বজ্জাত বর পর্বঃ১০

0
3003

বজ্জাত বর
পর্বঃ১০
লেখক বিলকিস

.
মিষ্টি পানির জগ নিয়ে দাড়িয়ে আছে আর মিট মিট করে হাসছে।
পরশ: কি করলে এটা( রাগী গলায়)
মিষ্টি: কি করেছি, বিছানাতে পানি ঢেলে দিয়েছি।
পরশ: কেন করলল?
মিষ্টি: স্যার আমি আপনার স্ত্রী মানেন তো?
পরশ: এ সবের মানে কি?
মিষ্টি: আচ্ছা স্যার বলুনতো স্ত্রী কে আর কি বলা যায়। আপনি হয়তো জানেননা। ঠিক আছে আমিই বলে দিচ্ছি। স্ত্রীর আরেক নাম সহধর্মীনি। অর্থ্যৎ সমান অধিকার।
পরশ: তুমি কি এখন আমাকে লেকচার দিবে?( রাগী গলায়)
মিষ্টি: না স্যার, আমিতো আপনাকে পাপ থেকে বিরতি রাখার চেষ্টা করছি।
পরশ: মানে কী?
মিষ্টি: এই যে , আপনি বিছানাতে ঘুমাচ্ছেন আর আমি নিচে। এটাতো ঠিক না। আর এতে আপনার পাপ হচ্ছে। তাই আমি বিছানাতে পানি ঢেলে আপনাকে পাপের হাত থেকে রক্ষা করেছি স্যার।
পরশ: What the hell.
মিষ্টি: কালকে যদি আপনি আবার এই কাজ করেন তাহলে আমিও একই ঘটনার পুনারবৃওি ঘটাবো স্যার।
পরশ: দাঁতের পর দাঁত রেখে আমার ইচ্ছে করছে তোমাকে এক থাপ্পারে ৩২ টা দাঁত ফেলে দেয়।
মিষ্টি: স্যার আমার এখানে ৩২ টা দাঁত হয়নি। ৩২ টা হতে আরো ২ টা বাকি আছে। আপনি ৩২ টা দাঁত ফেলবেন কি করে।
পরশ: আমার রাগ কিন্তু চরম পর্যার পৌছে যাচ্ছে এবার সত্যি সত্যি থাপ্পর খাবে বলে মিষ্টি দিকে হাত নিলেই মিষ্টি জোরে জোরে বলে ওঠলো,
মিষ্টি: মামনি তোমার ছেলে আমাকে মারছে বলতেই
পরশ মিষ্টির মুখে হাত চেপে ধরে আর বলে
পরশ: মাকে ডাকচ্ছো কেনো।
মিষ্টি: মুখ থেকে হাতটা ছারিয়ে নিয়ে বললো আপনি আমাকে মারবেন তাই মামনিকে ডাকচ্ছি।আপনি আমাকে মারবেন আর মামনি আপনাকে মারবে হয়ে গেলো সমান সমান।
পরশ: This is. to much
বলে মেঝেতে শুয়ে পড়লো।
মিষ্টি পরশের তাকিয়ে হাসতে হাসতে নিজেই এক সময় ঘুমিয়ে পড়লো।
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে পরশ ঘরে নেই। মিষ্টি হাই তুলতে তুলতে বললো,
মিষ্টি: যাক, বজ্জাতটা ঘরে নেই। নিচে শুয়ে আমার হাত- পা ব্যাথা হয়েগেছে যাই। বিছানাতে আর একটু ঘুমিয়ে নেই বলতেই, পরশ সামনে এসে বললো,
পরশ: কয়টা বাজে?
মিষ্টি: আপনার ঘড়িতে দেখে নিন কয়টা বাজে । ৭ বা ৭:৩০ হয়তো বাজবে।
পরশ: ৭ বা ৭:৩০ নয়। ৮:৩০ টা বাজে এখন তুমি তাড়াতাড়ি রেডি নিচে এসো। আর হ্যা ৫ মিনিটের মধ্যে যেনো নিচে দেখতে পাই নইলে বলে পরশ বলে ঘর থেকে বের হয়ে গেলো।
মিষ্টি পরশের কথা এক কান শুনলো আর অন্য কান দিয়ে বের করে দিয়ে বিছানাতে ঘুমিয়ে পড়লো। হঠ্যাৎ করে মিষ্টি ঘড়ি দিকে তাকিয়ে দেখে ৮:৩০ বাজতে আর ৫ মিনিট বাকি আছে। মিষ্টি তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিচে নামতে নামতে বললো,
মিষ্টি: বজ্জাতটা যে কি বলবে আল্লাহ জানে।
মিষ্টিকে নিচে নামতে দেখে মামনি বলে উঠলো,
মামনি: কি রে মা ঘুম ভেঙ্গেছে।
মিষ্টি: মাথা নারিয়ে বললো, হ্যা। বলে পরশের দিকে তাকিয়ে দেখে পরশ ওর দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে আছে।
মামনি: কি রে মা ওখানে দাড়িয়ে আছিস কেন তুই। এদিকে আয়।
মিষ্টি তাড়াতাড়ি করে মামনি কাছে গিয়ে বললো,
মিষ্টি: মামনি তুমি কি করচ্ছো। চা বানাচ্ছো।
মামনি: হ্যা মা, তুই এখানে বস আমি চা বানিয়ে দিচ্ছি তুই পরশ আর বাবাকে দিয়ে আসবি।
মিষ্টি: মামনি, একটা কথা বলবো।
মামনি : কি বলবি বল,
মিষ্টি: আসলে মামনি আজকে চাটা আমি বানায়।
মামনি: এতো ভালো কথা এতে বলায় কি আছে ।
পরশ: মা ও বানাবে চা তাহলে আজ চা খাওয়াই হবেনা।
মিষ্টি: আমি মোটেও খারাপ চা বানাই না।
পরশ: ok দেখা যাক।
মিষ্টি আর কিছু না বলে চা বানাতে বসলো।১০ মিনিট পর চা বানিয়ে নিয়ে আসলো। প্রথমে বাবাকে চা দেওয়ার পর। একে একে সবাইকে দিলো।
পরশ চা মুখে দিয়ে বললো,
পরশ: না ও, অন্য কিছুই না পারলে চাটা বেশ ভালোই বানাতে পারে ( মনে মনে বললো)
মামনি: তুই তো খুব ভালো চা বানাতে পারিস।
দিশা: ভাবী, চা টা সত্যি খুব ভালো হয়েছে।
মিষ্টি: কেউ আমাকে বলেছিলো আমি নাকি চা বানাতে পারিনা।
পরশ: হুম হয়েছে, এক কাপ চা বানাতে পারলে আর সব কিছু পারা যায়না।
বলে উঠে চলে যাবে তখন। পরশের মা পরশকে ডাক দিয়ে বললো,
পরশের মা: আমি আর তোর বাবা ঠিক করেছি তোরা দুজন আগামী সপ্তহের হানিমনে যাবি।
পরশ: আমার পক্ষে এখন হানিমনে যাওয়া সম্ভাব না। কলেজে অনেক কাজ পরে আছে।
পরশের মা: তা বললেই হবেনা। নতুন বিয়ে করেছিস আর হানিমনে যেতে হবে মানে যেতেই হবে আর আমার শেষ কথা।
মিষ্টি: মামনি, স্যারকে কেনো জোর করছো স্যার যখন বলছে যাবেনা তো যাবেনা। এই বজ্জাতটার সাথে হানিমন অসম্ভব( মনে মনে বললো)
পরশ আর কিছু না বলে রুমের গিয়ে রেডি হয়ে কলেজের চলে গেলো। সন্ধ্যায় মিষ্টি , মামনি, আর দিশা সোফায় বসে গল্প করছে এমন সময় পরশ এসে বললো…….
( চলবে)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে