বজ্জাত বর
পর্ব-১৩
লেখক বিলকিস
.
পরশ: মিষ্টি তুমি এখন হোটেলে ফিরে যাও। তোমাকে দেখে বুঝা যাচ্ছে তুমি খুব ক্লান্ত। আমি একটু আরাধ্য সাথে ঘুরে আসি কতো দিন পর দেখা। ( মুচকি হেসে)
মিষ্টি: ( হ্যা এখন তো আমাকে ভালো লাগবেনা পুরনো প্রেমিকা যে ফিরে এসেছে। তোর মতো বজ্জাত শয়তানকে আমি দেখে নেবো। আচ্ছা আমি এতো ভাবছি কেনো। যা পারে তাই করুক আমার কি হুহ) ঠিক আছে।
পরশ: তোমাকে কি পৌছে দিতে হবে না তুমি একাই যেতে পারবে?
মিষ্টি: আমি একাই যাচ্ছি। ( রাগী লুক নিয়ে)
তারপর মিষ্টি হোটেলে ফিরে গেলো। খেতে ইচ্ছে করছিলো না তাই ফ্রেশ হয়ে ঘুমিয়ে গেলো। ঘুম থেকে যখন জাগলো তখন ঘড়িতে সন্ধ্যা ৬ টা বাজে। কিন্তু পরশ এখনো হোটেলে ফিরেনি। মিষ্টি খুব চিন্তা হলো কিন্তু পর মহূর্তে ভাবলো পুরনো প্রেম যালাই করতে সময় তো লাগবেই। তারপর পরশ যখন হোটেলে ফিরলো তখন ৯ টা বাজে। পরশ এসে দেখে মিষ্টি বারান্দায় দাড়িয়ে আছে। পরশ বললো,
পরশ: কি ব্যাপার, তুমি এখানে কি করছো?
মিষ্টি: দেখতেই তো পাচ্ছেন।
পরশ: খেয়েছো?
মিষ্টি: আপনাকে আমার কথা না ভাবলেও চলবে।
পরশ: কি ব্যাপার, আজ আকাশে মেঘ কেন?
মিষ্টি: রাগী লুক নিয়ে তাকালাম।
পরশ: চলো খাবে এখন।
মিষ্টি: আমার খিদে নাই। আপনার খেতে ইচ্ছে করলে আপনি খান। বেশি করে খান। এই বলে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পরলাম।
তারপর পরশ কিছু না বলে হোটেলবয়কে দিয়ে রুমে খাবার আনলো।
পরশ: তুমি যদি মনে করো যে ঘুমের ভান করে থাকলে খেতে হবে না তাহলে ভুল করছো। এখন ঝটপট উঠে খেয়ে নাও।
মিষ্টি: আমি খাবো না। আপনার যা খুশি করতে পারেন।
পরশ: ঠিক আছে। সোজা কথা যখন শুনলে না তখন তোমাকে কিভাবে খাওয়াতে হয় তা আমি ভালো করেই জানি এই বলে এগিয়ে যাচ্ছিলাম মিষ্টির দিকে।
মিষ্টি: মা – মা- মানে। আর আপনি এদিকে এগিয়ে আসছেন কেনো?
পরশ শুধু মুচকি মুচকি হাসছে আর মিষ্টির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
মিষ্টি: ( এই লোকটাকে কেনো বিশ্বাস নেই। যখন তখন কি করে বসবে কে জানে। আর যে ভাবে আমার দিকে এগিয়ে আসছে মনে হচ্ছে আমাকে খেয়ে ফেলবে। না বাবা তার চেয়ে খাবার খেয়ে নেওয়াই ভালো) আচ্ছা ঠিক আছে খাবো..
পরশ: বাহ, পদ্ধতিটা তো ভালোই কাজে দিলো। এখন থেকে এটাই কাজে লাগাবো।
তারপর পরশ নিজ হাতে মিষ্টিকে খাইয়ে দিলো। আর আলতো করে কপালে একটা চুমো দিলো।
*নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”*
পরের দিন সকালে
পরশ ঘুম থেকে জেগে দেখে মিষ্টি ঘরে নেই। ভেবেছিলো হয়তো ওয়াশরুমে কিন্তু অনেক সময় পরও যখন বের হলো না তখন পরশের চিন্তা হলো । পরশ হন্নে হয়ে খুজছিলো মিষ্টিকে। বীচে গিয়ে দেখে মিষ্টি কেনো এক ছেলের সাথে খুব হেসে হেসে কথা বলছে। এমনকি মিষ্টির কপালে আসা চুলগুলো ছেলেটা হাত দিয়ে সরিয়ে দিচ্ছে। তখন পরশের মাথা এতো গরম হলো যে না পারে ছেলেটাকে খুন করে ফেলে। এক পর্যায়ে পরশ মিষ্টি কাছে যায় আর মিষ্টিকে ছেলেটার সামনেই জোরে একটা থাপ্পর মারে। মিষ্টি হতোবম্ব হয়ে দারিয়ে আছে। কি হলো বোঝার চেষ্টা করছে।
পরশ: তোমার সাহস কি করে হয় এখানে আমাকে না বলে আসার।
মিষ্টি: স্যারের রাগী লুক দেখে কিছু বলারই সাহস পাচ্ছিলাম না। আর স্যার আমাকে নিরবের সামনে মারলো। আমার যেনো মাটিতে মিশে যেতে ইচ্ছে করছিলো।
( নিরব হলো মিষ্টির কাজিন। মিষ্টিকে ছোটো বোনের মতো ভালোবাসে। ওয়ইফ নিয়ে কক্সবাজারে ঘুরতে এসেছে। হঠ্যৎ একা একা মিষ্টিকে দেখে এগিয়ে এসে কথা বলছিলো।
আর পরশ কিছু না শুনেই মিষ্টিকে থাপ্পর মেরে দিলো।
নিরব: কে আপনি? যে মিষ্টিকে বলা নেই কওয়া নেই এসে থাপ্পর মারলেন। সাহস তো কম না আপনার।
পরশ: আপনি বরং ওনার থেকেই জিজ্ঞেসা করে নেবেন আমি কে? এটা বলেই পরশ ওখান থেকে চলে যায়। আর মিষ্টি দারিয়ে দারিয়ে কাদছে।
নিরব: কে উনি? তোকে মারলো কেনো মিঠু। ( নিরব মিষ্টিকে ভালোবেসে মিঠু বলে ডাকে)
মিষ্টি: বাদ দাওতো এসব। চলো ভাবির সাথে দেখা করি।
নিরব: তুই কিছু লকুাচ্ছিস। কে উনি তোকে বলতেই হবে।
মিষ্টি: আমার স্বামী। নাম পরশ।
নিরব: মিঠু তুই বিয়ে করলি কবে।
তখন মিষ্টি শুরু থেকে এখন পযন্ত যা কিছু হয় সবকিছু নিরবকে বললো।
নিরব: মিঠু তোদের প্রেম তো গলে জল হয়ে যাচ্ছেরে।
মিষ্টি: ধুর কি যে বলো না। চলো ভাবির সাথে দেখা করবো।
নিরব: আচ্ছা ঠিকআছে চল।
এদিকে পরশ ওখান থেকে চলে এসে নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে পারছিলো না। তাই আরাধ্যকে ফোন করে আসতে বলে।
তারপর আরাধ্য আসলে পরশ আর আরাধ্য দুজন মিলে অন্য কোথায়ও ঘুরতে যায়। এদিকে মিষ্টি নিরব আর নিরবের ওয়াইফ ঘুরতে ঘুরতে একটা জায়গায় গিয়ে সবাই বসে। আর তখনই মিষ্টি দেখে………
( চলবে..)