বজ্জাত বর পর্বঃ ৫+৬

0
3158

বজ্জাত_বর
পর্বঃ ৫+৬
লেখক বিলকিস

.
সকালে মিষ্টি নিচে নামতেই অবাক।দেখে সোফায়
পরশ আর পরশের বাবা মিষ্টির বাবার সাথে কথা বলছে।
মিষ্টিকে দেখে ওর বাবা বলল,
মিষ্টির বাবা: ও মিষ্টি মা এসেছিস। পরশ বলছে কি নাকি
জরুরি কথা বলবে আর সেটা তোর সামনেই বলবে।
তাই তোর জন্য অপেক্ষা করছি।তো বাবা পরশ এখন
বলতে পরো কি বলবে।
পরশ: আসলে অঙ্কেল এমন একটা কথা যা বলতে
আমারও লজ্জা করছে। কিন্তু বলতে তো হবেই।
( মিষ্টির দিকে তাকিয়ে)
মিষ্টি’ : এই অাস্তো শয়তান টা এমন কি বলতে চায় যে
এতো ভনিতা করছে, বিরক্ত ( মনে মনে বলল)
পরশ: অঙ্কেল কালকে মিষ্টি আমাকে দেখা
করতে বলে।ওর নাকি কি জরুরি কথা আছে সেটা বলার
জন্য। আমি সেখানে যাই।তারপর মিষ্টি বলল,
মিষ্টি’ : স্যার,আপনাকে আমি একটা অনুরোধ করতে
চাই। যদি রাখেন?
পরশ: কি অনুরোধ বলো।
মিষ্টি: আসলে আমি চাই আমাদের বিয়ে টা খুব তারাতারি
হয়ে যাক।আমার বাবা আর আপনার বাবা দুজনেই যখন
চাইছেন।তাহলে তারাতারি হলে দোষ কি। আর আমি
আমার বাবা কে আর কষ্ট দিতে চাই না।
পরশ: কিন্তু মিষ্টি
মিষ্টি’: স্যার, কোন কিন্তু নয়।আপনি কাল সকালে বাবার
সাথে কথা বলে এক সপ্তাহের মধ্য বিয়ের তারিখ ঠিক
করুন।
পরশ: ঠিক আছে,তুমি যখন বলছো তাই হবে। ( সব
মিথ্যা কথা)
পরশ’ : তাইতো সকাল সকাল আমি আর বাবা এখানে
চলে আসলাম।
এদিকে মিষ্টিতো পরশের কথা শুনে অজ্ঞান হওয়ার
পথে।
পরশ মিষ্টির মুখের দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি
হাসছিলো।হঠ্যৎ করে মিষ্টি বলল,
মিষ্টি: কিন্তু বাবা
পরশ বুঝতে পারলো মিষ্টি বেঘরা দিতে চাইছে তার
আগের সামলাতে হবে।
*নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”*

পরশ: অঙ্কেল,মিষ্টি নিজের বিয়ের কথা বলতে
লজ্জা পারচ্ছে।
মিষ্টির বাবা: এটাতো ভালো কথা। এতে লজ্জা পাওয়ার
কি আছে।ঠিক আছে তোমরা উপরে গিয়ে কথা
বলো আমি আর আফজাল( পরশের বাবা) তোমাদের
বিয়ে তারিখ ঠিক করছি।
এদিকে মিষ্টি রাগে ফোস ফোস করছে।আর
পরশকে মনে মনে আস্তো শয়তান, ইদুর,
ডাইনাসোর, এনাকুন্ডা বলে গালি দিচ্ছে।উপরে গিয়ে
মিষ্টি পরশকে বলল,
মিষ্টি: আপনি এট কি করলেন।
পরশ: কেন,কি করেছি?
মিষ্টি: মিথ্যা বললেন কেন?
পরশ’: আমি কোন মিথ্যা বলিনি,তুমি তো আমাকে
বললেই পারতে যে তুমি আমাকে তারাতারি বিয়ে
করতে চাও।কাল ওই কাহিনী না করলেও পারতে।
আর হ্যা একটা কথা মনে রেখো তুমি যদি বুনো ওল
হও আমি তাহলে বাঘা তেতুল।
তারপর মিষ্টিকে একটা ভালোবাসার পরশ দিয়ে চলে
আসলো।
এদিকে মিষ্টিতো চিন্তায় পরে গেল।নাহ কিছু একটা
তো করতেই হবে।যে ভাবেই হক বিয়েটা
আটকাতেই হবে……( চলবে)
বজ্জাত বর
লেখক বিলকিস
র্পব ৬
বিছানা থেকে ফোন তুলে মিষ্টি বন্ধুদের কাছে কল দিলো।মিষ্টি বন্ধুদের কে বিকালো ওর বাড়িতে আসতে বললো।বিকালে মিষ্টির বাড়ির কলিং বেল বাজতে মিষ্টির বাবা দরজা খুলে দিলো।
মিষ্টির বাবা: ও তোমরা, ভিতরে এসো।
মিষ্টির বন্ধুরা: আঙ্কেল, মিষ্টি কোথায়?
মিষ্টির বাবা: মিষ্টি ওর ঘরেই আছে।তোমরা উপরে যাও।
বন্ধুরা মিষ্টির ঘরে গিয়ে বলল,
মিষ্টির বন্ধুরা: কি রে তুই, বিকালে তোর বাড়িতে আমাদের আসতে বললি কেন।
মিষ্টি: বলছি, তোরা আগে ভিতরে আয়।
মিষ্টির বন্ধুরা ঘরে ভিতরে ঢুকার পর।মিষ্টি ওর ঘরে দরজা বন্ধ করে দিলো।
মিষ্টির বন্ধুরা: ঘরের দরজা বন্ধ করছিস কেন?
রুমি( মিষ্টির বন্ধু): কি হয়েছে তোর
মিষ্টি: সর্বনাশ, হয়েছে।
রুমি( মিষ্টির বন্ধু): কি সর্বনাশ?
মিষ্টি: ওই( পরশ) শয়তান, এনাকুন্ডা, ডাইনাসোর টা সকালে বাড়িতে এসে বাবাকে মিথ্যা বলে এক সপ্তহের মধ্যে বিয়ে ঠিক করেছে।
মিষ্টির বন্ধুরা: এ্যা
মিষ্টি: হ্যা এখন কি করবো বুঝতে পারছিনা। এর জন্য তোদেরকে বড়িতে আসতে বলেছি।এখন তোরা একটা উপায় বের কর যাতে ওই এনাকুন্ডাটা নিজের থেকে বিয়েটা ভেঙ্গে দেয়।
মিষ্টির বন্ধুরা: তুই বড় চিন্তায় ফেলে দিলি।
মিষ্টি: তোরা আমার বন্ধু। আর বন্ধুর জন্য একটা উপায় বের করতে পারবি না।
আকাশ( মিষ্টির বন্ধু): আমাকে একটু ভাবতে দে।
মিষ্টি: পেয়েছিস
আকাশ( মিষ্টির বন্ধু): পেয়েছি
মিষ্টি: কি পেয়েছিস
আকাশ( মিষ্টির বন্ধু): স্যারকে ভুতের ভয় দেখা তে হবে।
মিষ্টি: মাথা মোটা গন্ডার তোর এই বুদ্ধি কোনো কাজে আসবে না। অন্য কিছু ভাবতে হবে।আমি একটা উপায় ভেবেছি।
মিষ্টির বন্ধুরা: কি উপায়?
