেনো কথা না বলে ঘরে ঢুকে ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েছে। কেনো দরকার বাবা। দরকার হলে বলো আমি মিষ্টিকে ডেকে দেই।
পরশ: না আঙ্কেল ডাকার দরকার নেই বলে ফোন কেটে দিলো।
পরেদিন পরশ মিষ্টির বন্ধুদের কাছ থেকে মিষ্টির কথা জানতে চাইলো। মিষ্টির বন্ধুরা বললো, কাল ক্লাস বের হওয়া পর আমাদের সাথে আর কথা হয় নি। পরশ আর কিছু না বলে আফিস রুমের দিকে যেতেই মিষ্টি কে দেখতে আবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো( চলবে)……….
বজ্জাত বর
লেখক: বিলকিস
পর্ব ৪
মিষ্টির দিকে তাকিয়ে যেনো চোখ ফেরাতে পারছে না পরশ।নীল রঙের থি- প্রিচ, খোলা চুল,কপালে ছোটো নীল রঙের টিপ,হাতের নীল চুড়ি,ঠোঁটে হালকা লিপিষ্টক সব মিলিয়ে যেনো মনে হচ্ছে আসমান থেকে এক নীল পরি নেমে এসেছে।মিষ্টি পরশের সামনে দিয়ে বন্ধুদের কাছে চলে গেলো।পরশ কিছু না বলে এপ পলকে তাকিয়ে আছে মিষ্টির দিকে।
মিষ্টির বন্ধুরা: তুই দেখছি কলেজে সবাই কে তাক লাগিয়ে দিয়েছিস।
মিষ্ট: সত্যি বলছিস।
মিষ্টর বন্ধুরা: হ্যাঁ, তিন সত্যি। আমরা তো কখনো এই পোশাকে দেখিনি।আজ হঠ্যৎ করে এই পোশাক কি ব্যপার।
মিষ্টি’ পরশের দিকে তাকিয়ে, কেউ আমাকে বলেছিলো যে, আমাকে নাকি বিদেশি পোশাকে মানায় না। তাই আমি ঠিক করলাম, আজ থেকে আর বিদেশি পোশাক পরবো না।
মিষ্ট বন্ধুদের কথা বলছিলো আর পরশের দিকে খেয়াল করছিলো যে পরশ তাকিয়ে আছে কি না। পরশ কিছু কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে ওখন থেকে চলে গেলো।
রুমি: তুই এই দিকে আয়।
মিষ্ট: কেনো?
রুমি: তোকে স্যার একবার বললো, আর অঙ্কেল তোকে কতোদিন বলেছে, এসব পোশাক পড়তে তুই কখনো পরিছিস নি। আমি কিছু বুঝতে পারছিনা। কি চলছে তোর মাথায়
মিষ্টি: বাংলাতে এক প্রবাদ বাক্য আছে, সোজা আাঙ্গুলে ঘি না উঠলে আঙ্গুলে টা কে বাকা করতে হয়।আর তুই বাদ দে এসব কথে, চল ক্লাসে যাই।
ক্লাস রুমে যেতেই, পরশ ক্লাসের ঢুকলো।
পরশ: তোমরা,এই অংকের solution বের করো। পরশ এক পলকে মিষ্টি দিকে তাকিয়ে আছে।কিছুক্ষন পর মিষ্টি।
মিষ্টি: স্যার, স্যার কি দেখছেস এই ভাবে।
পরশ: কিছু না।
মিষ্টি: স্যার আমার solution হয়ে গেছে।
বলতে পরশ যেনো, আর একটু বেশিই আবাক হলো। যে মেয়ে কখনো solution তো দুরে থাক। অংকো কখনো তাকিয়ে দেখেনা। সে আজ সবার আগে solution বের করে ফেললো।
মিষ্টি’ স্যার
পরশ: হুম
মিষ্টি: স্যার, খাতা। ও দাও।
ক্লাস শেষ করে পরশ তার আফিস রুমে বসে আছে। এমন সময়
মিষ্টি: MAY I COME IN SIR
পরশ: COME IN
মিষ্টি রুমের ঢুকে পরশের সামনে গিয়ে দাড়ালো।
মিষ্টি : আমাকপ কেমন লাগছে স্যার।
পরশ: ভালো
মিষ্টি’ শুধু ভালো।
পরশ: চেয়ার থেকে মিষ্টির খুব কাছে গিয়ে। আমার মিষ্টি হবু বউটাকে সত্য আজ খুব মিষ্টি লাগছে।বলে চুমু দেতে যাবে তখন
মিষ্টি: স্যার, কি করছেস?
পরশ: কি আর করছি। আমার বউকে আদর করছি।
আর আমার হবু বউটা এতো লক্ষী হবে বুঝতেই পারি নি। যে কখনে থি-প্রিচ পরেনি সে আমার এক কথা তে রাজি হয়ে গেলো। এর মধ্যকেনো রহস্য গন্ধ নেই তো।
মিষ্টি: স্যার, কেনো রহস্য গন্ধ নেই। আসলে আমি সারারাত ভেবে দেখেছি স্যার। আপনার মতো এতো ভালো বর আর পাবো না। এছাড়া বাবার চাই আমি আপনানে বিয়ে করি। তাই আজ থেকে আপনি যা বলবেন আমি তাই শুনবো।
পরশ: সত্যি।
মিষ্টি: তিন সত্যি। স্যার একটা অনুরোধ ছিলো।
পরশ: কি অনুরোধ।
মিষ্টি: স্যার, আমি আর আমার বন্ধুরা মিলে একটা র্পাটির আয়োজন করেছি।
পরশ: কিসের র্পাটি
মিষ্টি : তেমন কিছু না স্যার। সবাই মিলে একটু মজা,গান বাজনা, খাইদাই হবে আর কি।
পরশ: ও
মিষ্টি : স্যার আপনে যদি র্পাটিতে যান। তাহলে আমার খুব ভালো লাগবে। যাবেন তো স্যার।
*নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”*

পরশ: আমার হবু বউ যখন invite করছে। আমাকে তো
সেখানে যেতেই হবে।
মিষ্টি: সত্যি, যাবেন তো।
পরম: সত্যি যাবে। কোথায় হবে তোমাদের র্পাটি।
মিষ্টি : ( জাহান্নামে,মনে মনে বললো) স্যার আপনাকে sms মধ্য দিয়ে জানিয়ে দেবো।
পরশ: ok
মিষ্টি: তাহলে এখন আসি। সন্ধ্যায় দেখ হচ্ছে।
বলে মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে দরজায় সামনে দিকে চলে যেতেই পরশকে ডাকলো
মিষ্টি: সন্ধ্যার কিন্তু স্যার। বলে হাসি দিলো। আর মনে মনে বললো আসুন না স্যার আপনার একটা surprise রয়েছে।
মিষ্টি চলে যেতেই পরশ ভাবছে,এই মেয়ে এতো তাড়াতাড়ি সুধরাবার না। কিছু একটা চলছে মাথায় মধ্য। যাই হক, যা হবে তা পরে দেখা যাবে।
সন্ধ্যায় পরশ রেডি হচ্ছে, এমন সময় পরশে ফোনের একটা sms আসলো। sms লেখা ছিলো ( স্যার আপনি রেডি হয়ে পাঁচ মাথাশ চলে আসুন) পরশ তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে গাড়ি নিয়ে পাঁচ মাথায় মোড়ে আসতেই পরশের ফোনের আর একটা sms আসলো( স্যার আপনি ওখন থেকে এক কিলোমিটার এগিয়ে বা দিকে একটা চায়ে দোকান আছে সেখানে আসুন) পর শ গাড়ি নিয়েচায়ের দোকানে সামনে আসতেই। আর একটা sms আসলো ( স্যার আপনি ডান দিকে একটু এগিয়ে বা দিকে একটা শিমুল গাছ আসে সেখানে আসুন) পরশ গাছের নিচে আসতেই আর একটা sms আসলো( স্যার আপনি গাড়ি নেমে চল্লিশ সামনে আসলে একটা সাদা রঙের বাড়ি দেখতে পাবেন। বাড়িতে আমাদের র্পাটি হচ্ছে।
পরশ চল্লিশ এগিয়ে বাড়ির সামনে আসলো। বাড়ির কলিং বেল বাজালো কিন্তু দরজা খুলছে না। কয়েকবার বাজালো কিন্তু কেউ দরজা খুললো না। পরশ নিজের দরজার ধাক্কা দিতেই দরজা খুলে গেলো।পরশ বাড়ির ভিতরে ঢুকতেই দেখতে পাই। পুড়া বাড়ি অন্ধকার। অন্ধকারের কিছুই দেখা যাচ্ছে না। পরশ বাড়ির ভিতরে ঢুকে ই
পরশ : মিষ্টি মিষ্টি কোথায় তুমি
বলতে একটা ধাক্কা খেলো। তখন পুরা বাড়ির লাইট জ্বলে ওঠতে পরশ দেখতে পাই সে পুরা সাদা হয়েছে। হঠ্যৎ উপর থেকে হাসির শব্দ শুনতে পরশ উপর দিকে তাকিয়ে দেখে মিষ্টি।
পরশ: কি করলে এটা।
মিষ্টি: বেশ করেছি। আমাকে বিয়ে করার শখ তাই না। আজকে শখ মিটিয়ে দিলাম বলে চলে যেতেই পরশ পিছন থেকে ডাক দিয়ে বললো
পরশ: Thanks, আর বিয়ে শখ টা মিটিয়ে দিলে না বরং বাড়িয়ে দিলে।
মিষ্টি কিছু না বলে চলে গেলো।এদিকে পরশ বাড়িতে ফেরতে পরশের বাবা বললো।
পরশের বাবা: কি রে তোর এই অবস্থা কে করলো।
পরশ: কে আবার, তোমার বউমা। বলে উপরে চলে গেলো।
কিছুক্ষন পর পরশ নিচে নেমে বাবাকে বললো,
পরশ: বাবা, কাল সকাল সকাল রেডি হয়ে থেকো তো এক জায়গাই যাবো।
পরশের বাবা: কোথায় যাবি?
পরশ: এতো প্রশ্ন করো না তো। তোমাকে রেডি হয়ে থাকতে বলেছি তুমি রেডি হয়ে থাকে।
বলে পরশ নিজের রুমে চলে গেলো।
পরদিন সকালে মিষ্টি ঘুম থেকে ওঠে নি

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে