বজ্জাত_বর
পর্ব-১২
লেখক বিলকিস
সকালে মিষ্টির আগে পরশ ঘুম থেকে জেগে ওঠে। দেখে মিষ্টি পরশের বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়ে আছে। মিষ্টির এলোমেলো চুলগুলো পরশের বুকে লেপটে আছে। আর কিছু অবাধ্য ছোট চুল মিষ্টির মুখের উপরে। ঘুমন্ত মিষ্টিকে দেখতে খুব মায়াবি লাগছিলো।
পরশ মিষ্টির মুখে উপর থেকে চুলগুলো সরিয়ে দিলো। তারপর কপালে একটা আলতো করে চুমো খেলো।
একটু পর মিষ্টি ঘুম থেকে জেগে দেখে পরশ ওর দিকে তাকিয়ে আছে। মিষ্টি ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করে।
মিষ্টিি: এভাবে তাকিয়ে আছেন কোন?
পরশ: এই ছিলো তোমার মনে? ছি ছি ছি
মিষ্টি: মানেটা কি? কি বলছেন। আমি কিছুই বুঝতে পারছিনা। ন্যাকামিটা বন্ধ করে বলবেন কি হয়েছে।
পরশ: আমি ন্যাকামি করছিনা তুমি ন্যাকামি করছো। কাল কি বলেছিলাম মনে আছে?
মিষ্টি: কি এমন মহান কথা বলেছিলেন যে আমাকে মনে রাখতে হবে?
পরশ: কাল আমি তোমাকে বলেছিলাম যে তুমি কিন্তু আমার কাছে আসবেনা। আর তুমি কি করেছো? একেবারে আমার বুকে এসে ঘুমিয়ে গেছো। কি লজ্জা!
মিষ্টি: এই শুনন, একদম বাজে কথা বলবেন না। আমি মোটেই ইচ্ছে করে আপনার ওই রকম দুরমুশ বুকের ঘুমাইনি।
পরশ: হ্যা, এখন তো সেটা বলবেই ধরা পড়ে গেছো তো। তা আগেই তো বলতে পারতে তোমার আমার ছোয়া চাই। আমি তোমাকে আদর করে দিতাম। আমার ঘুমের মধ্যে তুমি আমার ইজ্জতের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছো।
মিষ্টি: আমার বয়েই গেছে আপনার কাছে যেতে। আমার তো এখন সন্দেহ হচ্ছে যে আপনিই আমার কাছে এসেছেন কি না।
পরশ: হুহ। তোমার মতো একটা পেচির কাছে আমি যাবো? আমার তো খেয়ে দেয়ে কাজ নাই তাই না?
মিষ্টি: তাইতো বিয়ে করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলেন। তাই না?
পরশ: তোমার মতো একটা পেচিকে কে বিয়ে করতো বলো। তোমার বাবার তো তোমাকে নিয়ে চিন্তার শেষ ছিলো না। তাই তোমার কন্যাদায় গ্রস্থ পিতাকে আমি উদ্ধার করেছি বুঝেছো।
মিষ্টি: What a joke আমার উপর কতো ছেলেই ক্রাশ ছিলো জানেন?
পরশ: ক্রাশ আর তোমার উপর? হা হা হা….
মিষ্টি: ( হাসছে দেখো পুরা পেচার মতো। ওরে শোন তুই যদি আমাকে ফাসিয়ে বিয়ে না করতি না জীবনে তোর। ১০ হাতের। মধ্যেও। আসতাম না ফাজিল কোথাকর) এই যে শুনুন..
তখনই হোটেলের একটা ছেলে এসে দরজার নক করলো পরশ দরজা খুলে কিছু কথা বলে ফিরে আসলো।
পরশ: যাও, এখন ফ্রেশ হয়ে এসো। আর একটু তারাতারি বের হয়ো। ২ ঘন্টার আগে তো বের হও না।
মিষ্টি: মুখ ভেংচি দিয়ে ওয়াশরুমে চলো এলাম।
দুইজনই ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে বাইরে খেতে গেলো। খাওয়া শেষ করে বীচে বেড়াতে গেলো। সমুদ্র দেখে মিষ্টির মনটা ফুরফুরে হয়ে গেলো। দূরে তাকিয়ে দেখে একটা লাল ঝিনুক পড়ে আছে। সেটা কুড়িয়ে নিয়ে এসে দেখে একটা মেয়ে পরশকে জরিয়ে ধরেছে। আর অনেক। হেসে হেসে কথা বলছে।
মিষ্টি: কে এই মেয়ে যার সাথে উনি এতো হেসে হেসে কথা বলছে। আমার সাথে কথা বলতে আসলেই তো পেচার মতো মুখ করে থাকল। শয়তান, বজ্জাত বদের হাড্ডি একটা
পরশ: তাকিয়ে সমুদ্র দেখছিলাম খুব ভালো লাগছিলো। হঠ্যাৎ কেউ এসে আমাকে জরিয়ে ধরে তাকিয়ে দেখি আরাধ্য। আমার ইউনিভার্সিটির বন্ধ। খুব ভালো একটা মেয়ে। ভিষন চঞ্চল। মনটাও খুব ভালো। ওর সাথে কথা বলতে বলতে হঠ্যৎ তাকিয়ে দেখি মিষ্টি আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।
আমি মিষ্টিকে ডাক দিলাম। তারপর আরাধ্য সাথে পরিচয় করিয়ে দিলাম।
আরাধ্য: কেমন আছো তুমি ? পরশ কিন্তু এটা ঠিক করলো না।
মিষ্টি: কোনটা?
আরাধ্য: এই যে, প্রেম করলো আমার সাথে আর বিয়ে করলো তোমাকে?
মিষ্টি: What! ( শয়তান ছেলে এই ছিলো তোর ভালোবাসা । একজনের সাথে প্রেম করে আর একজনকে বিয়ে? তোর নামে কেস করা উচিত)
আরাধ্য: কেন? পরশ তোমাকে কিছুই বলেনি?
মিষ্টি: নাহ ( মন খারাপ করে)
কেন যেন স্যারের সাথে ওই মেয়েটাকে কথা বলতে দেখে আমার খুব হিংসা হচ্ছিল সাথে খারাপও লাগছিলো।
হঠ্যৎ পরশ বললো………
( চলবে)