নীলফড়িং পর্ব-০৫

0
478

#ফারহানা_হাওলাদার_প্রকৃতি
#নীলফড়িং
#পর্ব ৫
.
.
আজ সবাই মিলে বিদায় জানাল আমাকে। প্লেনে উঠে বসে পড়লাম। খুব কান্না পাচ্ছে, বার বার চোখ মুছে নিচ্ছি টিস্যু পেপার দিয়ে। হঠাৎ কেউ পাশে এসে বসে পড়ল। তাকিয়ে দেখলাম চেনা চেনা মনে হচ্ছে। একটু ভালো করে ভাবতেই মনে পড়ল, এ তো আমার সাথেই একই হসপিটালে ছিল বাট ওনার ওয়ার্ড ভিন্ন ছিল। সম্ভবত দুই তালায়, আমার মুড এতটাই খারাপ ছিল যে আমি এখন আর ওনার সাথে কথা বলতে পারলাম না। শুধু বন্ধ জানালার দিকে তাকিয়ে রইলাম।

…….এক্সকিউজমি।

লোকটার কথায় আমি চোখ মুছে তার দিকে তাকালাম।

……আরে আপনি? আমি ভুল না ভাবলে আপনি পুস্পিতা রাইট?

……জ্বি।

……আমাকে চিনতে পারছেন?

…..জ্বি।

……খুব ভালো হয়েছে, আমি ভাবছিলাম আমি একাই যাচ্ছি, তাও ভালো অচেনা দেশে চেনা মানুষ গুড গুড।

আমি হালকা হেঁসে চুপ করে বসে রইলাম।

লোকটা কিছু ক্ষণ পর পর কিছু না কিছু বলেই যাচ্ছে, বাচাল মনে হচ্ছে। বিরক্তি ধরিয়ে দিচ্ছে এমনিতেই মন ভালো না তার উপর, এত কথা শুনতে কার ভালো লাগে?

আমরা এসে পৌঁছে গেলাম। অনেক জার্নি শেষে। তাও শান্তি এসেছি তো।

আমি এয়ার্পোরটের বাহিরে আসতেই দেখলাম, আমার নামের সানবোর্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আমার ছোট মামা, আমি তারাহুরো করে এগিয়ে গেলাম।

…….মামা কেমন আছেন?

……আমি ঠিক আছি তুই কেমন আছিস?

……আলহামদুলিল্লাহ ভালো।

মামার গাড়ীতে উঠে বসে পড়লাম। হুম আমার মামা এখানেই থাকে যার জন্য আব্বু মা আমাকে আসতে দিয়েছেন খুব সহজেই না হয় আব্বু কে রাজি করাতে পারলেও মাকে রাজি করানো যেত না।

আমরা বাসায় গেলাম। দরজা খুলে দিল মামী।

…….কেমন আছিস পুস্পিতা?

……জ্বি মামি আলহামদুলিল্লাহ আপনি?

……হ্যা আমি ভালো আছি। আয় ভেতরে আয়।

আমি মামা মামীর সাথে ভেতরে এলাম। অনেক সময় কথা বললাম, মামার জন্য মায়ের দেওয়া জিনিস গুলো বের করে মামাকে দিলাম। এরপর মামী একটা রুম দেখিয়ে দিল। আমি রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বিছানায় বসলাম। ভাবছি বাসায় একটা ফোন দিতে হবে। তাই বাহিরে এসে মামার কাছে ফোন চাইলাম। মামা ফোন দিয়ে দিল, সবার সাথে কথা বললাম আব্বু মা, এদের সাথে। মা খুব কান্না করছিল, আব্বু লুকিয়ে লুকিয়ে চোখের পানি মুছে নিচ্ছিল বারবার।

ফোন-টা আজ আর ওপেন করা হলো না। তাই মন খারাপ লাগছে খুব হালকা করে কিছু খেয়ে নিলাম। রুমে গিয়ে বসে রইলাম। এখানে মামা-মামী ছাড়া ছোট একটি ভাই আছে মাত্র ৮ বছরের মাইদুল। আমি বিছানায় শুয়ে ছিলাম কিন্তু ভালো লাগছে না কিছুতেই খুব কান্না পাচ্ছে। তাই সুটকেস-টা নিয়ে খুলে সবার দেওয়া গিফট গুলো বের করে সামনে নিলাম। এক এক করে গিফট গুলো খুলে দেখতে শুরু করলাম, হটাৎ হাতে উঠল স্যারের গিফট-টা, ঠোঁটের কোণে এক চিলতে হাসির রেখা ফুঁটে উঠল। আমি গিফট খুলে দেখছিলাম, গিফট-টা পুরাপুরি খোলার আগেই মামী ডাক দিল, তাই রেখেই মামীর কাছে এগিয়ে গেলাম।

…….হ্যা মামী?

……তোর জন্য তোর মামা কত জায়গায় ঘুরে ঘুরে তোর পছন্দের খাবার সংগ্রহ করেছেন, তা শুধু সেই জানে। নে খেয়ে নে।

…….মামী এত কষ্টের কী প্রয়োজন ছিল, আমি তো এখন লম্বা সময়ের জন্য এখানেই থাকব।

……হুম কিন্তু এখন তো প্রথম এলি এখন তোর একটু খাতিরযত্ন করতে হবে না। পরের টা পরে।

আমি খাবার থেকে প্রথমে কিছুটা মামীকে খাইয়ে দিলাম এরপর নিজে খাওয়া শুরু করলাম। খাবার শেষ করতেই ছোট ভাইটা এসে আমার হাত টেনে ধরে নিয়ে গেল তার রুমে যেখানে কিনা খেলনায় ভরপুর, তার সাথে খেলতে বলল আমাকে, তাই খেলতে শুরু করলাম। দুজনে খেলতে খেলতে কখন যে সময় চলে গেল টেরই পাইনি, মামী এসে ডিনারের জন্য ডেকে গেল। তাই দুজনে খেলা রেখে খেতে চলে এলাম।

খাওয়া-দাওয়া শেষ করে মামা-মামীর সাথে অনেক সময় কথা বললাম, তার মধ্যে দিয়ে ছোট ভাইটা এসে আমার হাত ধরে টেনে আমার রুমে নিয়ে গেল।

…….আপু আমরা আজ এক সাথে ঘুমাব।

……তাই?

……হুম।

……ওকে জানু চলো।

আমার সাথে সাথে ভাই গিফট গুলো সব ড্রয়ারে রেখে দিল। দুজনে মিলে জামা কাপড় সব গুছিয়ে ড্রয়ারে রাখলাম। বাকি জিনিস গুলো বই সব কিছু গুছিয়ে রাখলাম দুজনে, এরপর দু’জনে গিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লাম। ছোট ভাইটা আমার গলা পেচিয়ে ধরে ঘুমিয়ে গেল। আমিও তার সাথে সাথে ঘুমিয়ে পড়লাম।

সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্রেকফাস্ট করে মামার সাথে বেরিয়ে পড়লাম। মামা আমার সাথে সাথে সব জায়গায় গেল, সব গুছিয়ে নিয়ে বাড়ি ফিরতে ফিরতে দুপুর পার হয়ে গেল। মামা আমি দুজনে ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে একটু রেস্ট নিলাম এরপর বাকি কাজ গুলোর জন্য আবার বের হলাম।

সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে খুব ক্লান্তি ফিল করছিলাম। তাই গিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লাম। কিন্তু ভাইটা আর শুয়ে থাকতে দিলে তো? সে কান্নাকাটি করে আমাকে উঠিয়ে তার সাথে খেলতে নিয়ে গেল।

রাতে দুজনে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে রুমে এসে শুয়ে পড়লাম।
মাইদুল অল্প সময়ের মাঝেই ঘুমিয়ে পড়ল। আমি ফোনটা হাতে নিয়ে নেট ওপেন করলাম, দেখলাম অনেক ম্যাসেজ জমেছে। সবার প্রথমে ফাইয়াজ স্যারের নামটা ভেসে উঠল। ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে দেখলাম লেখা রয়েছে একটা নয় একাধিক ম্যাসেজ ছিল। মানে কম করে হলেও ১০ বার সে ম্যাসেজ সেন্ড করেছেন। আমি তার প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিলাম। সে সাথে সাথেই রিপ্লাই দিল। মনে হচ্ছে সে আমার ম্যাসেজের জন্যই বসে ছিল।

তার সাথে কথা বলতে বলতে আমি অন্য ম্যাসেজ গুলো চেক করতে গেলাম দেখলাম সেই শুভাকাঙ্ক্ষীর ও ম্যাসেজ ছিল অনেক। তাকেও রিপ্লাই দিলাম। এরপর আস্তে আস্তে সবার ম্যাসেজর রিপ্লাই দিলাম। শুভাকাঙ্ক্ষী আরও কিছুক্ষণ কথা বলল আমার সাথে, কিছুক্ষণ পরে ফোন রেখে ঘুমিয়ে পড়লাম।

সকালে ঘুম থেকে উঠে বেরিয়ে পড়লাম কাজের তাগিদে।

বাড়িতে ফিরে দেখলাম মাইনুল গালে হাত দিয়ে ছোপার উপর বসে আছে।

…….কী হয়েছে আমার ভাইটার?

…….আপু তুমি কথা বলবে না আমার সাথে।

……কেনো কেনো?

…….আমি রাগী রাগী হয়ে আছি দেখছ না?

……ওহ তাই? আপুর সাথে রাগী?

……হুম তুমি কোথায় ছিলে সারাদিন, আমি তোমাকে মিস করেছি।

……ওহ মাই সুইটহার্ট আমি তো জানতাম না। আপু কাজ করছিলাম তো তাই দেরি হয়ে গেল। আচ্ছা এখন আপু খেলবে আমার মিষ্টি ভাইয়ের সাথে চলো চলো।

আমি জোর করে মাইনুল কে নিয়ে রুমে চলে এলাম, ফ্রেশ হয়ে আমার রুমে বসেই খেলতে শুরু করলাম। আব্বু মায়ের সাথেও ফোনে কিছুক্ষণ কথা বললাম ভিডিও কলে।

আজও রাতে শুভাকাঙ্ক্ষীর সাথে অনেক কথা বললাম, ভালো লাগে তার সাথে কথা বলে, একা একা ভাবটা অনেক অংশে কমে যায়। মাইনুল আর শুভাকাঙ্ক্ষী দুজনে মিলে আমার সময়টা কাটাতে অনেক সাহায্য করছে।

সকালে উঠে আজও চলে এলাম, মামা আমাকে আমার গন্তব্যে নামিয়ে দিয়ে চলে যায় রোজ। আজ এসে সেই ছেলেটার সাথে দেখা হয়ে গেল।

…….হায় পুস্পিতা।

…….হ্যালো।

…….খুব ভালো হয়েছে আপনি এখানেই আছেন তাই দেখে। আসলে এখানে এসে আমি খুব একা হয়ে পড়েছিলাম, আপনাকে দেখে কিছুটা হলেও ভালো লাগছে।

…….তাই?

……হ্যা তাই।

…….আচ্ছা আপনি আমাকে চিনতে পারছেন তো?

…….হুম মোটামুটি, আপনার নাম মনে নেই তবে চেহারা চেনা পরিচিত।

…….আমি রাইয়ান।

…….ওহ আচ্ছা।

এরপর রাইয়ান আর আমি আরও কিছুক্ষণ কথা বললাম। রাইয়ানের সাথে কথা বলে খুব ভালো লাগল।

এভাবেই দিন গুলো যেতে লাগল। এখন রাইয়ানের সাথে খুব ভালো বন্ধুত্ব হয়ে গেছে। সে সব সময় আমার মন ভালো রাখার চেষ্টা করে, আমার কখন মন খারাপ কখন ভালো তাও সে বুঝতে পারে। রোজ আমাকে মামার বাসা অব্দি এগিয়ে দিয়ে যায়। অনেক ভালো একজন বন্ধু হওয়ার সকল গুণ তার মাঝে রয়েছে। এভাবেই কেটে গেল বছর খানেক।

এদিকে স্যার মাঝে মধ্যে ফোন করে আমার কেমন কাটল দিন, কেমন চলছে সময় সব কিছু জিজ্ঞেস করে। স্যারের সাথেও এখন অনেকটা ফ্রী হয়ে গেছি, আব্বু মা দুজনেই বলছে স্যার নাকি রোজ দুবার করে বাসায় গিয়ে আব্বুর মায়ের খোঁজ খবর নিয়ে আসে। তাদের কী প্রয়োজন সেদিকেও লক্ষ রাখেন। খুব ভালো লাগছে কথা গুলো জেনে। স্যারের সাথেও একটা বন্ধুত্ব পূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।

তবে আমি হয়ত এত মানুষের ভীড়ে আবার কারো প্রতি দূর্বল হয়ে যাচ্ছি। আর সে হলো শুভাকাঙ্ক্ষী তার প্রতিটি ম্যাসেজ আমায় বাধ্য করে তার কথা ভাবতে, সে ম্যাসেজ না দিলে কেমন জানি অস্থির অস্থির লাগে, তার ম্যাসেজের অপেক্ষায় প্রতি রাতে বসে থাকি, একটা অভ্যাসে সে পরিণত হয়েছে। ভালো লাগে না এখন আর তার ম্যাসেজ ছাড়া। সময় পেলেই ফোন হাতে নিয়ে বসে পড়ি তার একটা ম্যাসেজের আশায়। কী জানি কী হয়েছে আমার। মাঝে মাঝেই তার কথা মনে করে হেঁসে ফেলি। যা দেখে মামী চোখ ছোট ছোট করে জিজ্ঞেস করে

…….কী হয়েছে রে?

…….নাহ মামী তেমন কিছু না।

এতটা দূর্বলতা আমি রাবীতের জন্য কখনো ফিল করিনি। কিন্তু আজ করছি তাও একজন অচেনা মানুষের জন্য। যাকে কখনো দেখিনি, যার সাথে ফোন কলে কখনো কথা বলিনি, তার জন্য আমি এতটা ফিল করব কখনো ভাবিনি।

এভাবেই সময় গুলো শেষ হয়ে গেল প্রায়। আজ শপিং করতে গেলাম, ছুটি থাকায় বাড়িতে বসে বসে বোর ফিল করছিলাম, তাই চলে এলাম মাইনুল কে নিয়ে। ঘুরতে ঘুরতে চোখ আঁটকে গেল একটা শার্টের উপর খুব সুন্দর ছিল শার্ট-টা, তাই শার্ট-টা নিয়ে নিলাম। মায়ের জন্য একটা শাড়ী খুব পছন্দ হলো তাই শাড়ীটাও নিয়ে নিলাম। আব্বুর জন্য মামা-মামী মাইনুল সবার জন্য কিছু না কিছু নিলাম। এরপর বাড়ি ফিরে এলাম।

আজ হঠাৎ রাইয়ান ফোন দিয়ে ডাকল, তাই তার বলা অনুযায়ী জায়গায় গেলাম। সেখানে গিয়ে দেখলাম রাইয়ান দাঁড়িয়ে আছে, আমাকে দেখে এগিয়ে আসল। আমার সামনে এসে দাঁড়িয়ে বলে উঠল।

…….Happy valentine’s day.

…….ওহ এজন্য ডেকেছ। আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম।

…….(হাটু গেড়ে বসে পড়ে) I love you পুস্পিতা।

আমি ওর এমন অবস্থা, এমন কথা শুনে পুরো চমকে গেলাম। আমি তো তাকে নিয়ে কখনো এমন কিছু ভাবিও নি। তবে সে কী করে ভাবল এমনটা?

……..sorry রাইয়ান আমি তোমাকে কখনো এই নজরে দেখিনি।

…….তবে এখন থেকে দেখবে।

…….Sorry but আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি।

…….(উঠে দাঁড়িয়ে গিয়ে) কিন্তু তুমি তো কখনো এমন কিছু বলো নি?

…….বলার প্রয়োজন পড়ে নি। আর এটা আমার একদম পার্সোনাল বিষয় আমি কারো সাথে শেয়ার করতে চাইও নি। বাট তুমিও তো কখনো জিজ্ঞেস করো নি?

……..আমি ভেবেছিলাম তোমার আমার মাঝে এতদিন ধরে যা ছিল…….।

……..সেটা শুধু মাত্র বন্ধুত্ব।

……..আচ্ছা সে কে জানতে পারি?

…….হুম তার নাম জানি না তবে হ্যা সে আমার শুভাকাঙ্ক্ষী।

…….মানে? নাম না জেনে প্রেমে পড়েছ?

…….হুম পড়েছি, কারণ সে এমনই। তাকে দেখার বা নাম জানার প্রয়োজন পড়ে নি, তার সাথে কথা বলেই তার প্রেমে পড়ে গেছি।

…….(একটু হেঁসে) শুভাকাঙ্ক্ষী এটা তো সেই যার কথা তোমার মুখে আরও কয়েক বার শুনেছি তাই-না?

…….হুম।

…….আচ্ছা কখনো যদি জানতে পারো আমিই সেই শুভাকাঙ্ক্ষী তবে আমার প্রপোজালে রাজি হবে?

……এটা কেমন প্রশ্ন?

……প্লিজ বলো না? ধরে নাও আমিই তোমার সেই শুভাকাঙ্ক্ষী এখন কী করবে?

……Sorry এটা কোনো মজার বিষয় নয়। প্লিজ আমি এই সম্পর্কে একটা কথাও বলতে চাইনা। (চলে যেতে নিয়ে)

…….(হাত ধরে) ওকে ওকে যা হয়েছে বাদ দাও আমি Sorry বলছি। ভালো না বাসো বন্ধুত্ব-টা ভেঙে দিও না। আমি এইটুকু নিয়েই না হয় সুখে থাকব প্লিজ প্লিজ।

……ঠিক আছে।

আমি আর রাইয়ান আরও কিছুক্ষণ ঘুরে ফিরে বাসায় চলে এলাম, রাইয়ান আমাকে এগিয়ে দিয়ে চলে গেল।

আমি বাসায় ফিরে নিজের রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বই নিয়ে বসে পড়লাম, মাইনুলও বই নিয়ে এলো এরপর দুজন এক সাথে পড়াশোনা করলাম।

রাতে শুভাকাঙ্ক্ষীর সাথে কথা বলছিলাম।

……পুস্প কেমন আছেন আপনি?

…….আলহামদুলিল্লাহ ভালো আপনি?

……আমি ভালো নেই।

……কেনো?

……কতদিন আপনাকে দেখিনি তাই। আজ খুব দেখতে ইচ্ছে করছে আপনাকে।

…….তবে ভিডিও কল দেই?

……এই না না। আমি এভাবে দেখা করতে চাইনা আপনার সাথে, আমি তো সরাসরি সারপ্রাইজ দিতে চাই, যা দেখে আপনি চমকে যাবেন।

…….তাই? আচ্ছা আপনি কী আমার চেনা পরিচিত কেউ?

…….হতে পারে খুব চেনা। আবার এও হতে পারে অনেকটা অচেনা।

……এতটা কনফিউজড কেনো করছেন? প্লিজ কিছু তো বলেন যার জন্য আমি আপনাকে চিনতে পারি?

……আপনার চিনতে হবে না, আমি নিজে এসেই বলব আমি আপনার খুব পরিচিত শুভাকাঙ্ক্ষী।

…….হুম বুঝেছি আপনি এভাবে বলবেন না। থাক আপনার ইচ্ছে।

…….🧚‍♂️🧚‍♂️🧚‍♂️

……আচ্ছা একটা কথা বলেন তো। আপনি সব সময় #নীলফড়িং ইমোজি কেনো দেন?

…….আমার খুব পছন্দ এই #নীলফড়িং তাই। আপনি নিশ্চয়ই খেয়াল করেন নি আপনার জন্য আমার পাঠানো প্রতিটি গিফটে #নীলফড়িং এর স্টিকার লাগানো রয়েছে, আর এটাই আমার সব থেকে বড় পরিচয়।

…….ওহ আচ্ছা যাক তাও ভালো কিছু তো জানতে পারলাম।

…….হুম অনেক রাত হয়েছে নিশ্চয়ই আপনাদের ওখানে, এখন ঘুমিয়ে যান, আবার সকাল সকাল তো আপনাকে উঠতেও হবে।

…….জ্বি আল্লাহ হাফিজ।

…….আল্লাহ হাফিজ।

এরপর ফোন রেখে দিয়ে শুয়ে পড়লাম। বেশ কিছুক্ষণের মধ্যে ঘুমিয়েও গেলাম।



চলবে………….।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে