#গল্পপোকা_চিঠি_প্রতিযোগীতা_২০২০
চিঠি নংঃ০১
প্রিয় অদৃশ্য
জানিনা আপনি কেমন আছেন।কারণ তা জানার উপায় খুঁজে পাইনি।কে আপনি কি বা পরিচয় আর কেনই বা আমার স্বপ্নে জাগরণে বিচরণ করেন?
আচ্ছা,আপনিও কি আমায় ভাবেন?আমি আপনাকে ভাবতে চাইনা কখনো তবুও বারবার মনে হয় একগুচ্ছ অপরাজিতা হাতে আপনি আমায় ডাকছেন।
শুনুন, আর কতদিন এভাবে অদৃশ্যমান থাকবেন,কতোদিন আমায় আর অপরাজিতার বিরহ সইতে হবে?মনে হয় শ্রাবণ ধারা অপেক্ষা করে আমাতে-আপনার ছোঁয়া পেতে।মুঠোমুঠো শিউলির তৃষ্ণায় হাহাকার করে আমার শীতল আঁচল।গুচ্ছগুচ্ছ কদম ঝরে ঝরে পড়ে আবর্জনায় শুধু,শুধুই আপনার আমার হাতে সঁপে দেবার অপেক্ষায়।
আপনি কি অনুভব করেছেন কখনো আমাকে নীল শাড়ি-চুড়িতে?
আপনার হাতের কাঠগোলাপ কি আমার এলো চুলের খোঁপায় ছুঁইয়ে দিবেন কোন এক মিঠেল বিকেলে?
আমি আপনার জন্য হাত পুড়িয়ে রান্না করতে চাই।আপনি কি শুনছেন আমার কথাগুলো?
নাইবা শুনলেন তবুও আমি বলে যাবো।
বলবোনা ভালোবাসি,শুধু অপেক্ষায় আমি। একদিন ঠিক বলবো পাশে আছি।
সুন্দরী নই আমি।তবুও আপনার মোহনছন্দ মায়াবতী হবার চেষ্টায় অটল।একসময় ক্লান্ত হয়ে যাবে আপনার লুকোচুরি খেলাটা সেদিন হবে আমার অপেক্ষার জয়।
তবে আপনার একটা গুণ থাকতে হবে বাধ্যতামূলক।তা হলো চাহনি।
যে চাহনিতে চেয়ে মরুপথে ক্লান্ত,তৃষার্ত পথিকের বালুকারাশির সাগরে একটা উনুই খুঁজে পাবার মতোই মুগ্ধ হবো।
যদি এমন হতো,এক গোধূলি বিকেলে একগুচ্ছ ভেজা কদম সঙ্গে করে আপনি আমার প্রেম সায়রের দুয়ারে?
চলুন না আর নয় লুকোচুরি,
হোক তবে কাশফুলেদের ছড়াছড়ি।
নীলের মেলায়,মেঘের ভেলায়
পাল তুলে ফিরে এসে
হোক নবান্ন উৎযাপন।
দখিনা সমীর সাথে
কোকিলের কুহু রবে
আঁচল পেতে করি বসন্ত বরণ।
আপনি ভালো থাকবেন সব সময় এটাই আমি চাই।আকাশের ঠিকানায় এঁকে দিলাম স্বপ্ন আলাপন।খোঁজ পেলে তুলে রাখবেন।একদিন বাড়িয়ে রাখা ভঙুর হাত দুটিতে এক আকাশ ভরসা মাখিয়ে জড়াবেন।
ইতি
আপনারই কেউ।