বজ্জাত_বর
পর্ব-১৯
লেখক বিলকিস
বাইরে গিয়ে দেখি মিষ্টি গাড়িতে বসে আছে। একটা গ্রীন কালারের শাড়ি পড়েছে সাথে খোলা চুল। আমি শুধু তাকিয়ে আছি। একটা মানুষ এতো সুন্দর, কি করে হয়।
হঠ্যাৎ মিষ্টির ডাকে ধ্যান ভাঙলো,
মিষ্টি: ওভাবে হাবলার মতো দাড়িয়ে আছেন কেন? যাবেন না কি?
পরশ: what! what is হাবলা?
আর তুমি এখানে কি করছো?
মিষ্টি: মা নে টা কি? আপনার কি স্মৃতিশক্তি লোপ পেয়েছে? আমরা এখম কলেজ যাবো?
পরশ: জি না? আমি ঠিক আছি? কিন্তু আপনি মনে হয় ভুলে যাচ্ছেন যে সেদিন আমি আপনাকে গাড়িতে উঠতে বলেছিলাম আর আপনি আমাকে ইফটিজার বানিয়ে দিয়েছিলান। How funny. তাই না?
মিষ্টি: আজকে ও সাবধানে থাকবেন। একদম এডভান্টেজ নেওয়া চেষ্টা করবেন না নইলে কিডন্যাপার বলবো কিন্তু মনে থাকে যেনো।
পরশ: what! এই তুমি নামো আমার গাড়ি থেকে।
মিষ্টি: কি এতো বড় কথা? Do you know who l am? l am one and only misty আপনি জানেন আমি এখন কি করবো?
পরশ: সেটা আমার থেকে আর কে ভালো জানে বলো। ( তুমি যে কি আমি খুব ভালো করে জানি) তো কি করবে এখন?
মিষ্টি: ok wait এটা বলেই চিল্লাতে শুধু করলাম। মামনি এই দেখো তোমার ছেলে আমাকে হুমকি দিচ্ছে যে সে আমাকে ছেড়ে একটা শাকচুন্নিকে বিয়ে করতে যাচ্ছে। এ্যা এ্যা…..
পরশ: হঠাৎ ওর এরকম চিৎ কারে তো আমি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম। এ মেয়ে পারে না এমন মনে হয় কোনো কাজ নেই। উফফ
তাই ওর মুখে চেপে ধরলাম আর বললাম এই হচ্ছে টা কি? তুমি কি আমাকে finally জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করছো।
মিষ্টি: উমম। ( এমন ভাবে মুখ চেপে ধরলে কি কিছু বলা যায়।)
পরশ: হঠাৎ খেয়াল হলো মিষ্টি মুখে আমি হাত দিয়ে রেখেছি। তাই ছেড়ে দিলাম। আর তখনই মা ভেতর চলে এসেছে
মা: কি রে মা কি হয়েছে?
মিষ্টি: মামনি তোমার ছেলে আমাকে ডির্ভোস দেবে বলছে। তুমি আমাকে বাঁচাও ( ন্যাকা কান্না কেদে)
মামনি: কি? এতো বড় সাহস।
*নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”*
পরশ তুই। কিন্তু এখন বেশি বেশি করছিস।
এদিকে পরশ তো মিষ্টির মিথ্যায় power দেখে হতোবাক হয়ে গেছে। এই মেয়ে যেখানে সেখানে আরামসে মিথ্যা কথা বলতে পারে।
পরশ: মা আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে। আমি কি এখন যেতে পারি।
মা: হুম। আর এসব ডির্ভোসের এর কথা যেনো মাথায় না আসে। মনে থাকে যেনো। আর ওকে সাথে নিয়ে যা।
মিষ্টি পরশের দিকে তাকিয়ে মিটমিট করে হাসছে। তাই দেখে পরশ বললো,
পরশ: আপনার কি কলেজ যাওয়ার ইচ্ছা আছে?
মিষ্টি: একটা ভ্যাংচি কেটে গাড়িতে উঠে পড়লাম। ( আমার তো খুব হাসি পাচ্ছে। সালার মাস্টার তুমি শাকচুন্নিকে নিয়ে ঘুরবে না। এটা তো আমি হতে দিতে পারি না। কারন আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি)
শুনুন একটু দেখেশুনে গাড়ি চালাবেন। কারন আপনার জন্য অকালে প্রানটা হারাতে পারবো না। কারন এখনো এই পৃথিবীকে অনেক কিছু দেয়ার বাকি আছে আমার।
পরশ: whatever!
তারপর কলেজ চলে আসি।
এভাবে বেশ কিছুদিন চলছিলো। আর মিষ্টির পরশের উপর অত্যাচারটাও বাড়ছিলো।
কিন্তু পরশ এখন বুঝতে পেরেছে যে মিষ্টি, ওকে ভালোবাসে। কিন্তু মিষ্টি যদি কাছে টেনে না নেয় তাহলে সে কি করে মিষ্টির কাছে যাবে। এক ভুল সে দুবার করতে চাইনা। কারন সে মিষ্টিকে হারাতে চায়না।
এদিকে মিষ্টি পরশের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে। কিন্তু কিছুই বলতে পারছে না। এক বাড়িতে থেকে ও যেনো কতো দূরের মানুষ ওরা।
পরশের সাথে জোড় করে ঘুরতে যাওয়া, পরশের সাথে আরাধ্য কে দেখে তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠা সব তো ঠিক আছে। কিন্তু তবুও ওরা কেউ কারোর কাছে যেতে পারছেনা।
দুজনই ভেতরে শেষ হয়ে যাচ্ছে।
মিষ্টিতো বিরহের আগুনে পরছে। এভাবে ১ মাস পেরিয়ে যায়। কিন্তু কোনো পরিবর্তন নেই। পরশ খুব চায় মিষ্টিকে কাছে পেতে। কিন্তু বিবেক তাকে বাধা দেয়।
সে ভাবে এতো কিসের বাধা মিষ্টিকি ওকে বলতে পারছেনা ভালোবাসি নাকি ওর চোখ মিথ্যা বলছে। এদিকে মিষ্টিতো সবসময়। উল্টো বোঝে।
ইদানিং পরশ ওকে ভিষন ভাবে ignore করছে। ভালোবাসার। মানুষটার কাছ থেকে যে অবহেলা সহ্য হচ্ছে না মিষ্টির।
হঠাৎ একদিন সন্ধ্যা বেলায় আরাধ্য ওর বাবাকে নিয়ে পরশদের বাড়িতে হাজির।
তারপর……..( চলবে)