বজ্জাত বর পর্বঃ ১১

0
2887

বজ্জাত বর
পর্বঃ ১১
লেখক বিলকিস

.
পরশ: মা তুমি ঠিকই বলেছিলে আমাদের হানিমনে যাওয়া উচিত। মিষ্টি তুমি ব্যাগপএ গুছিয়ে নাও। আমরা হানিমনে যাবো আর আগামী কালকে যাচ্ছি।
মিষ্টি: হানিমনের কথা শুনে যেনো মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। স্যার আপনি না সকালে বললেন আপনের কলেজের কাজ আছে তাই হানিমনে যেতে পারবেন না।
পরশ: হুম, বলেছিলাম তাই আবার বলছি আমারা হানিমনে যাচ্ছি আর সেটা কালকে।
মিষ্টি: স্যার, আমি যেতে পারবোনা।
পরশ: কেন, পারবেনা?
মিষ্টি: স্যার আমার পরীক্ষা আর কিছুদিন বাকি আছে এখন থেকে পড়াশুনাটা শুরু করা উচিত।
পরশ: তুমি আর পড়াশুনা । আমি যতোদুর জানি তোমার নামটা সবার নিচে তাইতো।
মিষ্টি: সবার নিচেতো কি হয়েছে। এবার সবার উপরেই থাকবে আপনে দেখে নিয়েন।
পরশ: তা নয় দেখে নেবো। তবে যাই বলো না কেন আমরা কাল হানিমনে যাচ্ছি তো যাচ্ছি বলে পরশ নিজের রুমে চলে গেলো।
এদিকে মিষ্টি সোফায় বসে পড়লো দিশা মিষ্টির কাছে এসে বললো,
দিশা: ভাবী, কি ভাবচ্ছো?
মিষ্টি: কিছু না।
দিশা: ভাবী, কাল তুমি আর ভাইয়া হানিমনে যাবে অনেক জায়গার ঘুরবে আর দুজনে চুটিয়ে প্রেম করবে।
মিষ্টি: প্রেম আর ওই বজ্জাতটার সাথে অসম্ভাব।
মিষ্টি অনেকক্ষন দিশা আর মামনি সাথে গল্প করার পর ঘরে গিয়ে দেখলো পরশ ল্যাপটপে কাজ করছে।
মিষ্টি: যাক ভালোই হলো। স্যারকে বুজিয়ে সুজিয়ে হানিমনটা বন্ধ করতে হবে( মনে মনে বললো)
পরশ: দরজার সামনে সঙের মতো দাড়িয়ে আছো কেন?
মিষ্টি: একটা কথা বলার ছিলো। বলা যাবে কি?
পরশ: হানিমুনের টপিয়স বাদ দিয়ে যা খুশি বলতে পারো।
মিষ্টি: কিন্তু স্যার
পরশ: কোনো কিন্তু নয়।
মিষ্টি: বজ্জাত একটা।
পরশ: কি বললে? আবার বলো।
মিষ্টি: বললাম আপনি একটা বজ্জাতের হাড্ডি বলেই মুখে হাত চেপে মুখ বন্ধ করে ফেললাম। এই রে এখন। আমার কি হবে।
পরশ: আমি বজ্জাত? ঠিক আছে তাহলে বজ্জাতের মতো একটা কাজ করেই ফেলি কি বলো।
কথাটা বলেই পরশ মিষ্টি দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
মিষ্টি: একি, আপনি আমার দিকে এগিয়ে আসছেন কেন? আপনি কিন্তু আমার কাছে আসবেন না বলে দিচ্ছি।আমি পিছুতে পিছুতে দেয়ালের সাথে লেগে গেলাম আর সাথে সাথে চোখ বন্ধ করে ফেললাম।
পরশ: মিষ্টি কথা বলতে বলতে দেয়ালের সাথে লেগে গেলো। আমি ওর কাছে গেলাম। খুব কাছে দাড়িয়ে মিষ্টির মায়াবি চেহারাটা দেখছিলাম কি মায়াময় ও। কিন্তু এতো দুষ্টু কেনো।
মিষ্টি: অনেক্ষন কেনো সারা না পেয়ে চোখ খুলে তাকালাম। দেখি স্যার একদম আমার কাছে । আমার দিকে তাকিয়ে মিট মিট করে হাসছে। আর তারপর স্যার যেটা বললেন আমিতো শার্ট।
পরশ: ও চোখ খুলে তাকাতে আমি ওর গালে একটা চুমো খেয়ে বললাম। ভয় নেই, এখন কিছু করছিনা। সবটাই হানিমুনের জন্য তোলা রইল। ফুলটাইম রোমান্স হবে। এখন ঘুমিয়ে পড়ো। আর হ্যাঁ আজ কেনো লোকচার শুনতে চাইনা। তুৃমি বিছানায় শুয়ে পড়ো। তবে হ্যা অবশ্যই distance রেখে বুঝেছো।
মিষ্টি: শয়তান একটা আমি তোর কাছে যায় না তুই আমার কাছে আসিছ।( মনে মনে বললো)
তারপর দুজনই ঘুমিয়ে পড়লো।
পরেদিন সকাল। ৭:৩০ মিনিটে মিষ্টি আর পরশ। বাসার সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে কক্স বাজারের উদ্দ্যশে রওনা দিলো। ট্রেনে কেউ কারোর সাথে তেমন কথা বলেনি। ওদের। কক্সবাজারে আসার আগেই ঠিক করে রাখা হোটেলে পৌছতে পৌছতে ৬ টা বেজে যায়। তারপর রিসেপশন থেকে চাবি নিয়ে ওরা রুমে যায়।
মিষ্টি আর পরশ খুবই ক্লাস ছিলো। তাই ফোন করে কিছু খাবার রুমে আনতে বললো।
মিষ্টি: স্যার আমি আগে ফ্রেশ হবো।
পরশ: তো তোমাকে ধরে রেখেছে কে? নাকি আমার হাতে ফ্রেশ হতে চাইছো।
মিষ্টি কথাটা শুনেই ওয়াশরুমে দৌড়। কিন্তু বিপত্তি বাধলো তখন যখন দেখলো ও কেনো কাপুড় সাথে নিয়ে ওয়াশরুমে যায়নি। তাই ফ্রেশ হওয়ার পর দরজা হালকা খুলে দেখলো পরশ সোফায় বসে চোখ বন্ধ করে রেখেছে। তাই মিষ্টি বলল,
মিষ্টি: এই যে শুনছেন
পরশ: বলে ফেলো।
মিষ্টি: বলছিলাম যে আমার জামাটা একটু দেবেন? না মানে আনতে ভুলে গেছি।
পরশ: আমি দেখলাম ও তাওয়াল পড়ে দাড়িয়ে আছে। যাই একটু ভয় দেখানো যাক।
মিষ্টি: একি ওনি এদিকে কেনো আসছেন আর এরকম বজ্জাতের মতো হাসছেন কেনো।
পরশ: বাহ, মিষ্টি তোমাকে তো তাওয়াল পড়ে খুব সুন্দর লাগছল।
কথাটা শুনেই মিষ্টি চোখ বড় বড় করে তাকালো। নিজের দিকে তাকিয়ে দেখলো সে দরজা একেবারে খুলে দাড়িয়ে আছে।
পরশের কাছ থেকে জামাটা নিয়েই দরজা বন্ধ করে দিলো।
তারপর পরশও ফ্রেশ হয়ে দুজনই নাস্তা করে ঘুমিয়ে গেলো।
পরেদিন সকালে…….
( চলবে)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে