বজ্জাত বর পর্ব -১৮

0
2973

বজ্জাত বর
পর্ব ১৮
লেখক বিলকিস

সন্ধ্যায় রুমে ঢুকে পরশ যা দেখতে পেলো তাতে পরশ শোকড
কারন ঘরের একটা জিনিসও আস্তো ছিলোনা। তছনছ হয়ে আছে সবকিছু । এমনকি পরশের সাধের ফ্লাওয়ার ভার্জটাও ভেঙে পড়ে আছে। মনে হচ্ছে ঘরে যেন সিডর বয়ে গেছে। অবশ্য সিডর বললেও মনে হয় কম হবে।
কিন্তু এটা হলো কি করে সেটাই তো বুঝতে পারছেনা। কারন সারা বাড়িতে সাব কিছুই ঠিকঠাক। শুধু এই ঘরটাতে এমন ঘটলো আজবতো।
তারপর কিছু একটা অনুমান করে বারান্দায় গেলো পরশ।বরান্দায় গিয়ে পরশ দেখতে পেলো মিষ্টি একটা পিংক কালার শাড়ি পড়ে দাড়িয়ে আছে। হয়তো রাস্তায় গাড়ি দেখছে।
পেছন থেকেই যেনো অসম্ভব সুন্দর লাগছিলো তাই মিষ্টিকে দেখে পরশের মুখেও একটা মিষ্টি হাসি ফুটে উঠলো।
মিষ্টি: বাড়ি এসে সোজা ঘরে ঢুকে গেলাম। ঘরে ঢুকে দেখলাম সবকিছু ঠিকঠাকই আছে। অথচ আমার কেনো যেনো মনে হয়ছিলো যে স্যার আমাকে ছাড়া ভালো নেই। আমি কেনো এতো ভাবছি। এতো কষ্ট কেনো পাচ্ছি? তাহলে আমি কি স্যারকে ভালোবাসি? আর তখনই আরাধ্যর কথা মনে পড়লো। রাগে আমার মাথা ফেটেযাচ্ছিলো। তাই রাগটা কমানো দরকার। কিন্তু কি করে?
IDEA
সবকিছু ওলটপালট করতে একটা মিষ্টি ঝড়ই যথেষ্ট।
তারপর ফ্রেস হয়ে বারান্দায়। গিয়ে দাড়ালাম। কিছুক্ষন পর মনে হলো পেছনে কোউ দাড়িয়ে আছে। মিষ্টি পেছন ফিরে তাকাতেই পরশ বললো,
পরশ: এ কি তুমি এখানে? তোমার তো তোমাদের বাড়ি থাকার কথা ছিলো ( একটু ভাব নিয়ে)
মিষ্টি:……….
পরশ: ঘরের এই অবস্থা করছো কেনো। এখন থাকবো কোথায়?
মিষ্টি: এই মাস্টারের কথা শুনে প্রচন্ড রাগ হচ্ছিলো। তাই বললাম, তুই যেখানে খুশি সেখানে থাক। তাতে আমার কি? কি ভেবেছিলি হ্যা, কি ভেবেছিলি? আমি আর ফিরে আসবোনা? আর তুই ওই শাকচুন্নিকে নিয়ে সুখে থাকবো। Never
আমি থাকতে তো সেটা হচ্ছেনা।
পরশ: কি বলছো এসব? আর আমার সাথে তুই তুয়ারি করছো কেনো?
মিষ্টি: এটা তো অনেক কম হয়ে গেলো? তোর সাথে আরো বেশি কিছু করা দরকার। আমার জীবনটা শেষ করে এখন অন্য মেয়েকে নিয়ে ফূর্তি করা না। এবার থেকে দেখে নেবো তোকে হুহ
পরশ: দেখছিলাম মিষ্টি অনেক রেগে গেছে। তাই আর একটু রাগানোর জন্য বললাম,
ছি! এভাবে স্বামীর সাথে কেউ কথা বলে? কি গো তুমি। কোথায় আমাকে দেখে দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরবে , একটু আদ্দর করবে তা না আর তুমি এসেই ঝগড়া শুধু করে দিয়েছো। ছি! ছি!
মিষ্টি: এই ফালতু মাস্টারে কথা শুনে আমার গা জ্বলে যাচ্ছিলো। এতো একটা বিশ্ব মানের লুচু। ঘরে বাইরে সব জায়গায়ইতে লুচুগিরী ( মনে মনে) এই আপনাকে না আমি…
পরশ: আমাকে কি? আদর করবে।
মিষ্টি: আপনাকে আমি দেখে নেবো।
পরশ: তো দেখো না। মানা করেছে কে?
মিষ্টি: you are too. much
পরশ: তোমার জন্য আমি 100 much ও হতে পারি।
মিষ্টি: উফফ্। বলেই ঘর থেকে হন হন করে বেরিয়ে গেলো।
পরশ: হা হা হা! কি ভেবেছো মিষ্টি তুমি আমার ফাদে পা দেবেনা। তুমি তো অলরেডি পা দিয়েছো। আমি জানি তুমি আমাকে ভালোবাসো। এখন শুধু তোমাকে সেটা ফিল করাতে হবে।
এদিকে মিষ্টি রাগে একাই বক বক করতে করতে দিশার ঘরে গেলো।
মিষ্টিকে দেখেই দিশা বললো,
দিশা: ভাবি তোমাদের যুদ্ধ কি শেষ।
মিষ্টি: এই ফাজিল মেয়ে যুদ্ধ কি আমি শুরু করেছি? তোমার ভাই শুরু করেছে আর আমি শেষ করবো।
দিশা: ভাইয়াকে ভালোবাসি কথাটা বলে দিলেইতো ঝামেলা চুকে যায়।
মিষ্টি: কে বলেছে আমি ওই মাস্টারকে ভালোবাসি। ওই বজ্জাত লোকটাকে তো আমার সহ্যাই হয়না। আর এখন আমি ঘুমাবো। so no বকবক।
দিশা: ইস তুমি এমন কেনো বলোতো।
দুজনই দুজনকে ভালোবেসে ভেসে যাচ্ছো। অথচ স্বীকার করতে যতো বাধা।
তখনই দিশার ফোনে ফোন আসলো। পরশের নাম্বার দেখে দিশা হেসে দিলো।
দিশা: কি ভাইয়া। plan কাজ, করছে মনে হয়।
পরশ: হুম! তোর ঘরে?
দিশা: হ্যা। চালিয়ে যা। খুব বেশি অপেক্ষা করতে হবে না।
পরশ: thanks. আচ্ছা রাখছি।
তারপর পরশ গেস্টরুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।
সকালে,
পরশ ফ্রেস হয়ে নাস্তা করতে ডাইনিং টেবিলে যায়। গিয়ে ওখানে মিষ্টিকে দেখতে পায়না। ভাবলো হয়তো এখনো ঘুমাচ্ছে।
তাই নিজেই নাস্তা করে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে দেখে………( চলবে)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে