বজ্জাত বর
পর্বঃ ৭+৮
লেখক বিলকিস
.
মিষ্টি দরজার দিকে তাকিয়ে যাই যাই অবস্থা।
পরশ: মিষ্টির কান্না দেখে সহ্য করতে পারছিনা। তাই ওখান থেকে চলে আসি। একটুপরে মনে হলো আমার ভালোবাসার এতো মূল্য হীন হতে পারে না। মিষ্টির অসুস্থতারর জন্য আমি ওকে ছেড়ে দেবো কখনো না। তারপর ডাক্তার সাথে কথা বলে, মিষ্টির কেবিনের দিকে যায়।হঠ্যাৎ করে কেবিনের ভিতরে হাসির আওয়াজ পারছিলাম। ভাবলাম একটু আগেতো মিষ্টি কাঁদ ছিলো তাহলে এমন কি হলো যে মিষ্টি এতো হাসছে ব্যাপারটা কি। তবেই ভালোতো এই কয়টাদিন মিষ্টি হাসিখুশি থাকুক আমি এটাই চাই। কিন্তু দরজার পাশে দাড়াতে আমি যা শুনলাম তাতে আমি পুরা Shocked। এ সব কিছু বিয়েটা না করার জন্য অভিনয় ছিলো। আমি তো এটা হতে দিতে পারি না। একটু পর বুঝতে পারবে মিষ্টি এই অভিনয়টা করে তুমি কতো বড় ভুল করেছো। এখন তোমার সাথে কি হবে তার অপেক্ষা থাকোJust wait and watch কেবিনের ভিতরে ঢুকে।
মিষ্টি: আমিতো স্যারকে দেখেই ভয় পেয়ে গেলাম। স্যারকি সব শুনে ফেললো। মুখ দেখে তো বুঝা যাচ্ছেনা।
পরশ: এখন কেমন লাগছে মিষ্টি? ডাক্তারের সাথে কথা বললাম। ডাক্তার বললো,
মিষ্টি: কি বললো ডাক্তার ( এই ধরা খেয়ে গেলাম না তো। মনে মনে বললো।)
পরশ: ভয় পাচ্ছো কেন মিষ্টি।
মিষ্টি : কি বললো, ডাক্তার বলনেন না তো।
এই মুহূতের কেবিনে মিষ্টির বাবা ও পরশের বাবা ঢুকলো।
মিষ্টির বাবা: কি বললো ডাক্তার বাবা?
পরশ: তেমন কিছু না আঙ্কেল। আমার মনে হয় মিষ্টি আমাকে পরীক্ষা করছিলো। আমি ওকে কতোটা ভালোবাসি। তাইতো মিষ্টি।
মিষ্টি: স্যার তা কেনো, আমি তো জানি আপনে আমাকে কতোটা ভালোবাসেন।
পরশ: তাহলে বলছো, পরীক্ষা পাস করেছি।
মিষ্টির বাবা: কি বলছো, তোমরা আমি তো কিছুই বুঝতে পারছিনা।
পরশ: আমি বলছি, আঙ্কেল মিষ্টির আসলে কিছুই হয়নি। আমি ওর জন্য কি ফিল করি ওর অসুস্থ তার কথা শুনে আমার Reaction দেখা জন্য ও এই অভিনয়টা করেছে।
মিষ্টির বাবা: এটা তুই কি করেছিস মা। তুই কি জানিস তোর অসুস্থত হওয়ার পরে আমার মনের কি অবস্থায় হয়েছিলো। এটা তুই মোটেই ঠিক করলি না।
মিষ্টি: আমি শুধু বসে বসে শুনছিলাম। কি বলবো বুঝতে পারছিলাম।
পরশ: যেহেতু, আমি পরীক্ষাতে পাস করেছি তাই মিষ্টি চাইচ্ছে বিয়েটা আজই হোক। আর এই হাসপাতালের হোক। হাসপাতালের এতো গুলো মানুষ আমাদের বিয়ে সাক্ষী হোক।
মিষ্টি’ এ্যা
পরশ: এ্যা না হ্যা ( তুমি কি ভেবেছিলে মিষ্টি আমি কিছুই বুঝতে পারবো না। তুমি চলো ডালে ডালে আর আমি চলি পাতায় পাতায়)।
পরশ: বাবা, তোমরা সব ব্যবস্থা করো। ততখন মিষ্টি সাথে আমার কিছু কথা আছে। একে একে সবাই কেবিন থেকে বের হয়ে গেলো।
মিষ্টি: এটা কি করলেব,
পরশ: কি করেছি আমি, যা করার তুমিতো করেছো। এখন চুপচাপ বিয়েটা করে নেও।
মিষ্টি: পারবো না।
মিষ্টি: ভালোয় ভালোয় বিয়েটা করে নাও নইলে
মিষ্টি: নইলে কি………( চলবে)
বজ্জাত বর
লেখক বিলকিস
র্পব ৮
পরশ: নইলে সোজা আঙ্গুলে ঘি না উঠলে আঙ্গুল। বাকাতে হবে।
মিষ্টি: আপনার যা খুশি তাই করুন । আমি এ বিয়ে টা কিছুতেই করছিনা।
পরশ: ঠিক আছে। তারপর মিষ্টির দিকে এগুতে থাকে।
মিষ্টি: আপনি এভাবে এগিয়ে আসছেন কেন? দেখুন ভালো হবে না কিন…..
মিষ্টির পুরা কথা বলায় আগেই পরশ মিষ্টির ঠোঁটে কিস করতে শুরু করে। এদিকে মিষ্টি নিজেকে ছাড়ানো জন্য লাফালাফি করছিলো। তাই পরশ মিষ্টির দুই হাত চেপে ধরে। প্রায় ১০ মিনিট পর মিষ্টিকে ছারে। তারপর বলে,
পরশ: এখন যদি বিয়েতে রাজি না হও তাহলে যে কাজটা সবার আড়ালে করলাম সেটা সবার সামনেই করবো আর সময়টা ও কিন্তু বেশি হবে। এখন ভেবে দেখো তুমি কি করবে।
মিষ্টি: আমি ভাবতেই পারিনি স্যার আমাকে এভাবে কিস করে দেবে। আমার তো প্রায় দম বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। পাজি, এনাকুন্ডা, ডাইনাসোর, বজ্জাত শয়তান লোক একটা।কিন্তু স্যার যা বললো, তাতে তো আমি শেষ। সবার সামনে যদি আমাকে কিস করে তাহলে আমার মান সম্মান সব চলে যাবে।
পরশ: কি চিন্তা করলে? বিয়ে করবে নাকি।
মিষ্টি: না না আমি এ বিয়েতে রাজি।
পরশ: That is like a good girl.
তারপর হাসপাতালেই ছোটো খাটো আয়োজনের মধ্যে বিয়েটা সম্পূর্ন হয়।
এদিকে মিষ্টিতো ভাবনায় পড়ে গেলো।
পরশ: এই মেয়ের আবার কি হলো। একে কেনো বিশ্বাস নেই। মাথায় শুধু শয়তানি বুদ্ধি ঘুড়ে।
মিষ্টি: বিয়েতো হয়েই গেলো। কিন্তু এখন এমন কিছু করতে হবে যাতে স্যারের জীবনটা তেজপাতা হয়ে যায়।আর আমাকে নিজে থেকেই ডির্ভোস দিয়ে দেয়( মনে মনে বললো)।
তারপর মিষ্টিকে নিয়ে পরশ আর পরশের বাবা তাদের বাড়িতে যায়। পরশের মা মিষ্টিকে বরন করে নেয়।আর পরশ কাজ। আছে বলে বাইরে চলে যায়। মিষ্টি ভেতরে ঢোকার পর পরশের। মা ওকে জড়িয়ে ধরে বলে,
পরশের মা: আমার তোর মতো মেয়েকেই এতোদিন। দরকার ছিলো।
মিষ্টি: আমি তোমাকে কি বলে ডাকবো।
পরশের মা: কেন মা বলো ডাকবি।
মিষ্টি: আমি তোমাকে মামনি বলে ডাকলে কি তোমার আপক্তি আছে?
পরশের মা: আপক্তি থাকবে কেন? তোর যা ইচ্ছে তাই। বলে ডাকিস।
মিষ্টি: মামনি আমার না খুব। ক্ষিদে পেয়েছে। আমাকে কিছু খেতে দেবে।
পরশের মা: আহারে দেখেছিস কথা বলতে বলতে ভুলেই গেয়েছিলাম। আচ্ছা তুই। ফ্রেশ হয়ে আয় আমি টেবিলে খাবার। দিচ্ছি।
তারপর। পরশের মা দিশাকে( পরশের বোন) ডেকে ওর ঘরে নিয়ে যেতে বললো।
দিশা: চলো ভাবি। আমার। ঘরে গিয়ে ফ্রেশ হবে।
মিষ্টি: ঠিক আছে।
তারপর। দুইজনে দিশার ঘরে এসে মিষ্টি চিন্তার পড়ে গেলো।
দিশা: ভাবি, তুমি কি এতো ভাবছে?
মিষ্টি: হুম। আসলে আমার তো কেনো জামাকাপুড় আনিনি।
দিশা: আমি থাকতে তোমার। কেনো চিন্তা নাই।
আমি থাকতে তোমার কেনো চিন্তা নাই বলতে বলতে পরশের। মা ঘরে ঢুকলো। সাথে একটা শাড়ি আর। কিছু গহনা নিয়ে। আর। বলল,
ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে আয়। টেবিলে খাবার দিসি।
মিষ্টি: আচ্ছা মামনি তুমি এতো ভালো আর। তোমার ছেলে এতো বজ্জাত। কেনো। জম্মের পর মুখে মধু দেওনি না।
পরশের মা: কি? আমার ছেলেকে আমার। সামনেই বজ্জাত বলা।
মিষ্টি: যে যেমন তাকে তো তেমনই বলা উচিত তাইনা? তাই। বলে পেছনে তাকাতেই যা দেখলো তাতে মিষ্টির যে আজ কি হবে তাই ভাবছে……..
( চলবে)