মিষ্টি: তাহলে, শোন
সকালে মিষ্টি ঘুম থেকে ওঠে নিচে নামতে মাথা ঘুরে পরে যায়।মাথা ঘুরে পরে যাওয়াতে মিষ্টির বাবা মিষ্টিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।ডাক্তার মিষ্টিকে ইনজেরশন দিবে তখন মিষ্টি চোখ খুলে ডাক্তারকে বলে,আমার কিছু হয়নি।
ডাক্তার: তুমিতো মাথা ঘুরে পরে গিয়েছিলে তাই ইনজেরশন টা দেওয়া টা খুব দরকার।
মিষ্টি: ডাক্তার আঙ্কেল, আসলে বাবা আমাকে একটা মদ, গাজা, ইয়াবা খায় এমন ছেলে সাথে বিয়ে দিচ্ছে। আমি যদি এমন ছেলেকে বিয়ে করি তাহলে আমাকে মেরে ফেলবে।আপনি বলুন এমন ছেলেকে বিয়ে করা উচিত।তাই আমি মাথা ঘুরা নাটক করেছি। আপনি এখন শেষে ভরসা বিয়ে টা ভাঙ্গতে। please আঙ্কেল আপনি আমাকে সাহায্য করুন।
ডাক্তার: কি করতে হবে আমাকে?
মিষ্টি: তেমন কিছু করতে হবে না।শুধু বাহরে যেয়ে বলবেন আমার বড় রোগ হয়েছে।
ওদিকে মিষ্টির বাবা পরশকে ফোন দিলো।
পরশ: হ্যালো, আঙ্কেল, কেমন আছেন।
মিষ্টির বাবা: বাবা তুমি এই মুহূতে হাসপাতালে আসতে পারবে।
পরশ: কেন,আঙ্কেল কি হয়েছে।
মিষ্টির বাবা: মিষ্টি সকালে মাথা ঘুরে পরে যাওয়া জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তুমি তারাতারি এসো।
পরশ দেরি না করে গাড়ি নিয়ে হাসপাতালে চলে আসলে।
মিষ্টির বাবা: এসেছো বাবা
পরশ: ডাক্তার কি বলেছে আঙ্কেল?
মিষ্টির বাবা,: কিছু বলেনি
পরশ : ওইতো ডাক্তার, ডাক্তার কি হয়েছে মিষ্টির?
ডাক্তার: মিষ্টির অনেক বড় রোগ হয়েছে ক্যান্সার
ক্যান্সারে কথা শুনে পরশের মাথায় যেনো আকাশ ভেঙ্গে পরলো।পরশ ডাক্তার কথা না বলে মিষ্টির কাছে ছুটে গেলো।পরশ গিয়ে দেখতে পাই মিষ্টি মন খারাপ করে শুয়ে আছে।পরশ মিষ্টির কাছে গিয়ে মিষ্টির হাতটা ধরলো।পরশ কি বলবে ভেবে পারছিনা।
মিষ্টি: I am sorry sir
পরশ: sorry কেন?
মিষ্টি: স্যার আমি আপনাকে অনেক জ্বালিয়েছি তাই ক্ষমা চাইছি।আমি আর কয়দিন বাঁচবো জানি না বলে মিষ্টি কেদে ফেললো।স্যার আমার একটা শেষে কথা রাখবেন।
পরশ: কি কথা
মিষ্টি: স্যার আপনি একটা ভালো মেয়ে দেখে বিয়ে করে নিবেন।
পরশ কিছু না বলে রুম থেকে বের হয়ে আসলে।পরশ রুম বের হওয়া ওর মিষ্টির বন্ধুরা বললো
মিষ্টির বন্ধুরা: তুই যা অভিনয় করতে পারিস।স্যার কিছু বুঝতেই পরলো না। তোকে সেরা অভিনেএী পুরষ্কার দেওয়া উচিত।
মিষ্টি: আজ আমার খুর আনন্দ হচ্ছে। আনন্দে নাচতে ইচ্ছে করছে।ভাবছি একটা র্পাটি দেবো বলেই দরজার দিকে তাকাতেই…………
( চলবে)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে