Monday, October 6, 2025







বাড়ি"ধারাবাহিক গল্প"প্রেয়সীর শব্দপ্রেমপ্রেয়সীর শব্দপ্রেম পর্ব-১৫ (প্রথম খন্ডের সমাপ্তি)

প্রেয়সীর শব্দপ্রেম পর্ব-১৫ (প্রথম খন্ডের সমাপ্তি)

#প্রেয়সীর_শব্দপ্রেম [১৮+এলার্ট]
#ফারজানা_মুমু
[১৫]

পুরো রুম জুড়ে ঝ’গড়া,মনমালিন্য,চেঁচামেচি। রুমে থাকার জো নেই। ঝড়ের তান্ডব অনেকক্ষণ ধরে চলছে মেঘের বাড়িতে। জেসমিন সবটা সময় মাথা নিচু করে তাসলিমা বেগমের বকা শুনে গেল। বলার মত বাক্য তার শব্দ ভান্ডারে নেই। মেঘের বাবা জনাব মানিক মিয়া বোনের সামনে দাঁড়িয়ে গম্ভীর ভাব এঁটে বললেন, তোর মেয়েকে এক্ষুনি বাসায় আসতে বল। বাসার ঝগড়ার কথা বলবি না। রগচটা মেয়ে ঝামেলার কথা শুনলে আসবে না। পুরো বাপের স্বভাব পেয়েছে। কথার হেরফের হলে তুই সহ তোর ছোট মেয়েকে ঘর থেকে বের করে দিবো। তোদের জন্য আমার ছেলের জীবনটা নষ্ট করতে পারব না। ভালোর জন্য বলছি মেনে নে।

বড় ভাইয়ের হুমকিতে আঁচলে মুখ লুকালো জেসমিন। কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই বলে আজ মেয়েদের নিয়ে অন্যর বাসায় থাকতে হচ্ছে। অপমান,লাঞ্ছনা ভালো লাগছে না আর। এক বোতল বি’ষ গলায় ঢালতে পারলে শান্তি লাগতো এরূপ অবস্থা। জেসমিন চোখের পানি মুছলো। ঝুমঝুমিকে ফোন দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করল। মেয়েদের ভালোর জন্য না হয় আজ একটু স্বার্থপর হলো। ধ’র্ষি’তা মেয়ের জন্য ভালো ঘর আসবে না। মেঘ খারাপ হলেও ঝুমঝুমিকে ভালো রাখবে সেসাথে ঝর্ণাও। নিজের খুশির চিন্তা বাদ দিয়ে দিছে অনেক বছর আগে ই। মেয়ে দুটোর একটা ঠাঁই মিললে চোখ বুজলেও শান্তি।

_________________________

সন্ধ্যা হলো। এয়ারপোর্ট যাওয়ার আগে আষাঢ় ঝুমঝুমির সাথে দেখা করতে আসলো। ঝুমঝুমি তখন বাসায় ফিরেছে। আষাঢ় চকিতে আরাম করে বসে উপন্যাসের বই ঘাটছে। ঝুমঝুমিকে দেখতে পেয়ে বই রেখে উঠে দাঁড়াল। বিষণ্ণ মুখশ্রী অভিমানে ভরপুর। বলল,
-” তোমার জন্য অপেক্ষা করছিলাম।

কথাটি বলে দম নিয়ে আবারও বলল, খুব মিস করব তোমায়। অডিও কল দিবো প্লিজ রিসিভ কর। কথা বলতে ইচ্ছে না হলে বলতে হবে না তোমার নিঃশ্বাসের শব্দ শুনতে পারলেই হবে। নিজের যত্ন নিও, সমস্যায় পড়লে হিরণ কিংবা মিরাজকে বলো। সময় খুব অভিমানী, তাকে অবহেলা করলে সেও মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে চলে যাবে; একবারও পিছন ঘুরে তাকাবে না। আমার অপেক্ষায় থেকো তেজপাতা কারণ আমিও সময়ের মত।

আষাঢ়ের গলা ধরে আসলো। ছেলেদের কাঁদতে নেই কিন্তু আষাঢ়ের আজ খুব কান্না পাচ্ছে। ঝুমঝুমির উত্তরের আশা না করেই বেরিয়ে পড়ল রুম থেকে। আষাঢ় চলে যাবার পরেই ঝুমঝুমি ফ্লোরে লুটিয়ে পড়ল। শক্তপোক্ত মেয়েটি হঠাৎ করেই বাচ্চাদের মত আচরণ করল। হাউমাউ করে কেঁদে উঠল। কিছু সময় পূর্ব পর্যন্ত ভেবেছিল আষাঢ়কে মনের কথা বলবে কিন্তু সেকথা আর হলো না বলা। ঝুমঝুমিকে কাঁদতে দেখে নীরা-তৃষ্ণা জড়িয়ে ধরল। ঝুমঝুমি কাঁদছে ব্যাপারটি হজম হলো না ওদের। মেইন দরজা বন্ধ করে ঝুমঝুমিকে ঘিরে ধরল। তৃষ্ণার কাঁধে মাথা রেখে ক্রন্দন মিশ্রিত কণ্ঠে বলল,
-” আষাঢ়ের সাথে আমার ভাগ্যটা লিখা নেই রে। অ’ভি’শ’প্ত জীবনের বোজা সহ্য হচ্ছে না আমার। কঠিন হৃদয়ে প্রেমের চাষ করা আষাঢ় কেন আমার হলো না। আমি কেন আষাঢ়কে বলতে পারলাম না আমার মনের কথা।

নীরা বাচ্চাদের মত কান্না করল। জড়িয়ে ধরে বান্ধবীর মাথা বুকের সাথে মিশিয়ে বলল, চিন্তা করিস না আমি হিরণকে বলব তুই আষাঢ় ভাইকে ভালোবাসিস। আষাঢ় ভাই তো তিনমাস পর চলে আসবে বোকা মেয়ে।

ঝুমঝুমি কান্না থামাল। নীরার বুক থেকে মাথা সরিয়ে ওড়না দিয়ে চোখ মুছলো। কিছুক্ষণ আগের করা কান্না নিমিষেই ভুলে গেল। নির্বাক হয়ে তৃষ্ণা ও নীরার মুখের দিকে চেয়ে রইল। তৃষ্ণার গলা শুকিয়ে আসলো। হঠাৎই ঝুমঝুমির অস্বাভাবিক আচরণ দেখে বুক ধড়ফড় করল। শান্ত কণ্ঠে প্রশ্ন ছুড়লো,
-” কী হয়েছে তোর?

তৃষ্ণার প্রশ্নে উত্তর না দিয়ে নীরাকে মনোযোগ দিয়ে দেখল ঝুমঝুমি। কাটকাট গলায় ধমকে বলল, আমার অনুভূতি কাউকে বলবি না তোরা।

ঝুমঝুমি উঠে দাঁড়াল। ব্যাগপত্র গুছাতে শুরু করল। নীরা-তৃষ্ণা অবাক হয়ে জানতে চাইল, ব্যাগ গোছাচ্ছিস কেন? কি হয়েছে তোর ঝুমি?

শক্ত কণ্ঠেই বলল ঝুমঝুমি, মায়ের ঋণ পরিশোধ করতে যাচ্ছি।

বাক্যতে ছিল তাচ্ছিল্য। তৃষ্ণা ভয়ার্ত মুখশ্রী নিয়ে বলল, ম-মানে?

ডুকরে কেঁদে উঠল ঝুমঝুমি। দুই বান্ধবীকে জড়িয়ে ধরে বিলাপ করল, কখনও শুনেছিস মা-বাবার ঋণ পরিশোধ করা যায়? যায় না। কিন্তু আমার মা আজ আমার কাছে ঋণ পরিশোধ করার জন্য ভিক্ষা চাচ্ছে। মেঘ ভাইকে বিয়ের করার জন্য রাজি হতে বলেছে। মায়ের অনুরোধ না শুনে থাকা যায়?

নীরা রেগে গেল। বলল,
-” আন্টির অন্যায় কথা তুই মানবি কেন? মেঘ কেমন তুই জানিস না? আমি এক্ষুনি হিরণকে বলছি।
-” কাউকে কিছু বলতে হবে না। আমার অনুভূতি সম্পর্কে আমরা তিনজন জানি, চতুর্থ লোক যেন জানতে না পারে। আমার বিশ্বাসের মূল্য দিস। বিশ্বাসঘাতকতা করিস না।

তৃষ্ণা রুখে দাঁড়াল। রাগ দেখিয়ে বলল, জীবনটা ছেলেমানুষী নয় ঝুমি।
-” জীবন কেমন তা আমার থেকে ভালো কেউ জানে না তৃষ্ণা। মায়ের অনুরোধ,চোখের পানি আমার বুকে কষ্টের পাহাড় বসিয়েছে। নিজেকে নিয়ে চিন্তা হয় না আমার। মা-বোন নিয়েই আমার চিন্তা। আষাঢ় যদি কখনও আমার কথা জানতে চায় বলে দিবি ঝুমঝুমির বিয়ে হয়ে গেছে। স্বামী সংসার নিয়ে খুব সুখে সে,বিরক্ত করতে না আসে। আর বলিস ঝুমঝুমির অপেক্ষায় না থাকতে।

এক কথাতেই অনড় ঝুমঝুমি। তৃষ্ণা-নীরা অনেকবার বুঝানোর চেষ্টা করেছে কিন্তু লাভ হয়নি। মানুষ বলে না , অবুঝকে বোঝ দেওয়া যায় কিন্তু বুঝদার মানুষকে বোঝ দেওয়া যায় না। বাসা থেকে বেরিয়ে পড়ল ঝুমঝুমি। আজকের পর থেকে এ বাসায় আর থাকা হবে না ওর। প্রিয় বান্ধবীদের সাথে জড়াজড়ি করে ঘুমানো, খাওয়া,খুনসুটি, ঝগড়া কিছুই হবে না আর। বুক চিঁরে কষ্টরা বেরিয়ে আসতে চাইলো। মোবাইলের দিকে তাকিয়ে দেখল সাতটা ত্রিশ মিনিট। বাসের জন্য বসে রইল বাস স্ট্যান্ডে। মনে করল কিছু সময় আগের কথা।

টিউশনি শেষ করে বাসায় ফিরছিল ঝুমঝুমি। তখনই মেঘের সাথে দেখা হয়ে যায় ওর। এতদিন পর মেঘকে দেখতে পেয়ে ভ্রু কুঁচকে যায়। হাসি-হাসি মুখ করে মেঘ বাইক নিয়ে সামনে দাঁড়িয়ে বলে,
-” আজকের পর থেকে তুই আর কখনই আমার অবাধ্য হতে পারবি না ঝুমঝুমি। আমাকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে যা। রাজি না হলে তোর বোনের জীবনে নতুন ঝড় নিয়ে আসবো। আমি কথার হেরফের করি না ভালো করেই জানিস। ফুপু ফোন দিবে রাজি হয়ে যাবি। আগামীকাল সকালে বিয়ে হবে চলে আসবি।

মেঘ চলে গেল। এক মুহুর্ত সময় নষ্ট করল না সে। ঝুমঝুমি তখনও মেঘের যাবার পথে চেয়ে রইল। ঝর্ণার বিপদ শুনে ভয়ে শিউরে উঠল। এসময়ে ফোন আসলো জেসমিন বেগমের। কেঁদে-কেঁদে মেয়ের কাছে ভিক্ষা চাইলেন বললেন মায়ের ঋণ পরিশোধ করতে। সবকিছু এত তাড়াতাড়ি হয়ে গেল ঝুমঝুমি বুঝতে পারলো না। হ্যাং হয়ে রাস্তায় বসে পড়ল। একদিকে মেঘের হুমকি অন্যদিন মায়ের ঋণ এলোমেলো করে দিলো তাকে। মেঘের চেহারায় স্পষ্ট দেখতে পেল প্রতিশোধ নেশা। বিয়েতে রাজি না হলে ঝর্ণার ক্ষতি সে করবে একশো ভাগ নিশ্চিন্ত। মাথাও তখন কাজ করছিল না। দুঃচিন্তায় মাথা নিস্তেজ থাকে, বুদ্ধি আসে না। স্ট্রং মেয়েটি সমস্যায় পরে সিদ্ধান্ত নিলো মেঘকে বিয়ে করবে। এছাড়া উপায় খোঁজে পেল না।

____________________________

অনেক রাতে মামার বাসায় পৌঁছে ঝুমঝুমি। মায়ের সাথে কথা হয়নি। জেসমিন কিংবা ঝুমঝুমি কেউ চাচ্ছে না একজন আরেকজনের সাথে কথা বলতে। জেসমিন চাচ্ছে না স্বার্থপরের মত কাজ করে মেয়ের কথার সম্মুখে পড়তে অন্যদিকে ঝুমঝুমি চাচ্ছে না অভিমানে। সারারাত জানালার ধারে বসে সময় কাটিয়েছে ঝুমঝুমি। তৃষ্ণা-নীরা ফোন দিয়েছে অনেকবার কিন্তু ফোন ধরেনি ঝুমঝুমি। পরে অবশ্য বন্ধ করে রেখেছে ফোন।

সকাল হলো, ঝুমঝুমির জীবন অন্ধকারে ঠেলে দেওয়ার সময় হলো। ব্যাস্ত হয়ে পড়ল তাসলিমা বেগম। একমাত্র ছেলের বিয়েতে অনেক কিছু করবে ভেবেছিল কিন্তু ছেলের জোরাজোরিতে কিছুই হলো না। সাদামাটা ভাবে আত্মীয়স্বজন ছাড়াই বিয়েটা হবে। মুখে রাগ এঁটে এটা-সেটা করতে ব্যাস্ত। বার কয়েক জেসমিনকে ডেকেও গেল,গালমন্দ করল কিন্তু জেসমিন তখন দরজায় খিল দিয়েছে। আদরের মেয়েকে আ’গু’নে ফেলার জন্য মনে-মনে নিজের উপর ঘৃনা হচ্ছে। এই মুখ মেয়েকে দেখাবে কীভাবে বুঝতে পারছে না। এক প্রকার সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগে দরজা বন্ধ রেখেছে।

টুকটুকে লাল শাড়ি, গহনা সবকিছু পরে বিছানায় চুপটি মেরে বসেছে ঝুমঝুমি। পাশে বোন ঝর্ণা ডুকরে-ডুকরে কাদঁছে। ঝুমঝুমির সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই। দৃষ্টি জোড়া দরকার দিকে। এই বুঝি মা এসে বলবে, তোর বিয়ে করতে হবে না ঝুমি চল আমরা অন্য কোথাও চলে যাই। কিন্তু না এমনকিছু হলো না। দরজা খুলল ঠিকই কিন্তু জেসমিন বেগমের জায়গায় মেঘকে দেখা গেল। মেঘের ঠোঁটে কুটিল হাসি। ঝর্ণা মেঘকে দেখে রেগে গেল বোনের হাতটি ধরে বসে রইল দৃষ্টি নিচু করে।

মেঘের ধমক ভেসে আসলো, তোকে নিমত্রণপত্র পাঠিয়ে ঘর থেকে বের করতে হবে? বিয়ের পাত্র রুমে ঢুকেছে দেখছিস না?

ঝর্ণা ভয় পেয়ে রুম থেকে চলে গেল। ঝুমঝুমির তখনো দৃষ্টি বিছানার চাদরে। মেঘ পাশে বসে দুহাত চেপে ধরে বলল,বলেছিলাম তুই আমার হবি। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা কাজী আসলেই তুই আমার। ভালোভাবে বিয়েতে রাজি হলে আমার খারাপ হতে হতো না। নিজের রূপের বড্ড দে’মা’গ তোর তাই না? একজনের চা’হি’দা মিটিয়েও দে’মা’গ ফুরায়নি। আজ দেখব কত দে’মা’গ থাকে তোর। রাতের অপেক্ষার প্রহর গুনছি। প্রথমবার কারো অবৈধ চা’হি’দা মিটিয়েছিস কিন্তু এবার বৈধভাবে মিটাবি।

ঝুমঝুমি নড়ল না। ঠাঁই বসে চুপ শুনলো। মেঘের ঠোঁটে তখন ফুটলো দূর্বাধ্য হাসি। সামনে ঝুঁকে এক পলক ঝুমঝুমির পুরো শরীরে চোখ বুলিয়ে বলল, কষ্ট হচ্ছে খুব। আমার আগে তোকে কেউ ভো’গ করেছে।

মেঘ আরো কিছু ঘৃন্নিত কথা বলে রুম থেকে বের হয়ে গেল। মেঘ চলে যাবার পর পরেই ঝুমঝুমির পুরো শরীর কেঁপে উঠল রাগে,লজ্জায়, ঘৃণায়। ইচ্ছে হলো ম’রে যেতে, এই লোকটাকে বিয়ের করার চেয়ে ম’রে যাওয়া ঢের ভালো বলে মনে হলো। গুটি-গুটি পায়ে বিছানা থেকে নেমে আকাশের পানে চেয়ে রইল। আষাঢ়ের কথা বড্ড মনে পড়ছে। আষাঢ় তো কখনোই তাকে বাজে কথা বলেনি। ধ’র্ষি’তা শুনেও খারাপ নজরে দেখেনি। এ কেমন ভালোবাসার ভিন্ন রূপ। মেঘের ভালোবাসার প্রতি ঘৃনা, আষাঢ়ের ভালোবাসার প্রতি শ্রদ্ধা। শাড়ির আঁচল গলায় ধরে মুচকি হেসে বলল,
-” পৃথিবীর সবথেকে সুন্দর জিনিসকে কখনো ছোঁয়া যাবে না বা দেখা যাবে না। আষাঢ় আপনি আমার দেখা সুন্দর মনের মানুষ আপনাকে কেবল আমি অনুভবেই ছুঁতে পারবে বাস্তবে নয়। জীবনকে রঙিন করতে রঙের প্রয়োজন হয় না; প্রয়োজন আপনার মত একজন জীবনসঙ্গী।

নিশ্চুপে কাদঁছে ঝুমঝুমি। আশার আলো খোঁজার আপ্রাণ চেষ্টা মনে। মায়ের পথ চেয়ে এখনও দরজার দিকে তাকিয়ে আছে। নাকি আজ মা আর এ রুমে আসবে না। জীবন কি তাহলে নতুন মোড় নিয়েছে। একজনের মায়াজালে জড়িয়ে আরেকজনকে বিয়ে করতে হবে। যাকে কিনা সে জীবনের সবথেকে বেশি ঘৃনা করে। ঘৃনা করা মানুষটিকে সে ভালোবাসতে পারবে? না কিছুতেই পারবে না। মেঘের প্রতি ভালোবাসা নয় বারংবার ঘৃনা কাজ করে তাহলে এখন কি করণীয় ওর? আ’ত্ম’হ’ত্যা? ও ম’রে গেলে মা-বোনের কি হবে? ওদের জন্যই তো এখনও বেঁচে আছে। মেঘ, আ’ত্ম’হ’ত্যা কোনটা বেছে নিবে ঝুমঝুমি? পুরো মাথা খালি। জানালার রেলিং মাথা হেলিয়ে চোখ বুজে রইল। মৃ’ত্যু’র প্রহর গুনছে সে। মেঘকে বিয়ে করা মানেই তো মৃ’ত্যু’কে গ্রহণ করা। হোক না সে মৃ’ত্যু মনের।

#প্রথম খন্ডের সমাপ্তি

[গল্পটির প্রথম খন্ডের সমাপ্তি ঘটল। দ্বিতীয় খন্ড শুরু হবে রহস্য নিয়ে। ]

গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