#প্রিয়_বেগম
#পর্ব_১৫
লেখনীতে পুষ্পিতা প্রিমা
অভিষেকের আয়োজন উপলক্ষে মহলে ধুম পড়ে গেল। যত্রতত্র পৌঁছে গেল সে খবর। নগরবাসী আনন্দে আত্মহারা। এই দিনটাতে তারা খুব আনন্দিত থাকে। আজ শেষ যাত্রাপালা হওয়ার কথা। আগামী কাল অভিষেক। কিন্তু শিল্পীরা অভিষেক উপলক্ষে দাওয়াত পাওয়ার পর চিঠি পাঠিয়েছে পালার দিন একদিন পেছানোর জন্য। তাই পালার দিন পেছানো হয়েছে।
অভিষেক উপলক্ষে মহলের কাজের শেষ নেই। খোদেজা সবাইকে কাজে লাগিয়ে দিয়েছে। সারাক্ষণ টইটই করে ঘুরে বেড়ালে চলবে না। সবাই বসে অভিষেকের দিন কি পোশাক পরিধান করবে তা ভাবছিলো। খোদেজা তাদের ডেকে এনে কাজে বসিয়ে দিয়েছে। সবাই পেঁয়াজ রসুনের খোসা ছাড়াচ্ছে। পেঁয়াজ কাটতে গিয়ে চোখে পানি নেমে আসলো তটিনীর। চোখদুটো ঘন লাল হয়ে এল।
খোদেজা সবাইকে দেখে বলল
ওই মেয়েটা কোথায় রে মতি?
মতিবানু হকচকিয়ে বলে, কারে খুঁজতেছেন বেগম?
ওই অপরূপা মেয়েটা।
তটিনী চোখে পানি দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে বলল,
মামীমা আমি তাকে একটা কাজে দিয়েছি। সে কাজ করছে। ওকে ডাকবেন না দয়া করে।
কি কাজ দিয়েছ?
তটিনী চুপ থাকে।
সায়রা শবনমরা সবাই মিটিমিটি হাসে। শাহানা সবার মুখ পরিদর্শন করে বলে,
টুপি বানাতে দিয়েছ?
তটিনী উৎফুল্ল কন্ঠে বলে,
জ্বি আম্মা। শেহজাদ ভাইয়ের এটা খুব পছন্দ হবে।
সায়রা ঠেস মেরে বলল,
ভাবী বেগমের দেয়া উপহার অবশ্যই পছন্দ করবে।
তটিনী তাকে চোখের ইশারায় ধমক দিল। তার ধমক পেয়ে সবাই হেসে উঠলো। খোদেজা বলল,
তাই বলো। সে কি পারবে এত অল্প সময়ে টুপিটা বানাতে?
তটিনী মন খারাপ করে বলে,
পারবে না?
হামিদা এসে পেছনে দাঁড়িয়ে তটিনীর কাঁধ ছুঁয়ে বলে,
পারবে পারবে। শেহজাদ বেরোনোর আগে সর্বপ্রথম তুমি তাকে টুপিটা মাথায় পড়িয়ে দেবে। ভাবী বেগমের দেয়া উপহার বলে কথা। সে তা অবশ্যই মাথায় তুলে রাখবে।
তটিনী ভীষণ খুশি হয়। রক্তলাল হয়ে আসে তার চোখদুটো। খোদেজা বলে, দেখো কান্ড!সামান্য পেঁয়াজের কাটতে গিয়ে কি অবস্থা! স্বামী সংসার ধরে রাখতে অনেক কষ্ট আছে, বুঝলে? রূপনগরের সম্রাটের বেগম হয়ে ঠিকে থাকা মুখের কথা নয়। আমি উত্তাল সমুদ্রের ঢেউয়ের মধ্যে শামুকের মতো বালি কামড়ে পড়েছিলাম নইলে আজ আমাকে খুঁজে পাওয়া যেত না।
তটিনী ম্লানমুখে মায়ের দিকে তাকিয়ে আবার চোখ সরিয়ে নেয়।
শাহানা বলল, আপনি শিখিয়ে দেবেন ভাবীজান। ও পড়াশোনা নিয়ে থাকে। কাজকর্মে তেমন পটু না। শিখিয়ে দিলে পারবে। আর জীবনে ঝড়ঝাপটা আসবে, এসব মোকাবেলা করতে করতে একদিন পটু হয়ে উঠবে।
তা পারলে ভালো। শুধু ঘোমটা পড়ে দু একট হুকুম ছাড়লেই বেগম হওয়া যায় না। স্বামীর সাথে সাথে যুদ্ধেও নামতে হয়। এ যুদ্ধ তলোয়ারের যুদ্ধ নয়, নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার যুদ্ধ। এই যে শক্ত হাতের তালু দেখছ আমার, এ একদিনে হয়নি। স্বামী, সংসার, সন্তানকে আগলে রাখতে গিয়ে হয়েছে। যদি ভেবে থাকো আর দশটা দম্পতির মতো সম্রাটের সাথে তোমার ফুলের সংসার হবে তাহলে অনেক কষ্ট পাবে। পেঁয়াজের ঝাঁজে কেন চোখের জল আসবে? এই চোখের জল অনেক দামী। এত কোমলমতি কেন হবে সম্রাটের ভাবী বেগম?
তটিনীর চোখের জলের সাথে পেঁয়াজের ঝাঁজে বেরিয়ে আসা জল মিশে যায়।
রসাইঘরের দরজার কাছে এসে উঁকি দেয় শেহজাদ।
আম্মাজান ভেতরে আসতে পারি?
সবাই নড়েচড়ে বসলো। মাথার কাপড় টেনে নিল।
তটিনী অন্যদিকে ঘুরে দাঁড়ায়। খোদেজা অনুমতি দেয়।
হ্যা এসো।
শেহজাদ প্রবেশ করে ঘরে চোখ বুলিয়ে কন্ঠে বিরক্তি মিশিয়ে বলে,
এখানে মহলের সমস্ত মেয়েরা আছে। কিন্তু রূপা কোথায়?
মতি কিছু বলতে যাচ্ছিলো তটিনী আটকে দেয়। বলে,
রূপা আছে। ওকে কি ডেকে দেব?
হ্যা। ডাক্তার সাহেব কখন ডাক পাঠিয়েছে তার যাওয়ার নামগন্ধ নেই।
দুঃখীত আমি জানিনা কখন ডাক পাঠিয়েছে।
শেহজাদ সায়রা সোহিনীর দিকে তাকায়। তারা অপরাধীর ন্যায় তাকিয়ে বলে,
দুঃখীত ভাইজান। রূপাকে বলেছি। সে মুখের উপর বলে দিয়েছে ওই ডাক্তারের চিকিৎসা সে নেবে না। সে সম্পূর্ণ সুস্থ।
খোদেজা বলল,
ঠিকই তো বলেছে সে। শেহজাদ কি কারণে তুমি ডাক্তার সাহেবকে এনেছ?
আপনারা সব জানতে পারবেন। কিন্তু আপনাদের অবজ্ঞা দেখে আমি বরাবরের মতো অবাক হচ্ছি। সে আশ্রিতা বলেই কি এত অবহেলা? এটা কেমন আচরণ আম্মাজান? এসব আমার মোটেও পছন্দ নয়। সায়রা তাকে গিয়ে বলো দ্রুত যেন চত্বরে চলে আসে। আমি এসে বলে যাওয়ার পরও যদি সে না যায় তাহলে আমি টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাব।
সায়রা তড়িঘড়ি করে দাঁড়িয়ে গেল। বলল,
শান্ত হন। আমি এক্ষুণি যাচ্ছি ভাইজান।
সায়রা একপ্রকার দৌড়ে গেল অপরূপার কাছে। তার চোখের নীচে কালি জমে গিয়েছে। মতিবানুর ভাষ্যমতে সে রাতে ঘুমোয়নি। আপমনে টুপির সুঁতো তুলে যাচ্ছে। সায়রা বলল,
রূপা এখনি ওঠো। ভাইজান ভয়ংকর রেগে আছেন। তুমি ডাক্তার সাহেবকে অপেক্ষায় রেখেছ? চলো নইলে বেয়াদবি মনে করবেন ভাইজান।
অপরূপা চোখমুখ শক্ত করে বলে,
আমি তো সুস্থ। কেন ডাক্তারের কাছে যাব আমি? আমার হাতের ক্ষত শুকিয়ে গিয়েছে।
আমি জানিনা কিছু। তুমি দয়া করে চলো আমার সাথে।
অপরূপা জেদ ধরে বলে,
না আমি যাব না। ডাক্তারটাকে আমার ভালো লাগে না। যাব না মানে যাব না। তোমার ভাইজানকে গিয়ে তা বলে এসো আমি যাব না।
সায়রা দমও ফেলতে পারলো না।
ঠিক সেই মুহূর্তেই চোখের পলকেই বিস্ময়কর ঘটনাটি ঘটে গেল। শেহজাদ দরজা ঠেলে ভেতরে প্রবেশ করে খপ করে হাতটা ধরে রূপাকে টেনে নিয়ে বেরিয়ে গেল। সুই সুতো গুলো মেঝেতে পড়ে রইলো। সায়রা তা তুলে কপাল চাপড়ে বেরিয়ে গেল। শেহজাদ আর অপরূপার সামনে তটিনী পড়লো। বলল,
হায় খোদা কি হয়েছে! আমিই ওকে….
চুপ থাকো। সরো।
অপরূপা কি বলবে ভাষা খুঁজে পায় না। অপরূপাকে ডাক্তার সামনে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দেয় শেহজাদ। তুখোড় মেজাজ দেখিয়ে সারা মহল মাথায় তুলে বলে,
ভালো কথা কানে যায় না? নিজের ভালো বুঝো না? বিনামূল্যে ভালো আচরণ, ভালো ডাক্তার পেয়েছ বলে দামে উঠেছ? আমি কি চাকর তোমার? কি পাব আমি এসব করে? উত্তর দাও।
অপরূপা কেঁপে উঠে। কেঁঁপে উঠে পর্দার আড়ালে দাঁড়িয়ে থাকা যুবতীগুলো।
ফজল সাহেব হেসে উঠে বলেন, বেচারি ভয় পেয়ে গিয়েছে সম্রাট সাহেব। থাক আর বকবেন না। এবার আমার উপর ছেড়ে দিন।
পাঞ্জাবির পকেট থেকে রুমাল বের করে কপালের ঘাম মুছতে মুছতে হনহনিয়ে বাইরে বেরিয়ে গেল শেহজাদ। শাহজাহান সাহেব আর শেরতাজ সাহেব কিছু বলতে চেয়েও বলেন না শেহজাদের বারণ থাকায়। সেখান হতে চলে যান।
অপরূপা চুপচাপ ডাক্তারের সামনে গিয়ে বসে। ফজল সাহেব হেসে ছোট্ট করে বলেন,
তোমার ভালো চাইছে সম্রাট সাহেব। তোমার তো রাজকপাল কন্যা। তুমি নিজেও জানো না তুমি কতবড় বিপদ থেকে বেঁচে গিয়েছ শেহজাদ সুলতানের কারণে।
অপরূপা হতবাক হয়ে তাকায়। জানতে চায়,
কেন? কি করেছেন উনি? কেনই বা করছেন? আমি তো এখানে তাদের জিম্মিতে আছি। একজন বন্দি মেয়ের প্রতি এত সহানুভূতি কেন?
সম্রাট সে। মহৎপ্রাণ মানুষ। হয়ত তোমার অবস্থা দেখে সহানুভূতি জেগেছে। তুমি কি জানো তুমি কতবড় রোগের শিকার? সঠিক চিকিৎসা না চললে তোমার মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
অপরূপা শিউরে উঠে।
কি বলছেন এসব?
