নীলফড়িং পর্ব-২২

0
205

#ফারহানা_হাওলাদার_প্রকৃতি
#নীলফড়িং
#পর্ব ২২
.
.
দু-দিন পরে দুপুরের দিকে ফাইয়াজ, পুস্পিতা বাসায় ফিরে কলিং বেল দিতেই শিরিন গিয়ে দরজা খুলে দিলো। দুজনেই ড্রইং রুমে এসে দাঁড়িয়ে গেল। সবাই হাসি ঠাট্টা করছিল ড্রইং রুমে। যা দেখে পুস্পিতা বলে উঠল।

……কী ব্যাপার আজ সবাই খুব খুশি মনে হচ্ছে?

পুস্পিতার কথা শুনে সবাই ওদের দিকে ঘুরে তাকাল। একটা ছেলে যে উল্ট হয়ে বসে ছিলো সেও ঘুরে তাকাল। যা দেখে পুস্পিতার চোখ বড় বড় হয়ে গেল। আর ফাইয়াজ বলে উঠল।

…….আরে নিবিড়? কেমন আছিস?

কিন্তু নিবিড় ও কোনো উত্তর না দিয়ে পুস্পিতার দিকে তাকিয়ে আছে, যা দেখে ফাইয়াজ নিবিড়ের সামনে গিয়ে চুটকি বাজিয়ে বলে উঠল।

……কী রে কী দেখছিস? ও তোর ভাবী

…….হোয়াট? ভাই তুই সত্যি বলছিস? এই আমাদের ভাবী?

……হ্যা মিথ্যে বলার কী আছে? সবাই তো এখানেই আছে।

পুস্পিতা ফাইয়াজের মুখে নিবিড় নামটা শুনে আরও চমকে উঠল। নিবিড় কে রেখে ফাইয়াজের দিকে তাকিয়ে আছে পুস্পিতা।

…….হ্যালো ভাবী। (হাত বাড়িয়ে দিয়ে)

পুস্পিতা কোনো কথা না বলে কিছুক্ষণ নিবিড়ের দিকে তাকিয়ে থেকে সেখান থেকে জোর পায়ে হেঁটে চলে গেল নিজের রুমে।

…….ভাবীর হয়ত আমাকে পছন্দ হয়নি ভাই?

…….আরে নাহ তেমন কিছু নয়। পড়ে কথা বলে নিস এখন আমরা দু’জনেই খুব টায়ার্ড ফিল করছি। হয়ত এজন্য ও চলে গেছে।

এই বলে নিবিড়ের কাধে হাত রেখে, ফাইয়াজ ও রুমে চলে এলো।

……কী ব্যাপার পুস্পিতা? তুমি তখন ওমন বিহেভিয়ার করলে কেনো?

……আমার খুব ক্লান্ত লাগছে।

……ওকে।

এই বলে ফাইয়াজ টাওয়াল নিয়ে ওয়াশ রুমে চলে গেল। আর পুস্পিতা বারান্দায় গিয়ে দাঁড়িয়ে রইল, সে ভাবছে তার কী ওই বিষয় গুলো ফাইয়াজ কে বলা উচিৎ? নিবিড় সেই যে কি-না ঢাকায় বসে পুস্পিতার সাথে নোংরা আচরণ করে ছিলো। আচ্ছা ফাইয়াজ যদি রেগে যায় তার সাথে? যদি নিবিড়ের সাথে খারাপ ব্যবহার করে? না না পুস্পিতার এসব ভাবলে হবে না। সে ফাইয়াজের থেকে এতদিন এই কথা লুকিয়ে রেখেছে এটাই অনেক বড় অপরাধ। আর অপরাধ করতে চায় না পুস্পিতা। কারণ এসব বিষয়ে পুস্পিতার আগে যদি ফাইয়াজ নিবিড়ের থেকে শোনে তবে বিষয়টা খুব খারাপ হবে। চায়না সে ফাইয়াজ তাকে সন্দেহর চোখে দেখুক। কারণ তার বিষয়ে এমন কোনো কথা নেই যা ফাইয়াজ না জানে। তারপর ও ফাইয়াজ তাকে এতটা ভালো বেসে আপন করে নিয়েছে। এখন যদি সে চুপ করে থাকে তবে হয়ত ফাইয়াজের বিশ্বাস ভেঙে যাবে। তাই সে আর চুপ থাকবে না, এই কথাই ভাবছিল পুস্পিতা।

…….একি তোমার নাকি খারাপ লাগছে, তবে এখানে কেনো দাঁড়িয়ে আছো?

ফাইয়াজের কথায় পুস্পিতা চমকে উঠল। সে ঘুরে ফাইয়াজ কে দেখে নিজেকে সামলে নিয়ে বলে উঠল।

……আমার আপনার সাথে জরুরি কিছু কথা আছে।

……আচ্ছা তা পড়ে বললেও হবে, এখন আগে ফ্রেশ হয়ে নাও প্রচুর ক্ষিধে পেয়েছে।

…….নাহ প্লিজ আমাকে আগে বলতে দিন প্লিজ।

……ওকে বলো।

ফাইয়াজ গ্রিলের সাথে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে গেল, পুস্পিতা বলতে নিলো।

…….আমি যখন ঢাকায় ছিলাম, তখন রোজ আসার পথে………।

কারো দরজায় নক করার শব্দে পুস্পিতা থেমে গেল।

……একটু করো আমি দেখছি কে আসছে তারপর তোমার কথা শুনব ঠিক আছে?

এই বলে ফাইয়াজ দরজার দিকে এগিয়ে গেল। দরজা খুলে দেখল ফারিজ, আর নিবিড় দাঁড়িয়ে আছে।

…….ভাই রোজ তো ভাবীর সাথেই কথা বলিস আজ না হয় একটু আমাকেও সময় দিয়ে দে, প্লিজ ভাই চল।

……তোরা যা আমি আসছি।

……তোকে রেখে গেলে আজ আর তোকে পাওয়া যাবে না। চল চল। ভাবী টাটা, আজ আর ভাইকে এত জলদি পাচ্ছ না।

এই বলে নিবিড় ফাইয়াজ কে জোর করে টেনে নিয়ে গেল। আর পুস্পিতা তাকিয়ে দেখল, এ ছাড়া আর কী করবে সে এখন। তাই সেও ফ্রেশ হতে চলে গেল।

ড্রইং রুমে এসে পুস্পিতা ওদের কাউকে না দেখে তার শাশুড়ী কে প্রশ্ন করল।

…….আম্মু বাকি সবাই কোথায়?

……ওহ ওরা বুঝি ফারিজের রুমে আছে।

……ওহ আচ্ছা।

পুস্পিতা তার শাশুড়ির সাথে মিলে খাবার গুলো টেবিলে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখল। এরপর শিরিন গিয়ে সবাইকে ডেকে নিয়ে আসলো।

সবাই এক সাথে বসে খাবার খাচ্ছিল, তখন পুস্পিতা নিজের পায়ের উপর হালকা স্পর্শ পেয়ে চমকে উঠল। সে ফাইজের দিকে তাকিয়ে দেখল না সে ওদের সাথে কথা বলতে বলতে ঠিক মতই খাবার খাচ্ছে, তাই সে সামনের দিকে তাকিয়ে দেখল নিবিড় মুচকি হেঁসে তার দিকে তাকিয়ে আছে। সে বুঝতে পারছে এটা নিবিড়ের ই কাজ, সে কীভাবে এখন এখান থেকে সরে যাবে বুঝতে পারছে না। কিছুক্ষণ ভেবে নিয়ে, সে একটা কাটা চামচ ফেলল নিচে, কাউকে না দেখিয়েই, এরপর অন্য পা দিয়ে কাটা চামচ টা তুলে সেটা দিয়ে নিবিড়ের পায়ে আঘাত করল। যার জন্য নিবিড় চিৎকার করে উঠল।

…….কী রে কী হয়েছে নিবিড় (সবাই)

…….(মুচকি হেঁসে) কী হলো মিস্টার দেবর মশাই? কামড় খেয়েছেন বুঝি? একটু সাবধানে খাবেন তো? এত তারাহুরো করে খাওয়ার কী আছে?

……এত সুন্দরী ভাবী সামনে বসে থাকলে খাবার কী আর সাবধানে খাওয়া যায় বলো? তোমার দিকে তাকাতে গিয়েই তো সব হলো, ভাই তো আমার এজন্যই পাগল হয়েছে। এত সুন্দরী বধু ঘরে থাকলে কী আর ভাই বোনের কথা মনে থাকে?

নিবিড়ের কথা শুনে ফাইয়াজের কাশি চলে এলো। কারণ তার পাশে তার বাবা মা ও তো বসে ছিলো। সে নিজেকে সামলে নিয়ে। নিবিড় কে বলে উঠল।

……..নিবিড় তুই লম্বায়ই বড় হয়েছিস, বয়সে ছোটই রয়ে গিয়েছিস। চুপ করে খা।

এই বলে ফাইয়াজ নিচের দিকে তাকিয়ে চুপ করে খেতে লাগল।

সবাই খাওয়াদাওয়া শেষ করে যার যার রুমে চলে গেল। শিরিনের সঙ্গে মিলে পুস্পিতা খাবার টেবিল পরিষ্কার করে নিজের রুমে গিয়ে দেখল, সেখানে ফাইয়াজ নেই, বারান্দায় ওয়াশ রুমে কোথাও সে নেই। তাই ফোন হাতে নিয়ে কল করল, ফোন রুমেই বেজে উঠল। যা দেখে পুস্পিতা একটা দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে বিছানার রেলিং এর সাথে মাথা এলিয়ে দিলো।

প্রায় যখন ৪:৩০ মিনিট তখন ফাইয়াজ তারাহুরো করে রুমে এসে দেখল পুস্পিতা হ্যালান দিয়ে বসে বসেই ঘুমাচ্ছে, তার চুল গুলো বাতাসে উড়ে এসে চোখে মুখে পড়ছে। ফাইয়াজ মুচকি হেঁসে, পুস্পিতার পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে পুস্পিতা কে ভালো ভাবে দেখল কিছুক্ষণ। এরপর হালকা হেঁসে রেডি হতে চলে গেল।

কারো দরজা আঁটকানোর শব্দে পুস্পিতার ঘুম ভেঙে গেল। তাকিয়ে দেখল ওয়াশ রুমের দরজা বন্ধ করছে কেউ ভেতর থেকে, সে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখল ৪:৩৫ মিনিট, তাই বিছানা থেকে উঠে দু-হাতে মুখ গুঁজে একটু সময় বসে থেকে, উঠে রান্নাঘরে চলে গেল। চুলায় চায়ের পানি বসিয়ে দিয়ে রুমে এলো, তখন ফাইয়াজ আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল আঁচড়ে নিচ্ছিল। তাই পুস্পিতা রেডি হতে চলে গেল। রেডি হয়ে এসে রান্নাঘরে গিয়ে চা বানিয়ে নিয়ে এলো। এরপর ফাইয়াজ কে চা দিয়ে নিজে চা পান করতে করতে বাকি রেডি হয়ে নিলো।

পুস্পিতা আর ফাইয়াজ তারাহুরো করে বাড়ি থেকে বের হচ্ছিল। ঠিক তখনই নিবিড় পিছু থেকে ডাকল।

…….ভাই চলে যাচ্ছিস?

…….হ্যা কেনো কিছু বলবি।

…….নাহ তেমন কিছু নয়। আমাকে একটু বেলের্স পার্কে নামিয়ে দিয়ে যাবি?

……ঠিক আছে আয়।

ওরা দু’জন গাড়ীতে উঠে বসে পড়ল। নিবিড় ও এসে বসে পড়ল।

ফাইয়াজ গাড়ী ড্রাইভ করছে, আর নিবিড় এটা সেটা বলে যাচ্ছে কখনো পুস্পিতা কে ইঙ্গিত করে, কখনো আবার ফাইয়াজ যাতে সন্দেহ করে সেই ভাবে।

গাড়ী এসে বেলের্স পার্কের সামনে থেমে গেল। নিবিড় গাড়ী থেকে নেমে আল্লাহ হাফিজ বলে চলে গেল। আর ওরা দু’জন হসপিটালে চলে গেল।

এত ব্যস্ততার মাঝে ফাইয়াজের সাথে আর কথা হলো না পুস্পিতার। রাতে দু’জন বাড়িতে ফিরে রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলো।

খাবার শেষ করে ফাইয়াজ রুমে যাচ্ছিল, ঠিক তখনই নিবিড় বায়না করে বসল, আজ সে ফাইয়াজের সাথেই রাতে ঘুমাবে। পুস্পিতার কিছুটা ভয় হলো। কিন্তু ফাইয়াজ না করল না, কারণ এতদিন পড় ভাই এসেছে, আর সে তো এমন কিছু চায়নি, শুধু রাতে গল্প করার জন্যই এক সাথে থাকতে চাইছে। তাই সে না বলল না। সে পুস্পিতা কে শুয়ে পড়তে বলে নিজে ভাইয়ের সাথে চলে গেল। আর নিবিড় পেছনে ঘুরে পুস্পিতা কে চোখ টিপ দিয়ে মুচকি হেঁসে ভাইকে সাথে করে নিয়ে গেল। পুস্পিতা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখল। কী বলবে সে?

রাত তখন ১টা পুস্পিতার চোখে একটুও ঘুম নেই সে শুধু এপাশ ওপাশ করে চলেছে।

সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পুস্পিতা ফ্রেশ হয়ে রুম থেকে বের হয়ে দরজা খুলতে যাবে তার আগেই কেউ দরজা নক করে উঠল। পুস্পিতা দরজা খুলে দেখল, ফাইয়াজ দাঁড়িয়ে আছে, সে পুস্পিতার সাথে কথা না বলেই রুমের ভেতর চলে গেল, পুস্পিতা কে পাশ কাটিয়ে। যা দেখে পুস্পিতা কিছুটা অবাক হলো। ফাইয়াজ ওয়াশ রুমে চলে যেতেই পুস্পিতা তার জন্য একটা ড্রেস বের করে রেখে রান্নাঘরে চলে গেল।

ব্রেকফাস্ট বানাচ্ছিল পুস্পিতা তারাহুরো করে আজ শিরিন ও আসে নি এখনো তাই সে একাই কাজ করছিল। এর মধ্যে কারো পায়ের শব্দ পেয়ে সেদিকে তাকিয়ে দেখল নিবিড় দাঁড়িয়ে আছে। সে নিবিড় কে রান্নাঘরে দেখে কিছুটা ঘাবড়ে গেল। কিন্তু নিবিড় কে তা বুঝতে না দিয়ে সে রান্নার দিকে মনযোগ দিলো। নিবিড় ফ্রিজ খুলে একটা আপেল বের করে এসে পুস্পিতার গাঁ ঘেঁষে দাঁড়াতে গেল পুস্পিতা সরে গেল যা দেখে নিবিড় হাঁসল। আপেলে কামড় বসাতে বসাতে নিবিড় বলে উঠল।

…….ভালো, আমি ভাবতেও পারিনি তোমাকে এভাবে এখানে পেয়ে যাবো। সেদিনের পড়ে আর তোমাকে না দেখে ভেবেছিলাম আর হয়ত খুঁজে পাবো না, বাট এত জলদি খুঁজে পেয়ে যাবো বুঝতেই পারিনি। সেদিন তুমি কিন্তু কাজটা ঠিক করো নি। যদিও সেদিন তার উত্তর দিতে পারিনি কিন্তু আজ তো আর ছাড়ছি না ম্যাডাম।

…….আমি যদি আগে জানতাম আপনি আমার দেবর হন, তবে শুধু চোচড়া পাতা নয়, তার থেকে খারাপ কিছু এপ্লাই করতাম।

……ওহ তাই বুঝি? তা কী করতে?

……দেবর তো সন্তানের মতই হয় তাই-না? এখন যখন আপনার মাতা পিতা আপনাকে ভদ্রতা শিখাতে পারে নাই, তবে সেটা তো আমারই দ্বায়িত্ব সেখানোর। তাই কীভাবে ভদ্রতা শিখাতে হবে তা আমার খুব ভালো করে জানা রয়েছে।

…….ওহ তাই? তবে কীভাবে ভদ্রতা শেখাবে আমায়?

…….জুতা পেটা করে। কারণ ভদ্র ভাবে তো আপনি ভদ্রতা শিখবেন না, তাই এভাবেই শেখাতে হবে।

…….একটু বেশি হয়ে গেল না?

……মোটেই না? আমি এর থেকে খারাপ ভাবেও শিখাতে পারি, একবার বলে দেখেন কীভাবে শিখাতে হয় এখনি শিখিয়ে দিচ্ছি।

……এত তেজ থাকা ভালো না।

……তেজের দেখলেনটা কী? (রুটি বেলা ব্যালুন হাতে নিয়ে সামনে ঘোরাতে ঘোরাতে বলল)

নিবিড় আপেল খেতে খেতে বের হয়ে গেল, রান্নাঘর থেকে।

সবাই ব্রেকফাস্ট করে বসে কথা বলছিল। পুস্পিতা নিজের রুমে গিয়ে রেডি হয়ে নিলো। ফাইয়াজ ও গিয়ে রেডি হয়ে নিলো। দুজন রুম থেকে বাহিরে বের হতেই। নিবিড় এসে বলে উঠল

…….ভাই আমরা কিন্তু আজ রাতেই চলে যাবো।

……আজই কেনো আর দুদিন থেকে যা।

……নাহ আসলে আব্বু ফোন দিয়েছিল, আজই যেতে বলেছেন।

……আমি কী কথা বলে দেখব একবার?

……নাহ থাক বলতে হবে না। আমার মনে হচ্ছে ভাবীর হয়ত আমাদের ভালো লাগছে না, তাই চলে যাওয়াটাই বেটার।

নিবিড়ের কথা শুনে পুস্পিতা তার দিকে তাকালো, সে পুস্পিতা কে ইঙ্গিত করে আবার বলে উঠল।

…….কী ভাবী ভুল কিছু বললাম নাকি?

…….আমি এমন কী করেছি যার জন্য আপনার মনে হচ্ছে আমি আপনাদের পছন্দ করছি না?

……এই যে আমাদের সাথে তো তেমন ভাবে কথাও বলছ না। আমাদের কী প্রয়োজন, না প্রয়োজন তাও তো একটু জিজ্ঞেস করতে পারো?

……তাই? তা কী প্রয়োজন আপনার? বউ প্রয়োজন নাকি? তা কাকিমা, বা চাচ্চুকে বলে দিলেই তো হয়। যে দেবরের এখন বিয়ে করার সাধ জেগেছে। কী ফোন দিয়ে বলব নাকি তাদের?

…….তাদের কেনো বলবে, তুমি যখন বুঝেছ তবে তুমিই খুঁজে দাও।

……আমি তো এমনিতেই অনেক ব্যস্ত, তাই এই কাজটা তারাই করুক। শুনুন আজকেই বরং কাকিমা কে একবার ফোন দিয়ে বলে দেবেন, আপনার ভাইয়ের বউ লাগবে।

এই কথা বলে পুস্পিতা সেখান থেকে হেঁটে চলে গেল। ফাইয়াজ ও নিবিড়ের কাধে হাত রেখে পুস্পিতার সাথে সাথে বের হয়ে এলো।

গাড়ীতে বসে ছিলো পুস্পিতা, ফাইয়াজ এসে গাড়ীতে বসে পড়ল। পুস্পিতার খুব রাগ হচ্ছে। তাই জানালা দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে রয়েছে। একটা মানুষ কী করে এতটা খারাপ হতে পারে? তা পুস্পিতার জানা ছিলো না।



চলবে………….।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে