বজ্জাত বর
পর্বঃ০৯
লেখক বিলকিস
.
মিষ্টি তাকিয়ে দেখে পরশ ওর দিকে তাকিয়ে আছে।
মিষ্টি: আমিতো শেষ। অদ্ভুততো স্যার আমাকে কিছু বলছেনা কেন?( মনে মনে বললো)
পরশ: বলো বলো যতো বলায় বলে নেও। পরে বুঝতে পারবে এর পরিনামে কি আছে?( মনে মনে বললো)
পরশের মা: বাবা, এসেছিস
পরশ: হ্যা মা, মা আমার খুব ক্ষিদে পেয়েছে খেতে দেও।
পরশের মা: ও হ্যা চল, সবাই। খাবারের টেবিলে চলো।আয় মা তুই আয়।
মিষ্টি’ : মামনি চলো, আমার ক্ষিদে আর সয্য হচ্ছেনা?বলে মিষ্টি পরশের দিকে তাকিয়ে দেখতে পায় পরশ ওর দিকে একধারে তাকিয়ে আছে।
পরশের মা: দাড়িয়ে আছিস কেনো চল,
সবাই খাবার টেবিলের গিয়ে বসলো, পরশের মা সবাইকে খাবার দিলো। সবাই খাওয়া শুরু করেছে কিন্তু মিষ্টি কিছুই খাচ্ছেনা।
পরশের মা: কি রে মা তুই কিছুই খাচ্ছিস না। রান্না ভালো হয়নি।
মিষ্টি: না মামনি, আসলে আমিতো নিজে হাতে খেতে পারিনা। ছোটো বেলায় মা মারা যাওয়া পর থেকে বাবা খাইয়ে দিয়েছে তাই।
পরশের মা: ও তাই আগে বলবিতো। মা নেই তো কি হয়েছে আমি তো তোর মা। আজ থেকে আমি তোকে খাইয়ে দেবো।
পরশ: মা ওকে মাথায় তুলো না কিছুদিন পর দেখতে পাবে ও তোমার মাথায় উঠে নাচছে।
পরশের মা: মার খাবি তুই। মা তুই ওর কথায় কিছু মনে করিস না।
মিষ্টি: না মামনি, যা তার কথায় আমি কিছু মনে করি না।
পরশ: আমি কে সেটা একটু পরেই বুঝবে। ( মনে মনে বললো)
খাওয়া শেষ করে পরশ আর পরশের বাবা টেবিল উঠে চলে গেলো। মিষ্টি, মামনি আর দিশা ডাইনিং রুমে বসে গল্প করচ্ছে। কিছুক্ষন গল্প করার পর মামনি বললো,
মামনি: দিশা তোর ভাবীকে ভাইয়া ঘরে দিয়ে আয়।
মিষ্টি: মামনি, আর কিছুক্ষন গল্প করিনা।
মামনি: অনেক রাত হয়েছে মা এবার ঘরে যা। আর পরশ তোর। জন্য অপেক্ষা করছে।
মিষ্টি: অপেক্ষা না ছাই করছে। ঘরে গেলে যে আমার কি হাল করবে সেটা শুধুই আমিই জানি। হে আল্লাহ তুমি আমাকে আজ। রক্ষা করো।
দিশা মিষ্টিকে নিয়ে পরশের ঘরে গিয়ে মিষ্টিকে খাটের। উপর বসিয়ে দিয়ে বললো,
দিশা: ভাবী, এ যে তোমার ঘর। আর তোমার ঘরে তোমাকে দিয়ে গেলাম।
মিষ্টি : ঘরের চারদিকে তাকিয়ে দেখে বললো, ঘরটা সুন্দর করে সাজানো গোছানো।
দিশা: হ্যা, ভাইয়া একটু এলোমেলো পছন্দ করে না তাই নিজেই ঘরটা সুন্দর। করে সাজিয়ে রাখে। ভাবী তুমি বসে থাকো আমি এখন যাই।
মিষ্টি: কোথায় যাচ্ছো, আর। কিছুক্ষন থাকো না।
দিশা: ভাবী, তোমাই বলতেই পরশ ঘরে মধ্যে ঢুকতে দিশা বললো ভাবী এই তো ভাইয়া এসেগেছে। ভাইয়া তোর আমানত তোর কাছে দিয়ে গেলাম।
পরশ: তুই বেরহো ঘর থেকে।
দিশা: যাচ্ছি যাচ্ছি , ভাবী তোমার বজ্জাত বরকে সামলাও।
পরশ: মার খাবি এবার যা বলছি।
দিশা: ok ok good night. ভাবী ।
বলেই দিশা ঘর থেকে হতেই। পরশ ঘরের দরজা বন্ধ করে দিলো।
মিষ্টি: দরজা বন্ধ করছেন কেন?( কাপো কাপো গলায়)
পরশ: আমার ইচ্ছা তাই বলে মিষ্টি সামনে এসে দাড়িয়ে বলো,
পরশ: নামো
মিষ্টি: মা.. মা… মানে
পরশ: শুনতে পাচ্ছো না খাট থেকে নামতে বলছি।
মিষ্টি কিছু না বলে খাট থেকে নেমে পড়লো। পরশ মিষ্টির হাতে একটা বালিশ ধরিয়ে দিয়ে বললো,
পরশ: এই নাও বালিশ। আর ওখানে মাদুর আছে বিছিয়ে শুয়ে পরো।
মিষ্টি: আমার নিচে শুয়োর অভ্যাস নাই।
পরশ: অভ্যাস নাই তো কি হয়েছে আজ থেকে অভ্যাস। করে নাও।আর হ্যাঁ আমাকে ডিস্টাব করোনা । আমার খুব ঘুম পাচ্ছে বলে বিছানাতে উপর হয়ে শুয়ে পরলো।
মিষ্টি আর কিছু না বলে নিচে মাদুর পেতে শুয়ে পরলো আর রাগে গজ গজ আর বলছে,
মিষ্টি: আমাকে নিচে শুতে দিচ্ছিস তো তোর কেনোদিনও ভালো হবেনা।শয়তান। কোথাকর। কাল থেকে তুই নিচে শুবি আর আমি উপরে দেখে নিস।
পরশ: গালি দেয়া শেষ হলে ঘুমিয়ে পড়ো। বলেছিনা আমাকে ডিস্টাব করবেনা।
মিষ্টি: এর জন্য দেখছি মনে মনে কথা বলা যাবে না( মনে মনে বললো)
আমি কখন আপনাকে ডিস্টাব করলাম।
পরশ: মনে মনে এতো জোড়ে আমাকে গালি দিলে তো আমার ডিস্টাব হবেই।
মিষ্টি: বেটা বজ্জাত কোথাকর।
পরশ মাঝরাতে হঠ্যৎ বিছানাটা ভেজা ভেজা মনে হচ্ছিলো।প্রথম গুরত্ব না দিলেও পরে দেখলাম বিছানার সাথে আমিও ভিজে গেছি। চোখ খুলে দেখি…….
.( চলবে)