নীলফড়িং পর্ব-০২

0
549

#ফারহানা_হাওলাদার_প্রকৃতি
#নীলফড়িং
#পর্ব ২
.
বিকেল দিকে চায়ের কাপে চুমুক দিলাম ছাদের এক পাশে দাঁড়িয়ে। সূর্যটা দেখা যাচ্ছে রেন্ডি গাছের ফাঁকা দিয়ে খুব সুন্দর ভাবেই দেখা যাচ্ছে। দেখতে মন মুগ্ধকর একটি দৃশ্য, দেখে মনে হচ্ছে আকাশ টিপ পড়েছে। এমনি সময় হলে নির্ঘাৎ কয়েকটা ছবি তুলে ফেইসবুকে আপলোড দিয়ে দিতাম, বাট আজ সেই ইচ্ছেটাই যে নেই। মনের মধ্যে উতালপাতাল ঝড় বইছে। কখন জানো বৃষ্টি হয়ে ঝড়ে পড়বে জমিনে।

এমন সময় মনে হচ্ছে কেউ আমাকে দেখছে। চোখ মুছে পেছনে তাকিয়ে দেখলাম ফাইয়াজ স্যার দাঁড়িয়ে আছে কিছুটা দূরে তাদের ছাদে, সেও চায়ের কাপে চুমুক বসিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো। আমিও হাসলাম। এরপর আরও কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে ছাদ থেকে নেমে এলাম।

সন্ধ্যায় বই নিয়ে বসে ছিলাম, পড়া মাথায় ঢুকছে না শুধু রাবীতের কথাই ভাবছিলাম। এর মধ্যে ফোনের রিংটোন বেজে উঠলো তাকিয়ে দেখলাম রাবীত ছিলো। না চাইতেও চোখের পানি মুছে ফোনটা হাতে নিলাম।

…….হ্যালো।

……My sweet heart কেমন আছো?

……আলহামদুলিল্লাহ ভালো, আপনি?

……নাহ আমি মোটেও ভালো নেই, তোমার কথা ভেবে ভেবে একদম পাগল পাগল হয়ে যাচ্ছি।

……কেনো আমার কথা এত ভাবার কী আছে?

……তোমার কথা না ভাবলে কার কথা ভাববো? আমার কী আরও কয়েকটা গার্লফ্রেন্ড আছে নাকি? যে তাদের কথা ভাববো?

……থাকতেও তো পারে, তা আমি কীভাবে জানবো?

……(থমথম খেয়ে) কীহ বলছো? তুমি পাগল হয়ে গেছো নাকি? এটা কিন্তু একদম সত্যি নয়। আমি শুধু আমার জান-কেই ভালোবাসি।

…….হ্যা তাই তো, এখন জীবন+জান মানুষের একটাই হয়। বাট যদি আপনি প্রেমিকা+জান বলেন, তবে যে কটা ইচ্ছে বানিয়ে নিতে পারেন। এখানে সন্দেহর কিছু নেই।

…….আচ্ছা পুস্পিতা, তুমি কী আমার উপর কোনো ভাবে রেগে আছো?

……আমি যতটুকু জানি রাগ তো খুব কাছের মানুষ-দের সাথে করা যায়।

…….তাহলে আমি কী তোমার কাছের মানুষ নই?

…….তা তো জানি না। তবে চাইলেই কী আর কাছের মানুষ হওয়া যায়?

……আসলে আমার কেনো জানি মনে হচ্ছে তুমি রেগে আছো আমার উপরে। প্লিজ জান আমাকে সমস্যা-টা খুলে বলো। আমার খুব কষ্ট হচ্ছে তোমার এমন আচরণে। আমি মেনে নিতে পারছি না, তোমার এমন রুট ব্যবহার।

……ওহ আচ্ছা। হ্যা মা আসছি। সরি আর কথা বলতে পারছি না আসলে মা ডাকছেন।

……আচ্ছা শোনো।

……হ্যা বলেন?

……কাল তোমার ডিউটি কখন পড়েছে?

……ওহ আসলে কাল আমি ছুটি নিয়েছি।

……হঠাৎ ছুটি?

……হ্যা আসলে দু-দিনের জন্য আমি আমার খালার বাসায় যাচ্ছি তাই।

…….কীহ এটা তুমি আমাকে এখন বলছো?

……হ্যা কিন্তু কেনো?

…….ওহ গড আমি তোমাকে না দেখে দু-দিন কীভাবে থাকবো?

…….ওহ আচ্ছা? যেভাবে এখন আছেন সেভাবেই।

…….এটা তুমি কোনো কথা বললে?

……সরি আমি আর কথা বলতে পারছি না মা আমাকে ডাকছেন।

এই বলে ফোন কেঁটে দিলাম। খুব জেদ হচ্ছিল নিজের উপরে এমন একটা মিথ্যাবাদীর ফাঁদে আমি কীভাবে পা দিলাম। যে কিনা এত বছর কোনো ছেলের সাথে ঠিক করে তেমন একটা কথাও বললাম না সে আজ, এমন একটা খারাপ মানুষের সাথে জড়িয়ে পড়লাম। নিজের উপর প্রচুর ঘৃণা হচ্ছে।

রাত তখন ১২ টা ঘুম নেই চোখের পাতায়। তাই ঘড়ির কাঁটার দিকে তাকিয়ে ছিলাম। কীভাবে সময় চলছে তার গতিতে তাই অনুভব করছিলাম। হঠাৎ ফোনে টুং করে শব্দ হলো, তাকিয়ে দেখলাম সেই ফেক আইডি থেকে ম্যাসেজ।

…….কার জন্য ঘুমহীন চোখে বসে আছো? সে কী তোমার জন্য এতটাই গুরুত্বপূর্ণ। যে জন্য নিজের খেয়াল রাখাটাও ভুলে যাচ্ছ?

…….কী বলতে চাইছে আপনি?

……রাত ১২ বেজে গেছে এখনো সেই মানুষ-টার কথা ভেবে জেগে আছো, যে কিনা এখন হয়ত অন্য কারো সাথে বিছানা শেয়ার করছে।

…….প্লিজ বন্ধ করুণ এ-সব কথা বলা, আমি আর সহ্য করতে পারছি না।

…….কেনো তার জন্য কষ্ট পাচ্ছ? যে তোমাকে ছাড়া বেশ আছে? বাট তুমি তাকে ছাড়া মোটেই ভালো নেই। তুমি তো তাকে জিতিয়ে দিচ্ছ তার চক্রান্তে, সে যা ভেবে ছিলো তাই হচ্ছে, ভালো নেই তুমি তাকে ছাড়া, তুমি তাহাতেই বিভোর, তাকে ছাড়া তুমি অচল পয়শার মতো হয়ে গেছো। তুমি হয়ত তাকে ছাড়া বাঁচতেই পারবে না।

…….কে বলেছে আমি তাকে ছাড়া ভালো নেই। কে বলেছে আমি তাকে ছাড়া বাঁচতে পারবো না? আমি বেশ আছি তাকে ছাড়া, আমি একদম কাঁদছি না। আমি অনেক ভালো আছি। আমি তাহাতে কোনো ভাবেই বিভোর নই। আমি শুধু আমাকে ভালোবাসি। আমি শুধু আমার পরিবারকে ভালোবাসি অন্য কাউকে নয়, বুঝতে পেরেছেন আপনি?

…….না পারিনি, কারণ তুমি এখনো জেগে আছো, এটাই হলো সব চেয়ে বড় প্রমাণ, তুমি ভালো নেই তাকে ছাড়া।

…….আমি ভালো আছি তাকে ছাড়া, আমি এখনি ঘুমাবো, আমি কারো কথা ভাবতে চাই না, কারো কথা নয়।

আমি ফোন রেখে রুমের আলো নিভিয়ে চোখ বন্ধ করে শুয়ে পড়লাম। কিন্তু চোখের সামনে সেই দৃশ্য ভেসে উঠলো, ওদের দু’জনের সেই মূহুর্ত। না আমি ভাববো না তার কথা। কিন্তু এই ভাবনা কেনো চলে আসছে বারবার আমার স্বরনে? আমার মনে হচ্ছে ওরা দু’জন খুব জোরে জোরে হাসছে। খুব বিরক্তি লাগছে আমার। আমি উঠে বসে কান চেপে ধরলাম। অনেক ক্ষণ পড়ে কান ছেড়ে দিতেই কানে গিটারের শব্দ এলো কেউ খুব সুন্দর করে গিটারে সুর তুলেছে, আমি আস্তে করে বিছানায় শুয়ে পড়লাম। দু-হাত গালের নিচে দিয়ে খুব নিখুঁত ভাবে শুনতে লাগলাম। কেনো জানি গিটারের টুংটাং শব্দে সব ভুলে গেলাম। ভালো লাগছে সুরটা সে সুরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গান ধরলো।

♩ ♪ ♬ বড় সাধ জাগে এক বার তোমায় দেখি। কত কাল দেখিনি তোমায় একবার তোমায় দেখি। ♬ ♩ ♪ ♬

তার কন্ঠ-টা এতই সুন্দর ছিলো যে, আমি গানের মাঝেই হারিয়ে গেলাম। গান শুনতে শুনতে এক পর্যায় ঘুমিয়ে গেলাম।

সকাল সকাল মায়ের ডাকে ঘুম ভাঙলো। তাই উঠে ফ্রেশ হয়ে ডাইনিং রুমে চলে গেলাম।

……গুড মনিং আব্বু।

……গুড মনিং মামণি।

আমি ব্রেকফাস্ট টেবিলে বসে পড়লাম আব্বু পত্রিকা রেখে ব্রেকফাস্ট করতে নিলো। সবাই খাবার শেষ করলাম।

……মামণি তোমার ডিউটি কখন?

……আজ নাইট ডিউটি পড়েছে আব্বু।

……সব যেমন তেমন এই নাইট ডিউটির জন্য ভালো লাগে না মামণি।

……আব্বু কষ্ট না করলে সামনে এগিয়ে যাবো কী করে?

……হুম।

আব্বু রেডি হয়ে বের হয়ে গেলো। আমি রুমের বারান্দায় গিয়ে উঁকি দিলাম। হটাৎ মনে হলো রাতের সেই মন-মুগ্ধকর গানের কথা, ইশ অনেক সুন্দর ছিলো। ভাবতেই ঠোঁটের কোণে এক চিলতে হাসির রেখা ফুঁটে উঠলো। আমি হাসি দিয়ে চুল গুলো নাড়া দিয়ে ঘুরে যেতেই দেখলাম ফাইয়াজ স্যার দাঁড়িয়ে আছে ঠোঁটে মৃদু হাসি। তার রুমের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আমার দিকেই তাকিয়ে আছে। ইশ রে কতটা লজ্জা পেলাম। আমি নিচের ঠোঁটে দাঁত বসিয়ে দিয়ে ছুটে রুমে চলে এলাম। এই একটা মানুষ যার মুখে অল টাইম হাসি থাকে, আর তার হাঁসিটাও খুব সুন্দর, হাসলে গালে হালকা টোল পড়ে যায়, বাট লজ্জাটাও অনেক পেয়েছি। দরজা লাগিয়ে দিয়ে মুচকি মুচকি হাসছিলাম। এর ভেতর রুমে মা এসে সন্দেহের চোখে তাকিয়ে বলে উঠলো।

…….কী ব্যাপার? এভাবে হাসছিস কেনো?

…….আরে মা তেমন কিছু নয়, ওই ফেসবুকে একটা কৌতুক দেখলাম তাই।

…….হুম তাই জেনো হয়। আচ্ছা তোর যে কাপড় গুলো পরিষ্কার করতে হবে ওগুলো দে, বুয়া এসেছে ধুয়ে দেবে।

……জ্বি মা।

আমি তারাহুরো করে মা কে ড্রেস গুলো বের করে দিলাম। সে তা নিয়ে চলে গেলো। আমি হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। মাকে প্রচুর ভয় পাই, আব্বু ততটাও কড়া নয়, কিন্তু আমার মা? সে তো প্রচুর রাগী। তাই তাকে অনেকটা ভয় পাই।

ভাবছি আজ রাতে হসপিটালে যাবো কী যাবো না। রাবীত-কে তো বলে দিলাম। আজ যাচ্ছি না। ভাবছি স্যার-কে বলে আমার ডিউটির ওয়ার্ড চেঞ্জ করাবো। যদি ৩ তালা থেকে অন্য কোনো ফ্লোরে যাওয়া যায় ভালো হবে। তাই স্যারকে ফোন দিলাম।

…….আসসালামু আলাইকুম স্যার আমার একটু সাহায্য লাগতো।

……ওয়ালাইকুম আসসালাম। হ্যা পুস্পিতা বলো, আমি যথার্থ চেষ্টা করবো তোমার সাহায্য করার।

…….স্যার আমার ডিউটির রুমটা যদি একটু চেঞ্জ করে দিতেন।

……তাই কিন্তু হঠাৎ করে কেনো?

…….নাহ এমনই থাক প্রয়োজন নেই। আমি রাখছি স্যার।

আমি ফোনটা কেটে দিলাম। বেশ কিছুক্ষণ পরে স্যার নিজেই ফোন দিলো।

……হ্যালো আসসালামু আলাইকুম স্যার।

……হ্যা পুস্পিতা, তোমার ৫তালার সেকেন্ড ফ্লোরে নাইট শিফট পড়েছে।

……Thank u স্যার

স্যার ফোন রেখে দিলো, আমি হালকা হেঁসে ফোনটা বিছানায় রেখে, রুম থেকে বেড় হয়ে পড়লাম। ভবছি আজ মায়ের সাথে সারাদিন কাজ করে কাটিয়ে দেবো।

রাতে আব্বু গিয়ে হসপিটালের সামনে নামিয়ে দিয়ে আসলো, আমি, ৫ তালার সেকেন্ড ফ্লোরে চলে এলাম।

প্রায় রাত ২টা বাজে চোখে একটু ঘুম ঘুম এসেছিল, হঠাৎ ফোনটা টুং করে উঠলো, ঘুম ঘুম চোখে তাকিয়ে দেখলাম, লেখা আছে।

……৩ তালার মিটিং রুমে চলে যান, নিশ্চয়ই সেখানে কিছু পেয়ে যাবেন।

আমি বসা থেকে উঠে ফোনটা হাতে নিয়ে জোর পায়ে হেঁটে ৩ তালায় চলে এলাম। মিটিং রুমের সামনে যেতেই পা থেমে আসতে শুরু করলো। অজানা একটি ভয় এসে বারবার ছুঁয়ে যেতে শুরু করলো। আমি কী দেখতে যাচ্ছি, নিজেকে সামলাতে পারবো তো? অনেক কষ্টে পা ফেলে সামনে এগিয়ে গেলাম। মিটিং রুমের দরজা ঠেলে ভেতরে গেলাম। সেখানে গিয়ে চোখ পড়লো সরাসরি সামনেই বসে থাকা মানুষ দুটির উপর, রাবীত আর চৈতী ছিলো তারা একে অপরের সাথে খুবই ঘনিষ্ট ভাবে বসে ছিলো, খুবই কাছাকাছি, তারা আমাকে দেখে সাথে সাথে দুজনেই উঠে দাঁড়িয়ে গেলো। যা দেখে আমি নিজেকে শান্ত রাখতে পারছিলাম না, তারপরও নিজেকে শান্ত করে হাতে তালি বাজিয়ে বলে উঠলাম।

…..বাহ বাহ বেশ ভালো, আমি আরও ভাবছিলাম আপনি কীভাবে এই দুই-দিন আমাকে ছাড়া থাকবেন? বাট আপনার তো সমস্যাই হলো না, আপনি নতুন কাউকে খুঁজে নিলেন। আর খুঁজেও নিলেন কিনা এমন কাউকে যে আমারই বেষ্ট ফ্রেন্ড। খুব ভালো, কিন্তু এমন একটা সারপ্রাইজ আজ পাবো জানা ছিলো না। জানলে সাথে করে কাজি সাহেবকে নিয়েই আসতাম।

……পুস্পিতা তুমি ভুল ভাবছো।

……ওহ হ্যা আমি তো ভুল ভাবছি, আপনি নিশ্চয়ই বিয়ে করতে চাইছেন না চৈতীকে? হয়ত এভাবেই সময় পাস করতে চাইছেন তাই-না?

……দ্যাখো পুস্পিতা আমি তোমাকে বুঝিয়ে বলছি। (কাছে এসে)

……(ঠাশ করে থাপ্পড় বসিয়ে দিয়ে) বুঝানোর আরও কিছু বাকি আছে? যদি থাকে তবে আমাকে না, চৈতীকে বুঝান। আমি আর আপনার চক্রান্তে লিপ্ত হচ্ছিনা।

এই বলে আমি চলে আসতে নিলাম। রাবীত আমার হাত ধরে বলে উঠলো।

……প্লিজ পুস্পিতা তুমি এভাবে যেওনা আমাকে ছেড়ে।

…….আমার হাত ধরার সাহস পেলেন কীভাবে? হাত ছাড়ুন।

এই বলে খুব জোরে একটা ঝাড়া দিলাম রাবীতের হাত ছিটকে গেলো আমার হাত ছাড়িয়ে নিয়ে আমি চলে এলাম সেখান থেকে। এসে সোজা ৫তালার ওয়াশ রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দাঁড়িয়ে রইলাম দরজার সাথে মাথা ঠেকিয়ে। চোখ থেকে অনবরত অশ্রুজ্বল গড়িয়ে পড়ছিল, প্রায় অনেক সময় এভাবে দাঁড়িয়ে রইলাম। এরপর ভাবলাম।

….পুস্পিতা তুই কার জন্য কাঁদছিস? কে সে? যার জন্য এত মূল্যবান চোখের পানি তুই ঝাড়াচ্ছিস? সে কী এই চোখের পানির মূল্য দিতে পেরেছে? সে কী তোর ভালোবাসার মূল্য দিতে পেরেছে? তবে তুই কেনো কাঁদছিস? তোকে শক্ত হতে হবে, এতটা ভেঙে পড়লে চলবে না। তুই ওই মানুষ-টার জন্য কাঁদছিস? যে কিনা তোর ভালোবাসার যোগ্যই নয়। নাহ আমি আর কাঁদবো না তাও ওই মানুষ-টার জন্য, যে আমাকে এতবড় ধোঁকা দিয়েছে। আমি তাকে দেখিয়ে দেবো, তার জন্য আমার জীবনে কোনো রকম প্রভাবই পড়ে নাই। আমি তার সব রকম চেষ্টা বৃথা করে দেবো।



চলবে……..।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে