বজ্জাত বর
পর্ব- ১৪
লেখক বিলকিস
মিষ্টি দেখে পরশ আর আরাধ্য সমুদ্র তীরে বসে আছে। আর গল্প করছে।
মিষ্টি আর এক মুহূর্ত ও সেখানে দাড়াতে পারে না। নিরবের থেকে বিদায় সোজা, হোটেল রুমে চলে আসে।
আর সারা রুম পায়চারি করতে থাকে আর বলতে থাকে,
মিষ্টি: বেটা বজ্জাত। এই ছিলো তোর মনে? এতই যদি প্রেমিকা নিয়ে হানিমুন করার। ইচ্ছা তাহলে বউ নিয়ে কেন হানিমুনে আসলি। থাকবো না তোর সাথে। আমি কি ফেলনা নাকি। নাহ আর সহ্য করা যাচ্ছে না,। জীবনে তুই ভালো থাকবি না লুচু কোথাকর। তোর বউ তোকে ছেড়ে চলে যাবে দেখে নিস, হ্হ।
পরশ: ঐ ছেলে সাথে মিষ্টিকে কথা বলতে দেখে খুব রাগ উঠে যায়। তারপর মিষ্টিকে থাপ্পর মারার পর থেকে কিছুই ভালোলাগছিলো না। খুব খারাপ লাগছিলো। ওকে মারাটা আমার ঠিক হয়নি। তাই আনমনে হাটছিলাম। হঠ্যৎ আরাধ্য ডাক দিলো। তারপর ওকে নিয়ে বালির উপরে বসে পড়ি। তখন আরাধ্য বললো,
আরাধ্য: আমি যেটা ভাবছি সেটা কি ঠিক?
পরশ: কি ভাবছিস তুই?
আরাধ্য: আমার মনে হয় তোর আর তোর বউয়ে মধ্যে কিছু ঠিক নাই।
পরশ: তেমন কিছুই না। সব ঠিক আছে।
আরাধ্য: আমাকে মিথ্যা বলছিস? আমি তোকে চিনি পরশ। আর যাই বলিস না কেনো আমাকে মিথ্যা বলতে পারিস না । ধরা পড়ে যাস।
তারপর পরশ আরাধ্য কে সবটাই বলে। তখন আরাধ্য বলে,
আরাধ্য ‘ : হুম বুঝেছি, যা করার আমাকেই করতে হবে।
পরশ: কি করবি তুই?
আরাধ্য: তোর আর তোর বউয়ের। প্রেমটা জমিয়ে ক্ষীর করতে হবে।
পরশ: নাহ্ তোকে কিছু করতে হবে না আরাধ্য। আমি মিষ্টিকে সময় দিতে চাই। ও যখন আমাকে ভালোবেসে কাছে টানবে তখনই সব হবে।
আরাধ্য: তুই সত্যি মিষ্টিকে এতো ভালোবাসিস। I am so proud of you.
তখনই নিরব পরশকে দেখেতে পায় একটা মেয়ে সাথে কথা বলতে। নিরব পরশের দিকে এগিয়ে যায়। পরশ নিরবকে দেখে চলে যাচ্ছিলো। কিন্তু নিরব তখনই বলে ওঠে,
নিরব: তোমার বউ একা একা ঘুরছে আর তুমি এখানে কি করছো?
পরশ: আমার বউয়ের ঘোরার মতো সঙ্গী আছে। আমাকে মনে হয় তার প্রয়োজন নাই।
নিরব: হুম বুঝেছি, তোমাদের মধ্যে মান – অভিমান চলছে। এরজন্যই মিঠু তোমাকে দেখে এখান থেকে চলে গেলো।
পরশ: ( শালা আমার বউকে মিঠু বলে ডাকা হচ্ছে। ইচ্ছে করছে এখানেই বালি চাপা দিয়ে দেই) মিষ্টি এখানে এসেছিলো?
নিরব: হ্যা। আর তোমাকে দেখেই তো চলে গেলো।
তখনই নিরবের বউ তানভী এসে নিরবকে ডাকলো।
নিরব: পরিচয় করিয়ে দেই। ও আমার ওয়াইফ তানভী। আর তানভী ও হচ্ছে পরশ আমাদের মিঠুর হাজবেন্ড।
পরশ: এদিকে বোকার মতো দাড়িয়ে আছে। ও তো কিছুই বুঝতে পারছেনা।
তানভী: তা আমার ননদিনির সাথে হানিমুন কেমন কাটছে।?
এই কথা শোনার পর পরশ আর এক মুহূর্তের জন্য ও দাড়ায়নি। এক দৌড়ে হোটেলে ফিরে আসে।
আর দরজায় দাড়িয়ে মিষ্টির সব কথা শুনতে পায়।
পরশ: হানিমুনে কি হয় বলোতো?
মিষ্টি: হঠ্যৎ পরশের কথা শুনে দরজার দিকে তাকিয়ে দেখে পরশ দুষ্টুমি চোখে হাসছে। মিষ্টির খুব রাগ উঠে যায়।
মিষ্টি: মানে কি?
পরশ: না তুমিই তো বলছিলে তাই বললাম। আর কি যেনো বলেছিলে আমি লুচু না কি যেনো ( মিষ্টির দিকে এগুতে এগুতে বলছিলো পরশ)
মিষ্টি: আ- আ- মি ক- কখন বললাম বলিনিতো। পেছোতে পেছোতে বললো।
এক সময় মিষ্টি বিছানায় পড়ে যায়। পরশ মিষ্টির খুব কাছে চলে আছে। দুজনের হাটবিট – ই যেনো দুজন শুনতে পাচ্ছে।
মিষ্টি: সরুন তো
পরশ: কেন?
মিষ্টি: আমার ভালো লাগছেনা।
পরশ: আমার তো ভালোই লাগছে। মিষ্টির ঠোট আমাকে খুব করে টানছে। আমি মিষ্টির ঠোটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। তখন দেখলাম মিষ্টি চোখ বন্ধ করে ফেলেছে। আর ঠোট দুটো কাঁপছে আর কিছু না ভেবেই মিষ্টির ঠোট দুটো আমার করে নিলাম।
মিষ্টি: হঠ্যৎ স্যার আমাকে কিস করা শুরু করলেন। আমারও অদ্ভুত একটা ভালো লাগা কাজ করছিলো। হঠ্যৎ করেই আমার আরাধ্য কথা মনে পড়তো আমি স্যারকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেই।
পরশ: হঠ্যাৎ মিষ্টি আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো। আমার খুব রাগ হচ্ছিলো। তাই ওকে জোড় করে গলায় ঘারে চুমো দিতে থাকি। তখনই মিষ্টি আমাকে ধাক্কা দিয়ে জোড়ে থাপ্পর মেরে দেয়। আমি রাগে আপমানে রুম থেকে বেড়িয়ে আসি।
মিষ্টি: কেন স্যার আমার সাথে এমন করেছে? আমি কি এটা ঠিক করলাম। আমার খুব কান্না পাচ্ছিলো।
যখন রাত ১২ টা বাজে তখনও পরশ রুমে আসছিলোনা। এদিকে মিষ্টি কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে যায়। যখন ঘুম থেকে ওঠে তখন। ঘড়িতে ১১টা বাজে। তারপর ১ ঘন্টা অপেক্ষা করে পরশের ফেরার জন্য। কিন্তু তারপরও যখন পরশ ফিরছিলোনা তখন মিষ্টি রিসেপশন যায়। সেখান থেকে জানতে পারে হোটেলে একটা বাড় আছে। মিষ্টি সেখানে যায় পরশকে খোজার জন্য। গিয়ে দেখে পরশ মদ খাচ্ছে।
তখন মিষ্টি বাড়ের কিছু লোকের সাহায্যে পরশকে রুমে নিয়ে আসে।
তারপর………
( চলবে)