দেখো আমি কিংবা সম্রাট সাহেব কেউ তোমার শত্রু নয়। তুমি আমাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনো। একটা সময় গিয়ে তুমি ঠিক বুঝতে পারবে আমরা তোমার ভালো চাই নাকি খারাপ।
কি করব আমি?
আমাদের কথা শোনো। আমাদের কথামতো কাজ করো। আমি তোমার বাবার বয়সী মানুষ। তোমার ক্ষতি চাইবো না।
অপরূপা শর্ত দেয়,
আপনার সব কথা শুনতে রাজী আছি কিন্তু একটা শর্তে।
কি শর্ত?
আমার মা’কে নিয়ে কোনো প্রশ্ন করবেন না।
আচ্ছা করব না।
__________________
দলেদলে নগরের মানুষ এসে একত্রিত হলো মহল প্রাঙ্গনে। সবাই হাতে করে যা পেরেছে নিয়ে এসেছে। চাল ডাল, সোনা রূপা, নিজেদের প্রিয় জিনিস, মানত করা কোনোকিছু নিয়ে । প্রচলিত নিয়মে সেই উপহারসামগ্রীগুলো সাধারণত মজুতকরে সংরক্ষণ করা হয় রাখা হয় গুদামজাতকরণের মাধ্যমে। দূর্ভিক্ষ কিংবা কোনো সংকটে পড়লে তা পুনরায় বিলি করা নয় নগরবাসীর কাছে। তবে কেউ চাইলে সম্রাটকে ভা্লোবেসে আলাদা করে উপহার দিতেই পারে। সামর্থ্য না হলে তারা তাদের ঘরের জিনিস নিয়ে আসে। খালি হাতে কেউই আসে না।
খোদেজার বাবার বাড়ি,হামিদার বাবার বাড়ি সবাই এসেছে। শাহানার শ্বশুরবাড়ি লোকজনও এসেছে। তাছাড়া দূরদূরান্ত হতে এসেছেন অনেক বন্ধুবান্ধব, পরিচিত লোকজন, আর শুভাকাঙ্ক্ষীরা। সম্রাট তার কক্ষে। সে এক্ষুণি বের হবে। তার নিজের হাতে খাবারের মোড়ক বিলি করা হবে। মহলের যুবতীরা সবাই ভারী পোশাক পরিধান করেছে। হাসিতেখুশিতে মেতে উঠলো অন্দরমহল। সবাই ছোট ছোট উপহার নিয়ে ভাইজানের কক্ষের সামনে গিয়ে ভীড় জমালো। অপরূপার হাতের টুপিটা লাল গোলাপের পাঁপড়িতে ঢাকা একটা রূপোর থালার উপর রেখে টুপির মধ্যে বাকিদের উপহার গুলোও রেখে নিয়ে এল সবাই। শেহজাদ আর সাফায়াতের বন্ধুসুলভ মিত্রবাহিনীগুলো তখন শেহজাদের কক্ষে কোনো একটা বিষয় নিয়ে তুমুল হাসিঠাট্টায় মত্ত। বোনদেরকে দেখে হাসতে হাসতে থেমে গেল শেহজাদ। সাফায়াত বলল,
মহারাণীরা হাজির।
সবাই মিষ্টি হাসলো। শেহজাদ বলল,
কক্ষ ফাঁকা করো। আমি বেরোচ্ছি।
তটিনী পথ আটকে বলে,
এই না। কি বলো? এত কষ্ট করে আমরা এত এত উপহার এনেছি।
উপহার? ঘরের মানুষের কিসের উপহার।
চোখবন্ধ করো।
শেহজাদ বলল,
পথ ছাড়ো তো। দেরী হয়ে যাচ্ছে। আব্বা এখন ডাকবে।
একটু চোখ বন্ধ করো না।
সায়রা বলল,
ভাই জান চোখ বন্ধ করুন।
শেহজাদ চোখ বন্ধ করলো। তটিনী ফুলকলির হাত থেকে থালাটা নিয়ে আসে সামনে। বলে,
চোখ খোলো এবার।
শেহজাদ চোখ খুলে। আঙুল দ্বারা কপালের মাঝ বরাবর ঘর্ষণ করে বলে
কি এসব!
দেখে বলো।
শেহজাদ টুপির ভেতরে আতর, কলম, একটা আংটি, মাথার চিরুনি আরও হরেক রকমের জিনিস খুঁজে পায়। শেষমেশ টুপিটা তুলে নিয়ে বলে,
চমৎকার হয়েছে।
তটিনী ঠোঁট এলিয়ে হাসে । বলে,
তোমার পছন্দ হয়েছে?
হ্যা।
সায়রা বলল,
এটা আপুর পক্ষ থেকে তোমার জন্য। আর বাকিগুলো আমরা সবাই মিলে দিয়েছি।
শেহজাদ টুপিটা নেড়েচেড়ে থালায় রেখে দিয়ে বলে,
ধন্যবাদ।
খোদেজা, হামিদা আর শাহানা আসে। সাথে আরও কয়েকজন বয়স্কা মহিলা।
সরো সরো সবাই। শেহজাদ আগে মিষ্টিমুখ করে তারপর বের হও।
খোদেজা মিষ্টিমুখ করিয়ে পুত্রের কপালে স্নেহের স্পর্শ আঁকে। হামিদা আর শাহানাও মিষ্টিমুখ করায়। দোয়া করে দেয়। খোদেজা তটিনীকে ডাকে।
ওকে টুপিটা মাথায় পড়িয়ে দাও।
তটিনী খানিকটা দ্বিধায় পড়ে গিয়ে বলে,
আমি?
হ্যা।
শেহজাদ ওর দিকে তাকায়। তাড়া দিয়ে বলে,
তাড়াতাড়ি করো। বললাম তো দেরী হয়ে যাচ্ছে।
তটিনী টুপিটা হাতে নিয়ে শেহজাদের সামনে যায়। পায়ের আঙুলে ভর দিয়ে টুপি পড়াতে যেতেই শেহজাদ মাথা নামিয়ে পড়ে নেয়। টুপিটা ঠিকঠাক পড়তে পড়তে বলে,
আর কেউ কিছু আনেনি? ফুলকলি? কুমু, টুনু ওরা কোথায়?
সবাই এগিয়ে আসে। কুমু আর টুনু মিলে একটা রুমাল দেয়। রুমালটা অনেক দামী। শেহজাদ নিতেই তারা অনেক খুশি হয়। ফুলকলি একজোড়া নুপুর দেয়।
শেহজাদ বলল,
আমাকে নুপুর ?
এইটা আপনের পরে কাজে লাগবো ভাইজান।
সবাই তার উপহার দেখে হেসে উঠে।
মতিবানু এসে একটা মলমের কৌটা দেয়। বলে,
আপনে তো মারপিট কইরা আহেন মাঝেমইধ্যে। এইডা আপনের কাজে লাগবো সাহেব।
শেহজাদ সেটি রেখে দেয়। বলে,
আর কেউ? রূপা কোথায়? ও কিছু দেবে না?
ফুলকলি বলে উঠলো,
ও তো ঢুসে ঢুসে ঘুমাইতেছে ভাইজান।
শেহজাদ বলিষ্ঠ কন্ঠস্বরে চাপা রাগ দেখিয়ে বলে,
ঠিক আছে। পথ ছাড়ো সবাই। যেতে দাও।
তন্মধ্যে সিভান এসে বলে,
আম্মা সুন্দর বউ কোথায় গেল? মামা এসেছে। সুন্দর বউ যে মামাকে দেখতে চাইলো। কেউ সুন্দর বউকে দেখেছ তোমরা?
চলবে….